কুয়াশা
আজ আমার কবিতায় কোন ছন্দ নেই
কোন চরনের অন্তমিল নেই
তাও আমি কবিতা লিখতে বসেছি
এই মাঝরাত আর টিনের চালে পড়া
টুপটাপ কুয়াশার শব্দ
বেশ ভাবিয়ে তুলেছে আমাকে
আমার ক্লান্তি আর অবসাদ কে
যেন মুছে দিতে ঝরছে ওরা ।
খোলা জানালা আর হিমশীতল বাতাস
উষ্ণ ভালবাসার তীব্র আকাঙ্ক্ষা
এ হৃদয় আজ পূর্ণতা পেতে চায়
হয়তো হৃদয়ে হৃদয়ে মেলবন্ধন করতে চায়
মাঝরাত এত আকুল কেন
ব্যাকুল ভাবে কাউকে খুঁজে কেন
আমি বুঝে উঠতে পারি না,
পারিনা বুঝতে মনের গতিবিধি
তাও খুঁজে ফিরি তোমার উষ্ণতা ।
একটু কলঙ্ক লেগে যাক
তাতে বোধহয় কোন দোষ হবে না
দুটো আত্মার যদি মিল হয়ে যায়
হোক না , তাতে বাঁধা দিয়ে লাভ কোথায়
এই নিদ্রাহীন রজনী এই হিমশীতল বাতাস
সব কিছুকে না হয়, স্বাক্ষী রেখে দিলাম
বলে দিলাম তুমি শুধু আমার
হোক সেটা মাঝরাত
নতুবা বেলা অবেলায় ।।
বি:দ্র:
সত্যি বলতে কি , এমন চিন্তা ভাবনা হুট করেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল । এই যে যখন কবিতাটা লিখতে বসেছি, তখন কুয়াশার টুপটাপ শব্দ সত্যিই কানে আসছিল । ঐ টিনের চালে পড়ছিল বেশ ধীরে ধীরেই । সেই শব্দ আমি অনেকটা ক্ষণ কান পেতে শুনেছিলাম , ভাবলাম মুহূর্তটাকে স্মরণ করে রাখি । হয়তো ঐ চিন্তাধারা থেকেই কিছু কথা লিখে ফেললাম ।
তবে যাইহোক এই নিদ্রাহীন রজনী আর হিমশীতল বাতাসে যখন, মাঝরাতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছোট স্ক্রিনের উপর চোখ মেলে আছি, তখন বেশ ভালোই অনুভূতির সঞ্চারণ হচ্ছিল । গ্রাম , সত্যিই অদ্ভুত একটা জিনিস । এখানে না আসলে , হয়তো অনেক কিছুই হয়তো মিস হয়ে যেত । কংক্রিটের দেয়ালে আর যাইহোক , টুপটাপ কুয়াশার পড়ার শব্দ পাওয়া যায় না ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ছন্দের মিল না থাকলেও মনের অনুভূতি খুব সুন্দরভাবেই ফুটে উঠেছে। বেশ ভাল লাগলো। 🥰অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, কবিতার মাঝে মনের অনুভুতিগুলো খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করার জন্য। 💞
পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ ।
শীতের প্রকৃতির সঙ্গে নিজের কষ্টগুলো ও অনুভবগুলির দারুণ মিশেল ঘটিয়েছেন।কবিতা লেখার ক্ষেত্রে সবসময় ছন্দ বা অন্তমিলের প্রয়োজন হয় না, ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ দা, সত্যি বলতে আপনি যে এতো করে লিখেন তা আসলে বারংবার মুগ্ধতা করে ৷ আর তাই তো প্রতিটি লেখা পড়ার চেষ্টা করি ৷ আপনি সত্যি একজন বড় ও উদার মনের মানুষ ৷
জি দাদা গ্রামে মাঝরাতে কুয়াশার টিপটিপ শব্দ মনে এক শিহরণ তৈরি ৷ আর আপনার কবিতায় প্রতিটি লাইন ছিল অসাধারণ ৷ বলতে গেলে কাজে কোথায় একদম পারফেক্ট ৷
আমি আসলে ভাষা খুজে পাই না যে আপনার কবিতার প্রতিটি লাইন মাঝে যে কথা লুকিয়ে আছে ৷তা আসলে ব্যাখ্যা করা সত্যি অনেক কঠিন ৷
ধন্যবাদ শুভ দা এতো সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য ৷
গ্রাম আর শহরের পার্থক্য সত্যিই অনেক বেশ তফাৎ। শহরের সুযোগ সুবিধা বেশি থাকলেও,গ্রামে মনের শান্তিটাই আসলে বেশি।
কিছু কিছু শব্দ প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের মতোই মনের ভেতর দোলা দিয়ে যায় ।আর আপনি তো সবসময় ভালো ভালো কথাগুলো লিখেন। আপনার লেখার মাধুর্য এতটাই সৌন্দর্যমন্ডিত যে যেন অলংকৃত করা আছে। গ্রামের এই অপরূপ সৌন্দর্য শহরের কণ থেকে বসে কখনোই উপলব্ধি করা যায় না যারা গ্রামে টিনের চালের নিচে শুয়ে থাকে ঠিক তারাই এর আসল মর্ম বুঝতে পারে। গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্য আপনার কবিতায় ফুটিয়ে তোলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলে ছ ভাইয়া গ্রামের টিনের চালের উপর কুয়াশা টিপ টিপ শব্দ বেশ সুন্দর লাগে। কি অসাধারণ শব্দ। এটা শুধুমাত্র যারা গ্রামে থাকে অথবা তাদের টিনের ঘর তারা এটি উপলব্ধি করতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ছন্দ ছাড়া বেশ সুন্দর একটি কবিতা ছিল।
কুয়াশার টুপটুপ শব্দ যখন টিনের চালে এসে পড়ে তখন অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করতো! আমার মনে হয় যারা শহরে থাকে, এই ফিলিংসটা নিতে পারে না। অদ্ভূত রকমের ভালো লাগা কাজ করে তখন। গভীর রাতে প্রিয়তমাকে নিয়ে কিছু কথা। কবিতার ছন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন ভাইয়া 🌼
আসলে এইটা সত্য যখন গভীর রাতে সেই কুয়াশা পড়ার শব্দ শুনছিলাম তখন যখন ভিন্ন রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল।
দিন যত যাচ্ছে আপনার কবিতা লিখার হাত আরো বেশি দক্ষ হচ্ছে। সত্যি ভাইয়া আপনি দিনে দিনে দারুন কবিতা লিখছেন। আপনার লেখা পড়তে যেমন ভালো লাগে তেমনি আপনার লেখা কবিতা পড়েও অনেক ভালো লাগলো। হয়তো পরিবেশ পরিস্থিতি নতুন ভাবে কবিতা লিখতে শিখায়। তাইতো দারুণ একটি সময়ে এই দারুন কবিতা লিখেছেন।
যদিও কবিতা লিখতে খুব একটা আমি পারি না আপু , তবে সময় সুযোগ হইলে লেখার চেষ্টা করি । জাস্ট এতোটুকুই।
কবিতার ছন্দে ছন্দে কি নিদারুন মিল। কবি ফুটিয়ে তুলেছে কবিতায় তার মনের ভাব। কুয়াশার টুপটাপ শব্দ এবং জানালা দিয়ে হিমশীতল বাতাস যেন কবিকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য। পূর্ণতা পেতে চেয়েছিল কবির হৃদয়।
কবিতা লেখার জন্য সঠিক পরিবেশের প্রয়োজন আর আপনি সেটা গ্রামে এসে পেয়েছেন এবং নিদ্রাহীন একটি রাতকে কবিতায় স্মরণীয় করে রেখেছেন। অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া শহরের কংক্রিটের দেয়ালের জন্য তো ঝড় বৃষ্টিই বুঝা যায় না। আর কুয়াশার শব্দ তো কল্পনাও করা যায় না। গ্রামে শশুর বাড়িতে গিয়ে কাথাঁ মুড়ি দিয়ে শুয়ে শুয়ে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে সেয়ার করলেন। কবিতটার মাঝে সেটা খুব ভাল ভাবেই ফুটে উঠেছে। কুয়াশার নিয়ে অনেক কবি সাহিত্যিক অনেক কিছু লিখেছেন,আপনি তাদের সাথে অংশীদার হয়ে গেলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনিতো সাধারনত কবিতা লিখেন না। আপনার থেকে কবিতা পেয়ে ভালই লাগলো।
আজকাল শুধু চেষ্টা করে করেছি মাত্র কবিতা লেখার জন্য। তবে আমার অনুভূতি বোঝার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।