কোন এক সন্ধ্যায় || @shy-fox 10% beneficiary
এইতো সেদিন যখন বাবুর জন্য কলা কিনতে বের হব সন্ধ্যা বেলায় তখন গিন্নি বলেই ফেলল, সেও যাবে আমার সঙ্গে । আসলে এমন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক । কারণ ওর ও ঘুরতে মন চায় । আমি তো বলেই ফেললাম, ঠিক আছে তাহলে তোমরাও তৈরি হয়ে নাও । আমরা তাহলে আজকে একসঙ্গে দুজনে বাজার করব । তারপরে রিক্সায় করে একটু এদিক ঘুরবো ।
এই সময়টা আসলে, সম্ভবত বাবু অসুস্থ হওয়ার দুই থেকে তিন দিন আগে ছিল । যাইহোক সেদিন সন্ধ্যেবেলা বেশ ভালোই সময় কাটিয়ে ছিলাম বৈঠকখানাতে । আজকে যদিও আমি বৈঠকখানা নিয়ে তেমন কোন কথা বলবো না । কারণ আজকে মূলত বলব, আমাদের সেই সন্ধ্যা বেলায় ঘটে যাওয়া সুন্দর মুহূর্তের কথা ।
একটু ফরমালিনমুক্ত ফল কেনার জন্যই মূলত কলাহাটিতে গিয়েছিলাম আর সেখানে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য আসলে গৃহস্থ মানুষদের বাড়ির গাছের কলা কেনার জন্য । তবে যেভাবে ভাবি আরকি সেভাবে সবকিছু হয়ে উঠে না । আসলে দিনশেষে ফরমালিনমুক্ত ফল কেনাটা এক প্রকার সার্থকতার ব্যাপার ।
কলা কেনা শেষ হওয়ার পরেই মূলত আবারও রিক্সায় চড়ে বসলাম । হীরা আজকে আমাকে বলেই ফেলল, আজকে আমি তোমাকে আমার পয়সা দিয়ে খাওয়াবো । কথাটা শুনে একটু অবাক ই লাগলো । কারণ মেয়ে মানুষ আর যাই করুক, সহজে পয়সা খরচ করতে চায় না । এটা একদম সত্য কথা ।
ও আগে ওর ব্যাগটা ভালোভাবে দেখে নিল যে, ঠিকঠাক মতো পয়সা আছে কিনা । তারপরে বলল যে, ঠিক আছে তাহলে চলো কোন একটা রেস্টুরেন্টের দিকে । যেখানে গিয়ে সন্ধ্যের সময়টা একটু নিরিবিলি ভাবে কাটাবো ।
যাইহোক পরে অবশ্য আমি ওর প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম । তারপরে চলে গেলাম কুঠিবাড়ি এলাকার দিকে । গিয়ে মূলত বৈঠকখানা রেস্টুরেন্টে ঢুকে গেলাম । বেশ ঘরোয়া পরিবেশে রেস্টুরেন্টটি সাজানো । এখানে এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি তবে সেভাবে কখনো ভারী খাবার খাওয়া হয়নি । তবে আজ একটু আগ্রহ করছে, তাদের মেনু বুক দেখে ভারী খাবার খাওয়ার জন্য ।
বাবু মূলত রেস্টুরেন্ট গুলোতো আসলে বেশ খুশি হয়ে যায় । কারণ সেখানে রংবেরঙের আলোকসজ্জা থাকে । যার কারণে যেকোন রেস্টুরেন্টে গেলেই ও একটু চঞ্চলতা ভাব প্রকাশ করে । ও মূলত ছুটে বেড়ায় নিজের মত করে । বিভিন্ন সাজিয়ে রাখা জিনিস গুলো ধরার চেষ্টা করে এবং যেটা ওর অনেকটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে । এখানে এসেও ঠিক তেমনটাই আচরণ করছিল । ওকে যেন আমি এক মুহূর্তের জন্যও আটকে রাখতে পারছিলাম না ।
তুরাগ আমার ছোটবেলার পরিচিত । ও আসলে সম্প্রতি এই রেস্টুরেন্টটি দিয়েছে । চেষ্টা করছে বেকার বসে না থেকে নিজেই কিছু করার জন্য । যাইহোক এদিক থেকে তার এই উদ্যোগ আমার বেশ ভালো লেগেছে । বেশ দেখেশুনেই ওদের খাবারগুলো অর্ডার করলাম । মূলত আমি অর্ডার করেছিলাম হট কফি কারণ আমি মূলত কফি খাওয়ার জন্যই বাহিরে বের হয়েছিলাম । আর হীরা সম্ভবত অর্ডার করেছিল তেহেরি আর সঙ্গে ফুচকা ।
খুব যে আহামরি পয়সা লেগেছে , তা বলবো না । তবে এদের খাবারের দাম তুলনামূলক বেশ ভালই সস্তা। দুজন মিলে চারশো টাকার ভিতরে বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল । তবে খাবার আসতে একটু সময় লেগেছিল । আর এই সময়ের মাঝেই আমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছিলাম ও ছবিগুলো তুলেছিলাম সেদিন ।
খাবার সম্পর্কে আমি তেমন কোন কথা বলতে চাই না । স্বল্প পয়সায় হলেও , বেশ ভালোই ছিল খাবার গুলো । বেশ ভালোই তৃপ্তি পেয়েছি খেয়ে । যদিও শুধুমাত্র আমি ফুচকা একটু খেয়েছি আর সঙ্গে কফি । তবে হীরা বলল, তেহেরিটাও নাকি বেশ ভালই বানিয়েছে তারা । তুরাগ কে যখন জিজ্ঞাসা করলাম, তোমাদের আসলে এখানকার খাবার গুলো বানায় কে । সে তো বলেই ফেলল যে, আসলে তার বোন এই খাবার গুলো বানায় । যেহেতু তাদের একদম বাড়ির সঙ্গেই রেস্টুরেন্টটি , তাই মূলত তার বোন চেষ্টা করছে, তার ভাইয়ের রেস্টুরেন্টের রান্নার কাজে সহযোগিতা করার জন্য । এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
যখন পয়সা পরিশোধ করব । তখন হীরা ব্যাগ থেকে পয়সা বের করতে ধরল । আমি বললাম ঠিক আছে, তুমি বলেছ তাতেই আমি খুশি হয়েছি । আমি আসলে সঙ্গে করে পয়সা নিয়েই বের হয়েছি । আর একদিন যদি কখনো লাগে, তাহলে আমি নিজের থেকেই চেয়ে নেব । যাইহোক সেদিনের সেই সুন্দর মুহূর্তটা ঠিক এমনটাই ছিল ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই কাজটা তো আমি সবসময়ই করি আপনার ভাই যখন বাইরে বাজারের জন্য বের হয় তখন আমিও বলি যে আমিও যাব তখন আমরা তিনজন মিলেই বের হই ।এখানে রিকশায় ঘোড়ার কথা আপনি বললেন আর আমাদের ক্ষেত্রে আমাকে বলতে হয় কারণ রিকশায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে সেজন্য আমিই বলি। ভাইয়া এটা আপনি ঠিক বললেন না কে বলেছে মেয়ে মানুষ পয়সা বের করতে চায়না বাইরে গেলে আমিইতো বেশিরভাগ সময় আমার হাসবেন্ডকে নিজে থেকেই খাওয়াতে চাই ভাবিও সেই কাজটিই করেছে। আজকে তো ভারি খাবার খেতে মন চাইবেই কারণ পয়সা যে ভাবি দিচ্ছে ।আপনার বন্ধু তুরাগের রেস্টুরেন্টে তো মজার মজার খাবার রয়েছে। আর ঠিকই বলেছেন খাবারগুলো আসলেই সস্তা মাত্র চারশ টাকায় কতগুলো খাবার খেয়েছেন ।খুবই ভালো লাগল আপনার পোস্টটি পড়ে রেস্টুরেন্ট জাতীয় পোস্ট পড়তে আমার কাছে ভালো লাগে।
এইটা সত্য ঐ রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ সস্তা ছিল। তাছাড়াও হীরা আসলে সেভাবে কখনও আমাকে বলেনি , ঐদিন প্রথম বলেছিল । তাছাড়া ওর সুযোগ হয়েই ওঠে নি আপু ।
মেয়েরা টাকা খরচ করতে চায় কিনা তার প্রমাণ তো হীরা আপু দিয়েই দিল। এটা নতুন করে কি বলবো ভাইয়া। তবে মেয়েরা প্রিয় মানুষগুলোকে খাওয়াতে অনেক পছন্দ করে। সেটা হোক নিজে রান্না করে খাওয়ানো কিংবা রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো। যাইহোক শেষমেষ বিলটা আপনি দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি আপুর টাকা দিয়ে অন্য একদিন খাওয়া হবে।
সত্যি কথা বলতে মেয়েরা একটু কৃপণ টাইপের থাকে। ভাইয়া,মেয়েরা যদি কৃপণ টাইপের না হয় তাহলে কি সংসার উন্নতি করা যাবে 😊 তারপরও ভাবির ক্ষেত্রে আমি এটা বিশ্বাস করতে নারাজ কারণ আপনি খুব ভালো মনের একজন মানুষ আর আপনার সঙ্গে যে সঙ্গী সেও নিশ্চয় অনেক ভালো মনের মানুষ।তাই তো আপনাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে খাবার খাওয়াবে এবং বিলটাও দিবে। ভাইয়া, অনেকদিন পর শায়ান বাবুকে দেখে সত্যিই আমার মনটা ভরে গিয়েছে আর অনেকদিন পর আপনার পোস্ট গুলো পড়ছি এটা ভেবে সত্যি খুব ভালো লাগছে।ভাইয়া, যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন রেস্টুরেন্টে পরিবেশটা খুবই সুন্দর আর খাবারের মান ভালো আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছি।ওই রেস্টুরেন্টের খাবার তৈরি করে একদম ঘরোয়াভাবে তাই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো হবে।যাইহোক ভাইয়া, অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ 🥰
আসলেই ভাইয়া এখন ফলমূল সবকিছুতে এত বেশি ফরমালিন এটা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। একেবারে ভালো কলা পাওয়ার জন্য কলাহাটিতে গেলেন এটা ভীষণ ভালো লাগলো। আমিও যে কোন জায়গায় যাওয়ার সময় আমরা একসাথে ই যাই। তবে এটা কি বললেন ভাইয়া মেয়েরা খাওয়াতে চায়না। আমি তো মনে করি মেয়েরা আরো বেশি করে খাওয়াতে চায়। এমনিতে আপনারা শুধু শুধু মেয়েদের দিকে আঙ্গুল তুলেন সবকিছুতে। খাওয়াতে বললেও দোষ হয় না বললেও দোষ। কিন্তু সব মিলিয়ে খাওয়া দাওয়ার পর ওটা বেশ ভালো জমিয়ে হল। আর চারদিকের আলোকসজ্জা সত্যি এখন সকল ধরনের রেস্টুরেন্টে এরকম হয়ে থাকে।
আসলে ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আর আজকে বিলটা ভাবি দিয়েছে। এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই কেউ সহজে পয়সা খরচ করতে চায় না। যাইহোক ভাবি আজকের দিল দিল এবং ৪০০ টাকার মধ্যে খুবই মজার মজার খাবার আপনারা পেয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
কথাটা আপনি ঠিকই বলেছেন, মেয়ে মানুষ সহজে টাকা বের করতে চায় না। তার পরে আজকে আপনাকে ভাবি খাইয়েছে। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে রেস্টুরেন্টের পরিবেশের ভালো লেগেছে। এরকম সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ভালো লাগলো আজকে আপনার গল্পটি পড়ে।
দাদা বর্তমান যুগে নির্ভেজাল জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার৷ যেমনটা আপনি ফরমালিনমুক্ত কলা খুঁজতে গিয়েছিলেন৷
যা হোক ভাবীকে সাথে নিয়ে সন্ধা বেলা রিস্কায় ঘুড়তে বেশ ভালোই লাগছিলো মনে হয় আপনাদের ৷ বিশেষ করে খাবার গুলো সত্যি জিভে জল এসে গেছে ৷
তেমনটাই তো মনেহয় , সে দিন বেশ ভালোই বেগ পেতে হয়েছিল কলা কিনতে গিয়ে ।
একেবারেই ভুল কথা এটা ভাইয়া।😜
আসলে বেশিরভাগ গৃহিনীরাই এই বাইরের ঘোরার মজাটা পায় না খুব একটা বেশি,তাই আপনার এ ধরণের মানসিকতা দেখে ভালোই লাগে।
না রে আপু , তোমার ভাবী আসলে অহেতুক খরচা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না ।
ভাইয়া বেশ কয়েকটা পোষ্টে পড়লাম আপনার বন্ধুু এবং পরিচিত লোকের রেস্টেুরেন্টেরই আপনি খেতে যান। আজ হিরা আপু খাওয়াতে চাইলো কিন্তুু লাষ্ট পর্যন্ত আপনিই বিল দিয়ে দিলেন। আজকে শায়ন বাবুর একা একটি ছবি দেখলাম। ভালই লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেখুন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় সব জায়গাতেই, তাছাড়াও যেহেতু আমি আমার এলাকাতে একদম লোকাল , তাই কমবেশি সকলের সঙ্গেই আমার টুকটাক পরিচিতি আছে ভাই ।