শারদীয় শুভেচ্ছা || প্রথম পর্ব || @shy-fox 10% beneficiary
বিকেলের ঠিক পরেই সাইফুল ভাই এসে আমার নাম্বারে ফোন দিয়েছিল । যদিও সেদিন আমি আগেই তাকে বলে রেখেছিলাম । ঠিক সেই ভাবেই সে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল । যাইহোক আমরাও বেরিয়ে পড়লাম । কারণ আমরা আজকে যাব শহরের একদম এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ।
মানে মোটামুটি শহরটা বেশ ভালোই বিচরণ করা হবে । আজকে যখন পুরনো এলাকার ঐদিকে গিয়েছিলাম, তখন বেশ ভিন্ন রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল নিজেদের মাঝে । কারণ ঐ এলাকাতে তেমন শহুরে আমেজ নেই কিন্তু সেখানকার গ্রামীণ পরিবেশটা চোখে লাগার মত ছিল ।
কতদিন পরে নাগরদোলা দেখলাম । একদম মুহূর্তেই যেন সেই ফেলে আসা জীবন গুলোর কথা বারবার মনে পড়ছিল । বিশেষ করে ছেলেবেলার কথা । নাগরদোলা দেখেই সেই ছোটবেলার পুজোর মেলার কথা মনে পড়ে গেল । আর এখনকার পুজোয় আগের মত আর স্বাদ পাই না । তবে এখন তো আলোকসজ্জায় একদম ভরপুর । বাহারি রকমের কারুকাজ।তবে যাইহোক ভক্তি চর্চা ঠিকঠাক মতো থাকলেই হল । যদিও আমি এসব বুঝি না । তবে আমি আসলে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ । ভালো লাগছিল বিধায় ঘুরছিলাম ।
প্রীতমদের বাড়ি যে এলাকাটাতে অবস্থিত । সেটা মোটামুটি শহর থেকে কিছুটা অদূরে । একদম শহরের শেষ প্রান্তে । সন্ধ্যার ঠিক পরেই আমরা গিয়ে সেখানে হাজির । আমাদেরকে দেখে তো কাকী বেশ বড্ড খুশি হয়ে গিয়েছে । বলল দীর্ঘদিন পরে এসেছো । প্রীতমের বৌ বেশ ভালই খাতির যত্ন করল । নিজের হাতেই তাদের পূজায় বানানো মিষ্টান্ন গুলো খেতে দেওয়ার চেষ্টা করলো । সাইফুল ভাইকে সঙ্গে করে নিয়েই খেয়েছি আবার আসার সময় সঙ্গে কিছু পলিথিনে করে মুড়িয়ে নিয়ে এসেছি কারণ বাড়িতে গিয়ে খাব ।
আগে শহরটাতে হাতেগুনে কয়েকটা পূজার মন্দির ছিল । তবে আজকাল তার পরিমাণটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । এখনতো অনেকেই চেষ্টা করছে নিজেদের বাড়িতেই মন্দির বানানোর জন্য এবং বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময় , তারা নিজেরাই বাড়িতেই বাড়ির পুজো করে থাকেন । এ ব্যাপারটাও একদিক থেকে ভালই লেগেছে ।
আমি মূলত সৃজনশীল মানুষ । সৃজনশীল কাজকর্ম দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে । এই যে আলোকসজ্জা যারা করেছে , এই যে যারা এত ডেকোরেশনের কাজগুলো করেছে, কত সুন্দর করে রংবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজিয়েছে এবং সেগুলোর যেন আলাদা একটা সৌন্দর্য্য বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে । সেটা দেখে আমি অনেকটা মুগ্ধ ।
সাইফুল ভাই আজকে মোটেও বিচলিত হয়নি । কারণ সে জানেই যে , আমরা বেশ লম্বা সময় ধরেই শহরটা ঘুরবো । যাইহোক শহরের ওপ্রান্ত থেকে যখন মেইন শহরের দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করলাম । তখন বেশ জটলা দেখলাম , শহরের ভেতরের মন্দির গুলোতে । বেশ ভালোই লোকজন হয়েছে আর তাছাড়া বেশ ভিড়ভাট্টা লেগেই ছিল ।
আমি আসলে দুটো পর্ব তৈরি করব আমার এই দুর্গাপূজার ঘোরাঘুরির মুহুর্ত নিয়ে । আজকের এই প্রথম পর্বে প্রীতমদের গ্রামীন এলাকাতে বেশ ভালই উপভোগ করেছি । সেখানকার গ্রামীণ ঐতিহ্য আমাকে বেশ ভালই মুগ্ধ করেছে । দ্বিতীয় পর্বে চেষ্টা করব, শহরের ঘটনাগুলো শেয়ার করার জন্য । আশা করি সঙ্গেই থাকবেন ।
সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া পুজো তে বেশ ভালো ঘুরছেন ভাবি বাবু শায়ন কে নিয়ে ৷ আসলে গ্রামের পুজো গুলো সে রকম জাঁকজমক না হলেও গ্রামের সেই ঐতিহাসিক পুরনো নাগরদোলা ৷ আসলে যত বড় পুজো হোক না কেন গ্রামের মতো আনন্দ হয় না ৷ বিশেষ করে ছোট্ট বেলায় পুজোয় সারাদিন পুজোতে খাওয়া দাওয়া নেই ৷
দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ৷
অবশ্যই দ্বিতীয় পর্ব আগামীকাল শেয়ার করার চেষ্টা করব । এটা সত্য, সময়টা আমাদের বেশ ভালোই কেটেছিল।
বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাইয়া। সাইফুল ভাই আজ আর সংকোচ বোধ করে নাই তা জেনে ভাল লাগলো। মাঝে মাঝে শহর থেকে একটু দূরে ঘুরে আসলে রুচির পরিবর্তন হয় এবং এতে মনে প্রশান্তি আসে। শায়ান কে দেখে মনে হচ্ছে মাশাল্লাহ সুস্থ, দেখে ভাল লাগছে। ছবির গাছটা যারা সাজিয়েছে তারা খুবই ক্রিয়েটিভ। অসাধারণ লাগছে সাজানো গাছটি দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম বেশ লম্বা সময় আমাদের সঙ্গে ছিল সাইফুল ভাই । আজ সময় মতো এসেছিল।
উৎসব তো উৎসবই।উপভোগ করা দিয়ে কথা। আপনি দারুন উপভোগ করছেন দেখে ভাল লাগছে অনেক।অনেকে এভাবে উপভোগ করতে পারে না।
হুম সময়টা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি আমরা ।
রিক্সাচালক সাইফুল ভাইয়ের সঙ্গে আপনার দেখছি বেশ ভালো খাতির হয়ে গেছে ভাই। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ঘুরতেছেন। আপনার বন্ধু প্রিতমের গ্রামীন এলাকার কথা আপনার মুখে শুনে ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।।
সরজ সরল মানুষ গুলোকে আমার এমনিতেই ভীষণ পছন্দ। সেই তালিকায় সাইফুল ভাইয়ের অবস্থান বেশ পরিপক্ক ।
ভাইয়া দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন দেখছি ,আপনার এই পোস্ট পরে আমার ও ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো। কত গিয়েছি বন্ধুদের সাথে আর কত কি খেয়েছি , তখনের সময় গুলো ছিল অন্যরকম। তবে আপনি ও ভালোই করেছেন ভাবীকে নিয়ে ঘুরাফেরা করে। ফটুগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল।
এইটা সত্য ছেলে বেলার সময় তো ফিরে পাওয়া যাবে না , তবে হুট করে যদি অতীতের বিষয় গুলো সামনে আসে , তাহলে ভালোই লাগে ।
ভাইয়া,ফটোগ্রাফি মধ্যে নাগরদোলা দেখে সত্যিই আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। আগে মেলা অথবা পুজোর মধ্যে নাগরদোলা আনত এগুলোর মধ্যে উঠে বেশ আনন্দ করতাম।ভাইয়া, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথম পর্বের লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।জ্বি ভাইয়া,আগে গ্রামে কিছু সংখ্যক জায়গায় শারদীয় দুর্গাপূজা হতো এখন প্রায়ই সব জায়গায় দূর্গা পূজার অনুষ্ঠান করে। তবে ভাইয়া,আমাদের সীতাকুণ্ড এলাকাতে বেশ জমকালো ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজার অনুষ্ঠান হচ্ছে এছাড়াও আলোকসজ্জা ভরপুর করে রেখেছে প্রতিটা পূজা মন্ডপে। ভাইয়া,আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথম পর্বের পোস্টটি পড়ে দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভাইয়া ধন্যবাদ।।
ভাই আজকে আপনার দিনটি অনেক সুন্দর ভাবে পার হয়েছে সেটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আসলেই এখন দুর্গাপূজার সময় অনেকেই নিজের বাড়িতেই যেন পূজা করে থাকে। আর এই মন্দির গুলো যেন এখন সবাই নিজের বাড়িতে করার চিন্তা ভাবনা করছে। যাই হোক গ্রাম পরিবেশে আপনি খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ফটোগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই সৌন্দর্য ও ভ্রমণকাহিনী এবং ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। আশা করি পরবর্তী পর্বে শহরের দৃশ্য তুলে ধরবেন। যাইহোক দুই পর্বের প্রথম পর্ব দেখতে ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।