চেষ্টা চলছে
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে, যখন আমরা উচ্চমাধ্যমিকে উঠলাম। তখন আমার সঙ্গে স্কুল জীবনের কিছু বন্ধু ছিল এবং সময়ের ব্যবধানে আমাদের চিন্তা ভাবনা গুলো কিছুটা পরিবর্তন এসেছিল । সত্য কথা বলতে কি, আমরা যেহেতু একদম মফস্বলে বড় হয়েছি তাই জীবনের অনেক বিচিত্র রূপ দেখে বড় হয়েছি । বলতে পারেন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, কিভাবে মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগে টিকে থাকে এবং কিভাবে মানুষ জীবনের সাথে সংগ্রাম করে চলে এই জিনিসগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছি এবং এখনও দেখে যাচ্ছি প্রতি নিয়ত।
উচ্চমাধ্যমিকের শেষের দিকে একবার এলাকায় ভীষণ পরিমাণ বন্যা হয়ে ছিল এবং আমাদের শহরের মধ্যেও পানি জমে গিয়েছিল। একটা বার চিন্তা করে দেখেন এই ছোট্ট শহরে যখন পানিতে থইথই করছিল, তখন চিন্তা করছিলাম আশেপাশে যেগুলো নদী অঞ্চল আছে তার তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন গুলোর কি অবস্থা । সেই চিন্তাভাবনাগুলো থেকেই আসলে আমাদের সেই প্রথম প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল আমার বন্ধুদের মাঝে, যেটা এখনো চলছে । সেই জীবন থেকে আমরা যে যার মতো করে সঙ্গবদ্ধ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম আমার এলাকায় এবং পরবর্তী সময়ে আমরা ভালো কিছু করতে পেরেছিলাম কারণ আমাদের কার্যক্রম দেখে, আমাদের এলাকার কিছু লোকজন ও আমাদের আশেপাশের কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও কিছু সমাজসেবী কর্মী আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল । আসলে কথাটা খুব সহজেই বলে ফেললাম, কিন্তু আমাদের যাত্রাটা অনেকটা কঠিন ছিল। তবে আমাদের মনোবল ও সবার সদিচ্ছার কারণেই প্রত্যেকটা পদক্ষেপ সুন্দরভাবে আমরা পাড়ি দিতে পেরেছি ।
আমরা বিষয়টা এমন ভাবে চালু করেছিলাম যে আমাদের পরবর্তী সময়ে যারা উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিল তারাও আমাদের সংগঠনে যুক্ত হয়েছিল। এইভাবে প্রায় দেখতে দেখতে আমাদের সংগঠনের বয়স ১৪ টি বছর হয়ে গেল এবং এখন আমরা যারা সিনিয়ার আছি তারা চেষ্টা করছি আমাদের নিজেদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করার জন্য এলাকায় । আমরা চাচ্ছি এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ভবন তৈরি করার জন্য। কারণ আমরা দিনশেষে সবাই চাই যে,সেখানে সবাই মিলিত হোক এবং সবার সঙ্গে যেন এক জায়গায় একত্রে সাক্ষ্যত করা যায় এই জন্যই আরকি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা বিগত সময়েও সর্বদা চেষ্টা করেছি মেধাবীদেরকে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য এবং আমি মনে করি মেধাবীরা থাকলে, সেখানে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং আমরা বিগত সময়ে থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা কার্যকলাপ যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো,তারপর বিভিন্ন উৎসবের মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং পরিশেষে এখনো করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে সচেতন ও মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি । আসলে দিনশেষে মানব সেবা করার জন্য সদিচ্ছাই যথেষ্ট এবং আমি মনে করি আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যে মানুষগুলো যুক্ত আছে তারা মানুষের জন্য ভাবে আর এই জন্যই তারা এইরকম সেবামূলক কাজে যুক্ত হয়েছে ।
ঐ যে বললাম ১৪ বছর পেরিয়ে গিয়েছে আমাদের সংগঠনের। এখন চেষ্টা করছি প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণের জন্য। আমরা যারা সংগঠনের প্রথম অবস্থায় ছিলাম এখন তারা মোটামুটি সবাই কর্মজীবী ও বিভিন্ন পেশার সঙ্গে সংযুক্ত তাই আমরা এখন আর শারীরিকভাবে সময় দিতে পারি না ।তবে আমাদের যারা জুনিয়র আছে তাদেরকে আমরা মানসিকভাবে সর্বদা সাপোর্ট করে যাচ্ছি । গতকাল আমাদের প্রশাসনিক ভবনের প্রথম ভিত্তি স্থাপন হয়েছে এবং সেই জন্য গতকাল রাতে আমাদের এলাকায় কিছু ইট পাঠিয়ে দিয়েছে আমার এক সিনিয়র কলিগ । যাইহোক সেটা গ্রহণ করার মুহূর্তে আমার এই ছবিখানা তোলা । যেহেতু এটা একটা অরাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবক মূলক কাজের সংগঠন। তাই এখানে যে মানুষগুলো কাজ করে,তারা একদম সদিচ্ছায় কাজ করে । যাইহোক আমাদের পাশে বিগত সময়ে যারা ছিল বা এখনও যারা আছে বা যেসকল স্বেচ্ছাসেবক এখন আমাদের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে তাদের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আমি বিশ্বাস করি একটা সময়ে গিয়ে অবশ্যই আমাদের এলাকায় আমাদের নিজেদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হবে এবং আমাদের দেখে অন্য মানুষরা শিখবে,কিভাবে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হয় এবং মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় ।
ভাই, আপনি একদম বাস্তব কথাগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক কিছু শিখতে পারলাম।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
মানুষ মানুষের জন্যে!
জয় হোক মানবতার, হেরে যাক হিংসা।
ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে
💖💖💖
কথাগুলো অনেক সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব ভালো কন্টেন্ট
দাদা আপনার জীবনের তুলে ধরা অভিজ্ঞতাগুলি খুবই শিক্ষানীয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।