চন্দন দাদা
তখন সম্ভবত ২০০৫ সাল চলে, এই এলাকার রাজমতি মার্কেটে কসমেটিকের দোকান ছিল তখন হাতেগোনা। সেইসময় মার্কেটের অভ্যন্তরে বেশ বড় পরিসরে যে দোকানটা ছিল, সেই দোকানটা কমবেশি সকলেরই চেনা-জানা। চন্দন দাদাকে প্রথম সেখানেই দেখেছিলাম। বয়সের যে খুব বেশি তফাৎ আমাদের মাঝে ছিল, তা বলবো না ।
তবে তার ব্যবহারটা ছিল মনে লেগে থাকার মতো। তখন যেমন অন্যের দোকানে থাকতে তার কাছে আমি যে ব্যবহারটা পেয়েছি, সেই একই ব্যবহার এখনো পাচ্ছি তার কাছ থেকে, তবে এবার আর অন্যের দোকানে গেলে না বরং তার নিজের দোকানে গেলে । সত্য বলতে গেলে কি, মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেওয়ার জন্য খুব বেশি কিছুর দরকার হয় না, শুধুমাত্র আচার-ব্যবহারটা ঠিক থাকলেই হয়ে যায় ।
যাইহোক ২০০৫-২০০৬ সালের দিকে যখন, রাজমতি মার্কেটের ভিতরে টুকটাক ঘোরাফেরা করার চেষ্টা করতাম, তখন ঐ ঘুরেফিরে কসমেটিকের দোকানগুলোর আশেপাশেই যেতাম হয়তো সেটা আড্ডা দেওয়া বা নিজের প্রয়োজনে। চন্দন দাদার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রপাত ঠিক তখন থেকেই।
তার সঙ্গে যে শুধুমাত্র আমার একার এমন সম্পর্ক, এটা বললে নেহাত ভুল হয়ে যাবে। কারণ এই এলাকার নবীন-প্রবীণ থেকে শুরু করে, যে কোন বয়সের মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেকটাই গভীর বলা যায়। বেশ তরল ব্যক্তিত্বের মানুষ সে , সব পরিবেশেই মিশতে পারে ।
শহর থেকে কিছুটা অদূরে বাড়ি হলেও, সেই গ্রামীণ অঞ্চল থেকে এসে সে, শহরের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে নিজেকে বেশ পরিপক্ক ভাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।
সময় কত দ্রুত অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে, কোথায় সেই ২০০৫ আর এখন কোথায় ২০২৩ সাল। তবে আমি বিশ্বাস করি, নিজের ভাগ্যটাকে পরিবর্তন করার জন্য, সবার প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগানো দরকার। জীবনে আসলে কোন কিছুই শর্টকাট ভাবে পাওয়া যায় না। চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছু আশা করা নিতান্তই বোকামি ।
প্রতিযোগিতার এই শহরে সবাই চেষ্টা করছে নিজেকে এগিয়ে রাখার জন্য। সেইখান থেকে হয়তো চন্দন দাদাও চেষ্টা করেছে। তাই প্রথমত নিজের চেষ্টাতে ছোট্ট একটা দোকান দিয়েই শুরু করেছিল। তবে খুব বেশিদিন তাকে পরবর্তী সাফল্যের জন্য দেরি করতে হয়নি। শুধুমাত্র তার ভদ্রতা আর ভালো ব্যবহার ই তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। যার সাদৃশ্য প্রমাণ আজকে নিজের চোখে দেখে আসলাম।
তার ছোট্ট দোকানটা আর আগের মতো ছোট নেই,অনেকটাই দীর্ঘায়িত হয়েছে। মোটামুটি এখনো মনে পড়ছে, তার সেই প্রথম সময়কার কথাগুলো। নিজে অন্যের অধীনে থেকেও যে, আজ এত বড় একটা দোকানের মালিক হয়েছে সে, এটা ভাবতেই বেশ ভালো লাগছে।
আজ গিয়েছিলাম চন্দন দাদার দোকানে। যদিও তার কাছে যাওয়াটা আমার নতুন না, কারণ প্রায়ই যাওয়া লাগে। আগে নিজের জন্য যেতাম আর এখন পরিবারের জন্য যেতে হয়। আজ গিয়ে মোটামুটি দোকানটা দেখে বেশ ভালোই অবাক হয়েছিলাম । কারণ আজ তার দোকানেই বেশ কয়েকজন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
তার এই এগিয়ে যাওয়া বাধাহীন হোক, এমনটাই তো প্রত্যাশা করি, তার দোকানের একজন ক্রেতা হিসেবে নতুবা তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
শুভ আপনার পোষ্ট গুলো কেন ভালো লাগে জানেন ৷ কারন আপনার মনটা অনেক বড় ৷ আর এ মন দিয়ে কত মানুষের সাথে অন্তরের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন ৷ যেমন এই হলো দোকানদার চন্দন দাদার কথা ৷
একদম যথার্থ বলেছেন ভাই মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে টাকা পয়সার দরকার নেই ৷ দরকার শুধু আচার ব্যবহার আর সুন্দর মনের ৷
যা হোক চন্দন দাদার জন্য শুভকামনা ৷
সেই সঙ্গে আপনি তো একজন আমার অতি প্রিয় মানুষ ৷
ভালোবাসা রইল ভাই তোমার জন্য।
ভাইয়া মানুষ ঠিক বলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। সত্যি চন্দন দাদা তার সুন্দর ব্যবহার আর কঠোর পরিশ্রমের জোরে আজ নিজের লক্ষে পৌঁছাতে পেরেছে। আসলে চেষ্টার কোন শেষ নেই। চন্দ্রন দাদা নিজে কর্মচারি থাকতেন আর আজ নিজেই কর্মচারি খাটান,সময়ে সব বদলে যায় । ক্ষুদ্র থেকেই বৃহত্তের সৃষ্টি, তবে ইচ্ছা, শক্তি, মেধা আর পরিশ্রম থাকলেই সম্ভব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া একজন মানুষ তার আচার ব্যবহারের মাধ্যমেই অন্যের মনে জায়গা করে নেয়। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আমাদের আপন নয়। কিন্তু তাদের আন্তরিকতা আমাদেরকে মুগ্ধ করে এবং সেই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তৈরি হয়। চন্দন দাদার মতো একজন মানুষ সবার সাথে আন্তরিকতা বজায় রেখেছিল বলেই আজ তিনি সফল হতে পেরেছেন এবং প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে আছেন। ভাইয়া আপনি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক শিক্ষনীয় কথাগুলো তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।