জিপসাম || @shy-fox 10% beneficiary
মোটামুটি ছোটবেলা থেকেই বেশকিছু স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল । সেটা অনেকটাই বাবা-মার আগ্রহের কারণেই । যেমন ছোটবেলা থেকেই বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি ছিলাম, তারপরে পুনরায় প্রাইমারিতে , তারপর আবার ভর্তি হলাম কিন্ডারগার্ডেনে । মোটামুটি এই ভাবেই চলছিল । মাধ্যমিকে তো আমার চঞ্চলতাপূর্ণ জীবনযাপন দেখে বাবা-মা আমাকে আবারো বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করে দিল । সে আর অন্য কোথাও না, সেটা হচ্ছে উত্তর অঞ্চলের একটা মিলিটারিদের স্কুলে ।
এখানে বেশ ভালই কড়া নিরাপত্তা এবং সঙ্গে বেশ কঠোর নিয়ম কানুন । এমনিতেই মিলিটারিদের স্কুল, তার ভিতরে সবার নিয়ম-কানুন দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যেতাম । এখানে অবশ্য সব ভদ্রলোকের ছেলেপেলেরা পড়ে । আমার মত চঞ্চল স্বভাবের ছাত্র-ছাত্রী এখানে খুব কমই ছিল । যাইহোক মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল , এই বন্দিদশা পূর্ণ ছাত্র জীবন । তবে এর মাঝেও কত বন্ধু জুটে গিয়েছিল ।
একটা বিষয় চিন্তা করে দেখবেন, আপনি যেমন এবং যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন, আপনার মনের অবস্থার মতো পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও অনেক মানুষজন থাকে । শুধু একটু জুটিয়ে নিতে হয় । অতঃপর কিছুদিন পরে খেয়াল করলাম যে, এসকল ভদ্রলোকের ছেলে-পেলেদের ভিতরেও বহু চঞ্চল প্রকৃতির ছাত্র-ছাত্রী আছে । খানিক দিন বাদেই বেশ ভাল একটা বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক হয়ে গেল , সেই সকল চঞ্চল প্রকৃতির ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ।
তখন সবে মাত্র অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি । প্রথম প্রথম অন্যরকম অভিজ্ঞতা কাজ করতো । কারণ এখন আমার কৈশোর সময়, যা দেখছি সবকিছুই নতুন লাগে । বিশেষ করে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করতো । রোজ কয়লাখনি প্রকল্পের গাড়িতে করে জিপসাম আসতো স্কুলে । কখনো কথা বলার সাহস হয়নি । এমনিতেই সে মেধাবী ছাত্রী, তার ভিতরে বেশ সম্ভ্রান্ত ফ্যামিলির । বাবা ছিল কয়লাখনির মহাব্যবস্থাপক ।
সত্যি বলছি ভাই, দীর্ঘ পাঁচ বছরের মাধ্যমিক জীবনে , কখনো সাহস করে মুখ ফুটে তাকে বলতে পারিনি তাকে আমার ভালো লাগে । যদিও সেই সময়কার ভালোলাগা ব্যাপারটা ছিল নিতান্তই আবেগের একটা ব্যাপার । তারপরেও একটু দুর্বলতা কাজ করতো । যাইহোক তাকে কখনো বুঝতেও দেইনি । আসলে কিছু জিনিস বুঝতে দিতে হয় না বরং লুকিয়ে রাখলে সেটার আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধি পায় ।
খবরের কাগজ খুব একটা বেশি পড়া হয়না । মাধ্যমিকের পরে থেকে জিপসামের সঙ্গে আমার যোগাযোগ তেমন একটা ছিলোই না । আর কখনো দেখা হয়নি, বন্ধু-বান্ধবের মারফতে শুনেছিলাম উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, সে একটা বেসরকারি মেডিকেলে পড়াশোনা করছে । শুধুমাত্র এতোটুকুই জেনেছিলাম ।
আমারও আসলে জীবনের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। নিজের জীবন নিয়ে আমিও বেশ ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম । তারপর আসলে অতীত নিয়ে ঠিক সেইরকম ঘাঁটাঘাঁটি করে ওঠা হয়নি । আজ সকালে যখন খবরের কাগজ পড়ছিলাম, হুট করে একটা খবর দেখে দৃষ্টি আমার থমকে গিয়েছে । খুব বড় বড় করে লেখা কয়লাখনির সাবেক মহাব্যবস্থাপক নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অসুখে ভুগছে এবং চিকিৎসার জন্য বেশ মোটা অংকের একটা অর্থ দরকার । সাম্প্রতিক সময়ে তারা চেন্নাই এর একটা হাসপাতালে অবস্থান করেছে চিকিৎসার জন্য । চিকিৎসা ব্যয় এমতাবস্থায় তার পরিবার থেকে বহন করতে পারছে না । এজন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ।
সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানায় যখন দেখলাম তার মেয়ের নাম ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস জিপসাম । তখন বুকের ভিতরটায় যেন হালকা মোচড় দিয়ে উঠলো । সকালবেলায় বায়েজিদ কে ফোন দিলাম । কারণ বায়েজিদের বাড়ি ছিল কয়লাখনি এলাকাতেই । ওর কাছ থেকে ঘটনাটার বিস্তারিত ও সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করলাম ।
ও আমাকে যা বলেছে, তা একদম সঠিক কথা বলেছে । বলল বন্ধু তুই খবরের কাগজে যা পড়েছিস তা একদম সত্যি ঘটনা । মেয়েটা বড় অসহায় অবস্থার ভিতরে দিন কাটাচ্ছে । বায়েজিদের সঙ্গে কথা বলে , ফোনটা রেখে দিলাম। হাজার হলেও জিপসামের প্রথম পরিচয় সে আমার সহপাঠী । তারপরেও যদি মনের আবেগের জায়গা থেকে বলি, তাকে আমার একটা সময় ভালো লাগতো । হয়তো যদিও কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি । তবে তার এমন বিপদ দেখে, আমি আসলে চুপ করে থাকতে পারি না । যে ব্যাংক একাউন্ট ও বিকাশ নাম্বার দেওয়া ছিল , সেখানে কিছু নগদ অর্থ পাঠিয়ে দিলাম ।
যদিও যে পরিমাণ সহযোগিতার জন্য অর্থ চেয়েছে, সেই পরিমান সহযোগিতা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় । তবে তার বিশাল অংকের সহযোগিতার ঘরে সামান্য একটু অংশীদার হতে পেরে , বেশ ভালো লাগা বোধ কাজ করছিল নিজের ভিতর থেকে ।
মানুষ সারাটা জীবন বেঁচে থাকবে না, এটা যেমন চিরন্তন সত্য কথা । তেমন পরিবারের প্রিয় মানুষগুলো কে নিয়েই সবাই ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চায়, এটাও তেমন চিরন্তন সত্য কথা ।
জিপসামের বাবার জন্য প্রার্থনা করছি, সুস্থ হয়ে উঠুক তারাতারি । ভালো থাকুক জিপসাম তার পরিবার নিয়ে , এই কামনাই করছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাবছিলাম প্রেম নিয়েই একটা কিছু লিখি তবে গল্পের লাস্টের দিকে পড়ে খুব খারাপ লাগলো আপনার সহপাঠী/ আপনার এক সময়ের পছন্দের মানুষের পরিবারের খারাপ অবস্থার কথাশুনে। আপনি সাধ্য মতো সহযোগীতা করে খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনার সহপাঠীর বাবার সুস্থতা কামনা করছি। কাহিনীটা অনেক ভাবে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবনে কত গল্পই থাকে, সব গল্পের শেষ যদি এক রকম হতো, তাহলে তো ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যেত ।
আমি যদি ভুল না বলি আপনি খোলাহাটি ক্যাটনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়াশুনা করতেন?
আর আমার বাসা ওখানেই,আমি আর সাগর অবশ্য ক্যানবোর্ড এ পড়তাম।😍
আপনার মত আমারও একটা ঘটনা আছে জীবনে,যদি কখনো সময় হয় অবশ্যই শেয়ার করবো।যাইহোক মানুষ মানুষের জন্য,বলা তো যায় না কার পরিস্থিতি কখন কেমন হয়।তবে সব কিছুর উর্ধ্বে আপনি একজন অসহায় এর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেটাই অনেক।ভালোবাসা রইলো ভাই।🖤
বাহ শুনে বেশ ভালো লাগলো , আপনার কথাটি । তবে সাগর ভাইয়ের কথাটি জানতাম, তার ওখানে বাড়ি এবং একসময় আমি তাকে সেখানকার গল্প বলেছিলাম । তবে আপনার বাড়িতে যে , সেখানে সেটা জেনে বেশ ভালই লাগলো ।
প্রথমেই জিপসামের বাবার জন্য প্রার্থনা করি, আল্লাহ তালা যেন তাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করেন। আসলে ভাইয়া আজকে আপনার গল্পটি পড়ে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আপনার প্রেমের কোন রোমান্টিক গল্প আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। আসলেই আপনার সেই দুষ্টুমি করার গল্পের এবং ভালোলাগার কথাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল, কিন্তু যখন খবরের কাগজের আপনার এই খবরটি পড়তে লাগলাম তখন একটু খারাপ লাগলো। আপনার সেই বান্ধবী, সেই সহপাঠীর বাবা আজ কতটা অসহায় হয়ে সকলের নিকট হাত বাড়িয়েছে, সত্যিই বিষয়টি খুবই খারাপ লাগলো। তবে আপনার মন-মানসিকতা যে অনেক ভাল সেটা আগেই জেনেছি, আজকে আবারও জানলাম, খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি সামান্য কিছু অর্থ দিয়েও তাকে অনেক বড় উপকার করেছেন। আসলে আপনি খুবি ভালো মনের মানুষ, এটা মানতে হবে। আপনার জন্য এবং আপনার সহপাঠী জিপসামের বাবার জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
ব্যাপারটা শুরু থেকেই বেশ জটিলতা সম্পন্ন ছিল ভাই । আমিও অনেকটাই দ্বীধাহীনতায় পড়ে গিয়েছিলাম ভাই ।আপাতত ঈশ্বরের কাছে, তার বাবার জন্য প্রার্থনা করছি ।
গল্পের শুরুটা বেশ মজার কিন্তু শেষেটা পড়ে খারাপ লাগলো।যাই হোক সহযোগিতা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।আমরাও দোয়া করি সুস্থ হয়ে উঠুক। ধন্যবাদ
পারিপার্শ্বিক অবস্থা বুঝে চেষ্টা করেছি, সহযোগিতার হাতটা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।
ভাইয়া,আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনার কথায় সহমত পোষণ করছি😊 আমি যেমন আমার পারিপার্শ্বিক অবস্থাতেও এমন মানুষগুলো পাওয়া যায় তবে একটু কষ্ট করে জুটিয়ে নিতে হয়। ভাইয়া,আপনাকে দেখলে অথবা আপনার কথাগুলো শুনলে মনে হয় না একদম আপনি একজন চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।ভাইয়া,প্রথম ভালোলাগার মানুষটিকে কখনো ভালো লাগে এই কথাটি প্রকাশ করতে পারেননি শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো😔 আর ওই সময়টায় ভাইয়া একটা আবেগ কাজ করে তাই হয়তো আবেগের বশে ভালোলাগাটা তৈরি হয়েছে। ভাইয়া, পত্রিকায় যখন ভালোলাগার মানুষটির বাবার কথা অবস্থার কথা দেখেন আপনার খুব খারাপ লেগেছে তাই কিছু অর্থ প্রদান করেছেন শুনে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। ভাইয়া, আসলে আমি একটা কথা সব সময় বলি আপনার মন একদম আলাদা সত্যি কথা।ভাইয়া,সবাই চায় তার পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার জন্য, পরিবার ও প্রিয় মানুষটির সুস্থ থাকুক সবাই এই চিন্তা করে। ভাইয়া, দোয়া করি আপনার ভালোলাগার মানুষটির বাবা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।ধন্যবাদ ভাইয়া।।
আশীর্বাদ করবেন আপু জিপসামের বাবা যেন সুস্থ হয়ে যায় ।তবে এটা সত্য কথা, আপনাদের মত পাঠক পেয়ে আমি কিন্তু সত্যিই কৃতজ্ঞ ।
সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহায়তার মাধ্যমে একজন মানুষ নতুন জীবন পেতে পারে। যেহেতু জিপসাম আপনার পূর্ব পরিচিত এবং আপনার সহপাঠী ছিলেন তাই আপনি আপনার জায়গা থেকে নিজের সাধ্যমত সহায়তা করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। জিপসামের বাবা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এই দোয়া করছি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই কথাগুলো লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️
চেষ্টা করেছি ভাই , নিজের জায়গা থেকে সহযোগিতা করার জন্য । বাকিটা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করছে ।
ভাইয়া আপনার লেখাটুকু পড়তে পড়তে কখন যেন লেখার মাঝে হারিয়ে গেছে বুঝতেই পারলাম না। মনে হচ্ছিল চোখের সামনে কোন নাটকের দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি।আসলে কিছু জিনিস বুঝতে দিতে হয় না বরং লুকিয়ে রাখলে সেটার আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধি পায় । ভাইয়া আপনার এই মহামূল্যবান কথাটুকু আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার এই কথাটুকুর জন্যই আপনার সহপাঠী জিপসাম আজ পর্যন্ত হয়তো আপনার ভালোলাগার কথাটুকু জানতেই পারে নি। হঠাৎ করে খবরের কাগজে জিপসামের পরিবারের কথা জানতে পেরে আপনার দৃষ্টি থমকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ভাইয়া আপনার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পেরেছেন ততটুকুই নগদ অর্থ পাঠিয়ে সাহায্য করেছেন। যদি আপনার সাধ্য আরো অনেক বেশি হতো তাহলে হয়তো অর্থের পরিমাণও বেড়ে যেত। কথা কিন্তু একটাই যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন সহযোগিতা করার জন্য। যাইহোক ভাইয়া পরিশেষে বলতে চাই জিপসামের বাবা যেনো সুস্থতা লাভ করেন, মহান আল্লাহ-তায়ালার কাছে এই প্রার্থনা করছি। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই এই মুহূর্তে ওর বাবার জন্য, সুস্থতা কামনা করা ছাড়া আর কোন কিছুই ভাবতে পারছি না । সবাই ভালো থাকতে চায় তার প্রিয় মানুষকে নিয়ে ।
একবার এটিএন বাংলার একজন নাটকের স্ক্রিপ্ট রাইটার আমার কাছে তার নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে দিয়েছিল । তো সেই নাটকের নায়কের নাম ছিল "জুস" নামটা আমি বারবার লিখতাম কিছুটা অদ্ভুত ফিলিংস হতো ।
যখন প্রথম থাম্বনেইলটা দেখলাম ভেবেছিলাম হয়তো কৃষি বিষয়ক কিছু পড়তে যাচ্ছি । কিন্তু পড়ার মাঝে এসে ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো ।
আপনার ব্যাপারটা জেনে খুব ভালো লাগলো । তবে আপনি যে শেষপর্যন্ত গল্পটি পড়েছেন এবং আমার অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করেছেন, সেটা জেনে আরো বেশি খুশি হয়েছি ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া মানুষ যেমন সারাটি জীবন বেঁচে থাকে না তেমনি যে কয়টা দিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকে সে কথা তিনি তার প্রিয়জনদের কে নিয়ে সুখে থাকতে চাই। আপনার সহপাঠির পারিবারিক অবস্থা কাহিনীটি পড়ে সত্যিই মর্মাহত হলাম। সামান্য হলেও আপনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন খুবই ভালো লাগলো শুনে। প্রার্থনা রইলো সুস্থ হয়ে উঠুক আপনার সহপাঠী বাবা।
আমিও তো এমনটাই মনে করি ভাই । তাই হয়তো এই কথাগুলো লিখতে বাধ্য হয়েছি । সবাই তো ভালো থাকতে চায় তার প্রিয় মানুষজনকে নিয়ে ।
যখন লেখাটা প্রথম পারলাম তখন কিন্তু খুব ভালোই লাগছিল ভাবছিলাম হয়তো শেষে আরো মজার ঘটনা রয়েছে ,কিন্তু শেষের ঘটনার পরে আসলে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে ভাই মানুষের সব সময় একই অবস্থা থাকে না ,কার অবস্থা কেমন হবে সেটা আমরা কখনোই বলতে পারিনা। তবে জিপসামের বাবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তার পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারেন।
এটা সত্য ভাই, জীবন কখন কার কিভাবে পরিবর্তন হয়ে যাবে, এটা বলা খুবই মুশকিল । যাইহোক আমিও অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি , খবরের কাগজে সংবাদটা পড়ে ।