ফিরে দেখা অনুভূতি || @shy-fox 10% beneficiary
মাঝে মাঝে অতীত মনেহলে বেশ ভালই লাগে । আজকে নিজের কিছু কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিব । এইটা সম্ভবত ২০১৭ বা ১৮ সালের ঘটনা ছিল । যখন আমি প্রথম স্টিমিট প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম । শুনেছিলাম এই প্লাটফর্মে কাজ করলে নাকি অর্থ উপার্জন করা যায় । তাই মোটামুটি লেখালেখি শুরু করে দিয়েছিলাম । তবে আমাদের বেলায় পথ চলা এত সহজ ছিল না । বলতে গেলে পথটা একদম খুবই কঠিন ও জটিলতাপূর্ণ ছিল ।
আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে । আমি একটানা ছয় মাস কাজ করার পরে সম্ভবত তেরোশো টাকার মতো উপার্জন করতে পেরেছিলাম । তাও আবার টাকাটা ভাঙ্গিয়ে ছিলাম বহুকষ্টে , এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে । তবে যখন আমি নিজেই প্রমাণ পেয়েছি , এই জায়গাটা থেকে লেখালেখি করলে টাকা পাওয়া যায় । মূলত তারপর থেকে আমি আর থেমে থাকিনি । চেষ্টা করেছি প্রতিনিয়ত শেখার জন্য এবং প্রতিনিয়ত কাজের মান উন্নয়ন করার জন্য । আর যেদিন আমি টাকাটা পেয়েছিলাম, সেদিন সেই তেরোশো টাকা আমার কাছে অন্য রকম একটা অনুভূতির সঞ্চারণ করে দিয়েছিল ।
তবে আমি শুধু একটা জিনিসই ভাবতাম, যেহেতু এখান থেকে টাকা উপার্জন করা যায় । তাই মোটামুটি আমি যদি কাজের প্রতি যত্নশীল হয়ে আরও ঠিকঠাক মত কাজ গুলো গুছিয়ে করতে পারি । তাহলে আমার বিশ্বাস আমি আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারব । হ্যাঁ এটা একদম সত্য কথা, পরবর্তীতে দেখছিলাম যত বেশি ভাল কাজ করছিলাম, ততবেশি আমার দিন দিন উপার্জনের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল ।
আজ ঠিক বছর পাঁচেক পরে । এই নতুন বাসায় ওঠার পর থেকেই , যেহেতু আমি সারাদিন ঘরের ভিতরেই থাকি শুধুমাত্র বিকেলবেলা করে তিন ঘন্টার জন্য চেম্বার করার জন্য চেম্বারে যাই, তাই মোটামুটি আমার আশেপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন আমাকে অনেকটাই ভেবেছিল যে, আমি মানুষটা সারাদিন ঘরের ভিতর কি করি । কারণ আমাকে দিন গেলে একটি বারের জন্যও বাহিরে দেখা যায় না । সারাদিন কি এতো কাজ করি ইন্টারনেটে আর তাছাড়াও এই বিলাসবহুল বাড়িতে থাকার অর্থই বা আসে আমার কোথায় থেকে ।
কারণ এমনিতেই গ্রাম এলাকায় চেম্বার করি, তাতে খুব আহামরি উপার্জন হয় না চেম্বার থেকে । তাছাড়াও এই বাসা এবং শহুরে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যে অর্থ দরকার সেটা কোন ভাবেই আমার চেম্বারের উপার্জন দিয়ে সম্ভব না । তাহলে আমি এতো সব কেমন করে ম্যানেজ করি । এইসব প্রশ্ন আশে-পাশের ফ্ল্যাটের মানুষের মনে আসা নিতান্তই স্বাভাবিক। কিছুদিন থেকেই আশেপাশের মানুষের একটা নেতিবাচক মন্তব্য হালকা করে শুনতে পাচ্ছিলাম। হয়তো সবাই ভাবতো, ছেলেটা ইন্টারনেটে উল্টাপাল্টা কোন কাজ করে, হয়তো জুয়া খেলে নতুবা অন্য কোনো আপত্তিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ।
তবে ইন্টারনেটে যে সৃজনশীল মূলক কাজ করেও অনেক ভালো অর্থ উপার্জন করা যায় এই ব্যাপার গুলো থেকে এখনো বাঙালি অনেকটাই দূরে আছে । তবে আমি মনেকরি, এই ধারণা পরিবর্তন হতে এখনও বেশ ভালই সময় লাগবে । তবে আশাকরি যখন বাঙালির ভিতর এই ধারণা ভালোভাবে ঢুকে যাবে, তখন আর বাঙালিকে পিছিয়ে থাকতে হবে না কোনোভাবেই ।
পাশের ফ্লাটের বৌদি বৃষ্টি চাকী একটু একটু করে বুঝতে পারছিল আমাদের জীবনযাত্রাটা । হীরার সঙ্গে তার বেশ ভালই ভাব জমে গিয়েছিল প্রথম থেকেই । কারণ সে, হীরার রেসিপি কনটেন্ট বানানোর প্রক্রিয়া গুলো খুব কাছ থেকেই দেখছিল । তবে তাও যেন তার বিশ্বাসটা কোনভাবেই পরিপক্ক হয়ে উঠছিল না । অতঃপর আট-নয় মাস পরে, সে অনেকটা আগ্রহের বসেই হীরার রেফারেন্সে আইডি খুলে নেয় । আমি শুধু প্রথমে তাকে একটা কথাই বলেছিলাম,আপনি লেগে থাকবেন এবং ভালো ভালো কনটেন্ট বানাবেন, তাহলেই এখান থেকে আপনি ভাল সম্মানী পাবেন ।
গতকাল রাতে যেহেতু আমাদের কমিউনিটির সাপ্তাহিক হ্যাংআউট শো ছিল, তাই ভদ্রমহিলাকে আমি একটা গান গাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে ছিলাম । আসলে ভদ্রমহিলা তো গান গায়নি । গান গেয়েছিল তার মেয়ে এবং সেই গানটা আমাদের কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতার খুব ভালো লেগেছে এবং সেই গান শুনে, তাকে কিছু স্টিম গিফট দিয়েছে টিপসের মাধ্যমে । অতঃপর রাত্রিবেলা অনুষ্ঠান শেষে , আমি বৌদিকে ডাক দিয়ে বললাম । এতদিন তো বেশ আমাকে নিয়ে আপনাদের মনের ভিতরে নানারকম অজানা মন্তব্য কাজ করতো ।
এখান থেকে টাকা বের হয়না, কত রকম ভিন্ন মন্তব্য । যাইহোক গত রাতেই তাকে আমি টিপসের টাকাটা উত্তোলন করে দিয়েছি । তবে আমি তাকে বলেছি এটাই কিন্তু প্রথম ও শেষবার । এরপর থেকে আপনার নিজের উপার্জন কিন্তু আপনাকে নিজেকেই বৈধ উপায়ে ভাঙ্গিয়ে নিতে হবে । মানে আমাদের কমিউনিটির ক্লাসগুলো সঠিকভাবে করে, জ্ঞান অর্জন করে ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে বৈধভাবে আপনার নিজের উপার্জন, নিজেই নিজের ব্যাংক একাউন্টে নিতে হবে ।
অতঃপর সে যখন আমাকে তার প্রাপ্ত টিপস গুলো সেন্ড করলো, আমি তাকে সঙ্গে সঙ্গে লিকুইড ক্যাশ দিয়ে দিয়েছি । কিছু আনন্দের অনুভূতি কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না , সেগুলো অনুভব করতে হয় । টাকাটা যখন আমি তাদের হাতে দিয়েছি এবং অল্প সময়ে একটা ভালো গানের মাধ্যমে যে এতগুলো পয়সা ইনকাম করা যায়, তা দেখে তাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে।
আমি তখনো দেখতে পাচ্ছিলাম তাদের ভিতর আনন্দের ঝিলিক । যেমনটি হয়েছিল আমার বছর পাঁচেক আগে । অবশেষে আমি শুধু একটা কথাই বললাম এটাতো খুবই নগণ্য একটা ইনকাম, আপনি শুধু লেগে থাকুন কাজ করুন , দেখবেন পরবর্তীতে বেশ ভালো কিছু করতে পারবেন এবং যেটা আপনাকে চাকুরীর উপার্জনের থেকেও বেশ ভালো সাপোর্ট দিবে ।
সত্যি কথা বলতে কি, যারা আসলে কাজ করতে চায় তাদের সামনে আমার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বেশ ভালোই লাগে । যদিও আমি জানি যে , একটা সময়ে গিয়ে বহু সম্পর্কে হালকা আঁচড় লেগে যায় । তবে তিনি আমাদের প্রতিবেশী তার সঙ্গে যেন,সম্পর্কের ঘাটতি আমাদের কখনোই না হয় এমনটাই আশা করি । তার ব্লগিং যাত্রা শুভ হোক এই কামনাই করি এবং সে গৃহিণী মানুষ হয়েও, তার মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে , ঘরে বসে বেশ ভালো একটা অর্থ উপার্জন করুক ও স্বাবলম্বী হোক, এমনটাই প্রত্যাশা রইল তার জন্য ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গতকাল হ্যাংআউটে আপনার কথাই আলাপ করলাম। আপনি মানুষ টা যতটা কঠিন আবার ততটাই সহজ। আপনি নিজেও কাজ করতে পছন্দ করেন, আর যারা ভালো কাজ করতে চায় তাদের আপনি অনেক পছন্দ করেন। আমি মনে করি যারা ভেরিফাইড মেম্বার আছে সবাই আপনার এই বিষয়টি বুঝতে পারছে এতো দিনে। লাভ ইউ ভাই ❣️❣️
আপনার জন্যও ভালোবাসা রইল ভাই । আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই ।
আসলে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমাদের ব্লগিং যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ছয় মাসে তেরোশো টাকা উপার্জন করেছিলেন, আর আমার বাংলা ব্লগে একমাসেই ১৩০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়েও যে ইতিবাচক কাজ করা যায় তা আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মুরুব্বির ই অজানা। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে থাকলে তারা ভাবে এই ছেলে মেয়েটা উচ্ছন্নে গিয়েছে।
আগে যখন আমি ও আমার ভাই সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতাম তখন বাবা ও মা অনেক বকাবকি করতো, কিন্তু স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার পর থেকে আর বকাবকি করেনা।
ঐ যে বললাম পরিবর্তন খুবই জরুরী । তবে আমরা আশাবাদী একটা সময় মানুষ এইরকম সৃজনশীল কাজের প্রতিই বেশী আগ্রহ পোষণ করবে ।
ভাইয়া আমরা এখনো যখন স্টিমিট প্লাটফর্মে কিছু লেখালেখি শুরু করি আর পাশ থেকে কেউ যদি তা দেখে জিজ্ঞেস করে আপনি এগুলো কি করছেন, আমি বলি এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আনন্দের সাথে কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। কিন্তু অনেকেই এটাকে ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করে না এবং বিশ্বাসও করে না এখান থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। প্রথমদিকে অবশ্য আমারও কিছুটা এরকমই ধারণা ছিল। তবে কাজ করতে করতে এখন এই বিষয়ে মানুষকে বলতে খুবই ভালো লাগে। ভাইয়া ঠিকই বলেছেন, স্টিমিট প্লাটফর্ম থেকে প্রথম উপার্জনের টাকা পেয়ে আনন্দের মাত্রা টা যেন অন্য রকম হয়ে থাকে। আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই ঠিক এরকমই আনন্দ অনুভব হয়। আমার মনে হয় এই প্লাটফর্মে নিজের মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে চলল আমরা অনেক দূর অগ্রসর হতে পারবো। ভাইয়া, আপনার ফিরে দেখা অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী ভাই। তবে ধীরে ধীরে মানুষের পরিবর্তন আসছে ভাই । ভালো লাগলো মন্তব্যটা জেনে ।
ভাই, শুরুটা মনে হয় সবার জন্যই একটু কষ্টের হয়। তবে কথায় আছে না, কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। ঠিক তেমনি আপনার পরিশ্রমের ফলাফলস্বরূপ আপনি আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছেন। আমাদের এলাকায় মোবাইল নিয়ে যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা বেশি ঘাটাঘাটি করে তাদেরকে সাধারণত মুরুব্বী শ্রেণীর মানুষেরা খারাপ চোখে দেখে। তাদের ধারণা এরা সব উচ্ছন্নে গেছে কিন্তু মোবাইল দিয়েও যে মাসে মাসে এতগুলো টাকা অর্জন করা সম্ভব। সেইসঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা, প্রতিভা এগুলোর বিকাশ ঘটানো যায় এ ধারণা শতকরা 90 ভাগ মানুষের নেই বলেই আমার ধারণা। আশা করি বৃষ্টি চাকি ভাবীর মত একসময় সকলেরই ধারণা পরিবর্তন হবে। শুভকামনা আপনার জন্য
একদম ঠিক বলেছেন ভাই । সত্যিই বলতে কি ভাই আমরাও চাই পরিবর্তন আসুক । কারণ পরিবর্তন খুবই জরুরী ।
ভাইয়া আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল। কারণ আজকে আপনি পোষ্ট এর মাধ্যমে কিভাবে স্টিমেটয়ে জয়েন করলেন এবং কিভাবে আপনার সফলতা হলো।তা আমাদের সাথে আজকে আলোচনা করলেন। সত্যিই আপনি প্রথম ছয় মাসে মাত্র ১৩০০ টাকা ইনকাম করেছে. আর এই তেরোশো টাকা শুধু তেরোশো টাকা নয়, এটি আপনার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিল। স্টিমেট থেকে ইনকাম করা যায় আর আপনি সেই তেরোশো টাকাকে মহৎ ভাবে আরো ভালোভাবে কাজ করে আজ এই পর্যন্ত এসেছেন। সত্যি ভাই আপনার এই সফলতাকে আমি স্যালুট জানাই এবং আপনি আপনার পাশের বাসার আন্টিকে দিয়েও স্টিমিট এ যোগদান করেছেন। তার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । সেই থেকেই এখনো লেগে আছি ভাই । আশাকরি ভবিষ্যতেও থাকবো ।
ভাইয়া আপনার ধৈর্যের প্রশংসা না করে পারছি না ৬ মাস কাজ করে মাত্র তেরোশো টাকা পেয়েছেন। আমি হলেতো কবে পালিয়ে যেতাম। আসলে দাদার এই ব্লগ এ যারা জয়েন হয়েছে তারাই খুব সহজেই ব্লগিংটা হাতের মুঠোয় পেয়েছে। আর আপনার পাশের বাসার বৌদির নিশ্চয়ই এক দিনেই তার সকল ভুল ধারণা ভেঙ্গে গিয়েছে। কারণ প্রথম দিনে এসে এতগুলো স্টিম উপার্জন করে ফেলেছে । নিশ্চয় তার মাধ্যমে আপনার আশেপাশের লোকজনগুলোরও ভুল ধারণা ভেঙ্গে যাবে এই প্রত্যাশা করি।
আপু আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন গুলো এইভাবেই শুরু হওয়া উচিত। তবে আমাদের বেলায় বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল।
ভাইয়া আপনার প্রচেষ্টা এবং শিখার আগ্রহ আপনাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। আপনার মাঝে শিখার আগ্রহ ছিল বলেই আপনি আজ সফল হয়েছেন। আমাদের মাঝে যদি কখনো কাজের প্রতি ভালোবাসা না জন্মায় তাহলে আমরা কখনোই ভালো কিছু করতে পারি না। আপনি ভালোবেসে আপনার কাজগুলো করেন এটা আমি সবসময় উপলব্ধি করতে পারি। কারণ আপনি আপনার কাজের প্রতি অনেক দায়িত্বশীল। তবে যাইহোক আপনার প্রতিবেশী নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং তার উপহার পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই সকলের ভুল ভাঙ্গে যাক এবং সকলেই নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করুন এই প্রত্যাশাই করি। সকলে যেন আনন্দের সাথে সকলের মাঝে কাজ করে এই কামনাই করছি। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️
এই জন্যই প্রতিনিয়ত বলি আগে কাজকে ভালোবাসতে হবে , তাহলেই সফলতা হাতে এসে ধরা দিবে ভাই ।
আসলে ভালোলাগার অনুভূতি গুলো বারবার ফিরে দেখতে বেশ আনন্দই লাগে মনে। আপনি ২০১৭ সালে শুরুর দিকে ৬ মাস কাজ করে তেরোশো টাকা ইনকাম করেছেন। এটা ভেবে যদি ধৈর্য হারিয়ে সেখান থেকে সরে আসতেন তাহলে আর আজকের এই সুফল পেতেন না। "পাছে লোকে কিছু বলে" আমরা যদি এ কুসংস্কারে বেড়াজাল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে না পারি তাহলে কখনই সফলতার মুখ দেখবো না। আপনার প্রতিবেশীদের তির্যক দৃষ্টি এড়িয়ে আপনি যদি আপনার তৈরি করা পথে না হাঁটতেন তাহলে ক্ষতিটা আপনারই মত। যাইহোক ভাইয়া এ ধরনের কথা আমি আমার বাবা মার মুখে এখনো শুনি। তারা এখনো বিশ্বাস করে না মোবাইলে কাজ করে টাকা উপার্জন করা যায়। আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । এইজন্যই লেগে থাকতে হবে ভাই । আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার লেখাটি বেশ মনযোগ দিয়ে পড়লাম ভাই। আপনার প্রতি আপনার প্রতিবেশী বা আশে পাশের মানুষের মনে যে কিঞ্চিত নেতিবাচক ধারনার জন্ম হচ্ছিল তা আজ ভেঙ্গে গিয়েছে। পাশের ফ্ল্যাটের আন্টি যেভাবে আজ জানতে পেরেছে তেমনি আশে পাশের সবাই জেনে যাবে আস্তে আস্তে ক্রিয়েটিভ ও হালাল ভাবে টাকা উপার্জন করছেন । গতকাল এই আন্টির মেয়ের গান আমিও শুনেছি। বেশ ভাল গান করে। ধন্যবাদ
আমি নিজেও ২০১৭ সালের দিকে এই প্লাটফর্মে কাজ করা শুরু করি। আর সে সময় উপার্জন করা অনেক কষ্টের ছিল। আমি দেখতাম আমার বন্ধু তর্পণ অনেক কষ্ট করে দিনরাত লেগে থাকত এটার পেছনে। একটা সময় আমি ধৈর্য হারিয়ে ফেলি এবং এসব থেকে বেরিয়ে যাই। তারপর দুই বছর হলো আবার নতুন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সত্যি বলতে শুভ ভাই আমার মা একদিন আমাকে বলছিলেন আমি কি অনলাইনে আইপিএল নিয়ে জুয়া খেলি নাকি 🤪। আমার মাকে তার অফিসের এক কলিগ বলেছিল এখনকার উঠতি বয়সের ছেলেরা বেশিরভাগই এইসব কাজ করে টাকা উপার্জন করছে। মায়ের প্রশ্নটা শুনে আমি অনেকক্ষণ হেসেছিলাম। তারপর কিছুটা বুঝিয়ে বলি। আসলে সমাজে নিন্দুকের অভাব নেই। অন্যকে নিয়ে মন্তব্য করতে পারলেই তারা বাঁচে। লেখা গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাই।
একদম ঠিক বলেছ ভাই এমনটা শুনতে শুনতে আগে কান ঝালাপালা হয়ে যেত , তবে দিন দিন মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে ।