গন্তব্য যখন দাদুর বাড়িতে ||@shy-fox 10% beneficiary
যাইহোক ব্যস্ততার খাতিরে খুব একটা বেশি, দাদুর বাড়িতে যাওয়ার সময় হয় না । আসলে সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম কাজের ভিতর নিজেকে সময় দিতে হয় এবং যার কারণে একটা সময়ে গিয়ে দাদু বাড়ির সঙ্গে সম্পর্কে একটু দূরত্ব তৈরী হয়ে গিয়েছিল । মানে সেখানে ফিজিক্যালি খুব একটা বেশি যাতায়াত করা হতো না। তবে তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত ফোনে কথা হত। যাইহোক হুট করে যে, আজকে দাদু বাড়িতে যাব তার জন্য মোটেও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না ।
যেহেতু দাদুবাড়িতে আমাদের কিছু জমিজমা আছে এবং একটা খামারবাড়ি আছে, এজন্য দাদু বাড়িতে বাবা আমার ছোট মাকে নিয়ে সেখানেই থাকত এবং মোটামুটি সেখান থেকেই বাবা প্রতিনিয়ত অফিসে যাতায়াত করতো । যাইহোক আমার ছোট-মা'র বিষয়টা যদি আমি বলি, তাহলে বিষয়টার একটু অতীত টানতে হবে । কারণ ছোট-মা আমাদের পুরো সংসারটাকে একদম সেই অনেক থেকেই ঠিকঠাক মত করে রেখেছে । কারন সে নিজে একা হাতে পুরো সংসারটাকে সামলে নিয়েছে এবং সেই খামারবাড়ি, সেই জমিজমা দেখা, সবকিছু সে একা হাতে করেছে ।
যদিও সৎ মা থাকলে অন্য পরিবারে যে সমস্যাগুলো হয়, সেই রকম সমস্যার সম্মুখীন আমাদেরকে কখনোই পড়তে হয়নি। আমরা আসলে তার কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ তার ঋণ আমরা কোনভাবেই শোধ করতে পারব না । আমার ছোট মা মূলত গতকালকে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে।
মূলত আমার ছোটবোন গাইবান্ধা থেকে আসতেছিল এবং তাকে নেওয়ার জন্যই শহরে গিয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে রাস্তা পার হতে ধরেই, অপর দিক থেকে আসা মোটরবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে , সে প্রচন্ড মাথায় আঘাত পায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। যাইহোক তাকে তাৎক্ষণিক জিয়া মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার,তাকে আইসিইউতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল । অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে ।
গতকালকে দুপুর বেলা যখন, হঠাৎ করে ব্যাপারটা শুনলাম । তখন আমি মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম এবং মুহূর্তেই আমার মনের অবস্থা একদম বিষন্নতায় ভরে উঠেছিল। কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না , সব দিক চিন্তা ভাবনা করে একদম মাথা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক, অবশেষে নিজেকে মানসিকভাবে স্থির করলাম এবং দাদু বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে ফেললাম নিজেকে ।
আসলে বাড়িতে গিয়ে যখন পৌঁছলাম , তখন এলাকাবাসীর কথোপকথন ও সবার মন্তব্য আমাকে আরও ভীষণ ভারাক্রান্ত করে ফেলেছিল। কারণ আমার ছোটো মা এলাকার সবার কাছে অনেক পরিচিত ছিল এবং সবাই তাকে পছন্দ করত। যাইহোক ছোট মার অকাল মৃত্যুর বিষয়গুলোকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। কিন্তু যে চলে যাবার সে তো গিয়েছে, তাকে আর হাজার চাইলেও ফেরত নিয়ে আসা যাবেনা ।
শেষ যেবার দাদুর বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন শায়ান বাবুর আকিকার জন্য গিয়েছিলাম এবং তখন মোটামুটি ভালই সময় কাটিয়েছিলাম পরিবারের সবার সঙ্গে। কিন্তু এবার যখন গেলাম, তখন একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে গিয়েছিলাম এবং মোটামুটি সময়টা অনেক কঠিন কেটেছে ।যাইহোক আমি মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছি । আসলে কিছু কিছু অবস্থার ব্যাখ্যা, কোনভাবেই মুখ ফুটে বলে প্রকাশ করা সম্ভব না। কিছু কিছু ব্যথা নিতান্তই ব্যক্তিগত, নিজেকেই সহ্য করতে হয় ।
তবে এই ভারাক্রান্ত মনে, আমি একটা কথাই বলছি । আমরা সবদিক থেকে উন্নত হচ্ছি, আমাদের ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট সবকিছুই উন্নত হচ্ছে কিন্তু দিনশেষে আমাদের সড়কগুলো কতটা নিরাপদ, এই প্রশ্নটা আমি আপনাদের কাছে রেখে গেলাম? আর কত প্রাণ ঝরে গেলে, এই সড়কগুলো আরও নিরাপদ হবে , আমি সেই উত্তর জানতে চাই ?
যাইহোক মনের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই, শুধুমাত্র আমার ছোট মায়ের জন্য আপনারা প্রার্থনা করবেন, সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন সঠিক স্থানে রাখতে পারে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
খুবই শোকাহত ও মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর, শুনে খুবই খারাপ লাগলো।তবে দূর থেকে শুধু এটাই বলবো ,মনকে শক্ত রাখুন।এছাড়া আপনার ছোট মায়ের আত্মা যেন শান্তি পাই সেই কামনায় করি।
দোয়া করি আপনার ছোট মাকে যেনো সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে উচ্চ এবং ভালো জায়গাটিতেই রাখে।
আসলে ভাবির পোস্ট দেখলাম, তখন ই বুঝেছিলাম আপনার মনের অবস্থা।
মন খারাপ করবেন না, দোয়া করেন এবং ভালো থাকবেন ভাইয়া। জানি সান্ত্বনা দিয়ে লাভ নেই।
দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। আমাদের প্রিয় মানুষগুলো এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে। এভাবে ঝরে যাচ্ছে হাজারো জীবন। তবে আপনার ছোটমার অকাল মৃত্যুতে খুবই খারাপ লাগলো। এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা কার মৃত্যু কখন লিখে রেখেছেন তা বোঝা বড় দায়। আমাদেরকে সবসময়ই সতর্কতার সাথে চলাফেরা করা উচিত। না হলে এভাবে ঝরে যেতে পারে আমাদের প্রিয়জনদের প্রাণ। আল্লাহ আপনার ছোট মাকে বেহেস্ত নসিব করুক এই দোয়াই করি সব সময়।
অনেকদিন পরে যখন দাদার বাড়িতে যাওয়া হয় তখন কিন্তু ভালোই লাগে প্রথমে আপনি হাসিখুশিতে হয়তো দাদার বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু পরে সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো অনেক অনেক দোয়া রইল আপনার ছোট মায়ের জন্য
আপনার ছোট মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহতায়ালা যেন তাকে বেহেশতের সম্মানিত স্থান প্রদান করে। এক্সিডেন্টের কথা শুনলে আমি অনেক ভয় পাই। এটি মানে নেওয়ার মতো বিষয় না। তার কারণ হঠাৎ করে যদি কোন কিছু শোনা যায় তাহলে মেন্টালি অনেক প্রবলেম হয়ে থাকে । যেকারো এক্সিডেন্টের কথা শুনলে মনের ভেতর খুব কষ্ট হয়। কিছু বলার মত কোন ভাষা পাওয়া যায় না।
আপনার ছোট মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি তিনি যেন পরপারে ভালো থাকেন। এই পৃথিবীটা ক্ষণিকের জন্য। তবে প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের প্রিয়জনকে হারাচ্ছি। আপনি হয়তো খুবই কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার নিয়ম আমাদের কি মেনে নিতেই হবে। প্রিয় মানুষগুলোকে হারিয়ে অনেক কষ্ট হয় এটা সত্যি কিন্তু তারা চিরদিন আমাদের সাথে থাকবে না এটা আমাদেরকে মানতে হবে। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
ভাইয়া হঠাৎ করে আপনার দাদুর বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে মনে একটু আনন্দ অনুভব করলাম। যে আপনি গ্রামে যাচ্ছেন গ্রামের সুন্দর কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। কিন্তু পরিশেষে জানলাম যে আপনার ছোটমা রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশা। এমন অবস্থায় যে আপনি আমাদের সাথে এই কথাগুলো শেয়ার করেছেন এটা বিশাল বড় পাওয়া আমি মনে করি আমাদের জন্য। আপনার কথা শুনে বুঝতে পারলাম আর দশ জনের মতো নয় আপনার ছোট মা। এবং কি আপনারা, আপনি, অনেক ঋণী আপনার ছোট মায়ের কাছে। কথায় বোঝা যাচ্ছে যে মানুষটা আসলো কত ভালো ছিল। সবশেষে একটা কথাই বলবো ভাইয়া মানুষ মরণশীল একদিন না একদিন সবাইকে যেতে হবে পরও পারে। আমার একটাই অনুরোধ ভেঙে পড়বেন না, নিজেকে স্থির রাখুন এবং কি সুস্থ্য-সবল জীবন যাপন করুন। আমাদের সাথে এমন শোক সংবাদ শেয়ার করার জন্য, অবিরাম ভালোবাসা ভাইয়া।
ভাইয়া, আমার কাছে বিষয়টা খুবই খারাপ লেগেছে, আসলে সত্যি কথা বলতে কার মৃত্যু কিভাবে লিখা সেটা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানে । তবে ভাইয়া মন ভেঙ্গে ফেলবেন না মনকে শক্ত রাখেন, আপনার ছোট মার জন্য অনেক দোয়া রইল, আপনার ছোট মাকে যেন আল্লাহ, জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
আপনার পোস্ট পড়ে খুব কষ্ট পেলাম যে রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে আপনার ছোট মা। আমাদের দেশ থেকে কবে এধরনের মৃত্যুর খবর আর শুনতে হবে না।দোয়া করি আর যেন শুনতে না হয় কেউ রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
ভাইয়া,দাদুর বাড়িতে যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। তবে পুরো লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি কোন আনন্দে যাননি। আপনার খুব প্রিয় এবং আপন মানুষ আপনার ছোটমা রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে তাকে শেষবারের মতো তার জন্য গিয়েছেন।ভাইয়া,আপনার ছোটমাকে আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস করুক সেই দোয়া করি।
ভাইয়া, এটা সত্যি কথা রাস্তাঘাট বাড়িঘর সব কিছু উন্নতি হচ্ছে সড়কগুলো মোটেও নিরাপদ হচ্ছে না। কারণ অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছে সেই কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে।আমি একজন সাধারন মানুষ হিসাবে চাই যেন সড়ক গুলোতে নিরাপদ হোক।আপন মানুষ যেনো হারাতে না হয় সেদিকে সকলের নজর দেওয়া দরকার।
ধন্যবাদ,ভাইয়া