শখের বাড়িতে একদিন || @shy-fox 10% beneficiary
গতকালকেও বলেছি এ শহরের মোটামুটি সবগুলো রেস্টুরেন্টে আমার যাওয়া হয়েছে । তবে সাম্প্রতিক সময়ে শহর থেকে কিছুটা অদূরে নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে, সেটার নাম শখের বাড়ি । যাইহোক যেহেতু শুক্রবারের দিন ছিল আর হাতে কিছুটা সময় ছিল , তাই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম সেখানে যাব ।
মোটামুটি বিকেলের পরেই বেরিয়ে গিয়েছি আর যেহেতু দীর্ঘপথ যেতে হবে, তাই কিছুটা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েই ছিলাম যে আমরা যেন সন্ধ্যার ভিতরে গিয়ে, খুব তাড়াতাড়ি আবার ফেরত আসতে পারি ।
সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তেই মোটামুটি পৌঁছে গিয়েছিলাম গন্তব্যে । গিয়েই মোটামুটি কিছুটা অবাক হয়েছি কারণ আমরা যেটা ভেবেছিলাম তারথেকেও সুন্দর রেস্টুরেন্টেটি । বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের ভেতরের আলোকসজ্জা এবং ছাদের উপরের যে সাজগোজ ছিল , সেটা এক কথাই মনোমুগ্ধকর । এই শহর থেকে গ্রামীণ পরিবেশে যে এইভাবে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে , এটা সত্যিই প্রশংসনীয় ।
ঢুকতেই একদম উষ্ণ অভ্যর্থনা । তারপরে মোটামুটি আমরা একদম ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য । কারণ তাদের ডেকোরেশন আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে । অতঃপর নিজেদের আসন খুঁজে নিয়ে বসে তারপরে পুরো রেস্টুরেন্টটা ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলাম । এবং হীরা তাদের মেনু বুক দেখে , খাওয়ার অর্ডার করে দিল । যেহেতু আমরা একদম ভারী খাবার খাব এবং আমাদের যেন রাতে আর খেতে না হয়, এদিকটা চিন্তা করেই মূলত খাবার গুলো অর্ডার দেওয়া হয়েছিল ।
একটা বিষয় আমি বেশ ভালোভাবে খেয়াল করেছি । এখানে খাবারের একটু দাম বেশি, শহরের রেস্টুরেন্ট গুলোর থেকে । তবে আমি মনে করি , তাদের পরিপক্ক সার্ভিসের কাছে সামান্য একটু পরিমাণ বেশি দামটা নেওয়াটা একদম স্বাভাবিক । আর তাছাড়াও তাদের খাবারগুলো ভালোই স্বাদ যুক্ত এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থাটাও বেশ ভালো ছিল ।
এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলোতে আসলে খাবার অর্ডার করার পরে, খাবার আসতে একটু সময় লাগে । এজন্য আমরা ছাদের উপরের যে বর্ধিত অংশ ছিল সেখানে কিছুটা সময় ঘুরতে গিয়েছিলাম । সেখানে যে রঙ্গিন পানির ফোয়ারা ছিল এবং সেটা দেখে বাবু বেশ খুশি হয়েছিল । তাছাড়াও বসে থাকার জন্য ও সেলফি তোলার জন্য কিছু স্পট ছিল । মূলত একটা দোলনা আর অন্যটা লাভ চিহ্ন যুক্ত । আমরা সেই জায়গাগুলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি এবং ছাদের উপরের সুন্দর পরিবেশটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি ।
যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই মোটামুটি এখানে বেশ ভালোই দর্শনার্থী ও কাস্টমার এসেছিল । এক কথায় বলা যায়, বেশ ব্যস্ততম ছিল রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা । তার কারণ সকলেই মূলত দূর দূরান্ত থেকে এই রেস্টুরেন্টে চলে এসেছে আর যেহেতু এটার ডেকোরেশন এবং তাদের পরিবেশনাও সুন্দর , তাই মোটামুটি সহজেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এই রেস্টুরেন্টটি ।
খানিকক্ষণ পরেই আমাদের খাবার চলে এসেছিল । আমরা প্রথমেই কফি ও জুস অর্ডার করেছিলাম । মূলত দীর্ঘপথ জার্নি করে আসার কারণে আমার একটু একঘেয়েমি লাগছিল আর এই জড়তা দূর করানোর জন্যই মূলত আমি কফি অর্ডার করেছিলাম আর সঙ্গে দুই প্রকারের জুস আর হীরার জন্য চিকেন ললিপপ । তারপরের পর্বে আমরা অর্ডার করেছিলাম সেট মেনু । সেখানে ছিল ফ্রাইড রাইস, মালাই চিকেন, ক্রিসপি চিকেন আর সফ্ট ড্রিংকস ।
মোটামুটি এই খাবারগুলো এখন বেশ জনপ্রিয় আর এদের খাবারের স্বাদটাও আলাদা । আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে । সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ছুটির দিনে নিজেদের মতো করে যেহেতু সময় কাটাতে পেরেছি ,তাই আনন্দের পরিমাণটা বেশি ছিল ।
সর্বোপরি গত সপ্তাহের শুক্রবারে পরিবার নিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি শখের বাড়ি রেস্টুরেন্টে । আমি চেষ্টা করেছি আমাদের মুহূর্তটাকে কেন্দ্র করে একটা ভিডিও বানানোর জন্য। আশাকরি ভিডিওটা আপনাদের ভালোই লাগবে ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রেস্টুরেন্টের নামের মতোই রেস্টুরেন্টটিও অনেক সুন্দর। বিভিন্ন রকমের আলোকসজ্জা এবং লোভনীয় সব খাবার সব মিলেমিশে দারুন লাগছে। শায়ান হাঁটতে শিখেছে তাই ছোটাছুটি করছে। সত্যি ভাইয়া রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশ বেশ সুন্দর। অনেক সুন্দর করে আপনি আপনার এই ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ভাইয়া।
হাঁটতে শেখার পর থেকেই ওর ভীষণ দুষ্টামি বেড়ে গিয়েছে আপু ।
শখের বাড়ি রেস্টুরেন্ট দেখতে একদমই বাড়ির মতো ,তবে পরিবেশটা অনেক সুন্দর , দারুন কিছু খাবার অর্ডার করেছেন। আর যেহেতু নতুন রেস্টুরেন্ট সেই ক্ষেত্রে দাম টা একটু বেশিই হবে। শায়ানের কাহিনী দেখে আমি হাসতে হাসতে শেষ , ভালো লাগলো ভিডিও টা।
হুম আপু এইটা সত্য যে তাদের এখানকার পরিবেশটা একদম ঘরোয়া । তাছাড়া তারা একটা বাড়িকে কেন্দ্র করেই রেস্টুরেন্টটি বানিয়েছে ।
ভাইয়া প্রতিনিয়ত আপনার একটা কথা মনে পড়ে, জীবন যেখানে যেমন। আপনার কথাটা বাস্তবতার সাথে শত পারসেন্ট সত্য। শখের বাড়ি দেখে আমারও শখ জাগছে যাওয়ার জন্য, তবে কোথায় তা তো আর জানিনা। সব মিলিয়ে ভিডিওটা অসাধারণ ছিল। শায়ন বাবু এখন দৌড়াদৌড়ি করছে, সে মনে হয় আগে থেকে দুষ্টামি একটু বেশি করে। তবে আপনাদের বারি খামারগুলো আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আপনার জন্য রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা অবিরাম। আপনার আনন্দঘন সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবার নিয়ে ছুটির দিনটি কাটানোর, সুন্দর মুহূর্ত ভিডিওর মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া রেস্টুরেন্ট টি শহর থেকে দূরে হলেও রেস্টুরেন্ট টি কিন্তু খুবই চমৎকার করে সাজিয়েছে । সায়ান বাবুর ভিডিও দেখে সত্যি ভীষণ মজা লাগলো । চমৎকার কিছু খাবার অর্ডারের মাধ্যমে দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ।
সত্যি বলতে কি আপু , আমিও কিছুটা অবাক হয়েছি কারণ শহর থেকে অদূরে এসেও গ্রামীণ পরিবেশে এমন একটা রেস্টুরেন্ট খুঁজে পাবো তেমনটা প্রথমে ভাবি নি । তবে গিয়ে সেখানে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম আমরা ।