প্রকৃতির প্রতিশোধ ||shy-fox 10%beneficiary
যৌবন শুকিয়ে যাওয়ার পর থেকে,
কেউ যেন আমাকে তেমন আর চেনে না।
কারো যেন আমার আর প্রয়োজন হয়না,
তবে আমার প্রয়োজন আবারও হয় ,
যখন আমার যৌবন ভেসে ওঠে ।
আমার যৌবনে যখন আবার
উছলায় পানি ছলাৎ ছলাৎ করে।
কিছু কথা অভিমান থেকে বলছি,
চরবাজারা দখল করে নিয়েছে,
আমার শুকিয়ে যাওয়া শরীর
কিন্তু যখন আমার যৌবন ভেসে ওঠে,
তখনই আবার চরবাজগুলোকে ,
ভিন্ন রুপে দেখা যায় ।
ঘুর ঘুর করে আমার পিছে,
আমার যৌবনের স্রোতে
তারাও যেন ভেসে বেড়ায় এদিক সেদিক।
আমার এই পরিস্থিতির জন্য এরাই দায়ি,
এরাই আমাকে আজ সর্বস্বান্ত করেছে
কিন্তু এদেরকে আমি টিকে থাকতে দেব না ।
কারন আমার যখন যৌবনে ভরপুর থাকে,
তখন সেই সময়গুলো ওরা যে ব্যবহারটা করে,
তা কিন্তু আমার মনে আছে ।
আমার যৌবনের করালগ্রাসেই ,
এদেরকে ডুবিয়ে ছাড়বো ডুবিয়ে।
স্রোতে ভেসে দেবো,
কারণ আমি চির বহমান থাকতে চেয়েছি,
কিন্তু এদের আচরণ আমাকে বাধ্য করেছে,
এদের ভেসে নিয়ে যেতে ।
এরাই আমাকে নষ্ট করে ফেলেছে,
প্রতিনিয়ত আমাকে একদম
নিজের মতো করে ব্যবহার করেছে।
আজ আমার এই শুকিয়ে যাওয়ার পিছনে,
এরাই দায়ী ,এরাই আমাকে শেষ করেছে।
আপনাদের কি মনে হচ্ছে,
এদেরকে কি আমি কমে ছেড়ে দেবো,
আমি শুধু অপেক্ষায় আছি পূর্ণ যৌবনের,
সবগুলোকে স্রোতে ভাসিয়া ছাড়বো।
বি:দ্রঃ নদী মাতৃক দেশে এমন অবস্থা এখন সর্বত্রই।
নদীতে যখন ভরপুর পানি থাকে তখন নদীর যৌবনে হাবুডুবু খেতে থাকে প্রকৃতি প্রেমিরা।নদীর যৌবন যখন হাড়িয়ে যায় তখন তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। অসংখ্য নদীনালা এভাবে বীলিন হয়ে যাচ্ছে। এসবের পিছনে মানুষের হাত রয়েছে। তারা তাদের প্রয়োজন ভেদে নদী গুলোকে নষ্ট করছে। বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা একদম বাস্তব চিত্র ভাইয়া। আমরা সব সময় প্রকৃতির উপর অত্যাচার করে যাচ্ছি। যার ফলে দিন দিন প্রকৃতির সুন্দর রূপটা বদলে যাচ্ছে।বদলে যাচ্ছে আমাদের পরিবেশের আবহাওয়া। নদী মাতৃক বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা নদীগুলোকে এমন ভাবে দখল করে রেখেছি যার ফলে নদীগুলো খালে পরিণত হয়েছে। আপনার কবিতার মাঝে বিষয়টা অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলে আমাদের নিজেদের জন্যই কিন্তু প্রকৃতির আজ এই দুর্দশা। আমরা যদি গাছপালা না কাটি ধ্বংস না করি তাহলে কিন্তু গাছপালা সত্যিই অনেক ভাবে বেড়ে ওঠে। আমরা অতিরিক্ত আকারে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছি। আমাদের উচিত অধিক গাছ লাগানো। আপনার কবিতার মাধ্যমে প্রকৃতিকে অত্যাচার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কী আর বলব ভাই। মনে হলো আপনার কবিতার মধ্য দিয়ে সত্যি সত্যি শুকিয়ে যাওয়া কোন নদী প্রতিবাদ করল। বলে দিল মানুষের প্রতি তার সব অভিযোগ।
সত্যি আমরা মানুষ প্রকৃতিকে নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করছি।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
এই লাইন গুলো খুব বেশি বাস্তব। আমরাই আমাদের মতো করে নদী কে নষ্ট করছি । আমরাই দায়ী নদী নষ্ট হওয়ার পিছনে।আমরাই দিনের পর দিন ব্যবহার করি আবার আমরাই নোংরা করি। আপনি কবিতার মধ্য দিয়েই অনেক কিছু বুঝিয়ে ফেলেছেন। দারুণ হয়েছে কবিতাটি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এখানে কোনো মানুষের যৌবনের কথা বলা হয় নি, নদীর যৌবনের কথা প্রকাশ করা হয়েছে।সত্যিই নদীমাতা আমাদের অনেক কিছু দিতে পারে আবার সব কিছু কেড়ে ও নিতে পারে।গ্রামের ছবিগুলো খুব সুন্দর।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আসলেই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে ।আজ থেকে 5 বছর বা আজ থেকে 10 বছর আগের কথা যদি বলতে যাই তখন কার আবহাওয়ার এখনকার আবহাওয়া কিন্তু এক না এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী ।বাংলাদেশ ছয়টা ঋতুর দেশ কিন্তু আজ ছয় ঋতুর বিষয়গুলো তেমন ভাবে ফুটে ওঠে না এর জন্য আমি মনে করি আমরাই দায়ী।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রতিশোধ নাকি নিষ্ঠুরতা। যাক, উপস্থাপনা ভঙ্গির প্রসংশা করতেই হয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
দিন দিন অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে ভাইয়া।আমাদের মেহেরপুরের ভৈরব নদীর অবস্থাও খুব শোচনীয় যেখানে আগে বর্ষাকালে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত সেখানে আজকের দিনে মাছের কল্পনা করাটায় কল্পনাতীত।নদী ভরাট এবং মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডই এর জন্য দায়ী।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া প্রকৃতির এই বিরূপ অবস্থাকে কবিতার মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।