নিবিড়ের জন্মদিন
নিবিড়ের সঙ্গে আমার বয়সের ব্যবধান খুব একটা বেশি ছিল না। যেহেতু বয়সের ব্যবধান খুবই কম ছিল আর আমরা একই এলাকাতে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছি, তাই সম্পর্কটা বলা যায় অনেকটাই আত্মিক।
তবে একটা সময়ের পরে দিন যত গড়িয়ে গিয়েছিল, তেমনটা আমাদের সম্পর্কের মাঝেও কিছুটা দ্রুত তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তবে তারপরেও টুকটাক যোগাযোগ হতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
এইতো গতকাল সন্ধ্যা বেলায় সে আমাকে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়েছিল এবং বলল, আগামীকাল তার জন্মদিন। আমি যেন সেখানে উপস্থিত থাকি। আগের থেকে ওর শরীরটা এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে, মাঝে তো স্ট্রোক করে অনেকটা দিন অসুস্থতায় ছিল। এখন বেশ ভালোই হাঁটা চলাফেরা করতে পারে। আশা করা যায়, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ও শীঘ্রই আবারো পূর্বের মতো শারীরিকভাবে ঠিক হয়ে যাবে।
যদিও কিছুটা দূরত্ব মাঝে তৈরি হয়ে গিয়েছিল, সেটা অবশ্য জীবন জীবিকার তাগিদে। তবে তারপরেও সম্পর্কটা এখনো বেশ আমাদের মাঝে ভালোই আছে। আমি মনেকরি, প্রতিটা সম্পর্কের মাঝে কিছুটা দূরত্ব থাকা ভালো, এতে সম্পর্কগুলোর স্থায়িত্ব বেশ খানিকটা দৃঢ় হয়।
অবশেষে আজ বিকেল বেলার দিকে আমরা সকলে মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম, আমাদের এক ছোট ভাইয়ের রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্য। ঠিক শহর থেকে সেটা ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যেহেতু খানিকটা দূরে অবস্থিত ছিল রেস্টুরেন্টটি আর তাছাড়া একদম রেস্টুরেন্টটি নিরিবিলি পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত, তাই বলা যায় আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল।
অনেকটা নিজেদের মতো করে সেখানে সময় কাটিয়েছিলাম। গিয়েই ফ্রেশ হয়ে চেষ্টা করেছিলাম সবকিছু রেডি করে রেখে তারপরে সবাই হাঁটাহাঁটি করে রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা দেখার চেষ্টা করেছিলাম। রেস্টুরেন্টটার ডেকোরেশন একদম খুবই সাদামাটা। তবে এক পাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ যতদূর চোখ যাবে শুধু সবুজ আর সবুজ। এটাই একটা দৃষ্টিনন্দন ব্যাপার। চেষ্টা করেছিলাম সকলে মিলে ছবি তোলার জন্য রেস্টুরেন্টের ভিতরে।
অতঃপর কেক কেটে মুহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখলাম এবং তারপরে আমাদের আগে থেকে অর্ডার করে রাখা খাবারগুলো আমাদের মাঝে পরিবেশন করা হলো এবং সেগুলো অনেকটা তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। নিবিড়কে অনেকটাই ধন্যবাদ, এমন সুন্দর আয়োজন করার জন্য। ওর আগামী দিনগুলো আরো সুন্দর হোক এবং ও দ্রুত আরো শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আমি চেষ্টা করেছি আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর নির্ভর করে, একটা ভিডিও বানানোর জন্য। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1707314790912413992?t=WdViBMY4qoObzv7_GJVx3w&s=19
আসলেই জীবিকার তাগিদে কাছের মানুষের সাথেও অনেক সময় দুরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তবে এমন দূরত্ব অবশ্যই সম্পর্ক আরো মজবুত করে। যাইহোক আপনারা নিবিড় ভাইয়ের জন্মদিন বেশ উপভোগ করেছেন। এমন খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ভিডিওটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক নিবিড় ভাইকে জন্মদিনের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য সেদিনের সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল আমাদের। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। 🙏
ঠিক বলছেন আপনি আসলে যে কোন সম্পর্কের মধ্যে একটু দূরত্ব থাকলে সেই সম্পর্কটা আরও বেশি মধুর হয়। যদিও আপনার বন্ধু নিবিড় অসুস্থতার কারণেই দূরে ছিলেন। তাছাড়া কাজের তাগিদে আসলে দূরত্ব বেড়ে যায় সময়ের ব্যবধানে। খুব সুন্দর একটি জায়গাতে আপনারা জন্মদিনটা পালন করলেন। পাশে ধান ক্ষেত ছিল সবুজ প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালেন। অনেক ভালো লাগলো মুহূর্তটি।
ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
নিবিড় ভাইয়াকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জন্মদিনে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ভাইয়া অসুস্থ ছিল।এখন কিছুটা সুস্থ। তার সুস্থতা কামনা করি।আপনারা নিরিবিলি পরিবেশে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
বিশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মনের টানে গিয়েছিলেন। তবে জন্মদিন উদযাপনের জন্য জায়গাটা একদম পারফেক্ট। প্রকৃতির মাঝে পরিবেশটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আর বিকেল বেলায় এখানে আরো বেশি মজা লাগার কথা।
আপনার বন্ধুর জন্মদিন বন্ধুই বলছি কারন আপনাদের বয়সের তফাৎ অনেকটা কম এবং বন্ধু র মতোই চলাফেরা। জন্মদিন পালনের মূহুর্ত খুব সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশ পালন করেছেন বেশ ভালো লাগলো।খাওয়া ও রেষ্টুরেন্ট এর মনোরম পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আসলে আত্নার সম্পর্ক কখনো মানুষকে দূরে করে রাখতে পারে না সে যতোটাই দূরে থাক না কেন আপনার পোস্টে তা সুন্দর করে ফুঁটে উঠেছে।