জটিলতাপূর্ণ সময় গেল ||@shy-fox 10% beneficiary
আজ ডিসেম্বরের 6 তারিখ আর আজকে বাবুর তৃতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার দিন । যাইহোক ঘুম থেকে একদম সেই সকাল বেলা উঠলাম, সেই সকাল বেলা বলতে তখন ঘড়িতে 9 টার মত বাজে । যেহেতু সরকারি হসপিটালে যেতে হবে, তাই একটু আলাদা ভাবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে ফেললাম । কারণ এর আগের বার গিয়ে, অনেকটা ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। তাই আমি মোটামুটি এবার নিজের থেকেই কিছুটা প্রস্তুতি নিয়েছি , যেন কোনোভাবেই আগের মত ঝামেলায় না পড়তে হয় ।
তিন দিন হল সূর্যের দেখা নেই কিন্তু আজকে খুব ভালো লাগছে যখন বাইরে বের হয়েছি এবং হঠাৎ করে সূর্য কোথায় থেকে যেন চলে আসলো। তবে খুব একটা বেশিক্ষণ সূর্য আকাশে থাকেনি আবারো একটা সময়ে গিয়ে মেঘে ঢেকে গিয়েছিল । কদিন থেকেই টিভিতে শুনছি যে ঘূর্ণিঝড় হবে, যার কারণে উত্তরের এলাকাগুলোতে কিছুটা আবহাওয়ার পরিবর্তন থাকবে। যাইহোক হয়তোবা সেই কারণে হতে পারে এমনটা ।
যদিও স্বল্প সময়ের জন্য আকাশে সূর্য উঠেছিল, তবে ব্যাপারটা আমি বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। কারণ একবার মেঘে সূর্য ঢেকে যাচ্ছিল আর একবার তা বের হয়ে আসছিল এ ব্যাপারটা আমি অনেকক্ষণ খেয়াল করেছি । তবে যাইহোক এইভাবেই বেলা গড়িয়ে যেতে, আমরা হসপিটালে গিয়ে পৌঁছেছি এবং সেখানে গিয়ে আজকে খুব একটা ঝামেলা হয়নি । কারণ আমরা আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রিপারেশন নিয়ে গিয়েছিলাম, ঠিক সেইভাবে গিয়েই আমরা বাবুর টিকা সম্পন্ন করেছি এবং সত্যি বলতে গেলে কি, বাবুকে যখন টিকা দেওয়া হচ্ছিল, তখন বাবু এবার অনেকটা কেদেঁ দিয়েছিল,যেটা আমাকে মানসিকভাবে অনেকটাই ইমোশনাল করে ফেলেছিল ।
যাইহোক হসপিটালের পর্ব শেষে আমাদের টার্গেট ছিল নির্বাচন অফিসে যাওয়ার জন্য । কারণ নির্বাচন অফিসে মূলত যাওয়া লাগবে, হিরামনির ভোটার আইডি কার্ডটা ঠিকঠাক করার জন্য । কারণ যখন ভোটার আইডি কার্ড এর আগে করা হয়েছিল, সেই সময় কিছুটা ঝামেলা ছিল এবং তখন আরকি ভোটার আইডি কার্ডটা ঠিকমত করা হয়নি । এজন্য মূলত নির্বাচন অফিসে যাওয়া আরকি । যাইহোক হসপিটাল থেকে বেরিয়ে সোজা নির্বাচন অফিসে চলে গেলাম এবং ওখানে গিয়ে অনেকটা সময় ব্যয় করলাম এবং ওখানকার অফিসারের সঙ্গে কথা বলে, তিনি যে তথ্য দিল সেই তথ্য অনুযায়ী পৌরসভায় গেলাম ।
আসলে মূল বিপত্তিটা ঘটে যায় , আমার পৌরসভায় গিয়ে । কারণ পৌরসভার যে লোকজন গুলো ছিল, তাদের আচরণটা আমার খুব একটা বেশি পছন্দ হয়নি। প্রথমত আমি তো নিজের ফেসটা খুব ভালোভাবে ঢেকে রেখেছি, বিধায় তারা আমাকে মোটামুটি চিনতে পারেনি কিন্তু তাদের এই রকম সাধারণ লোকজনের সঙ্গে যে আচরণ, এটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি । তারা আমাকে কাছে আরকি অতিরিক্ত পয়সা খাওয়ার জন্য, অনেকটাই এলোমেলো তথ্য দিচ্ছে যেটা আমার কাছে কাঙ্খিত বলে মনে হচ্ছিল না ।
যাইহোক আমি খুব একটা বেশি সময় নিলাম না রিসিপশনে। কারণ আমি বেরিয়ে আসলাম এবং ডিরেক্ট কথা বলার চেষ্টা করলাম, আমাদের মেয়র সাহেবের সঙ্গে এবং তাকে আমার পরিচয়টা দেওয়ার চেষ্টা করলাম এবং তারপরে মোটামুটি সে আবারও রিসিপশনিস্টের কাছে ফোন দিয়ে দিলো এবং তারপরে মোটামুটি আমরা ভোটার আইডি সম্পর্কে ভাল তথ্য পেলাম। কিন্তু সব থেকে আমার কষ্ট লেগেছে যে, সাধারণ মানুষ যদি এইভাবে হয়রানি হয় প্রতিনিয়ত সেবা কেন্দ্র গুলোতে, তাহলে দিনশেষে আসলে কিছু বলার থাকেনা ।
যদিও হসপিটালে এবার সমস্যা হয়নি, নির্বাচন অফিসেও খুব একটা বেশি সমস্যা হয়নি, তবে পৌরসভায় গিয়ে যে একটা সাময়িক অসুবিধার শিকার হতে হয়েছে, এটা আরকি আমার কাছে অনেকটা দিন পর্যন্ত মনে থাকবে। তবে যাইহোক সর্বোপরি আজকের সময়টা অনেকটা জটিলতা পূর্ণ গিয়েছে, তবে দিনশেষে তাও একটু ভালো লাগছে যে, তাও সঠিক তথ্যগুলো এটলিস্ট পেয়েছি এইটা ভেবে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলেই তিন দিন হল সূর্যের দেখা নাই।আজকে হঠাৎ সূর্যের দেখা পেয়েছি ভালো লাগছে। আপনি ঠিক বলেছেন সরকারি হাসপাতালে গেলেন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। অনেক মানুষের ভীড়। অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক ভালো লাগলো বাবুর টিকা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাবুর জন্য দোয়া করি। সে যেন সবসময় সুস্থ থাকে। আসলে এখনকার এই সমাজ ব্যবস্থা টা খুবই খারাপ। অতিরিক্ত টাকা পয়সা নেওয়ার জন্য যদি একটু নরম মানুষ দেখে তার ওপরে চেপে বসে। যাক অনেক ঝামেলার পরেও দিনশেষে ঝামেলা গুলো সম্পন্ন হয়ে গেছে। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাইয়া আজকাল প্রতিটি জায়গায় গেলে অনেক বেশি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া উচিত কারণ সরকারি বিভিন্ন অফিস বা হসপিটাল ঝামেলায় পরিপূর্ণ। সরকারি এসব দপ্তরগুলো তাদের নিজের মতো করেই চলে। মানুষের সমস্যাগুলো তাদের কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। এটি একটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এক সমস্যার জন্য নির্বাচন অফিসে গেলে হাজার সমস্যা হাতে ধরিয়ে দেয়। হয়তোবা এর ফলে অতিরিক্ত টাকা পয়সা নেয় বা বিভিন্ন রকমের হয়রানির শিকার হতে হয়। টাকা যেমন তেমনই হোক না কেন হয়রানিটা খুবই বেশি হয়। আমাদের মত সাধারন মানুষরা খুব বেশি ভোগান্তিতে পরে। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচনী অফিস বা অন্যান্য বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোর এসব হয়রানি মূলক কার্যক্রম বন্ধ হওয়া উচিত। তবে যাই হোক আপনি আপনার কাজ ভালোভাবে করতে পেরেছেন এটাই অনেক বেশি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আমাদের এই জীবনটা জটিলতায় পরিপূর্ণ। যেখানেই যাই না কেন জটিলতা ছাড়া কিছুই দেখতে পাই না। বিশেষ করে যখন নিজের প্রয়োজনে বা নিজের কোনো কাগজপত্র সমস্যা হলে যদি কোন অফিসে যাই এর চেয়ে জটিলতা আর কোথাও নেই। তারা মনে করে আমরা কোথা থেকে তাদেরকে বিরক্ত করতে এসেছি। সাধারণ জনগণকে এতটাই তুচ্ছ মনে করে তারা খুবই খারাপ লাগে তখন। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার কারণেই হয়তো আমাদের মত সাধারন মানুষদের প্রতি নিয়তই জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে। হয়তো এই জটিলতার অবসান কোনদিন হবেনা।
যাইহোক আপনি দিন শেষে যে আপনার সব কাজ গুলো ভালোভাবে করতে পেরেছে এবং শায়ান বাবুর টিকা কমপ্লিট করতে পেরেছেন এটাই অনেক বেশি ভালো লাগছে। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো। বিশেষ করে ছোট্ট, মিষ্টি ও কিউট শায়ান বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
গতকাল আপনাদের দিকে রোদ উঠলেও আমাদের জেলায় সারাদিন বৃষ্টি ছিল। যাইহোক এবং বাংলাদেশে নিজের জাতীয় পরিচয় পএ ঠিক করার মতো ঝামেলার কাজ কমই আছে। ওদের কাছে গেলে এক একজনকে নবাব মনে হয়। হয়রানির শেষ থাকেনা। যেটা আপনার কথাতেও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক অল্পতেই যে কাজটা হয়েছে এটাই অনেক ভালো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
ভাই সত্যি বলতে কি আমাদের দেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষদেরকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। যার ক্ষমতা বা চেনা জানা আছে তিনি সহজেই সবকিছু পেয়ে যান। আর যারা সাধারন মানুষ তাদেরকে সবাই হাইকোর্ট দেখায়। তবে আমি বিশ্বাস করি এই অবস্থার পরিবর্তন একদিন হবেই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার বাবুকে টিকা দেওয়ার এই ঘটনাটি পড়ে আমার এক দেড় বছর আগে মেয়েকে টিকা দেওয়ার ঘটনা কথাটি মনে পড়ে গেল এবং মেয়ে যখন কান্না করছিল সত্যি আমিও খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিল কারন খুব ছোট বাচ্চার কান্না গুলো আসলে সহ্য করার মতো নয়। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই ই হয়। বেসরকারি হসপিটালে যেভাবে আদর আপ্যায়ন করে কাজ করা হয়, আর সেই উল্টোভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে অনেক বেশি হয়রানি হতে হয়। যে কারণে আমি হাসপাতালগুলো থেকে অনেকটা দূরে থাকি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
পৌরসভায় কর্মরত লোকজনদের ব্যবহার সাধারন মানুষের প্রতি সত্যিই অনেক দুঃখজনক। তাদের কাছে সাধারন মানুষ কোন তথ্য জানতে চাইলে তারা সহজে সেই তথ্য বলে না, অযথা এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে পাঠিয়ে হয়রানি করায়। তাছাড়া যে সেবাগুলো তাদের বিনামূল্যে সাধারণ জনগণকে দেওয়া উচিত তারা তার বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ অথবা ঘুষ নেওয়ার দাবি করে। এগুলো সত্যি অনেক দুঃখজনক। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত আপনার সম্পূর্ণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
যেকোনো কাজ পূর্ব পরিকল্পিত হলে কাজটি খুব সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।সব ঝামেলা পার করে আপনি সঠিক তথ্য পেয়েছেন এটি জেনে ভালো লাগলো।শায়ান বাবুর জন্য ভালোবাসা রইলো,ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আমার ভোটার আইডি ক্ষেত্রেও আমি অনেক ঝামেলা সহ্য করেছি ।কেননা আমার ভোটার আইডিতে আমার বাবার নাম ভুল ছিল। আমি যখন নির্বাচন অফিসে যাই তখন তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করতে থাকে তখন আমি সিটির এক নির্বাহি অফিসার কে ফোন করি। যিনি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ভাই ছিলেন। তারপর যখন আমি তাদের সাথে কথা বলি তারা অল্প সময়ে আমার কাজটা করে দেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আপনার আমার হয়তোবা ফোন করা কেউ আছে কিন্তু যাদের কেউ নেই যারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে তাদের কি হবে? তারাও ভোটার তারাও সাধারণ মানুষ তারা বাংলাদেশে নাগরিক। আমার কথা হচ্ছে যেটা তাদের দায়িত্ব যে দায়িত্বের জন্যে তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে সেই কাজে তারা অবহেলা কেন করবে? কেন মানুষকে হয়রানি করবে এটাতো তাদের কাজের বাহিরে না। কবে যে এদেশের মানুষের মন মানসিকতা পরিবর্তন হবে। তবে প্রত্যাশা করছি এই মানুষগুলো দ্রুত পরিবর্তন হোক । সমাজে সুস্থ ধারায় ফিরে আসুক।