ভাবনা || @shy-fox 10% beneficiary
মানুষ সামাজিক জীব , এটা যেমন সত্য । তবে তার থেকেও বড় সত্য মানুষ নিজের স্বাধীনতা নিজে রক্ষা করতে পছন্দ করে । ব্যাপারটা আমি একটু নিজের মতো করে বলার চেষ্টা করছি, আমার জায়গা থেকে ।
দেখুন আপনি ছোট থেকে যেভাবে বড় হয়ে উঠেছেন , এটা অনেকটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে । তবে এটাকে কেন্দ্র করে যে আপনার সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে তার কিন্তু কোন মানে নেই । কারণ প্রতিনিয়ত মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয় । আজকে হয়তো আপনি বিগত সময়ের অভ্যাসে পরিণত হওয়া চিন্তাধারা গুলোকে নিজের মতো করে প্রাধান্য দিচ্ছেন , তবে সময়ের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার চিন্তাভাবনায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে এবং সেটা একটা জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে ।
আমি ব্যাপারটি কেন বলছি , তার একটু ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছি । ধরুন একঘেয়েমি নিয়মকানুন ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে আপনি অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন এবং সেটার মাঝেই কষ্ট করে হলেও নিজের প্রশান্তি খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন । তারপরেও আপনি অনেকটাই ভিতরে ভিতরে ক্ষত-বিক্ষত ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছেন । তবে লজ্জাবোধের কারণে আপনি কাউকেই কিছু বলতে পারছেন না ।কারণ আপনি নিজেই একঘেয়েমি জীবনে অভ্যস্ত।
ঠিক ঐ মুহূর্ত থেকেই যদি আপনি ভিন্নভাবে সবকিছু ভাবার চেষ্টা করেন এবং সাবলীল যুক্তিতে নিজের ভিত্তি স্থাপন করতে পারেন । তাহলে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে আপনার কাছে । দেখুন আপনি যখন সহজ সাবলীল ভাবে সবকিছু ভাবতে শিখবেন । তখন পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে প্রতিনিয়ত আপনি তিক্ত সমালোচনার শিকার হবেন এবং আপনাকে নিয়ে গুঞ্জন উঠবে । আমি মনেকরি এইরকম কঠিন অবস্থায় নিজেকে মানসিকভাবে স্থির করে রাখাই , বুদ্ধিমানের কাজ । কারণ এই সমাজ শুধু বলতে পারে, তবে কোন কিছুর লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে না ।
আপনার মনের ক্ষতের গভীরতা কতখানি । আপনি কি পরিমাণ মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, কি পরিমাণ নিজে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন , এসব ভাবার সময় কারো হাতে নেই । সবাই শুধুমাত্র ব্যস্ত আপনাকে নিয়ে গুণগুণ করতে এবং আপনাকে মানসিকভাবে আরো তিরস্কার করতে । এখন সিদ্ধান্ত পুরোটাই আপনার কাছে । আপনি কি করতে চান, এমন অবস্থায় ।
একটা সমাজে থাকতে গেলে কিছুটা দায়বদ্ধতা থাকে , এটা যেমন সত্য কথা । তবে সেই দায়বদ্ধতা যেন কখনো গলার কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায়, সেটাও কিন্তু ভাবতে হয় । ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক , ধরুন আপনি নিজেকে খুবই স্বাভাবিক ভাবে সকলের সামনে উপস্থাপন করছেন প্রতিনিয়ত । তবে অপর প্রান্ত থেকে আপনার এই স্বাভাবিক আচরণ অন্যদের কাছে এলার্জির কারণ হতে পারে । আপনাকে সকলে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে । তবে এক্ষেত্রে মন খারাপ করার কিছু নেই বরং সেই জায়গা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ এবং নিজের স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেওয়াটাই জরুরী ।
আমরা আসলে শুরুতেই যে ভুলটা করি, সেটা হচ্ছে ইচ্ছা করেই আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থাটাকে বেশ জটিল করে ফেলি । যেমন আপনার ব্যক্তি জীবন নিয়ে অন্য কেউ তখনি কথা বলার মত সুযোগ পেয়ে বসে , যখন আপনি সুযোগটা প্রথম থেকেই তাকে দিয়ে ফেলেছেন ।আমি মনেকরি, যদি আপনি নিজের থেকে সাবলীল হন এবং সুযোগ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না করে রাখেন, তাহলে অন্য কেউ কথা বলা তো দূরের কথা, আপনার আশেপাশেও ঘুরঘুর করার চেষ্টা করবে না ।
স্বাধীন বলে বলে, আসলে মুখে ফেনা তোলাটা যতটা সহজ । তবে স্বাধীনভাবে বাঁচা ও নিজের মতো করে নিজের চিন্তাধারা গুলোকে প্রতিনিয়ত প্রাধান্য দেওয়াটা অনেকটাই কষ্টকর । কারণ এখানে পারিপার্শ্বিক বাধ্যকতা আছে, সামাজিক অনেক তীর্যক মন্তব্য আছে এবং অনেক রীতি-নীতির মাপযোগ ব্যাপারটা তো থেকেই যাচ্ছে ।
উপরোক্ত কথাগুলো আমি এই জন্যই বললাম , একটা জায়গায় থাকতে গেলে সকলের চিন্তাভাবনা একরকম হবে না , এটা যেমন আর সঠিক কথা । তেমন আপনার মতামত কেউ যেন সস্তায় উড়িয়ে দিতে না পারে , তেমন অবস্থা তৈরি করাও কিন্তু যোগ্যতার ব্যাপার। পাত্তা কেউ সহজে দিতে চাবে না তবে পাত্তা আদায় করে নিতে হবে ।
মুক্ত চিন্তার মানুষদের কিন্তু বেশ বেগ পেতে হয় বাস্তব জীবনে । কারণ এই কথা গুলো আমি আমার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি । তবে আমার আর তেমন কোন বিষয়ে কোন খারাপ লাগে না বা কোন দ্বিধাগ্রস্থ হই না । কারণ আমার কাছে প্রত্যেকটি বিষয় ভীষণ স্বাভাবিক আর যৌক্তিক।
এতকিছুর পরেও শুধু একটা কথাই বলবো, স্বাধীনতা বলা ব্যাপারটা যতটা সহজ তবে একটা বার ভেবে দেখুন তো , ব্যক্তি জীবনে আপনি কতটুকু স্বাধীন , হোক সেটা নিজের কাছে বা সমাজের কাছে । আমি মনেকরি, আপনি আপনার উওর পেয়ে গিয়েছেন । আসলে জীবনটা আপনার । নিজের মতো করে বাঁচাই তো , বুদ্ধিমানের কাজ ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং আজকে আপনি খুবই সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। যা আমাদের প্রতিনিয়ত কাজে লাগবে।কেউ আমাদের ওপরে কথা তখনি বলে যখন আমরা সেই সুযোগটা করে দেই। আসলে আমরা যদি সেই সুযোগটা না করে দেয়, তাহলে কেউ কথা বলা তো দূরের কথা আশেপাশে আসবে না। এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, আসলে আমরা কোন এক চিন্তায় পড়ে গেলে সেটা নিয়ে এমন দুর্বল হয়ে পড়ি। মনে হয় এখান থেকে আর উঠতে পারব না। এটাই আমাদের মনের দূর্বল করে দেয়।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর কথা বলা যায়।
আসলে ভাইয়া সমাজ ব্যবস্থা আমাদের অনেক কিছুর সাথেই মানিয়ে নিতে বাধ্য করে। অনেক না চাওয়া জিনিশই তখন করতে হয় সমাজ এর মধ্যে টিকে থাকতে হলে। যুগ যুগ ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। আমরা নিজেদের যত স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থাপন করিনা কেনো কিছু মানুষ এর কাছে সেটাও মাথা ব্যাথার কারণ। তবে সব কিছু ঠেলেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
জীবনের বাস্তবতা এবং আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থান সত্যিই অনেক কঠিন। হয়তো আমরা অনেক কিছু চেয়েও পাই না আবার যখন আমরা মানুষের তিক্ত কথাগুলো শুনতে চাই না সেগুলো কেউ শোনাতে ছাড়ে না। এ সমাজের মানুষগুলো যেমন বিচিত্র তেমনি তাদের চিন্তা ধারাগুলোও বিচিত্র। তাইতো নিজের মতো করে বাঁচার মাঝে অনেক বেশি প্রশান্তি আছে। আসলে আমরা নিজের জীবনকে যদি নিজের মতো করে উপভোগ করি তাহলেই ভালো থাকতে পারবো। আর যদি পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করি এবং মানুষের কথায় কান দেই তাহলে কখনোই ভালো থাকতে পারবো না। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
প্রতিটি মানুষ ছোটবেলা থেকে যেভাবে বড় হয় মনে করে বাকি জীবনটা এভাবেই কেটে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা যে কত কঠিন তা আসলে একটা সময় পর সবাই বুঝতে পারে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই একঘেয়েমি নিয়মকানুনে আমরা সত্যিই অব্যস্থ হয়ে গিয়েছি। ইচ্ছে থাকলেও তখন অনেক কিছু মনের বিরুদ্ধে করতে হয়। তবে এই গণ্ডি থেকে সবার বের হয়ে আসা দরকার। আমাদের ভাবনা পরিবর্তন করা উচিৎ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবগুলো কথা যথার্থ বলেছেন এবং ভীষণ যুক্তিসঙ্গত কথা নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তবে দিনশেষে আমি এটুকু বলব, এত কিছু ভাবা যতটা সহজ , কাজগুলো করার ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই বাধাগ্রস্থ হই আমরা নিজেরা নিজেদের সাথেই। ওই যে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন আমরা কখনোই হতে পারিনি এখনও। তবে জীবন টা নিজের, তাই নিজের ভালো নিজেকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া টাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এগিয়ে যেতে হবে , বেঁচে থাকতে হবে , এমনটাই তো সবাই আশা করে রে ভাই ।
ভাইয়া,এটা একদম ঠিক কথা ভাইয়া,নিজে স্বাবলম্বী হলে মানুষ বড় কথা বলার সাহস পাবেনা।আমার সামনে এসে ঘোড়ার চেষ্টা করবে না।সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া, আসলে আমরা সামাজিক জীব। আমরা সমাজে কতটা স্বাধীন? আমাদের বাস্তব জীবনের গল্প গুলো একটু ঘেঁটে দেখলেই বুঝা যায়। আমরা নিজের স্বাধীনতা নিয়ে যদি ব্যতিক্রমী চিন্তা করি তাহলে বিতর্কে শিকার হতে হয়। আর সমাজের নিয়ম কানুন ছোট থেকে পালন করে আসার কারণে নিজেকে পরিবর্তন করতে গেলে বঞ্চনার শিকার হতে হয়। ভাইয়া, বাস্তবিক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ভাইয়া, পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।।
দিনশেষে মুখ্য কথা বাঁচতে হলে নিজের মতো করে বাঁচতে হবে ।
ভাইয়া,, শুরুতেই আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।মানুষ সামাজিক জীব , এটা যেমন সত্য । আর তার থেকেও বড় সত্য মানুষ নিজের স্বাধীনতা নিজে রক্ষা করতে অনেকেই বেশ পছন্দ করেন। এবং প্রতিনিয়ত মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়, হচ্ছে, হবে।খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আপনার ভাবনা গুলোকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে আমরা মানুষরা যত স্বাধীনভাবেই বেঁচে থাকতে চাইনা কেন, আমরা কোন না কোন জায়গায় কিন্তু পরাধীন। পরিবার সমাজ সংসারে,,আসলেই কি আমরা স্বাধীন।যতই বলি না কেন নিজের মত করে বাঁচতে হবে নিজের মতো করে বাঁচবো কিন্তু তবুও পারিনা।♥♥
ঐ যে বললাম স্বাধীনতা স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে । তবে আমরা শুধুই অভিনয় করে যাচ্ছি ।
এটা ঠিক নিজের চিন্তাভাবনাগুলি অভ্যাসে পরিণত হয় কিন্তু তার পিছনে অনেক সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও দায়ী থাকে যা চাইলেও নিজে স্বাধীনভাবে থাকা যায় না।কিন্তু নিজের চিন্তাধারাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, তাছাড়া কঠিন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মস্তিকে এগিয়ে যাওয়াটাই শ্রেয়।সমাজের মানুষের সমালোচনাকে অস্ত্র বানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে,যেটি বাস্তব জীবনে নিজেকে গড়ে তুলতে প্রয়োজন।আপনার কথাগুলো বাস্তবসম্মত ছিল ভাইয়া, ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া আমি আপনার আজকের কথাগুলোতে একদম একদম। কারণ আমরা সবাই চাই নিজের মতো করে নিজের ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে। আমি মনে করি এই ইচ্ছেটা প্রতিটা মানুষের মাঝে রয়েছে। কিন্তু আসলে আমরা যতটাই নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করি না কেন এটা আসলে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বিশেষ করে সমাজ বলে একটা বিষয়বস্তু রয়েছে। সমাজ জীবন কিংবা সংসারের মাঝে আমরা আবদ্ধ। তবে হ্যাঁ যতটুকু মুক্ত থাকা যায় এটাই আর কি।
বাঁচতে হলে নিজের মতো করে বাঁচতে হবে এমনটাই তো মুখ্য ভূমিকা হওয়া উচিত।
আজকের লেখাটা খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া।ব্যাক্তিস্বাধীনতা আমাদের অনেক বলি আমরা,তবে সত্যি বলতে খুব একটা নেই।
এটাই তো দেখছি আজকাল চতুর্দিকে আপু ।