জেন্টস পার্লারে একদিন || @shy-fox 10% beneficiary
আমি ছোটবেলা থেকেই চুল-দাড়ি বাড়ির পাশের ছোট সেলুনের দোকানে কেটেই অভ্যস্ত । তবে শুনেছি ছেলেদের নাকি জেন্টস পার্লার আছে । তবে সেখানকার অভিজ্ঞতা কি রকম হয়, সে সম্পর্কে আমার কখনো কোন ধারণা ছিল না । ঐ যে বললাম, আমি অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নতুন নতুন নেওয়ার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে চেষ্টা করি বিভিন্ন সময় লিখে আপনাদের সঙ্গে প্রকাশ করার জন্য ।
ঠিক এরকম একটা ঘটনা আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সঙ্গে । ঘটনাটি সপ্তাহ খানেক আগের । যদিও আমি ঘটনাটি আমার কলিগদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম । তবে আমার পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি । যাইহোক এই তল্লাটে একটা নতুন জেন্টস পার্লার হয়েছে । অনেকদিন থেকেই সেটার নাম ডাক শুনছি । তবে যাব যাব করে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি । সেখানে কি কি কাজ হয়, সেটাও আসলে আমার স্বচক্ষে গিয়ে দেখা উচিত । বলতে গেলে অনেক রকম কৌতুহল নিজের ভিতরে কাজ করছিল ।
তাই ভাবলাম যে একদিন গিয়ে দেখি যে , আসলে সেখানে কি হয় কিন্তু গিয়ে ঘটনাটা যে অন্যরকম ঘটে যাবে, সেটা আমি মোটেও কল্পনা করতে পারিনি । বাড়ি থেকে ঐদিন আমি তিন হাজার টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম । সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে যে , আমি মূলত বাজারে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটার জন্য । সব কেনাকাটা করে আমার পকেটে সম্ভবত ২০০ টাকার মতো ছিল । আমি ভাবলাম যেহেতু শুধু চুল-দাড়ি কাটবো তাহলে এই ২০০ টাকার ভিতরেই হয়ে যাবে । অতঃপর সন্ধ্যার পরে জেন্টস পার্লারে ঢুকে গেলাম, ঢুকতেই তারা আমাকে বেশ ভালোভাবেই অভ্যর্থনা জানালো ।
একদম সেইরকম অভ্যর্থনা, বিভিন্ন রকম সুন্দর কথা বলে তারা আমাকে সম্বোধন করল । অবশেষে বসে তাদের দোকানের সুবিধা গুলো আমি জানার চেষ্টা করছি এবং একটা জায়গায় বসে টিভি দেখছি আর নিজের মতো করে সময় কাটানোর চেষ্টা করছি । তারা আমাকে বলল যে কিছুটা সময় লাগবে । অতঃপর আমি চেষ্টা করলাম সেখানে নিজের মত করে , সময় কাটানোর জন্য । যাইহোক এই ভাবেই আমার মিনিট বিশেক সময় চলে গেল ।
এবার আমার সিরিয়াল , আমি সিটে বসেই ভদ্রলোককে বললাম আমি আসলে শুধুমাত্র চুল-দাড়ি কাটবো । আমার কথা মোতাবেক তারা আমার প্রথমে চুল-দাড়ি আমার মন মতো করে কেটে দেওয়ার চেষ্টা করলো এবং তবে মেইন বিপত্তি লেগে গেল ক্লিন সেভ করার পরে ।
এমন ভাবে গায়ে হাত দিয়ে মাসাজ করলো এবং মুখে হাত দিয়ে মাসাজ করা শুরু করে দিয়েছে যাতে একটু পরেই আমার ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছে এবং একটা সময় গিয়ে বলল যে, আপনার মুখে অনেক ডার্ক স্পট পরেছে । আপনি চাইলে , আমরা সেগুলো তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি । যেহেতু প্রতিদিন রাত জেগে কাজ করি, তাই ডার্ক স্পট পরা নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার । তারা আসলে সত্য কথাই বলেছে । চোখের নিচে আসলেই অনেকগুলো ডার্ক স্পট পরেছে আমার । তো আমি তাদের আসলে কথা গুলোতে সায় দিয়ে দিলাম ।
অবশেষে দাড়িগুলো ক্লিন ভাবে সেভ করে দিয়ে, তারপর মুখের উপর অনেকটাই বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে ঘষাঘষি শুরু । একটার পর একটা প্রলেপ আবার নতুন করে একটার পর প্রলেপ ফেসিয়াল কেমিক্যাল দিয়ে, এমনভাবে মাসাজ করা শুরু করেছে , সত্যি বলতে খারাপ লাগছিল না , বেশ ভালই লাগছিল । কারণ এভাবে মুখে কেউ হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করলে, খারাপ লাগে না । যাইহোক অবশেষে আধা ঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিট পরে যখন আমাকে চোখ খুলে দেখতে বলল । তখন মোটামুটি অনেকটাই ভালো লাগছিল আয়নাতে নিজেকে দেখে । কারণ ডার্ক স্পট গুলো অনেকটাই দূর হয়ে গিয়েছে এবং অনেকটাই ফ্রেশ ও সতেজ লাগছিল নিজের কাছে ।
অতঃপর যখন তাদেরকে আমি বললাম যে আপনাদের বিল কত হয়েছে । তখন আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল এবং সেখানে লেখা ৮৫০ টাকা । আমি মূলত তখন কিছুটা ভেবাচেকা খেয়ে গিয়েছি । কারণ আমার পকেটে আছে মূলত ২০০ টাকা । আমি তখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না । যেহেতু আমার বাসা থেকে পার্লারটি খুবই কাছে ছিল । অতঃপর আমি বাসার কেয়ারটেকার ভাইকে ফোন দিলাম এবং বললাম পুরো ব্যাপারটি এবং বললাম যে, আপনার ভাবির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসেন এবং অতঃপর হাকিম ভাই, আপনাদের ভাবির কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেছে ।
যদিও ব্যাপারটাতে বেশ নতুনত্বের একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার কাছে । কারণ আমি এরকম অবস্থার সম্মুখীন কখনো হইনি । যার কারণে এই অভিজ্ঞতাটা বেশ ভিন্ন রকম ছিল আর হাকিম ভাই না থাকলে হয়তো আরও ভিন্ন রকম একটা ঘটনা ঘটে যেতেই পারতো । তবে সত্য বলতে কি, তাদের কাজের মান অনুযায়ী এই পরিমাণ বিল আছে । কারণ সেই দীর্ঘ সময় থেকে মুখের উপর অনেক কারুকার্য তারা করেছে এবং একটা সময় গিয়ে বেশ ভালই লাগছিল ।
অবশেষে তাদেরকে এতগুলো পয়সা দিতে খুব একটা খারাপ লাগছিল না । কারণ তারা যে পরিশ্রম করেছে , সেই অনুযায়ী তারা টাকা নিয়েছে । তবে এক্ষেত্রে আসলে অজ্ঞতা ছিল আমার । কারণ আমি আসলে না বুঝেই , অনেক কিছু তাদেরকে করতে বলেছি । আসলে মূলত বিপত্তিটা হয় সেখানেই । যাইহোক এমন অভিজ্ঞতা হলে মাঝে মাঝে খারাপ লাগে না বরং ভালোই লাগে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া ধারুন একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে সেয়ার করেছেন। আমারও জেন্স পার্লার সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। আপনার অভিজ্ঞতাটা সেয়ার করে ভালই করেছেন। ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। তবে ভাইয়া এত গুলো পয়সা দিয়ে ফেসিয়াল করার পর কেমন হয়েছে সেটা দেখার খুব ইচ্ছা ছিল।
যদিও এখনো এইসব জায়গায় যান তাহলে অবশ্যই আশেপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে যাবেন কিন্তু ।
ভাই, মুখ তো মনে হয় একদম চকচক করছে এখন 🥰। ভাবি দেখে জ্ঞান হারায় ফেলেনি তো ? 😉। হিহিহিহি। বেশ মজার ছিল। আসলে মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় আমাদের যার জন্য আমরা নিজেরাও হয়তো প্রস্তুত থাকি না। হাকিম ভাই বেশ ভালই উপকার করেছে দেখা যায়। আপনার সাথে একদিন আমিও যাব ভাবছি, চোখের নিচে বেশ কালো স্পট পরে গেছে। দুই ভাই এক সাথে ফ্রেশ একটা লুক নিয়ে বের হবো 😊😊
হাহাহা আর বইলো না , সব ওদের কারসাজি । অবশ্যই যাবো দুই ভাই একসঙ্গে ,তুমি চলে আসিও ।
জেন্টস পার্লার সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারণা ছিল না। আজকে আপনার এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। হয়তো আমরা ছেলেরা মেয়েদের মত অত রূপচর্চা করি না তাই পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়া সবারই উচিত। কারণ আমরা যেহেতু দীর্ঘক্ষণ সময় বাইরে থাকি এবং অনেক রাত জেগে কাজ করি তাই একটু যত্ন নিলে ভালোই হয়। যাইহোক ভাইয়া আপনি নতুন একটি অভিজ্ঞতার বিষয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য। ♥️♥️♥️
সবচেয়ে বড় ব্যাপার এইসব জায়গাতে গেলে আগে নিজের থেকেই সব কিছু জেনে বুঝে নিতে হয় হয় ।
আমরা আমাদের চলার পথে ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। হয়তো এই অভিজ্ঞতা গুলো জীবনের পরবর্তী সময়ে কাজে লাগে। বর্তমানে রেস্টুরেন্টে ও পার্লারে গেলে খুব সাবধানতার সাথে পদক্ষেপ ফেলতে হয়। কারণ তাদের বিলের পরিমাণের কোন আন্দাজ করা যায় না। যাইহোক সবকিছু করার আগে বিল দেখে নেওয়াই ভালো। নতুন একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এবারের অভিজ্ঞতায় কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালোই ছিল । তবে পয়সা একটু বেশি খরচা পড়েছিল আর কি ।
দারুণ এক অভিজ্ঞতা হলো তাহলে ভাইয়া। এজন্য জেন্টস পার্লারে গেলে অবশ্য মেন্যু কার্ডটা দেখে নেয়া লাগে। তবে সার্ভিস অনুযায়ী টাকার পরিমাণ ঠিকই ছিল মনে হচ্ছে। হাকিম ভাই আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলো তাহলে। কখনো জেন্টস পার্লারে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো।
তবে এইটা একদম সত্য কথা বলেছেন ভাই , এইটাই আগে আমার করণীয় ছিল , যেটা আমি বুঝে উঠতে পারি নি ।
আসলে জীবনে চলার পথে এইরকম অনেক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এটা কিন্তু খুব খারাপ অভিজ্ঞতা নয় এর থেকে অনেক কিছু শিক্ষা পাওয়া যায়। নরমালি চুল কাটার জন্য কিন্তু ২০০ টাকা হলেই যথেষ্ট। আসলে পার্লার বলে কথা সেখানে তো একটু দাম বেশি হবেই তাছাড়া আপনি আরও বাড়তি কিছু কাজ করিয়েছেন এই জন্য। আপনারও উপকারে আসলো আর টাকাও বেশি হয়ে গেল।
হুম এমন অভিজ্ঞতা খারাপ ছিল না ,ভাগ্যিস হাকিম ভাই বেশ উপকার করেছিল ।
জেন্টস পার্লার এর গল্পটি আজকে পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এরকম ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিল, আমি সিরাজগঞ্জের একটি পার্লারে গিয়েছিলাম গত রোজার ঈদে চুল কাটতে, সেখানে চুল কাটার পরে আমরা নরমালি চুলকাটি ঈদ এর আগে 200 টাকা দিয়ে, তারা বললো ভাই আপনার মুখে দাগ পড়েছে এগুলো আমরা ঠিক করে দিন, এরকম করতে করতে আমার বিল হয়েছে ৭৮০ টাকা, তখন আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেছিলাম। যে শুধু চুল কাটাই ভালো ছিল, যাই হোক তাদের পরিশ্রম অনেক ও সময় ব্যয় করে অনেক এবং সুন্দরভাবে মেসেজ করে দেয়। যাতে ঘুম চলে আসে। আপনারাও ঠিক তাই হয়েছে এবং নতুন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আপনার ৮৫০ টাকা বিল সত্যি ভাইয়া আপনার প্যাকেট ২০০ টাকা ছিল।বাসা কাছেই ছিলো তাই আপনি ব্যাপারটা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করতে পেরেছেন। যাইহোক আজকে ঘটনাটি পড়ে ভালই লাগলো ভাইয়া।
বাহ আপনার অনুভূতি জেনে ভালই লাগলো । তবে এমন ঘটনা কিন্তু প্রতিনিয়ত হচ্ছেই ভাই ।
যেকোনো পার্লার মানেই এক গাদা টাকা খরচ।আবার সেখানে নিয়ম অনুযায়ী না গেলে কিছুদিন পর পূর্বের মতোই অবস্থা দেখা দেয়।যাইহোক নতুন জায়গায় নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন আপনি।আর যেহেতু নতুন সেহেতু ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক।ভাইয়া 200 টাকার জায়গায় 850 টাকা আপনার ভালোভাবেই অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে মনে করছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম আসলে ওদের কোন দোষ ছিল না , আমি আসলে না বুঝেই অনেক কাজ করিয়ে নিয়েছিলাম ।
আপনি যে নতুন টপিক্সের আবিষ্কারক সেটা খুব ভালোভাবেই জানি। তবে আজকের ব্যাপারটা একটু বেশিই ভালো লাগছে। কারন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গেলে সেখানে একটু না একটু ভেবাচেকা খেতে হয়। তবে আমারও জেন্টস পার্লারের কোন অভিজ্ঞতা নেই। কাজের ধরন এবং জেন্টস বিউটি পার্লারের অভিজ্ঞতা এবং টাকার পরিমান টা দেখে যদিও আপনি অসন্তুষ্ট হতে পারেননি কিন্তু নিশ্চয়ই পকেটের টাকা না থাকায় একটু নার্ভাস ফিল করেছি তবে বাসা কাছে থাকায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন, হাহাহা। আমাদের সাথে আপনার জেন্টস পার্লারের নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবির।
অভিজ্ঞতা করতে গিয়েই বেশ কিছু পয়সা খরচা হয়েছিল। তবে ব্যাপার উপভোগ করেছি আমি ।
এটা ঠিক বলেছেন, তারা কাজের বিনিময় সঠিক পয়সাই নিয়েছে। যদি চট্টগ্রামে হতো তাহলে আরো অনেক বেশি।হাকিম ভাই বাঁচিয়ে দিলো।
এই যাত্রায় হাকিম ভাইয়ের ভূমিকা কিন্তু বেশ ভালোই ছিল আপু । উনি না থাকলে বেশ বিপদে পড়ে যেতাম।