বুস্টার ডোজ ও আমার অভিজ্ঞতা || @shy-fox 10% beneficiary
কার কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমার অভিজ্ঞতা যে, একটু ভিন্ন হয়েছে। সেটা একটু বলার চেষ্টা করব আপনাদের সঙ্গে । প্রথমেই বলে রাখছি জায়গাভেদে অভিজ্ঞতা কিন্তু একটু ভিন্ন হতে পারে । তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে কথাগুলো নেওয়ার চেষ্টা করবেন না ।
প্রথম দু ডোজ দেওয়ার সময় খুব একটা ঝামেলা হয়নি । হয়তো একটু জ্বর এসেছিল এবং একটু শরীর ব্যথা করেছিল কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । যাইহোক কি যে একটা অবস্থা , তাও যে ভালোভাবেই তিনটা ডোজ দিতে পারলাম এটাই তো অনেক বেশি ।
বিশেষ করে প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার ডোজ নেওয়ার সময় আমার ভীষণ আগ্রহ ছিল এবং তখন মানুষের ভিতরে টিকা নেওয়ার জন্য আলাদা একটা উৎসাহ কাজ করত । কারণ তখনও মহামারী চলছিল এবং সঙ্গে তো লকডাউন ছিলোই । সর্বোপরি মানুষ ভীষণ সচেতন ছিল টিকা নেওয়ার ব্যাপারে । কিন্তু সময় যত গড়িয়ে গিয়েছে, মানুষের ভিতরে দিন কে দিন ততটাই অবহেলা চলে এসেছে এবং মানুষ এখন ব্যাপারগুলোকে খুবই স্বাভাবিক ভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং ব্যাপারগুলো ইতিমধ্যেই অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ।
যদিও আমি সেই মহামারী শুরু থেকেই এখনো ডাবল মাক্স পড়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করি । আমি জানিনা এভাবে আর কতদিন চলবে , তবে মাক্স তবে পড়ে পড়ে আমি এখন বেশ অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি । মাক্স ব্যবহার করে আবার একদিক থেকে বেশ ভালোই হয়েছে । কারণ বাহিরের যে রাস্তাঘাটের অবস্থা , শুধু ধুলাবালি আর ধুলাবালি । তাতে এটলিস্ট ফুসফুস কিছুটা রক্ষা পাচ্ছে বাহিরের এই ধুলাবালি থেকে ।
মজার একটা ব্যাপার হচ্ছে , যে দিন আমার বুস্টার ডোজের মেসেজ মোবাইলে এসেছে। সেই দিনের ই তারিখ দেখিয়েছে, যে আমাকে টিকা দিতে হবে । আমি মেসেজটা পেয়ে রীতিমতো কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । কারণ যেদিন মেসেজ ঐদিন ই টিকা দেওয়ার তারিখ । ব্যাপারটা বেশ আমাকে এলোমেল পরিস্থিতিতে ফেলেছিল । যাইহোক বাবা যেহেতু হসপিটালে আছে, তাই আমি তাকে ফোন করলাম এবং বললাম মেসেজের ঘটনাটি । বাবা বলল তুমি চিন্তামুক্ত থাকো , আগামীকাল এসে বুষ্টার ডোজ নিয়ে নিও ।
আগের রাতে হীরাকে ডেকে বলে রাখলাম। আগামীকাল কিন্তু আমার টিকা দিতে যেতে হবে, আমাকে একটু সকাল-সকাল ডেকে দিও । এমনিতেই ঘুমিয়ে গিয়েছে ভোরবেলার দিকে, সকালবেলা যখন হীরা আমাকে ডাকছিল তখন বেশ বিরক্ত লাগছিল । অবশেষে নিজেকে কোনরকম সামলিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম এবং তারপরে সোজা হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম । হসপিটাল চত্বরে ঢোকার পরপরই লম্বা লাইন দেখেই আমি কিছুটা হতভম্ব ।
কারণ এই লাইনের সিরিয়াল ধরে যদি আমাকে টিকা নিতে যেতে হয় ,তাহলে আমার সারাদিন লেগে যাবে । এমনিতেই বিকালে আবার চেম্বারে গিয়ে রোগী দেখতে হবে । যাইহোক এই অবস্থা থেকে আপনি বলতে পারেন যে, আপনি কেন সিরিয়াল ব্রেক করলেন তাহলে । আমি শুধুমাত্র একটা কথাই বলবো যে, আসলে আমি সিরিয়াল ব্রেক করেছি শুধুমাত্র বিকালে গিয়ে আমাকে আপনার মত মানুষদের সেবা দিতে হবে , ঠিক এজন্যই সিরিয়াল ব্রেক করেছি ।
অতঃপর সোজা গেলাম বাবার রুমে এবং তারপর বাবাকে টিকার কার্ডটা দিয়ে বললাম । কিছু একটা ব্যবস্থা করো । যে লম্বা লাইন দেখলাম, এইভাবে টিকা নিতে গেলে মোটামুটি আমার সারাদিনটাই লেগে যাবে । অতঃপর বাবার সহযোগিতার কারণে বিশেষ সেবায় আমি টিকা পেয়ে গেলাম । কিন্তু যে নার্স টিকা নিয়ে এসেছে, সে আমার শারীরিক অবস্থার কথা কিছুটা আগে থেকেই জানে । কারণ তার সঙ্গে আমার দীর্ঘ সময় এই হসপিটালে ইমারজেন্সি ডিউটি করা হয়েছিল । সে জানে যে , আমি উচ্চ রক্তচাপের রোগী । তাই সে আমাকে টিকা দিতে একটু অস্বস্তি বোধ করছিল । অবশেষে বাধ্য হয়ে, বাবা ও নার্স দুজনে মিলে আমাকে টিকার ইঞ্জেকশন পুশ করে দিল ।
সত্যি বলতে কি, আমি কোন কিছুই বুঝতে পারলাম না যে আমার শরীরের ভিতরে আদৌ কিছু গেল কি না । যাইহোক গেলে ভালো আর না গেলে কি করার । তবে টিকা গ্রহণ করার পর থেকে আমার একটা জিনিস বেশ এলোমেলো হচ্ছে । সেটা হচ্ছে টিকা নেওয়ার পরে মানুষের জ্বর হয় বা শরীর ব্যথা করে কিন্তু আমার হয়েছে তার উল্টোটা । কারণ আমার শুধু ঘুম ঘুম লাগছে টিকা নেওয়ার পর থেকে । ব্যাপারটার জন্য আমি বেশ ভালোই অসস্তি বোধ করছিলাম , টিকা নেওয়ার পর থেকে । এত ঘুম পাইলে আমি কাজ করবো কিভাবে, এইটাই তো মুশকিল হয়ে গিয়েছিল এই কয়দিনে ।
টিকা যেহেতু সহজলভ্য ও হাতের নাগালে চলে এসেছে । যেহেতু নেওয়ার প্রক্রিয়াও বেশ সহজ আছে , তাই নিয়ে ফেললাম । কার্যকারিতার ব্যাপার আমি পুরোপুরি বলতে পারব না । তবে যেহেতু সুযোগ আছে, তাই টিকা নিয়ে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ । সর্বোপরি এবারের অভিজ্ঞতা আমার কেমন ছিল, তা তো বলেই ফেললাম । তবে আমি জানতে ইচ্ছুক, আপনাদের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে সকালে ঘুম থেকে উঠে টিকা দিতে যাওয়াই একটা প্যারার কাজ। তো আপনি আপনার বাবা ও নার্সের সহযোগীতায় লাইন না ধরেই টিকা দিতে পারছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আমার ক্ষেত্রে টিকা দিতে তেমন প্রবোলেম হয় নাই। কারণ আমি যে সময়ে টিকা দিয়েছি সেই টাইমে আমি ছোট ভাইকে নিয়ে হাসপাতালেই ছিলাম। তাই কোনো লাইন ধরতে হয় প্রথম দুকেই টিকা দিয়েছি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। বোস্টার ডোজ দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আমি করোনার দুটি ডোজ সম্পন্ন করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুযোগ আসবে। প্রথম দুটি ডোজ দেওয়ার পর আমার তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। জানিনা এই পরের বুস্টার ডোজ দিলে কি হবে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার আপনার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন ছিল। তাই আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভিন্ন একটি ধারণা হলো। আপনি আপনার ভিন্ন অভিজ্ঞতা সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
আপনার ব্যাপারটি জেনে ভালো লাগল ভাই । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
তৃতীয় ডোজ দেয়ার মেজেস আসার বেশ কিছু দিন পর গিয়ে টিকা দিয়ে এসেছি। সেন্টারে গিয়ে দেখি দু এক জন লোক ছাড়া তৃতীয় ডোজের লাইন ফাকা। গিয়ে বসলাম দিয়ে দিল। কাগজে লিখে দিল তারিখ। তৃতীয় টি এষ্ট্রোজেনেকা দিল। আগের দুটো চায়না সিনফার্ম ছিল। যাই হোক । কোন সমস্যা হয়নি ইশ্বরের কৃপায়। আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালই লাগলো। আসলে টিকা দেয়া টা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
তাই নাকি । একদম ঝামেলাহীন ভাবে । যাক শুনে খুশি হলাম । আপনার আর আমার টিকা একই গ্রুপের ভাই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চিমটি হাহাহা
ভাই আমিও বুস্টার ডোজ নেয়ার চিন্তা করছি। কিন্তু কিভাবে কি করব বুঝতে পারছি না। যাইহোক আপনার তো ঝামেলা শেষ। এখন আপনি মোটামুটি নিরাপদ।
আরে ভাই নিয়ে নেন । চিন্তার কোন কারণ নেই ভাই ।
আমার বুস্টার ডোজের ডেট ছিল এই মাসের ৩ তারিখ।কিন্তু আমার ফোন মেসেজ এসেছে ৪ মার্চ ।আমিও অবাক হয়ে গেলাম এর আগে তো এমন হয়নি ।যাইহোক অতীতে তো আর ফিরে যেতে পারবনা তাই বুস্টার ডোজ আর দেওয়া হলোনা ।আর আমার একটু ভয় আছে মর্ডানার টিকায় অনেক ব্যাথা করে জ্বর আসে।আমার এক্সাম চলে তাই ভয়ে এখনো টিকা নিতে যায়নি ।তবে আপনি টিকা নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
চেষ্টা করুন দিয়ে নেওয়ার জন্য। দেখেন যেটা ভালো মনে করেন । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
করোনার মহামারী থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রত্যেককেই স্বাস্থ্যসচেতনতার সাথে চলতে হবে এবং অবশ্যই টিকা দিতে হবে। আপনার তৃতীয় ডোজ কমপ্লিট হলো জেনে খুবই ভালো লাগলো। গত দুইদিন আগে আমি আমার বাবা এবং মা তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছে। তখন আমি হসপিটালে গিয়ে দেখি অনেক বড় লাইন।তাই আমি আমার বন্ধুদের সহযোগিতায় তাদেরকে খুব তাড়াতাড়ি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে টিকা দিয়ে বাড়িতে এসেছি। আসলে টিকা দিতে এখন সকলে আগ্রহী তাই অনেক ভিড় দেখা যায়। আসলে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর আমার বাবা-মা বুঝতেই পারিনি। যে তারা টিকা দিয়েছে কিন্তু যখন তারা বুস্টার ডোজ দিল রাত থেকে টানা তিনদিন জ্বর। আমার বাবার সুস্থই ছিল, কিন্তু বিশেষ করে আমার মা অসুস্থ হয়ে পরলো। অবশেষে তিন দিন যাওয়ার পরে সুস্থ হলো, খুবই ভালো লাগলো তখন আমার।আজকে আপনার বুস্টার ডোজ দেওয়া দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে একটু ব্যথা এবং জ্বর আসবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের প্রত্যেকেরই টিকা সম্পন্ন করা উচিত।আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া।
হুম একদম ঠিক বলেছেন ভাই । আমি এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি ।
ভাইয়া আপনার বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পরে বেশ ভালই লাগলো। আসলে ভাইয়া আপনার বাবা যেখানে হসপিটালে রয়েছেন সেখানে আপনি লাইনে দাঁড়ানোর তো প্রশ্নই উঠে না। এক্ষেত্রে আমি থাকলে আমিও কোন ব্যস্ততা না থাকলেও লাইনে দাঁড়াতাম না। এটা সম্পন্ন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ব্রেক করার কিছু নেই। তবে আমারও বুষ্টার ডোজের মেসেজ এসেছে সেই 9 তারিখে, কিন্তু সময় সুযোগ করতে পারেনি তাই গতকালকে গিয়েছিলাম এত লম্বা লাইন এত মানুষের ভিড় দেখে লাইনে দাঁড়ায় নি সোজা বাসায় চলে এসেছি।
ব্যাপারটা তেমন না ভাই , যদি আমার বিকালে চেম্বার না করা লাগত ,তাহলে অবশ্যই লাইনে দাঁড়াইতাম । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমিও গতকালকে বুস্টার টিকা নিয়েছি। আমার যেদিন এসএমএস এসেছিল সেদিন আমি এসএমএস দেখিনি আমি পরেরদিন বিকেল পাঁচটার সময় এসএমএস দেখেছি পাঁচটার সময় গিয়েছিলাম কিন্তু নিতে পারিনি, পরেরদিন যেযে নিয়েছি। ভিড় ছিল তবে ততটা নয় গিয়েই ১০ মিনিটের মধ্যে নিয়ে বাসায় ফিরতে পেরেছি। এখন হাতে একটু ব্যাথা আছে কিন্তু সবদিক দিয়ে ঠিক আছি। আপনার অভিজ্ঞতা জানতে পারলাম তিনটি টিকা সহজভাবে নিতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা কাজ হোক বা না হোক মনের একটা সান্তনা আছে তিনটে
টিকাই নিয়েছি।
বাহ্ আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু । সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি ।
বুস্টার ডোজ এর টিকা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার এখনো বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি কিন্তু একটি কথা ঠিকই বলেছেন মাক্স ব্যবহার করতে করতে এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে এটা আমাদের জন্য আসলে অনেক উপকারী। মাক্স ব্যবহার করলে রাস্তাঘাটের ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আসলেই কিন্তু ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । এইটা আমি নিজেই প্রমানিত আপু । ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনার মাধ্যমে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভাই। আমিও ২টি ডোজ দিয়েছি।জেনে খুশি হলাম যে আপনি সুস্থ আছেন এবং ডোজ গুলো সব দিয়েছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। 💞💞💞
ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।