ফেলে আসা সময়
যে মুহূর্তটি নিয়ে আজকে লিখতে যাচ্ছি তা মূলত এবার ঈদের সময়কার। বলা যায়, ঈদের সময়ে যখন গ্রামে ছিলাম সেই সময়ই ওখানে একদিন ভ্যান গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলাম। ওখানে গেলে ভ্যান গাড়িই হচ্ছে একমাত্র যানবাহন, যাতে চড়ে খুব স্বাচ্ছন্দেই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো যায়।
সত্যি কথা বলতে গেলে কি, আমার বাহিরের খাবারের প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই বললেই চলে। তাছাড়াও খাবারগুলো দেখতেই বেশ ভালো লাগে তবে সেভাবে খাওয়ার ইচ্ছে জাগে না। যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক সময়ের মুহূর্ত এটি। তাই মূলত বেশ ভালোভাবেই আমার মনে আছে সেই দিনের বিকেল বেলার ব্যাপারটি।
এবার আসলে প্রথম থেকেই যে পরিমাণ গরম পড়েছে এবং যত দিন যাচ্ছে গরমের পরিমাণ যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক উৎসবের সময়েও ঠিক একই রকম আবহাওয়ার অবস্থা ছিল আমাদের এদিকে। আর একদম শেষ বিকেলের দিকে বাহিরে গিয়েছিলাম বেড়ানোর জন্য। কারণ বাড়িতে থেকে অনেকটাই হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তাই পুরো পরিবার নিয়ে চেষ্টা করেছিলাম বেড়ানোর জন্য।
যদিও শেষ বিকেলের দিকে বাহিরে গিয়েছিলাম একটু নির্মল ঠান্ডা বাতাস পাবো বলে, তবে তা ভাগ্যে ছিলনা। মোটামুটি গ্রাম থেকে বেশ ভালই দূরে গ্রামের সদ্য পাকা রাস্তার উপর দিয়ে ভ্যান গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
তবে মাঝপথে গিয়েই আসলে একটা সময় থেমে গিয়েছিলাম। বিশেষ করে বড়পুকুর এলাকাতে গিয়ে। কারণ সেখানকার পরিবেশটা ছিল একটু আলাদা। পুকুরের চতুর্দিকে অনেকটা অংশ জুড়ে শুধু আমের গাছ লাগানো এবং এই পুকুরে মাছ চাষ করে থাকে স্থানীয় লোকজন। যেহেতু অন্যান্য জায়গার থেকে এই জায়গাটা একটু সবুজ ও নিরিবিলি, তাই আমার মত যারা ঘুরতে ভালোবাসে, তারা সময় সুযোগ পেলেই এই দিকটাতে চলে আসে।
যাক দীর্ঘ সময়ের যে ভ্যাপসা গরমের ক্লান্তিটা ছিল, সেটার থেকে যেন কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাচ্ছিলাম এই সবুজ প্রকৃতির ভিতরে আসতে পেরে। প্রতিনিয়ত যেহেতু এই বড় পুকুর এলাকায় বেশ ভালোই লোকজন ঘুরতে আসে, তাই এই লোকজনের আসাকে কেন্দ্র করেই, এক স্থানীয় ভদ্রলোক, ঝালমুড়ি মাখার দোকান সেখানে দিয়েছে। যেহেতু পরিবার নিয়ে গিয়েছি তাই গিন্নির অনুরোধেই বাধ্য হয়ে সেদিন ঝালমুড়ি ও পেয়ারা মাখা খেয়েছিলাম।
সত্যি কথা বলতে গেলে কি, মুখরোচক খাবার গুলো একদম খুব যে খারাপ ছিল তা বলবো না এবং মোটামুটি বলা যায় ভালোই ছিল। আমার বেশি ভালো লেগেছিল পেয়ারা মাখা তবে ঝালমুড়িতে ঝালের পরিমাণটা বড্ড বেশি ছিল।
আসলে সেদিনের মুহূর্তটা আমাদের বড়পুকুর এলাকায় এইভাবেই কেটে গিয়েছিল। গ্রাম থেকে অদূরে এসেও বেশ ভালই সময় কেটেছিল আমাদের সেদিনের সেই বিকেল বেলায়। আজ যখন অসুস্থ হয়ে গৃহবন্দি হয়ে আছি, তখন সেদিনের ছবিগুলো দেখছিলাম আর লোভনীয় পেয়ারা মাখা দেখে কিছুটা হলেও মুখে পানি চলে এসেছিল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1656262053915680768?t=TbmINkP8THKhH85WmaTkZA&s=19
সত্যিএবার কিন্তু বেশ গরমই পড়েছে।তাই আপনি কেন সব মানুষই একটু প্রশান্তির জন্য প্রকৃতির ছোঁয়া খুঁজে ফিরে। তবে সেদিন বিকেলের আপনাদের বড় পকুর এলাকার প্রকৃতি কিন্তু বেশ ছিল ভাইয়া। আমার কাছ তো এ ধরনের পুকুর পাড়ে সময় কাটাতেই বেশী ভাল লাগে। আর রইল বাহিরের মোখরচক খাবারের কথা । ভাইয়া শুধু পেয়ারা মাখা আর ঝাল মুড়ি নয় এমন পরিবেশে বসে তো আরও অনেক মোখরচক খাবারই খেয়ে নেওয়া যায় নিমিষেই।
তা কিন্তু মন্দ বলেন নি, এটা সত্য যে সেদিনের বিকেল বেলার মুহূর্তটা আসলেই বেশ ভালো ছিল, আমাদের কাছে।
আপনাদের এই বড় পুকুর তো বিশাল বড় লেকের মতো মনে হচ্ছে। এই ধরনের স্থানে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আর সেই সময় কাটানোর সাথে যদি এমন মুখরোচক খাবার থাকে তাহলে সময়টা আরো উপভোগ্য হয়ে ওঠে। আমি অবশ্য বাইরের খাবার খুবই পছন্দ করি। এই কারণে কোথাও ঘুরতে গেলে তার সাথে খাওয়া-দাওয়ার একটা ব্যাপার সব সময় থাকে। সময়টা আপনারা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এক প্রাক্তন সংসদ সদস্যের এই পুকুর, ভাই। তবে আপনার পোস্ট মাঝে মাঝে পড়ে কিছুটা হলেও বুঝতে পারি, আপনার ভ্রমণে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা আছে।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ভাই 🙏