নীড়ে ফেরা || @shy-fox 10% beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

যদিও এখন বাসায় পৌঁছেছি তবে গ্রাম থেকে ফেরার সময় ব্যাপারটা খুব একটা সুখকর ছিল না । তাছাড়া হুট করেই চলে আসতে হয়েছে । মূলত গত সপ্তাহে ভীষণ পরিমাণ কাজের চাপ ছিল । দফায় দফায় প্রতিনিয়ত মিটিং হচ্ছিল এবং যেটা গ্রামে থেকে আসলে ঐ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার ভিতরে সম্পন্ন করা কোনভাবেই আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না । যার কারণে বাধ্য হয়েই আমাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং শহরে ফিরে আসতে হয়েছে ।

20220913_153233-01.jpeg

যদিও এখন বেশ অনেকটাই হালকা লাগছে । কারণ এই যে এত কষ্ট করে শহরে ফিরে আসলাম তারপরে প্রতিনিয়ত কয়েকদিন মিটিং করলাম এবং মোটামুটি এখন নিজের কাজের জন্য নিজের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । কারণ আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি তা কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার জায়গা থেকে খুবই খুশি যে, আমাদের নিজেদের উইটনেস গতকাল থেকে চালু হয়েছে এবং এটা নিয়েই বিগত কয়েকদিন থেকে বেশ চাপে ছিলাম ।

20220913_112545-01.jpeg

মূলত আমি চার দিনের সফরে হীরাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম । বিগত পোস্টগুলোতে সেখানে আমাদের কিছু মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছিলাম । হয়তো তাতে আপনারা ইতিমধ্যেই বুঝে গিয়েছিলেন যে গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে আমি বেশ ভালোভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলাম । আমি চেয়েছিলাম যে আরো কয়েকটা দিন থাকবো কিন্তু কর্মই সকল সুখের মূল, এই কথাটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি । তাই আমার কর্মে যেন কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে,সেই দিকটাতেই আমি বেশি নজর দেওয়ার চেষ্টা করি ।

সেদিন সম্ভবত মঙ্গলবার ছিল । যদিও আগের দিন রাতে সকলের সঙ্গে সেই হালকা নেটওয়ার্কের মধ্যেই কথাবার্তা বলেছিলাম এবং তারা আমাকে বলেছিল যে, মূল মিটিং এর বিষয় জানানো হবে মঙ্গলবার দুপুরের মাঝেই । কিন্তু সত্য কথা বলতে কি, গ্রামে যাওয়ার পর থেকে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়েছিল এবং বেশ ভালই ভোগান্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম । মঙ্গলবারও বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিল হঠাৎ দুপুর বেলার দিকে সহকর্মীদের কাছ থেকে বার্তা আসলো যে খুবই দ্রুত জরুরী মিটিং আছে এবং তা কার্যকর হবে মঙ্গলবার রাতেই ।

20220913_153227-01.jpeg

অবশেষে হীরাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললাম । তবে হীরা আসতে মোটেও চাচ্ছিল না । আর তাছাড়াও আমার শ্বাশুড়ি বেশ মুখ ভার করে বসে ছিল । আসলে দীর্ঘদিন পরে গিয়েছি আর গিয়েই দুইদিন পরেই চলে আসতে হচ্ছে তাই ব্যাপারটা আসলেই তার জন্য মেনে নেওয়া কিছুটা কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। সে বারবার বলছিল, বৃষ্টি এখনো হচ্ছে আজকে না আগে গিয়ে কালকে যাও ।

আমি হীরাকে যখন পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললাম ,হীরা অবশেষে তার মাকে ব্যাপারটা ভালোভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল । যাইহোক অতঃপর কোন রকম কষ্ট করে পরিচিত এক ছোট ভাইকে ফোন করে একটা সিএনজির ব্যবস্থা করলাম । যদিও এই গ্রামীণ রাস্তায় কোন গাড়ি আসতে চায় না । কারণ এমনিতেই কাঁচা রাস্তা তার ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়ে আরো নাজুক হয়ে গিয়েছে ।

20220913_153242-01.jpeg

তাও এই পরিবেশের মাঝেই সিএনজি মোটামুটি বেশ কষ্ট করেই দুপুরের দিকেই বাড়ির সামনে এসে হাজির হয়েছিল এবং আমিও মোটামুটি খুব দ্রুত নিজেকে তৈরি করে ফেললাম এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করে ফেলেছি বাসায় ফেরার জন্য । তবে একটু ঝামেলা লেগে গিয়েছিল হীরার রেডি হওয়ার পরে । কারণ তখন একটা আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছিল । হয়তো আপনারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন । কারণ আমার শ্বাশুড়ি ও শালি বাবুকে নিয়ে একটু কান্নাকাটি করছিল ।

অতঃপর শত রকম পিছুটানকে আমরা দুজন মিলেই মানসিকভাবে সমাধান করে তারপরে গাড়িতে চড়ে বসলাম এবং কমিউনিটিতে জানিয়ে দিলাম যে আমরা দ্রুত বাসায় ফিরছি এবং রাতের ভিতরে মিটিংয়ে যুক্ত হব । আমরা যখন রওনা হয়েছি তখনও বেশ ভালই বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বাসায় আসার পর থেকেও দুইদিন হচ্ছে বেশ ভালই বৃষ্টি হচ্ছে । সর্বোপরি বৃষ্টি লেগেই আছে, বৃষ্টি যেন কোনভাবে পিছু ছাড়ছে না ।

20220913_153214.jpg

আমি আসলে ভাই কাজের মানুষ । যে কথা বিগত সময়েও বলেছি । আমার কাছে জীবনের প্রথম ও শেষ কথা হচ্ছে সঠিকভাবে কাজ করে চলতে হবে । হয়তো অনেকটা প্রতিকূলতার ভিতর দিয়ে অবশেষে এখন বাসায় এসেছি এবং তারপরে টানা দুই দিন ভালোভাবেই কমিউনিটির মিটিং গুলোতে যুক্ত ছিলাম এবং সব কিছু বোঝার চেষ্টা করছিলাম ।

20220913_153301-01.jpeg

আজকে খুব ভালো লাগছে কারণ আজ থেকে আমাদের উইটনেসটা চালু হয়ে গিয়েছে । এই যে এত কষ্ট করে , এত কিছু সেক্রিফাইস করা, সবকিছু যেন মুহূর্তেই হাসিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে । সবকিছুই এখন আমার কাছে অনেকটাই সুখ স্মৃতি । যদিও এবারের বাসায় ফেরাটা বেশ আবেগঘন ছিল তারপরেও বলবো এবারের মুহূর্তটা মনে থাকবে বহুদিন পর্যন্ত ।

Banner-3.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

সত্যি ভাইয়া গ্রামে নেটওয়ার্কের অনেক সমস্যা তার পর দফায় দফায় মিটিং অনেক কষ্টকর। মেয়েরা সাধারণত বাপের বাড়িতে খুশি মনে যায় তবে যত দিন থাকুক না কেনো ফিরবার সময় সেই খুশি আর থাকে না।যদি ও হীরা ভাবির মার মন খাবার হয়েছে চলে আসার কথা শুনে।তবে হীরা ভাবিকে ধন্যবাদ জানাই সে আপনার ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে।আর আপনি ঠিক বলেছেন, কর্মই সকল সুখের মূল, এই কথাটা আমি ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ভাইয়া ।আসলে অনেক আনন্দের বিষয় হলো নিজেদের উইটনেস চালু হওয়া।তবে যাইহোক শেষ পর্যন্ত আপনি বৃষ্টির মধ্যে কাদামাখা রাস্তা দিয়ে নীড়ে ফিরতে পেরেছেন এটাই বড় কথা।

 2 years ago 

গ্রামে নেটওয়ার্কের যে অবস্থা এর ভিতর দফায় দাফায় মিটিং করা তো আসলেই কষ্টকর ।এটা আমাদের জন্য আসলেই অনেক সুখের একটি খবর নিজেদের উইটনেস চালু হয়ে গিয়েছে। এই কয়দিন যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃষ্টির ভেতরে গ্রামে আসলেই অনেক কষ্ট হয় রাস্তাঘাট কাদায় একেবারে মাখামাখি থাকে ।এটা ঠিক যে কোথাও বেড়ানোর উদ্দেশ্যে গেলে হুট করে চলে আসার কথা বললে মনটা আসলেই খারাপ হয়ে যায়। মেয়েদের বাবার বাড়ি ছেড়ে আসতে অনেক কষ্ট হয় তখন মা বোনদের ছেড়ে আসতে আসলেই মনটা কেমন যেন করে ।যাক শেষ পর্যন্ত আপনি কাদামাখা রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির ভিতর বাসায় এসে মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করতে পেরেছেন এটাই বড় কথা।

 2 years ago 

এই যাত্রায় হীরা অবশ্য বেশ সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছে । নইলে আমার জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যেত আপু ।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া সব মেয়েরাই তাদের বাপের বাড়িতে গেলে কোন মায়েরা ছাড়তে চায় না। আর আপনারা তো প্রায় অনেকদিন পরে গিয়েছেন। আবার গিয়েও বেশিদিন থাকছেন না। এজন্য হীরাপুর মা একটু মন খারাপ করেছে। কিন্তু গ্রামের পরিবেশে আপনি মানিয়ে নিয়েছেন এটা শুনে বেশ ভালো লাগলো। আর কালকের উইটনেস হওয়ার বিষয়টি সত্যিই আনন্দের ছিল ‌‌। আপনারা ভালোভাবে ফিরে এসেছেন এটাই অনেক।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া আপনি কাজের মানুষ। কাজের প্রতি আপনার দায়িত্ব অনেক বেশি। আপনি খুবই সম্মান করেন কাজকে। আর এই কাজের জন্য আপনি শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন অনেকদিন পরে সেখানে গিয়ে নেটওয়ার্কের একটু সমস্যা জন্য আপনি দুই দিনের বেশি থাকলেন না। অবশেষে ভাবীকে দিয়ে এবং আপনার শাশুড়িকে বোঝালেন। যার কারণে আপনি শহরে আসতে পারলেন। আসলে গতকাল হ্যাংআউট যখন খবরটা পেলাম তখনই অনেক ভালো লেগেছিল। হয়তো আপনারা আরো বেশি আনন্দ হয়েছিল। কারণ আপনার কাজের সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছেন। যাইহোক ভাইয়া আপনি আসলেই কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল আপনার সুস্থতা কামনা করি। কারণ এরকম দায়িত্বশীল মানুষই আমার বাংলা ব্লগের জন্য সবচাইতে বেশি প্রয়োজন। আপনার প্রতি রইল শুভকামনা এবং আপনার সুস্থতা সব সময় কামনা করছি।

 2 years ago 

প্রথমেই হীরা ভাবিকে ধন্যবাদ জানাই আপনার কাজের গুরুত্ব টা বুঝার জন্য। অনেক মেয়েরাই এই বেপারগুলো বুঝতে চায় না। আপনার বাসায় ফেরার ঘটনাটা সত্যিই মনে রাখার মত। আপনি অনেক ঝামেলা পেরিয়ে আবার আমাদের সাথে পুরোদমে যোগ দিয়েছেন জেনে ভাল লাগছে। আপনি নিশ্চয়ই সেই সি এন জি ড্রাইভার ভাইকে স্পেশাল ধন্যবাদ দিয়েছেন। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে উইটনেস ভোট চালু হয়েছে, এই জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে প্রথমত ধন্যবাদ দিয়েছি সেই ছোট ভাইকে যে বৃষ্টির মাঝেও সিএনজির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। তাছাড়া অবশ্যই ড্রাইভার ভাইয়ের কৃতিত্ব শুধু ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না ভাই ।

 2 years ago 

আপনার লেখা গুলো পড়ে আমি ও যেন আবেগে আমার মায়ের কাছে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল।বাপের বাড়িতে যত খুশি মনে যাওয়া হয় ফিরে আসা টা তত সহজ হয়না।অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।সব কিছুর উর্ধে হচ্ছে কাজ।অনেক কষ্ট করে আপনি আপনার গন্তব্যে ফিরে এসেছেন জেনে খুশি হলাম। কাজে থাকুন, কাজকে ভালবাসুন,কাজ হউক আপনার জীবনের শক্তি। আপনার জন্য শুভ কামনা সব সময়। সায়ান বাবু ও তাহার মামুনির জন্য ভালবাসা অভিরাম❤️❤️❤️

 2 years ago 

ভাইয়া আপনি একজন দায়িত্বশীল মানুষ। তাইতো নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রাম থেকে খুব শীঘ্রই ফিরে এসেছেন। যদিও হীরা আপু একটু মন খারাপ করেছে। তবে সে আপনার সহধর্মিনী হিসেবে অবশ্যই আপনার সমস্যা বুঝতে পেরেছে। এছাড়া বাবার বাড়িতে গেলে সত্যি আসতে ইচ্ছে করে না। এটা সবার ক্ষেত্রেই হয়। উইটনেস ভোট চালু হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে পরিস্থিতিটা বেশ ঝামেলা পূর্ণ ছিল এবার , যদিও থাকতে চেয়েছিলাম তবে আর হয়ে উঠলো না ।

 2 years ago 

দাদা এটা শুধু একটি পোষ্ট নয় আমাদের সবার জন্য একটি অনুপ্রেরণা ৷কারন আপনি আপনার কর্মে সবসময় অটল ৷আর আপনি শুধু একজন মানুষ নন সবচেয়ে বড় মনের মানুষ ৷আপনি অনেক দিন পর শশুর বাড়ি গিয়েছিলেন যেখানে বেশ ভালোই চলছে দিন কাল ৷কিন্তু আপনি আপনার কর্মের সাথে সুখ খুজে পান আর যার জন্য আপনি তারাতারি করে আবার ঢাকায় ফিরেন ৷ আমি সত্যি অনেক মু্গ্ধ ৷আপনি এবং সাথে সকল মডারেটর ভাই বোন গুলো আছে বিধায় আপনার যেভাবে সততার সাথে পরিচালনা করছেন ৷আর সবার মাঝে তো বড় দাদা ছায়া হয়ে আছেই ৷
সব মিলে গতকাল হ্যাংআউটে খবরটি শুনে অনেক খুশি ৷আমাদের সবার গর্ব ৷

 2 years ago 

গ্রামে নেটওয়ার্কের সমস্যাটা সবসময় রয়েই গেছে। আবহাওয়া যদি একটু মেঘলা হয় সাথে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে তার কথাই নেই কোন সিমের নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। আর আমরা সবাই মোটামুটি কাজের মানুষ। আর কাজকেই আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।

 2 years ago 

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । ঝড় বাতাস হলেই গ্রামে একদম নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বেশ নাজুক হয়ে পড়ে ।

The writing in your last paragraph is very important and becomes a valuable life motto, is to work well and correctly throughout our lives even though there are many obstacles that must be faced. Thank you for sharing your interesting article with us.


Imagen2.png
CONGRATULATIONS

This post has been upvoted with @steemcurator09/ Curated by: @ridwant

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59631.75
ETH 2622.60
USDT 1.00
SBD 2.41