চাঁদ রাতের মুহূর্ত || @shy-fox 10% beneficiary
আজকের যে ঘটনাটি শেয়ার করব, সেটা হচ্ছে চাঁদরাতে দিনের সন্ধ্যা বেলার ঘটনা । যেমন ছিল সময়টা ঠিক তেমনভাবেই চেষ্টা করব, লেখার মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলার জন্য ঘটনাটি । আশা করি ভালো লাগবে ।
ঐদিন বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল ম্যাচ দেখার পরে সন্ধ্যা বেলা বাসায় ফিরতেই আমি অনেকটা চমকে গিয়েছিলাম । কারণ গ্যারেজটা খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে বাসার মালিক । রং বে রঙের আলোকসজ্জায় ভরিয়ে তুলেছে । তার মধ্যে ছিল বাহারি রঙের বেলুনের সাজ-সজ্জা । বাসায় ঢুকতেই মনটা এমনিতেই হালকা হয়ে গেল ।
আমি তো ঢুকেই অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছি । ভাবলাম সঠিক জায়গায় এসেছি তো নাকি আজকে কারো অনুষ্ঠান হচ্ছে । অতঃপর খানিকটা ভাবনা চিন্তার পরে বুঝলাম, যেহেতু বাসার মালিকের ছেলেরা এসেছে। হয়তো এই কাজটা তারাই করেছে । যাইহোক একটা অজানা ভালো লাগা কাজ করলো নিজের ভিতর ।
অতঃপর যখন সিঁড়ি বেয়ে ধীর পায়ে পাঁচ তলায় উঠলাম, গিয়ে দেখি ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দেওয়া । এককথায় ধাক্কা খেলাম । হীরা আমাকে বিকেল থেকে বারবার ফোন দিচ্ছিল এবং বলছিল তুমি বাসায় চলে এসো,বাসায় চলে এসো । বাবু কান্নাকাটি করছে । এমনিতেই পুরো বিল্ডিংয়ে কেউ নেই । সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়ি চলে গিয়েছে ।
যার কারণে ও অনেকটা একাকী বোধ করছিল । আর এই দিকে আমি এসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছি, এটা ও কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না । ফ্লাটের দরজা বন্ধ দেখে আমি অনেকটাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছি । বিস্তর সব চিন্তা-ভাবনা আমার মাথার ভিতর ঘুরপাক করছিল । যাইহোক আমি ভাবছিলাম হয়তো রাগ করে অন্য কোথাও গেল কিনা এমনটা ।
ছাদ হতে বারবার আতশবাজির শব্দ আসছিল । আমি একটু নিজেকে প্রস্তুত করে ফেললাম ছাদে যাওয়ার জন্য । দেখার চেষ্টা করছিলাম, আসলে মূলত ওখানে কি ঘটছে । গিয়ে দেখি আমার চিন্তাধারা অনেকটাই ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে । কারণ সকলে চাঁদ দেখা উপলক্ষে ছাদে এসে মজা করছে , সেই সঙ্গে হীরা ও বাবু ছিল । যাক আমি বুঝলাম যে , পরিবেশ তাহলে ঠান্ডা আছে ।
যাক অতঃপর হীরার কাছে গেলাম এবং তার সঙ্গে আমিও মুহূর্তটা উপভোগ করার চেষ্টা করলাম । অনেকটা শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম কারণ শৈশবে চাঁদরাতে আমিও আতশবাজি ফোটাতে মেতে উঠতাম । সেই সময়টা যখন দেখছি আমার চোখের সামনে তখন বেশ ভালই লাগছিল ।ঝটপট চেষ্টা করলাম মুঠোফোনটা বের করে মুহূর্তগুলোকে ভিডিওতে ধারণ করার জন্য ।
আকাশে নতুন চাঁদ উঠেছে চতুর্দিকে যেন খুশির বন্যা ছড়িয়েছে । সবাই যেন উৎসব আনন্দে মেতে উঠেছে । চেষ্টা করলাম অবলীলায় কিছু কথা ভিডিওর মাধ্যমে বলার জন্য ।
উৎসব আমার উৎসব আমাদের
ঘৃণা নয় ভালোবাসা
সকলের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে যাক এবং এই আনন্দে ধরণী আবার নতুন করে জাগ্রত হোক, এমনটাই তো আশাকরি ।
একই শহরের বুকে কংক্রিটের ছাদের উপরে, বেশ ভালোভাবেই উদযাপন করলাম চাঁদরাতের বিশেষ মুহূর্তটা । এমন মুহূর্ত গুলো বারবার আসুক এই কামনা করি প্রতিনিয়ত । সুস্থ থাকুক সবাই আপনজন নিয়ে, নিজ নিজ জায়গায় ।
ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা রইল সকলের জন্য।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া,আপনার এই লেখাটি পড়ে সত্যি আমার ভয় লেগে গিয়েছিল, কারণ আমি পড়ের লেখা গুলো পড়ি নি। দরজা বন্ধ ভাবি কোথায় চলে গেল শায়ান বাবুকে নিয়ে, একটা কথা কি ভাইয়া আপনার মত এত সুন্দর মনের মানুষের উপর রাগ করে কখনো ভাবি কোথাও যেতে পারবেনা। ভাবি চাঁদরাতে সবার সাথে আনন্দ উপভোগ করার জন্য বাবুকে নিয়ে ছাদে গিয়েছে শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। আর ভাইয়া,আপনি যখন ছাদে গিয়েছেন আতশবাজি ফোটানোর দৃশ্য দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গিয়েছে এই লেখাটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। ভাইয়া,চাঁদ রাতের দিন আনন্দ করা হত একসময় এখন সেই আনন্দগুলো তেমন একটা হয় না আর এই আনন্দ গুলো দেখলে অতীতের কথা মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
মাঝে মাঝেই কতো কিছুই করে বসে আপনার ভাবী । আসলে বাসায় সারাদিন একা একা থাকে তো এই জন্যই একটু মাঝে মাঝেই রাগ করে ।
ভাইয়া,ভাবির রাগটাই ভালোবাসা অনেক ভালোবাসে যে সে রাগ করে বেশি।🥰🥰
সত্যি ভাইয়া আপনার আজকের পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে আতশবাজি ফোটাতে দেখে অনেক ভালো লাগলো। ইট পাথরের দেয়াল ঘেরা শহরের মানুষগুলো যে যার মতো ব্যস্ত থাকে। ঈদের ছুটিতে সবাই অনেক আনন্দে মেতে থাকার চেষ্টা করে। তাই আপনার বাসার মালিকের ছেলেরা নিজের মতো করে চাঁদরাতের সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছে। ছেলেবেলায় আতশবাজি ফোটাতাম অনেক। তবে এখন আর সেই আনন্দ নেই। সবকিছুই যেন হারিয়ে গেছে। তবে যাই হোক সবশেষে আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করে একটি কথাই বলতে চাই,
আসলেই চাঁদরাতের মুহূর্তটা বেশ ভালোই ছিল আমার কাছে । আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম সময়টা ।
ঈদ তো চলে গেল ভাইয়া 🤭। এখন ঈদ উদযাপনের ভিডিও দেখে ভালোই লাগলো। বাসাটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছিল দেখা যায়। এখন আর এভাবে চাদঁ রাতের মুহূর্ত উদযাপন করা হয়না। যেমনটা ছোটবেলায় উদযাপন করতাম।
হুম এই জন্যই মুহূর্ত গুলো একটু গুছিয়ে রেখেছি , সবার মুহূর্ত শেষ হওয়ার পরে আমার গুলো শেয়ার করব।
আমি ভাবলাম এটা রুমে। আসলেই তো গ্যারেজ টা দেখার মত ছিল। আমারও দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার মিষ্টি মুখ ফুটে উঠেছে। যাইহোক পরিবেশ ঠান্ডা আছে কিন্তু শহরাঞ্চলে তো বাসায় একা বউ কে রাখা অনেক বিপদ এখন। উৎসবে সকলেই মেতে উঠেছে বেশ ভালো ছিল। আপনার মুখে সবসময় একটা কথা শুনি উৎসব আমার উৎসব আমাদের ঘৃনা নয় ভালোবাসা। ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
হুম আপনার ভাবীর একটু রাগ বেশি ,পরে দেখি ছাদে গিয়ে সময় কাটাচ্ছিলো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভাইয়া আপনার চাঁদনী রাতের মুহূর্ত পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার লেখনী আমি পড়তে ছিলাম এবং আমার চোখের সামনে এই সকল চিত্র ভেসে উঠছিল। মনে হচ্ছেলি আমি একটি কল্পনার রাজ্য ভেসে গেছি।আসলে আপনার লেখনীর মধ্যে অন্যরকম একটা ফিলিংস পাই আমি। যার ফলে অনেক কিছু কল্পনার মাধ্যমে দেখে ফেলি।আপনার চাঁদনী রাতের মুহূর্ত পড়ে আমারও মন হালকা হয়ে গেল ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার চাঁদনী রাতের মুহূর্ত গুলো এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক ও সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
ভাই কবে যেন বলেছিলেন যে, আপনার ঈদের চাইতে ঈদের আগের সময়টাই বেশি ভালো লাগে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। ঈদ আসে আর ফুরিয়ে যায়। ঈদের দিনটি আমার কাছে কেন যেন সবসময়ই বোরিং লাগে। সে তুলনায় চাঁদরাতে আনন্দই আলাদা। একটু আলোকসজ্জা, আতশবাজির ঝলকানি না হলে কি কোন উৎসব জমে। বাড়িওয়ালার ছেলেদের সৌন্দর্যবোধের তারিফ করতে হয়। ভালো থাকবেন
একদম ঠিক বলেছেন ভাই , যতবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলাম ততবারই অন্যরকম একটা অনুভূতির সঞ্চারণ হচ্ছিল।
আসলে ভাই আপনি খেলা দেখে এসে হঠাৎ করে এত সুন্দর পরিবেশ দেখতে পেয়ে চমকে উঠেছেন।আসলে এটা চমকে যাওয়ারই কথা, কারণ কোনো পরিকল্পনা না জেনে হঠাৎ করে যদি এত সুন্দর পরিবেশের আয়োজন দেখতে পায়, তাহলে খুবই ভালো লাগে। যাই হোক বাসায় গিয়ে তালা দেখতে পেয়ে আপনি একটু ভয় পেয়েছিলেন। যে ভাবি হয়তো রাগ করেছে,কিন্তু ছাদে গিয়ে তাদের আনন্দময় পরিবেশ উপভোগ করতে দেখে আপনার খুবই ভালো লাগলো। আপনিও সাথে উপভোগ করলেন, সত্যিই আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
বাড়ির জায়গাগুলো সত্যিই খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে।দেখেই মনটা ভালো হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
আপনার কথাটা অনেক আমার অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আমাদের এলাকাতে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। ঈদের সময় আমাদের এলাকার কিছু হিন্দু ভাই আছে তারা ঈদের জন্য শপিং করে৷ আবার আমরাও তাদের পূজার সময় বাইকে ঘুরি তাদের সাথে। আসলে এমন হওয়া উচিত। ধন্যবাদ ভাই আপনার চাঁদ রাতের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আতংক কখনো কখনো আনন্দে রুপ নিতে পারে।যা আপনার ঘটেছে। বাড়িওয়ালার রুচিবোধ, আপনাদের পছন্দে আনতে পারায়,বাড়িওয়ালাকেও দেরিতে হলে ঈদ মোবারক জানাই।ভাল কাটুক সবার সময়।