নীড়ে ফেরা
আজ যেহেতু শুক্রবার মোটামুটি গতকাল রাত থেকে এদিকের আবহাওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বলা যায় হঠাৎ করেই গরম আবহাওয়ায় বেশ ভালই শীতলতা নেমেছে। গতকাল রাতে হাংআউট শেষ হওয়ার পর থেকে বেশ ভালই ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হয়েছিল।
যেহেতু আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা আর তার ভিতরে মোটামুটি বাহিরে টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছিল যার কারণে গতকাল রাতে ঘুমটা বেশ ভালই গভীর হয়েছিল। ঘুম থেকে উঠে যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখন আমি অনেকটাই অবাক। কারণ ঘুমটা বেশ ভালোই দীর্ঘ হয়েছিল।
বড়পুকুর এলাকায় এবার যে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই ঘটনা কিছুটা হলেও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক সেই ঘটনার কিছুটা অংশ এখনো বাকি থেকে গিয়েছে মানে সেদিন যখন ওখান থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম, সেই ঘটনা আজকে লেখার চেষ্টা করছি।
যেহেতু পরিবার নিয়ে সেই এলাকায় গিয়েছিলাম তাই মূলত খানিকটা সময় আমরা সেখানে থাকার চেষ্টা করেছিলাম এবং আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম তবে এই জায়গাটাতে আমাদেরকে যে ভদ্রলোক নিয়ে এসেছিল সে হচ্ছে ফারুক কাকু। আমি গ্রামে গেলেই সে আমাকে এদিক সেদিক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমি তার কাছে এক প্রকার কৃতজ্ঞ বলাই যায়।
মূলত বড়পুকুর এলাকা থেকে বের হয়েই আমরা চেষ্টা করলাম বাড়ির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই পুকুরের পাশের যে বড় রাস্তাটা ছিল সেই রাস্তার দুই পাশ ছিল সবুজ ঝাউ গাছ দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো, যেটা অনেকটাই দৃষ্টিনন্দন।
তখন আসলে পড়ন্ত বেলা, এমন সময় আসলে প্রকৃতির চিরচেনা রূপ দেখতে পাওয়া যায়। মূলত সূর্য একটু পরেই ডুবে যাবে। এই গ্রামীন রাস্তার দুপাশে হালকা পাকা ধানের জমির সৌন্দর্যের মাঝ দিয়ে আমাদের ভ্যান গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছিলো বাড়ির পথে। যদিও আমার বাড়ি ফিরতে মন চাচ্ছিল না, মনে হচ্ছিল এমন সৌন্দর্য আরো কিছুটা সময় উপভোগ করি।
ফারুক কাকু বলছিল সূর্য ডোবার আগেই আমাদের গ্রামের বাজার এলাকাতে ফিরতে হবে। কিছুক্ষণ পরেই ঘন কালো অন্ধকার নামবে এদিকটাতে তখন আর চাইলেও কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই যে যার বাড়িতে চলে যাবে, তখন এখানকার পরিবেশ হবে অনেকটা ভুতুড়ে। আমি বুঝতে পারলাম ফারুক কাকুর কথা, আসলে সে যা বলছে, তা আসলে আমাদের কথা চিন্তা করেই বলছে। তাই সে দ্রুত ফিরে যেতে চায় গ্রামের বাজার এলাকায়।
অবশেষে আমরা বাড়ি ফিরে আসলাম খুবই তাড়াতাড়ি। যাইহোক এবার কিছুটা দুশ্চিন্তা কেটে গিয়েছে সবার। তবে আমাদের ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা সত্যিই বেশ ভাল ছিল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1656992832874496000?t=6YrpAVOjXBv8J6w9ikCzFQ&s=19
আপনাদের অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে তাই তো শীতলতা বিরাজ করছে। কিন্তু আমাদের এই দিকে ঝড় বৃষ্টির কোন আভাস নেই। গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। যাইহোক ভাইয়া গ্রামীন পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে সত্যিই ভালো লাগে। যেহেতু গ্রামের রাস্তাঘাট সন্ধ্যার পর পর ফাঁকা হয়ে যায় তাইতো দ্রুত ফেরার চেষ্টা করতে হয়। অনেক অনেক শুভকামনা রইল সবার জন্য।
আপু, আপনাদের ওখানেও বৃষ্টি নামুক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হাওয়াতে কিছুটা স্বস্তি আপনারা পেলেও আমাদের অবস্থা এখনো খুবই খারাপ। প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। যাইহোক আপনাদের ফারুক কাকু যে জায়গাটিতে নিয়ে গিয়েছিল আসলে চমৎকার জায়গাটি। বিশেষ করে দুই পাশের গাছগুলোর জন্য আরো বেশি ভালো লাগছে। তাছাড়া এরকম গ্রামের পরিবেশে রাতের বেলায় একটু নিরিবিলি হয়ে যাওয়ার জন্য উনি চাচ্ছিলেন যে তাড়াতাড়ি বাজারে ফিরে যেতে। যাক পরিবারের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
এটা সত্য ফারুক কাকু যে জায়গাটাতে নিয়ে গিয়েছিল সেই জায়গাটা আসলেই সুন্দর। তবে আবহাওয়া আবারও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে আপু, পুনরায় গরম নেমেছে।
সত্যি ভাইয়া ঝড় বৃষ্টি হলে বেশ ভালোই লাগে। তবে বেশি ঝড় হলে ভয় লাগে আর সাথে কারেন্ট থাকে না। যাইহোক ভাইয়া ফারুক কাকু আপনাদের বেশ ভালো করে ঘুরিয়েছে।সত্যি দুই পাশে এমন সবুজ ঝাউ গাছ দেখলে অনেক ভালো লাগে। সন্ধ্যার পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায় দেখে তারাতাড়ি নীড়ে ফিরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের এদিকে হালকা বৃষ্টি হলেও আবার গরম নেমেছে।
আমাদের এদিকে ও আজ বিকেলে বেশ বৃষ্টি হলো এবং পরিবেশ একদম শীতল হয়ে গেছে। চএমন শীতল পরিবেশে বিকেল বেলায় একটা খুব সুন্দর ঘুম দিলাম বেশ ভালই লাগছে। গ্রামের পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে অনেক ভালো লাগে। যখন পাশে নিজের পরিবার থাকে তখন মুহূর্তটি আরো বেশ ভালোই লাগে। ফারুক কাকু তো সুন্দর করে দেখালেন আপনাদেরকে চারদিকের পরিবেশ। দেখতে অনেক ভালো লাগছিল ফটোগ্রাফার মাধ্যমে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
কোথায় ভাই আমরা তো বৃষ্টির ছোঁয়া পেলাম না। আমাদের এখানে কড়া রৌদ্র। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের ফারুক কাকু বেশ সুন্দরভাবে ঘুরে ঘুরে সব দেখালো। পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন গ্রামীণ পরিবেশে।
যদিও গতরাতে বৃষ্টি হয়েছে, তবে আজ থেকে আবারও আবহাওয়া পূর্বের মতোই বিরাজ করছে।
পড়ন্ত বিকেলে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। বিশেষ করে, রাস্তার দুই পাশের ধান ক্ষেতগুলো পড়ন্ত বিকেলে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে এবং তখনকার পরিবেশটা আরো বেশি মনোরম হয়ে ওঠে। আর এরকম পরিবেশে সময় কাটানোর মুহূর্তটুকু খুবই উপভোগ্য হয়।
জি ভাই, আসলেই আমাদের সময়টা বেশ ভালো কেটেছিল সেদিন।