খামার বাড়িতে কিছুসময়
যখন হয়তো লেখাটা প্রকাশ হবে , তখন আমি আর গ্রামে থাকবো না। তখন আমি আবারো সেই শহরের চার দেয়ালের কংক্রিটের জীবনে আবদ্ধ হয়ে যাবো।
এখন যখন লিখছি তখন মাঝরাত। কারণ বিকেলের দিকে আজ অনেকটা ঘোরাঘুরি হয়েছে, যার কারণে বেশ ভালোই ক্লান্ত ছিলাম, তাই বাহিরে থেকে এসেই ঘুমিয়ে ছিলাম। এখন যখন ঘুম থেকে উঠেছি তাই ভাবলাম লেখাটা লিখে ফেলি।
আমার বড় জ্যাঠা শ্বশুরের বাড়িতে আজ বিকেলবেলা গিয়েছিলাম। মূলত তার পুরো বাড়িটা দেখে বেশ ভালোভাবেই বলা যায়, এটা খামার বাড়ি। আর সেই বাড়ি থেকেই তাদের আয় রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা হয় এবং সেখানে গবাদি পশু লালন পালন থেকে শুরু করে ফলজ বাগান পোল্ট্রি মুরগির খামার ও পুকুরে মাছের চাষ করা হয়। আর এসব করে থাকে আমার জ্যাঠা শ্বশুরের ছেলে।
যেহেতু গত দিন বৃষ্টি হয়েছে, তাই মোটামুটি আজ আবহাওয়াটা অনেকটাই শীতল আছে। বিকেলের দিকে গিয়েছিলাম সেই খামার বাড়িতে। গিয়ে মোটামুটি বড় ভাবির কাছ থেকে বেশ ভালোই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম এবং তারা আমাদের দীর্ঘদিন পরে পেয়ে বেশ ভালই খাতির যত্ন করেছে।
এখন মোটামুটি বাজারে নতুন করে লিচু আসতে শুরু করেছে আর যেহেতু আমি একটু সিজনাল ফলগুলো কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা দেখেশুনে নেওয়ার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে মূলত বেশি ভালো হয়, যদি বাগান থেকে নিজে গিয়ে সংগ্রহ করা যায়। হয়তো তেমনটাই করার চেষ্টা করেছি।
মোটামুটি বড় ভাবির সঙ্গে আমরা কথোপকথন শেষ করে, বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। মাঝপথেই ভাইয়ার সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল। ভাইয়া মূলত ব্যস্ত ছিল পোল্ট্রি মুরগি পরিচর্যা করতে। তার সঙ্গে কথা বলে, অবশেষে আমরা তার লিচু বাগানে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলাম এবং সবাই মিলে বাগানটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। ভাইয়া আমাকে এক প্রকার খোলামেলা অনুমতি দিয়েছিল যে আমাদের যত খুশি খেতে মন চায়, খাওয়ার জন্য। তবে এক্ষেত্রে আমি তা করিনি। কারণ আমি জানি, এটার পিছনে তার অনেক শ্রম এবং বিনিয়োগ আছে।
ঘুরে ঘুরে নিজেদের মতো করে সব গাছ দেখে দেখে লিচু পছন্দ করার চেষ্টা করলাম। তারপরে ভাইয়ার কাজ শেষ হওয়ার পরে, আমাদের পছন্দের লিচুগুলো তাকে দেখিয়েছিলাম, অতঃপর ভাইয়া সেগুলো নিজের থেকে আমাদেরকে সংগ্রহ করে দিয়েছিল। সত্য কথা বলতে গেলে কি, যেহেতু তার এটা ব্যবসা, তাই আমি ফলগুলো ফ্রিতে নিতে পারিনা। যদিও সে আমাকে ফ্রিতে নেওয়ার জন্যই অনুরোধ করেছিল, তবে আমি তার প্রাপ্য মূল্যটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমাদের এই স্বল্প সময়ের ঘোরাঘুরি এবং কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ছোট ভিডিও বানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ভিডিওটা দেখলে আমার মুহূর্তটা সম্পর্কে কিছুটা হলেও আপনারা ধারণা পেয়ে যাবেন।
যদিও গত দিন বৃষ্টির কারণে গৃহবন্দী সময় কেটেছে , তবে আজ বিকেলে তা যেন সুদে-আসলে তুলে নিলাম। অনেকটা সময় নিজের মতো করে বিচরণ করেছি আজ। কারণ কাল থেকে তো আবারও সেই শহুরে জীবন। যাইহোক এ যাত্রায়, খামার বাড়িতে এসে আমার বেশ ভালোই সময় কেটেছে।
তাছাড়াও দেখে শুনে তরতাজা লিচুগুলো কিনতে পেরেছি, তাই এটার ভিতরে যেন আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করছিল। তাছাড়াও খামার বাড়ি কিভাবে পরিচালনা করতে হয়, কিভাবে সেটা পরিচর্যা এবং সেখান থেকে কিভাবে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা যায়,সেই বিষয়েও টুকটাক ধারণা নিলাম। জীবনে কমবেশি সব বিষয়েই ধারণা রাখা ভালো। কখন কোনটা কাজে লেগে যায়, তা তো বলা মুশকিল। যদিও স্বল্প সময়ের ঘোরাঘুরি ছিল, তবে সময়টা মনে থাকবে বহুদিন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1661671924685209600?t=6bRGFJFwqXjX3JY0naZafQ&s=19
ভাইয়া আপনার খামার বাড়িতে কাটানো মূহুর্ত দেখে অনেক ভালো লাগল।সত্যি এভাবে গাছ থেকে তরতাজা লিচু কিনতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আপনি ঠিক করেছেন তারা মানবতার জন্য দাম নিতে চায়নি আপনি দাম দিয়ে অনেক ভালো করেছেন।আসলে ভাইয়া মানবতা সবারই থাকে না। আপনার ভিডিও দেখে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু এইটা মানবতা না, এইটা ভদ্রতা। আপনার মন্তব্য আমাকে বেশ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া, যে কোন বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারণা রাখা আমাদের সকলেরই প্রয়োজন। আমার বাড়িতে কাটানো মুহূর্তটুকু আপনি চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। খুবই সুন্দর সুন্দর লিচুর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিটিও দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সহজ ও সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
খামার বাড়িতে বেড়াতে যেয়ে তো খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করলেন। আবার ভিডিও গ্রাফিও করলেন। বেশ ভালোই লাগলো দেখে যে ফার্ম মুরগী থেকে শুরু করে সিজনাল ফল পর্যন্ত তারা চাষ করে। আর এই সমস্ত কিছু থেকেই তাদের আয় রোজগার হয়। খুব সুন্দর আইডিয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।