গরম গরম পিঠা || @shy-fox 10% beneficiary
ভাবির পিঠা বড়ই মিঠা । ছবিতে যে ভদ্রমহিলাকে দেখতে পাচ্ছেন, তিনি হচ্ছে আমার বড় ভাইয়ের বউ । যাইহোক গ্রাম থেকে আসার পরে খুব একটা বেশি আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিতে পারিনি । এই বিষয়ে বিগত ব্লগে লেখার চেষ্টা করেছিলাম। তবে চেষ্টা করি মাঝে মাঝেই সামাজিকতা রক্ষার খাতিরে, এক এক করে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য । এই পর্বে আমার বড় ভাবীকে দাওয়াত দিয়েছিলাম ।
যাইহোক বড় ভাবি এসে প্রায় তিন দিন ছিল আমাদের বাড়িতে । আর বড় ভাবিকে দাওয়াত দেওয়ার পিছনে একটা কারণ ছিল । কারণ বড় ভাবি অনেক সুন্দর পিঠা বানাতে পারে । যেহেতু এখন শীতকাল চলছে, তাই মূলত পিঠা খাওয়ার জন্যই বড় ভাবিকে দাওয়াত দিয়েছিলাম বাড়িতে। কারণ আমি চাচ্ছিলাম যে , বাসায় এসে ভাবি আমাকে সুন্দর করে পিঠা বানিয়ে খাওয়াবে ।
ঐ দিকে হিরারো অবশ্য অনেকটাই একাকী সময় কাটে । যেহেতু দীর্ঘদিন সে গ্রামে ছিল, তাই মূলত গ্রামের আচার-আচরণ সে এখনো পরিহার করে উঠতে পারেনি । যাইহোক এই নিয়ে অবশ্য তেমন আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। যখনই তাকে বড় ভাবীর কথা বলেছিলাম , সে মোটামুটি অনেকটাই খুশি হয়ে গিয়েছিল । সেও আমাকে বলল, ব্যাপারটা এইরকম হলে ভালই হয় ।
গত বৃহস্পতিবারে বড় ভাবি আমাদের বাসায় এসেছিল এবং ঐদিন তো মোটামুটি বেশ গল্প-স্বল্প করে আমরা অনেকটা সময় কাটিয়ে দিয়েছিলাম । ব্যাপার গুলো কিন্তু আসলেই অনেক মজার। কারণ দীর্ঘদিন পরে যখন বাসায় অতিথি আসে তখন সময় গুলো বেশ আরো রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করা, টিভি দেখা এবং সবার খোঁজ খবর নেওয়া । এই আন্তরিকতার ভেতর দিয়েই অনেকটা সময় কেটে যায় ।
বিকেল বেলা যখন অফিসে যাচ্ছিলাম, তখন যাওয়ার আগে হিরামনি আমার শাশুড়ি ও আমার বড় ভাবীকে বলে গেলাম, এসে কিন্তু পিঠা খাব ভাবীর হাতে । তোমরা সবকিছু রেডি করে রাখিও। আমি ঐ সময়টাতে তোমাদের সঙ্গে পিঠা বানানো দেখব এবং গরম গরম পিঠা খাব ।
যাইহোক অতঃপর অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম এবং মোটামুটি তিন ঘন্টার মতো অফিসে ছিলাম । যাইহোক তিন ঘন্টা সময় কেমনে যে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না । কারণ অন্যান্য দিনের থেকে আজ মোটামুটি ভালই চাপ যাচ্ছিল চেম্বারে । যাইহোক গিয়ে দম ফেলার সময় পেলাম না । মোটামুটি নিজের কাজগুলো শেষ করে, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত তখন বাজে আটটা ।
সিএনজিতে চড়ে যখন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। তখন মনে হচ্ছিল আশেপাশের হিমশীতল বাতাস আমার জ্যাকেট ফুটো হয়ে ঢুকছে এবং আমাকে মনে হয় ছুরি দিয়ে আঘাত করছে। যাইহোক এরকম শীতের রাতে, বিশেষ করে যখন শৈত্যপ্রবাহ চলে । তখন যারা বাইরে যাতায়াত করে, তখন হয়তো তারাই ব্যাপারটি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে। যাইহোক আজকাল বহুৎ ঠান্ডা পড়েছে। অনেকটা অবস্থা বেগতিক হয়ে গিয়েছে ।
কোন মত বাড়ির সামনে এসে পৌঁছাতেই , মনে হচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে যেন একদম পাঁচ তলায় উঠে গেলাম । তারপর কোন মতে কলিংবেল চেপে বাসার ভিতরে ঢুকেই ,কিচেন রুমে গিয়ে চুলো পাশে দাঁড়িয়ে পড়লাম । আগুনের উপর হাত গুলো রেখে খানিকটা সেকে নিলাম । আহা সেকি প্রশান্তি, মনেহচ্ছে যেন অনেকটাক্ষণ পর একটু আরাম পাচ্ছি ।
আজকের টাইমিংটা একদম খুব ভালোভাবে মিলে গিয়েছে বাসায় ঢোকার পরপরই । কারণ বাসায় ঢুকেই দেখি, ভাবী ও আমার পরিবারের লোকজন মিলে পিঠা বানানো শুরু করে দিয়েছে। যাইহোক নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। আমিও তাদের কাতারে হাজির হয়ে গেলাম এবং বললাম আপনারা পিঠা বানাতে শুরু করেন এবং আমিও চেষ্টা করি টেস্ট করে দেখার জন্য, দেখি কেমন হচ্ছে ।
সত্যিই এর আগে, যে কয়েকবার পিঠা আমি খেয়ে ছিলাম । তখন এত কাছ থেকে দাঁড়িয়ে পিঠা বানানো দেখে দেখে খুব একটা বেশি পিঠা খাইনি । কারণ এরকম সময় খুব একটা বেশি পাইনি বলেই চলে । যাইহোক আজ যেহেতু এইরকম একটা সময় পেয়েছি, তাই মোটামুটি সময়টাকে আমি ভালোভাবে গ্রহণ করে নিয়েছি ।
এমনিতেই অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছি এই শৈত্যপ্রবাহের সময়। বাহিরে ভীষণ ঠান্ডা যার কারণে শরীর অনেকটাই ক্লান্ত । তার ভিতরে আগুনের পাশে কিছুক্ষণ সময় থেকে অনেকটাই এখন হালকা বোধ করছি এবং সঙ্গে এই রকম গরম পিঠা খেতে আলাদা একরকম প্রশান্তি বোধ করছে নিজের মাঝে। যাইহোক সর্বোপরি আমার কাছে সময়টা ভালই ছিল এবং আমি ভাবীর কাছে কৃতজ্ঞ, যে এই রকম সুন্দর করে আমাকে পিঠা বানিয়ে দেওয়ার জন্য এবং খাওয়ানোর জন্য ।
অন্যান্যবারের শীতকালের থেকে এবারের শীতকালটা আমার কাছে একটু কঠিন হলেও, সময়টা বেশ ভালোভাবেই যাচ্ছে পরিবার-পরিজন নিয়ে । এমন সময় গুলো বারবার আসুক এবং আরো স্মৃতি জড়িয়ে থাকুক নিজের জীবনের সঙ্গে, এই কামনাই প্রতিনিয়ত করি । ভালো থাকুক সবাই নিজ নিজ জায়গায় ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
হাহাহা বেশ নতুন একটি ডায়লগ শিখলাম
বেশ ভালোই উপভোগ করলাম আপনার পিঠে খাওয়ার গল্প। তেল পিঠা অবশ্য আমারও পছন্দের একটি পিঠা বেশ ভালই লাগে খেতে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই মাস্ক এর কাজ কি হাত দিয়ে চালিয়ে দিলেন হাহাহা।
আপনার ভাবি যেহেতু ভালো পিঠা বানায় তাহলে তো প্রতিবছর অনায়াসেই দাওয়াত পাবে হাহাহা। আসলে হঠাৎ নিজের আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসলে একটু আমের বিভিন্ন রকমের থাকে। সব মিলিয়ে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন এটাই বুঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার ভাবীর হাতের তৈরি পিঠা দেখে লোভ লেগে গেলো। গরম গরম পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। শীতকালের পিঠা খেতে যেরকম ভালো লাগে সারা বছর এর মধ্যে ওরকম ভালো লাগা কাজ করে না। ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন পরিবার পরিজনদের সাথে বসে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। বর্তমানে শীত খুব বেশি পরছে। শীতের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতে অনেক বেশি শীত পরে। আপনি যেহেতু অনেক রাত পর্যন্ত বাইরে থাকেন তাই আপনার অনেক কষ্ট হয় ভাইয়া। কি আর করার কর্মব্যস্ত জীবনে শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত আমাদের চলতে হবে। এই জীবনের বাস্তবতা এরকমই হয়। তবে চারপাশের আবহাওয়া বর্তমানে খুব একটা ভালো না। একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন ভাইয়া। অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আজ ভাবি নেই বলে কেও পিঠাও বানিয়ে খাওয়াচ্ছেনা।অবশ্য আম্মু একটু আধটু খাইয়েছে।
তবে আপনার খাওয়া এই পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি,মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে শীতের পিঠা গুলো আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনার ভাবী অনেক ভালো পিঠা তৈরি করেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আপনার বড় ভাবীকে দেখে অনেক ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এভাবে সকলের সাথে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। ঠান্ডা যত বেশি হয় পিঠা খেতে ততো বেশি ভালো লাগে। গরম পিঠার অতুলনীয় স্বাদ কাউকে বলে বোঝানোর মত নয়। আত্মীয়-স্বজনরা বাসায় আসলে অনেক ভালো সময় কাটে। তবে যাই হোক অনেক ভালোভাবে আপনার শীতের মুহূর্তগুলো কাটুক এই কামনাই করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল। বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে, যে আপনি বড় ভাবিকে দাওয়াত করেছেন এর পেছনে কারণ ছিল পিঠা খাওয়ার। পিঠা খাওয়ার ছিল প্রধান কারণ।বিষয়টা আমার খুবই ভালো লাগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। আসলে শীতকাল মানেই পিঠার আয়োজন। পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবি সুস্বাদু হয়েছে। বাইরে থেকে এসে যখন আগুনে হাত রাখা হয়, তখন খুবই ভালো লাগে। ভাই এই মজার পিঠা একা একা খেলেন। যদি আমাদের সাথে নিয়ে খেতে পারতেন, তাহলে খুবই ভালো লাগতো। যাইহোক সেটা সম্ভব না। হয়তো কোনদিন সম্ভব হবে। তবে খুবই ভালো লাগলো আজকের আপনার পিঠার আয়োজন দেখে, সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের সবার জন্য রইল শুভেচ্ছা ভালবাসা এবং সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমার মনে হয় একজন ভাল ব্লগার এর বৈশিষ্ট্য হলো সে যা লেখে তাই আকর্ষণীয় মনে হয়। আপনার এই অতি সাধারণ একটি ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন মনে হচ্ছে যেন আমি সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। পিঠার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ভাবী এই এই কাজে বেশ অভিজ্ঞ। তবে আফসোস পিঠা আপনি একা একাই খেলেন। পিঠাটা যদি শেয়ার করার কোন ব্যবস্থা থাকত হাহাহাহা। আমাদের এই দিকে এই পিঠা কে বলে আন্দশা পিঠা অনেকের কাছে এটি তেলে ভাজা পিঠা নামেও পরিচিত। শীতের রাতে পিঠা খাবার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
গ্রামাঞ্চলে এই পিঠা খুব জনপ্রিয়। গ্রামে যতই যে পিঠা থাকুক না কেন এই পিঠা থাকবেই। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ভাবীর হাতের পিঠা অনেক স্বাদ। অনেক ঠান্ডার ভিতর এমন গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। অন্যবারের শীতকালের থেকে এবারে শীতকালে আপনার আলাদা কেটেছে তা আপনার প্রতিদিনের পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পিঠা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। গ্রাম অঞ্চলের পিঠা বেশি ভাগ ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়। আমাদের এই দিকে এই পিঠার নাম বলা হয় তেলে ভাজা পিঠা। সত্যি খুব অসাধারণ ছিল ভাইয়া। এটি দেখে খুব সহজেই অন্য কেউ বানিয়ে নিতে পারবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।