ঘরোয়া পরিবেশে কেটে গেল একটি দিন
যেহেতু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। তাই একটা সময়ে গিয়ে বাবা হতে হবে এটাই স্বাভাবিক । আমাদের বিয়ের সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেল। অতঃপর আমার স্ত্রী এখন গর্ভবতী। তার এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা আর এই সময়টা সামাজিক রীতি অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এসে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে তারা নিজেদের মতো করে ভালো কিছু খাওয়ায় । আমি যদিও জানি না এই রীতির কোনো ভালো ব্যাখ্যা আছে কিনা, তবে যেহেতু একটা সামাজিক রীতি তাই আমি খুব একটা বেশি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না । তাছাড়া এইটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে। কারণ দীর্ঘদিন পরে অনেক আত্মীয়-স্বজন এসেছে। এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সময়টা কেটেছে অনেক ভালই।
গতকাল রাত থেকে আমাদের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আসতে শুরু করেছে মোটামুটি আমার শ্বশুর বাড়ির দিকের আত্মীয় স্বজন ও আমার বাবার বাড়ির দিকের আত্মীয়-স্বজন সবাই আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে এবং আজকে দুপুরবেলা তাদেরকে খুব ভালোভাবে ঘরোয়া পরিবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং ভাল একটা সময় কেটেছে । মূলত এই উৎসবটা নিয়ে যে আমার ধারণা সেটা হচ্ছে, তারা এই সময় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ভালো কিছু খাবার খাওয়ায় এটাই আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে বুঝলাম । যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভকালীন অবস্থায় অনেক পুষ্টিকর খাবার দরকার হয়, তাই তারা সবাই নিজেদের মতো করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে ।এইটা আমার কাছে একদিক থেকে ভালই লেগেছে।
আল্ট্রাসনোগ্রামের ডেট অনুযায়ী আর মাস দুয়েক পরেই আমি বাবা হতে যাবো এবং আমি খুব অধীর আগ্রহে আছি। আমি মনে করি আমার যারা পাঠক আছে, তারা আমার মনের অবস্থাটা এই মুহূর্তে বুঝতে পারছে। যাইহোক আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই আমার আগত সন্তান যেন এ পৃথিবীতে ভালো ভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং সে যেন মুক্ত বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিতে পারে এবং সে যেন নিজের মতো করে থাকতে পারে এই পৃথিবীতে এই কামনায় করব ।। আজ যখন প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে বসে সময় কাটাচ্ছিলাম,তখন তার পেটের উপর আমি মাথা দিয়ে আমার বাবুকে ফিসফিস করে বলছিলাম, আব্বু তাড়াতাড়ি চলে এসো। তোমার বাবা তোমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ।
আপনার অনাগত সন্তানের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল । বাবু যেন ভালোভাবে পৃথিবীর আলো দেখতে পায় এবং সুস্থ ও নীরোগ থাকে এই আশীর্বাদ করলাম ।
ধন্যবাদ দাদা । আশীর্বাদ করবেন আমাদের জন্য ।
ভাই সুখবর তো খালি মুখে দেয় না, এতো খাবার আপনি একা কিভাবে খেলেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও দোয়া রইল ভাবির জন্য।
ভাই আপনার সব ভাবিকে খাওয়ানো হয়েছে। আমি খুব একটা খাই নি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনাদের এবং আপনাদের অনাগত নতুন অতিথির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আমি খুশি হয়েছি ।
বাহ শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের অভিনন্দন!
ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠান দেখে অনেক ভালো লাগলো। দোয়া করি উনি যেন সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারেন এবং মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাংলার বাড়ি বাড়ি "সাধ খাওয়া"অনুষ্ঠান, যুগ-যুগান্তরে বেচে থাক।
এ অনুষ্ঠানে নাম সাধ (সাধের)খাওয়া। মেয়ের সাত মাষের গর্ভাবস্তায়, নানা-নানি পক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। তারা সব কিছু নিয়ে এসে, দাদা-দাদি পক্ষকে, বাড়িতে এনে নিজেরাই রান্না করে খাওয়ায়। এসময় অনাগত সন্তানের মঙ্গল কামনা করে, মায়ের শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। সব মিলে উৎসব ঘন পরিবেশে সময় পার হয়।সবকিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হয়না। তার পরেও মানতে হয় করতে হয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদের অনাগত সন্তান কে সুস্থ ও দীর্ঘায়ু করে, সময়মত আপনাদের কোলে তুলে দেক, এই কামনা করছি। আমিন
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।