আসেন ফুচকা খাই || @shy-fox 10% beneficiary

আমি মনেকরি যারা ভোজন রসিক মানুষ আছে, তাদের অধিকাংশ লোকের খাদ্যতালিকায় ফুচকার ব্যাপারটি তালিকাবদ্ধ থাকে । কারণ এটি খেতেও যেমন মজা , তেমন খুব সহজলভ্য। আমি যদি ভুল না বলে থাকি, তাহলে হয়তো সবার মতামত একই রকম হতে পারে ।

তবে হ্যাঁ , এইটা সত্য কথা । যেহেতু এটা সব জায়গায় পাওয়া যায়, তাই খাবারের হাইজিন এর ব্যাপারে আমি খুব একটা তেমন সহমত প্রকাশ করতে পারবো না । কারণ খাদ্যতালিকায় প্রথম যে ব্যাপারটি আমার কাছে প্রাধান্য পায় , সেটা হচ্ছে খাদ্যের হাইজিন এর দিকটা ।

তবে আধুনিক সময়ে মূলত এখন মিনি রেস্টুরেন্টগুলোতে সচরাচর ফুচকা পাওয়া যায় এবং তারা চেষ্টা করে, খাদ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করার জন্য । যেহেতু এটা মুখরোচক খাবার । তাই হাইজিন এর ব্যাপারটা অবশ্যই নজরদারিতে রাখা উচিত ।

ঘটনাটি কয়েকদিন আগের । খুব যে বেশিদিন আগের তাও কিন্তু হবে না । সম্ভবত তিন-চার দিন আগের। মূলত ঐ দিন গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরার সময়, যে জায়গাটাতে আমাদের গাড়ি থেমে ছিল । ঠিক জায়গাটাতে একটা খাবারের দোকান ছিল। খাবারের দোকানের নাম চাটনি । সাম্প্রতিক সময়ে ইন্ডিয়ান ফুড আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টগুলোতে বেশ ভালোভাবেই জায়গা দখল করে নিয়েছে । কারণ গ্রাহকের চাহিদা ও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বেশ ভালোভাবেই । তাই এই খাবারগুলো সকলেই খেতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ।

বউ আমার বলছিল, সে ফুচকা খাবে । অবশেষে তার আবদার রাখার জন্যই, সেই রেস্টুরেন্টে আমাদের যাওয়া হয়েছিল । বিশেষ করে বিকালের দিকে বা সন্ধ্যাবেলায় এই খাবারগুলো খেতে ভালোই লাগে । যাইহোক রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশন খুবই সুন্দর এবং বেশ নিরিবিলি এবং হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। মানে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ।

দিনদিন এলাকায় বেশ নতুন নতুন খাবারের দোকান প্রতিনিয়ত চালু হচ্ছে । আসলে সময় উপযোগী ব্যবসা, তো তাই হয়তো চেষ্টা করছে সকলেই খাবারের ব্যবসার প্রতি একটু আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য । দোকানটাতে ঢুকতেই বেশ বড় করে লেখা আছে আগে পয়সা দিন । তারপরে খাবার অর্ডার করুন ।

যাইহোক তাদের খাবারের মেনু বুক দেখে, অবশেষে দু প্লেট স্পেশাল ফুচকা অর্ডার করলাম । বেশ খানিকটা সময় নিয়েছিল খাবারগুলো আমাদের টেবিলে পৌঁছে দিতে । কারণ এই খাবার গুলো বানাতে একটু সময় লাগে । এক পাশের ছোট্টো বাটিতে করে টক দিয়েছে এবং অন্যপাশে খুব সুন্দর করে ডিম, বুটের ডাল এবং সালাদ ও আরো অজানা কিছু সবজির মাধ্যমে, ফুচকা গুলোকে খুব ভালোভাবে ডেকোরেশন করেছে । যা দেখতে অনেকটাই সুন্দর লাগছে ।

হীরার কেমন অনুভব হচ্ছিল, তা আমার জানা নেই। তবে আমার খাবারটা দেখেই, জিহ্বা দিয়ে মনে হচ্ছিল পানি বের হবে । আমিতো ঝটপট টক মিশিয়ে একটা ফুচকা যখন মুখের মধ্যে দিলাম, তখন মনে হচ্ছিল যেন অনেকটা অমৃতের স্বাদ । টক-ঝাল-মিষ্টি এই তিন রকমের একই সঙ্গে পাচ্ছি । বেশ ভালই লাগছিল খেতে, কয়েকটা গপাগপ খেয়ে ফেললাম । ঐদিকে হিরা যে বসে আছে, তা কিন্তু না । সেও বেশ মজা করে খাচ্ছিল ।

যাইহোক একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে । আমরা যেখানেই খাবার খেতে যাই না কেন । সেখানে মূলত শায়ান বাবু একটু ঝামেলা করে । সে একটু নেওয়ার চেষ্টা করে , তবে যখনই তার মুখে একটু সামান্য খাবার তুলে দেয়া হয় তারপরে সে আলতো করে মুখ নাড়ানাড়ি । এমনভাবে বারবার মুখ নাড়ায় সেটা অনেকটাই দেখতে ভালো লাগে। যাইহোক এই রেস্টুরেন্টের এক ওয়েটার আমাদেরকে খুব সহযোগিতা করেছে। কারণ খাবার সময়ে সে বাবুকে কোলে নিয়েছিল ।

সর্বোপরি চাটনি রেস্টুরেন্টের কথা যদি বলি, তাহলে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে তাদের আপ্যায়নটা । খাবারের দাম মোটামুটি সাধ্যের নাগালে এবং ভিতরের পরিবেশটা ভালো ছিল । সর্বোপরি বেশ ভালো একটা সময় কেটেছে আমাদের ।

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||