দীর্ঘদিন পরে গ্রামের উদ্দেশ্য
দীর্ঘ অনেকটা দিন পরে এবার গ্রামের বাড়িতে আসলাম। শেষ এসেছিলাম রোজার ঈদে, তারপরে তো আর আসা হয়নি। মূলত ক্রমাগত ব্যস্ততা যেন কোনভাবেই আমার পিছু ছাড়ছিল না, তাই সময় সুযোগ করে উঠতে পারিনি।
এদিকে গিন্নির যেন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য, দম যেন যায় যায় অবস্থা। তাই শেষমেষ মনস্থির করেছিলাম কিছুটা ব্যস্ততা কমিয়ে ঘুরে আসবো গ্রামের বাড়ি থেকে। অতঃপর যেমন চিন্তাভাবনা তেমন কাজ। কমপক্ষে দু সপ্তাহের মতো এবার গ্রামের বাড়িতে থাকবো। অনেকটা ইচ্ছে করেই থাকবো, গিন্নির যতদিন মন পরিতৃপ্তি হয়নি ঠিক ততদিনই থাকবো।
দোতারাটা কিনেছিলাম বহুদিন আগে, অনেকটা শখের বসেই কিনেছিলাম। তবে সেই শখ মেটাতে এখন মাঝে মাঝে হিমশিম খাই। কারণ পরিপক্ক ভাবে দোতারা বাজানো শিখে ওঠা বেশ কঠিন কাজ। অনেকটা সাধনার দরকার হয়। তারপরেও প্রায় রাতেই যখন সবাই ঘুমিয়ে যায়, তখন দোতরাটা হাতে নিয়ে নিজের মতো করে বাজানোর চেষ্টা করি। এভাবেই একটু-আধটু করে মোটামুটি কিছুটা তাল তুলতে পারছি আজকাল।
যেখান থেকে দোতারাটা ক্রয় করেছিলাম, তারা বলেছিল কয়েক মাস পরেই যেন সার্ভিসিং করে নেই। যেহেতু এবার গ্রামে যাচ্ছি আর এই গ্রামীন অঞ্চল থেকেই দোতরাটা ক্রয় করেছিলাম, তাই যেখান থেকে নিয়েছি সেখানেই সার্ভিসিং করাবো। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুপুর বেলার পরে আমাদের অটো গাড়িটা যখন গ্রামের বাজারে গিয়ে থেমেছিলাম এবং দোতারাটা হাতে নিয়ে যখন আমি রাস্তায় নেমেছি তখন কিছু মানুষ আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।
অতঃপর কিছুটা সময় পরেই যাদের কাছ থেকে দোতারাটা কিনেছিলাম, তাদের সন্ধান পেলাম এবং বলে দিলাম বেশ ভালোভাবে যেন সার্ভিসিং করিয়ে দেওয়া হয়। কারন আমার সময়-অসময়ের সঙ্গী হচ্ছে এই দোতারাটা। তাই এটার যত্ন হওয়া চাই একদম নিখুঁত।
যাইহোক মানসিকভাবে কিছুটা প্রশান্তি পাচ্ছিলাম, কারণ দোতারাটার সঠিক বন্দোবস্ত করতে পেরেছি এটা ভেবে। এরপর আবারো আমাদের অটো গাড়ি চলতে শুরু করলো। বারবার আশেপাশে দেখছিলাম সেই দূরে যেন আমাদের গ্রাম দেখা যাচ্ছিল। দুপাশে সদ্য রোপন করা ফসলের জমি আর মাঝ দিয়ে এই রাস্তা চলে গিয়েছে একদম আমাদের গ্রামে।
আমার থেকে আমার গিন্নিই বেশি অস্থির হয়ে আছে দ্রুত বাড়ি যাওয়ার জন্য। যেহেতু অনেকটা দিন বাদে এবার যাচ্ছে, তাই ওর যেন আর কোনভাবেই দেরি সহ্য হচ্ছে না। অবশেষে মিনিট দশেক পরেই পৌঁছে গেলাম চিরচেনা জায়গায়। ক্লান্তি যেন কিছুটা এবার কমলো, টানা কয়েকটা দিন এবার আরাম আয়েশেই নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেওয়া যাবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
বাহ্! দোতারা হাতে নিয়ে তো আপনাকে বেশ মানিয়েছে ভাই। দোতারা দিয়ে একটু একটু তাল তুলতে পারছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি হ্যাংআউট প্রোগ্রামে বা রবিবারের আড্ডায় কখনো শোনার সৌভাগ্য হবে। যাইহোক গ্রামীণ পরিবেশে মাঝে মধ্যে সময় কাটাতে পারলে, মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। আমি মনে করি মানসিক প্রশান্তির জন্য সবার উচিত গ্রামে বেড়াতে যাওয়া। আশা করি আপনারা খুব ভালো সময় কাটাবেন সেখানে। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1685218764982480896?t=mDNSJepfG1LK9Dk1Iw2jAA&s=19
সত্যি বলতে গ্রামীন প্রকৃতি পরিবেশের মধ্যে সময় কাটাতে আমরা সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসি শহরে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকাটা যেন জেলখানা মনে হয়। অবশেষে বেশ কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে গ্রামে থাকবেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো অবশ্যই গ্রামের প্রকৃতির পরিবেশের মধ্যে সুন্দর মুহূর্ত পাঠাবেন বলে আশা রাখছি। শখের বসে দোতারা কিনে এখন সময় অসময়ে সেটা সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো আসলে মাঝে মাঝে নিজে নিজে টুংটাং শব্দ করে দোতারা বাজাতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনি গ্রামীণ পরিবেশে দারুন সময় কাটান প্রথমেই এই কামনা করছি। আসলে যে যত কিছুই বলুক গ্রাম হচ্ছে আমাদের শেকড় আর প্রানের ভূমি। যে যত দৌড়ে বেড়াক দেশ বিদেশ শিকড়ের টানে একদিন ফিরতেই হয়।
আপনাকে দোতরা হাতে দেখে সত্যিই দারুন লাগলো। শুভ কামনা রইলো পুরো পরিবারের জন্য।
যথার্থ বলেছেন ভাই।
ভাইয়া আপনার তোলা আকাশের ফটোগ্রাফি দেখে আমিতো মুগ্ধ হয়ে গেলাম।এমন সুন্দর পরিবেশে যেতে কার না মন চায়।আর সেখানে আপুর প্রিয় মানুষরা আছেন তাইতো অস্থির হয়ে আছেন।যাক এবার দুই সপ্তাহ থাকলে কিছুটা তৃপ্তি হবে মন।আপনার দোতারা সার্ভিসিং করতে দিলেন।যাক ভালো ই হলো। একসাথে দুই কাজ করা হয়ে যাবে।সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা সত্য একসঙ্গে দুটো কাজই হয়েছে, এখন ঠিকঠাক মতো দোতারাটা হাতে পেলেই চিন্তামুক্ত থাকবো। ধন্যবাদ আপু।
সর্বনাশ, ঘুমানোর সময় যদি দোতারা বাজাও তাহলে তো সবাই ঘুম থেকে উঠে এসে তোমাকেই বাজিয়ে চলে যাবে শুভ দা। হা হা হা...
তবে পোস্ট পড়ে যতটা বুঝলাম তুমি তোমার দোতারা অনেক বেশি পছন্দ করো। আর যেহেতু দুই সপ্তাহের জন্য গ্রামে যাচ্ছ, তাহলে একটু ভালো করেই ঘুরে আসো। শুভকামনা রইল তোমার জন্য।
আমার রুমটা একদম শেষের দিকে ভাই, যার কারণে ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিলে, বাহিরে শব্দ যাওয়ার কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। হ্যাঁ, এই দোতারা আমার সময়-অসময়ের সঙ্গী। ধন্যবাদ ভাই 🙏
অনেকদিন পর গ্রামীন সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করেছেন। আসলে গ্রামের এই সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। তাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এবং গ্রামের আসার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
গ্রাম মানেই নিরিবিলি এক আনন্দ।দু সপ্তাহের মতো গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।অনেকসময় প্রিয় জনের মন রাখতে অনেককিছু করতে হয়।যাইহোক দোতারাটা তো বেশ সুন্দর, এইবার কিন্তু আপনার দোতারাটা বাজিয়ে গান শুনবো।☺️☺️ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া দীর্ঘদিন পরে গ্রামের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছেন সাথে এক মাত্র সঙ্গি দোতারাটাও নিয়ে গেলেন। রাস্তার মধ্যে দোতারা হাতে সত্যিই ভাল লাগছিলো। শুধু পোষাকটা চেইন্জ হলেই বাউল হয়ে যেতেন,হে হে হে। ধন্যবাদ ভাইয়া।