ফাজলামো চলছে || @shy-fox 10% beneficiary
ওস্তাদ : দেশে কি চলছে ?
সাগরেদ: বেশি কিছু না ,
শুধু একটু ফাজলামো চলছে ।
আপনার যদি মনে হয় যে , আমি এই কথাগুলো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বলছি । তাহলে এটা নিছক আপনার জায়গা থেকে ভাবনা-চিন্তা করাটা ভুল হবে । কারণ আমি যা বলছি, শুধুমাত্র আমার মনের আক্ষেপের কথা গুলো তুলে ধরছি । আমি এটাও মনেকরি এমন সমস্যাগুলোতে আমার মত আরও সাধারণ মানুষ এখন প্রতিনিয়তই সম্মুখীন হচ্ছে । কেউ মুখ ফুটে বলতে পারছে নতুবা সবাই নিজের মুখটাকে বন্ধ করে রাখছে । হয়তো পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক চাপে নতুবা আত্মসম্মানে ।
আজকে যখন নিজের চোখে নিউজগুলো দেখার চেষ্টা করছিলাম , তখন যেন নিজের ভিতরে একটা ঘৃণাবোধ জন্ম হয়েছিল। আচ্ছা এজন্যই কি দেশটা স্বাধীন হয়েছিল , এজন্যই কি দিনশেষে আমি বলি, আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক । আমি মনেকরি আমার এসব ভাবনা চিন্তার মাঝে, অনেক ভুল আছে এবং ত্রুটি জন্মেছে ।
কতগুলো মানুষ কয়দিন পর থেকে কিভাবে নিজের পরিবারের জন্য পুরোপুরি ভাবে সবকিছুর বন্দোবস্ত করবে , সেটা ভাবতেই অনেকে অস্থির হয়ে যাচ্ছে । ভাবতেই কেমন জানি লাগছে, সেই টিসিবির ট্রাকের সামনের লম্বা লাইনের কথা । যখন কেউ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কোন কিছু পাওয়ার আগেই পণ্য ফুরুত হয়ে যায় , ঠিক সেই মুহুর্তের কথা । আর হুট করে যদি পণ্য পাওয়ার জন্য , সেই চলন্ত ট্রাকের পিছনে কেউ ছুটে চলে তাহলে ব্যাপারটা আরো হাহাকার পর্যায়ে চলে যায় ।
এমন দৃশ্য যে শুধু আমি একাই দেখি তা কিন্তু না । তবে আমার মত সবাই দেখছে , তবে কজন ভাবছে এটাই হচ্ছে ব্যাপার । আমি জানি আমার এই কথাগুলো খুব বেশি দূরে যাবে না । তার আগেই সবাই কানে তুলা দেবো , চোখ বন্ধ করে ফেলবে । দেখেও না দেখার ভান করবে । কারণ এসব ক্ষেত্রে সবাই অন্ধ । নিজের আখের গোছাতে পারলেই সবাই সন্তুষ্টি লাভ করে । সেখানে আমার এইরকম ভাসমান বুলিতে, সত্যিই কারো যায় আসে না ।
দুর্নীতি তোমার রন্ধে রন্ধে , তুমি শেষ আমার প্রিয় দেশ । তোমার অস্তিত্বকে ঘুনে ধরিয়েছে তোমারই কার্যে নিয়োজিতরা । তোমাকে শেষ করেছে এই চাটার দল । যারা তোমাকে চাটতে চাটতে, চুষে খেতে খেতে সব শেষ করে ফেলেছে । আর এই মুদ্রস্ফীতি আর এই জ্বালানি সংকট এটা তো শুধুমাত্র চোখের দেখা । তবে আরো ভিতরটা যদি ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা যায় তাহলে যে আরো কত কিছুর ঘাটতি দেখা যাবে, তা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না ।
সাধারণ মানুষগুলোর হক মেরে নির্বিচারে কতজন যে নিজের হক আদায় করছে এবং পোটলা ভরে ফেলেছে, তা বলা খুব মুশকিল । এই স্বার্থের রাজ্যে কে জিতবে , কে না খেয়ে মরবে । এসব দেখার সময় কারো নেই । সবাই ব্যস্ত শুধুমাত্র নিজেকে নিয়ে । আজকে শুধু জ্বালানি নিয়ে হইচই, কয়দিন আগে তো শুনলাম বিদ্যুতের ঝামেলা । তারপরে তো শুনলাম ভোজ্য তেল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ঝামেলা । তাহলে আমার এত উন্নয়ন দিয়ে লাভ কি হল । যদি দিন শেষে না খেয়েই মরতে হয় তাহলে আমি উন্নয়ন দিয়ে কি করব ।
উন্নয়ন যে হয়নি এটা বললে ভুল হবে । হয়তো হয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষের, যারা কথার ফাঁকে ফাঁকে আঙ্গুল নাচিয়ে নাচিয়ে মানুষের মগজ ধোলাই করে । আর এই দিকে, আমলা থেকে কিভাবে পেট গামলা বানানো যাবে । তা তো তারা করেই ফেলছে প্রতিনিয়ত। তবে সাধারণ পাবলিক দিনশেষে কামলা, কামলাই থেকে যাচ্ছে । এরা শেষ, এদেরকে শুধু এখন ছুঁড়ে ফেলা বাকি ।
দোষ কি ওদের একার । এক কথায় না , দোষ আমার আপনার সবার এবং যারা ওদেরকে মাথায় তুলে রেখেছে এবং প্রতিনিয়ত ওদের জল্পনা করে যাচ্ছে, ঠিক এদের সবার । ওদের কিসের এত ভাব, কিসের এত হুংকার ও অহংকার । যদি তুই না খেয়ে মরিস , তোকে যদি সর্বত্র বঞ্চিত করা হয় । তাও কি তোর প্রতিবাদ মনোভাব জাগ্রত হবে না । মনে রাখিস , দেশটা কারো একার বাপের না , দেশটা সবার ।
সর্বাঙ্গে ব্যথা আমার, ওষুধ লাগাই কোথায় । ব্যাপারটা হয়েছে ঠিক তেমন । আসলে কোথায় ছেড়ে কোথায় ওষুধ লাগাবো, তার কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছি না । যেদিকেই যাই , সেদিকেই অসুস্থতার ঝলকানি । সব শালারা পচে গিয়েছে, সব শালারা শেষ , এখন শুধু মারছে আপামর জনগণকে ।
এতো মুদ্রস্ফীতি , এতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যের অস্থিরতা । সব কিছুতেই তো নাজেহাল অবস্থা । তাও যেন হারামজাদাদের মুখ বন্ধ । কেউ যেন কোন কথা বলছে না, কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না । সবগুলো মনে হয়, বোবা হয়ে গিয়েছে । নিজের অধিকার আদায় করে নেওয়ার সুস্থ মানসিকতা থাকা আসলে খুবই জরুরী । তবে এমন চিন্তা হয়তো তাদের কখনো মাথাতেই আসে না । এরা আসলেই পঙ্গু , এরাই আসলে এদের ধ্বংসের মূল কারণ । এরা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস হতে সহযোগিতা করেছে ।
তাহলে এত উন্নয়ন, এত অবকাঠামোর আলোকসজ্জার এত ঝলকানি , এসবের কি কোনই মানে নেই । আছে তো , তোর পিঠকে সিঁড়ি বানিয়ে যারা উপরে উঠে গিয়েছে , তারাই ঐ জায়গাতে হাসবে , খেলবে , নাচবে আর তুই আমি দিনশেষে হা হুতাশ করে মরবো ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আজকে রাস্তার অবস্থা দেখে জাস্ট নির্বাক হয়ে ছিলাম।এ কি উন্নয়ন!গাড়ি বন্ধ!স্বল্প আয়ের মানুষদের সাধ্য নেই সিএনজি করে যাওয়ার।আর কাজে না গিয়েও উপায় নেই।
আসলে এটা ফাজলামো চলছে আপনার কথার সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। বাস্তব যে অনেক কঠিন এটা আপনার লেখাগুলো পড়ে এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। অবকাঠামগত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যেখানে মানবতার কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। সামনে যে এর থেকেও কঠিন দিন আসছে সেটা এক প্রকার নিশ্চিত। এরকম পরিস্থিতিতে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারব কিনা উৎকণ্ঠা জেগেছে মনে। সর্বশেষ গত পরশুদিন মাঝরাতে যে ঝড়টা আঘাত হানল সেটা সামলানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। আমি মন থেকে চাই আপনার কথাগুলো অনেক দূর যাক।
আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ। তবে আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা আজ নেই। হয়তো স্বাধীনতা নামক শব্দটি শুধুই মুখে মুখে। প্রকৃত স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে। তাই তো এই অসহায় জনগণ নিজের সংসার চালাতে কষ্ট করে দিন পার করছে। সবকিছুর দাম যে হারে বেড়ে যাচ্ছে এতে করে সাধারণ মানুষের পরিবার চালানো সত্যি অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের মত সাধারন মানুষ এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের কথা কেউ চিন্তা করে না। সবাই চোখ বুজে আছে। দেখেও না দেখার ভান করছে। ভাইয়া আপনি আপনার এই লেখার মাঝে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️
নামেই স্বাধীন কাজের বেলায় ঠন ঠনা ঠন । পারিপার্শ্বিক অবস্থা বেশ ভয়াবহ ভাই ।
ভাই আপনার এই কথার সাথে আমি একেবারেই একমত। ঠিকই তো আমাদের সর্বাঙ্গেই ব্যথা কোথায় ওষুধ লাগাবো আমরা খুঁজেই পাই না। এর পাশাপাশি রয়েছে দেশে দুর্নীতিবাজ যাদের কারণে দেশ আরো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমি বুঝিনা আমরা কেমন মানুষ সামান্য কিছু টাকার বিনিময় নিজে ভালো মন্দ খাবে বা নিজের পরিবারকে ভালো-মন্দ রাখার জন্য আমরা এই দুর্নীতির সুযোগ নেই কিন্তু দিন শেষে আমি যে দুর্নীতি করলাম আমার পরিবারের জন্য সব দায়ভার কিন্তু আমাকেই নিতে হবে তারা কিন্তু এটার দায়ভার নেবে না। আমরা সবই বুঝি কিন্তু সুযোগ কি আর হাত থেকে ছাড়া যায়। তাই সদ্ব্যবহার করে ফেলি। স্বাধীন দেশে আমরা আসলে সবাই পরাধীন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা সবাই নিজের বিবেক থেকে দূরে সরে গিয়েছি তাই দেশের এই অবস্থা।
আসলে ভাইয়া কি যে বলবো কিছু বুঝতেছি না। আমাদের বাড়ি যাওয়ার ভাড়া ছিল ২০০ টাকা কয়েক মাস আগে সেটা হলো ২৫০ টাকা এখন শুনতেছি ৩৫০ টাকা হবে। কি যে করবো কোথায় যে যাবো কিছু বুঝতেছি না। এই জালানি তেলে সাথে দ্রব্য মূল্যও বাড়তেছে।
কিছু শিয়াল কুকুর দেশটা ছিঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে আর প্রতিনিয়ত মনে হচ্ছে দূর্নীতির পঁচা মাংসের গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
এরা চায়না আমরা মধ্যবিত্ত আর নিন্মবিত্ত মানুষেরা দু বেলা খাবার খেয়ে বেঁচে থাকি।
ইতিহাস সাক্ষী আছে যতবড় অন্যায় কোন শাসক করুক না কেন তারা আজ মাটির সাথে মিশে গেছে। এদের পরিনতি এর থেকে ভয়ানক হবে। আমরা আজ অস্ত্রের মুখে জিম্মি আর ভেতরে ভেতরে গুমরে মরছি।
শুধু একবার যদি সুযোগ পায় নির্যাতিত মানুষেরা পিষে মেরে ফেলবে এদের। শুধু সময় গুনছি।।।।
সব অন্যায়ের শেষ আছে।
দিনশেষে অবস্থা ভাই বেশ দুর্বিষহ ভাই । সাধারণ মানুষগুলোর অবস্থা শোচনীয় ।
সত্যিই তাই 😕
সর্বাঙ্গে যখন ব্যথা তখন ওষুধ আর কোথায় লাগাবে এই হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না। সবাই শুধু নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দৌড়াচ্ছে। কেউ যে না খেয়ে আছে এটা খবর নেওয়ার কেউ নেই। যে দেশে সাধারণ মানুষ দুবেলা দুমুঠো ভাত ঠিকমতো খেতে পায় না সে দেশে সব কিছুর দাম যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো তুলে ধরেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আসলে দেশে কি হচ্ছে এটা বলার ভাষা নেই। প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে যেন কষ্ট নেমে আসছে। এমনিতেই বাজারে সকল পণ্যের দাম বেশি। খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন চলা যেন খুব কষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুতের সমস্যা লেগেই আছে। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তেলের দাম ৪০/৫০ টাকা প্রতি লিটারে বেড়ে গেছে।আসলে এভাবে রাতারাতি সবকিছু বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের না খেয়ে এখন রাস্তায় বের হবে। খুব সমস্যা হচ্ছে। জানিনা সামনের দিনগুলোতে আরো কি হবে।
আসলে এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি কোথায় গিয়ে যে শেষ হবে , তা বলা বেশ মুশকিল।
উন্নয়ন হয়েছে ঠিক এটা সাধারণ মানুষের নয় ।গুটি কয়েক লোকের ।যারা অন্যায় ভাবে জনগণের টাকা মেরে আজ নিজের পোটলা ভরেছেন। নাম প্রকাশ করতে চাই না , খোলসা করে বলতে চাই না শুধু এতটুকু বলি দেখবেন যে লোকটি কিছুই করছে না শুধু ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে কোটি কোটি টাকা অন্যায় ভাবে উপার্জন করছে। যে লোকটির গতকাল কিছুই ছিল না আজ সে রাজনীতি করে কোটি টাকার মালিক ।এগুলো কার টাকা ?আপনার আমার ট্যাক্সের টাকা আমাদের ঘাম ঝরানো টাকা।
ধিক্কার জানাই ধিক্কার। আপনার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আমি বলছি দেশে বিরাট ফাইজলামি চলছে।
তাই তো দেখছি ভাই । ফাজলামো তে ভরে গেছে চারিপাশ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া সত্যিই দেশে এখন ফাজলামো চলছে যেখানেই যাবেন সবার মুখের একটাই বুলি কি সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। টিসিবির ট্রাকের সামনে যখন লম্বা লাইন দেখি তখন খুবই খারাপ লাগে মানুষ কতটা অসহায় হলে এরকম লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শুধু একটু কম দামের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে। যারা ফাজলামো করছে তাদের কাছে সাধারন মানুষেরা বড়ই অসহায়।