পরামর্শের শরণার্থী || @shy-fox 10% beneficiary
মনে আছে প্রিন্স আর তারার কথা । আজ হুট করেই দুপুরের পরে প্রিন্সের ফোন এসেছিল আমার মুঠোফোনে । শেষ যেবার ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তখন আমি সম্ভবত রাজশাহীতে ছিলাম । ও আমার বাল্যকালের বন্ধু । তবে ও আমাদের এখানে থাকতো মূলত , ওর বাবার চাকরির সুবাদে । পরবর্তীতে ওরা ওদের দেশের বাড়ি রাজশাহীতেই চলে যায় ।
আর পৃথিবীটা যেহেতু গোল , তাই ঘটনাচক্রে আবারও দেখা হয়ে যায় ওর সঙ্গে আমার । আমি যখন রাজশাহীতে ইন্টার্ন ছিলাম, ঠিক সেই সময়ে ওর সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল । তবে আমি মনেকরি ওর জীবনযাত্রার মান আগে থেকেই একটু ভিন্ন ছিল । তবে যাইহোক তারপরও সে আমার বন্ধু । কারণ কৈশোর জীবনের অনেকটা সময় তার সঙ্গে কাটিয়েছিলাম আমি । আর তাছাড়া যার যার জীবন তার তার । কারো জীবন নিয়ে তেমন খুব একটা মন্তব্য না করাই শ্রেয় । তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় তার জীবনের ঘটনা বলে হালকা হতে চায় , সেই ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও মন্তব্য করা যায় । তখন সেই ক্ষেত্রে নিজের কাছে কৃতজ্ঞতাবোধ জন্ম নেয় ।
আমি যখন রাজশাহীতে ইন্টার্ন ছিলাম । তখন ও কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দাতেই ঘোরাঘুরি করছিল । পড়াশুনার একদম নাজুক অবস্থা করে ছেড়ে দিয়েছিল । দোষটা আসলে ওর ছিল না । হয়তো বয়স নতুবা সঙ্গ । একটা সময়ের পরে যখন আমি আমার নিজের একাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম আর তখন সে মোটামুটি কিছুটা এলোমেলো জীবনযাপন করতে ব্যস্ত। হয়তো তার কাছে সেটাই স্বাভাবিক মনে হতো । তবে আমার কাছে সেটা অনেকটাই এলোমেলো লাগত । তবে জীবন যেহেতু তার , তাই আমি মন্তব্য করে বসিনি । আর তাছাড়াও একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে মোটামুটি নিজের সম্পর্কে বোঝার মত ধারণা সে রাখে ।
আমি নিজেও যে খুব সুবিধার ছিলাম তা কিন্তু বলব না । সঙ্গ দোষে আমিও বহু কিছুই করেছি, যেটা অনেকেই কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে করে থাকে । ঐ আরকি একটু এলোমেলো জীবন যাপন । তবে একটা সময়ের পরে গিয়ে আর যাইহোক নিজের জীবনের গতিপথ চিনতে হয় । হয়তো সেই ক্ষেত্রে আমি নিজের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে নিতে পেরেছিলাম । সবারই জীবনের মোড় ঘোড়ে তবে কারো আগে বা কারো পরে ।
যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা রাজশাহী । তাই মোটামুটি সবকিছুই হাতের নাগালে । আমি আসলে যেটা বলতে চাচ্ছি , সেটা একটু খোলাসা করে বলার চেষ্টা করি । সে আসলে ড্রাগ এডিক্টেড হয়ে গিয়েছিল এবং এতটাই পরিমাণ সে এডিক্টেড হয়ে গিয়েছিল যে, সে বুঝে উঠতে পারছিল না তার কি করনীয় বা তার কি করা উচিত । সে অনেকটাই অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল ।
তবে যেহেতু আমি খুবই স্বল্পকালীন সময়ের জন্য রাজশাহীতে ছিলাম বলতে গেলে এক বছরের মত । আর আমি আমার নিজের একাডেমিক কাজের মধ্যেই একটু ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করতাম । তাই খুব একটা বেশি দেখা হতো না । তারপরেও মাঝেমাঝেই দেখা হতো । হয়তো সেই ক্ষেত্রে হালকা কথাবার্তা আর তাকে বোঝানোর চেষ্টা চলতো ।
তবে তাকে বোঝাতে গিয়ে এক-দুইবার আমি সেই ড্রাগের স্বাদ গ্রহণ করেছিলাম । আমার মনে হয়েছিল ওসব আমার জন্য না। এজন্য হয়তো নিজেকে সংযত করতে পেরেছিলাম এবং তারপর হয়তো ব্যস্ততার কারণেই ওর সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় । তবে ওকে সেই সময় বলেছিলাম যে, যদি পারিস এসব ছেড়ে দিয়ে একটু নিজেকে চেনার চেষ্টা কর , বোঝার চেষ্টা কর । বুঝলাম বাবা-মার পয়সা আছে, তবে এইভাবে কতদিন ।
আজ যখন দুপুরের পরে ওর ফোনটা পেয়েছিলাম । ও আমাকে শুধু বলছে চিনছিস আমাকে , আমি প্রিন্স । যেহেতু মেসেঞ্জারে কল করেছে তাই সহজেই চিনতে পেরেছি ওর ছবি দেখে । আর তাছাড়াও প্রতিনিয়ত ওর প্রোফাইল দেখতাম তবে খুব আহামরি কিছু পেতাম না । আজ আমার কাছে অনেকটা হাত পেতেছে, তবে সেটা পয়সার জন্য না । শুধুমাত্র সময়ের জন্য । সে আমাকে বলল বন্ধু তোর কি সময় হবে , দুটো মন খুলে কথা বলব ।
আমাকে বলেই ফেলল, তুই আমাকে কেন রাজশাহীতে থাকতে আরেকটু বেশি করে সময় দিলি না আর একটু কেন জোরাজোরি করলি না । আমি সেই সময় যদি ওখান থেকে সরে আসতাম, তাহলে হয়তো নিজেকে আর একটু ভালোভাবে চিনতে পারতাম অনেক আগেই । তবে বড্ড বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে ।
আজকাল আমি ভীষণ অনিদ্রায় ভুগি, আমার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে । গত কয়েকদিন আগে স্ট্রোক করতে ধরেছিলাম, আমার অ্যাডিকশন আরো ক্রমাগত বৃদ্ধি হয়েছে । আমি নিজেকে সংযত করতে চাই, এখন আমার করনীয় কি বন্ধু । সত্যি বলতে কি, আসলে একটা সময়ের পরে গিয়ে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরাও তারা সম্পূর্ণ একা হয়ে যায় , তাদের স্বাভাবিক জীবন থেকে । অনেকটাই বোঝা হয়ে যায় পরিবারের লোকজনের কাছে এবং অশান্তির কারণ হয়ে যায় । তবে তাদেরকে বোঝার মত মানসিকতা কয়জনেরই বা থাকে । তারাও চায় নিজের মতো করে নিজের কথাগুলো বলার জন্য । হয়তো সেই জায়গা থেকেই , ও আমাকে আজ ফোন করেছে ।
সেদিন রাতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল , মনে হচ্ছিল যেন বুক ছিঁড়ে যাবে, আমি বুঝতে পারছিলাম যে মৃত্যু আমাকে খুব কাছ থেকে ডাক দিচ্ছিল । তবে সেদিন আমার ড্রাগ নেওয়াটা অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছিল । আমি এইসব থেকে বের হতে চাই, অনেকক্ষণ ধরে ওর কথাগুলো শুনছিলাম । ড্রাগ অ্যাডিকশন আসলে মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে অনেক কিছুই ঘটে যায় । এসব থেকে সহজে বের হওয়া যায় না । তবে যদি নিজেকে সংযত করে রাখা যায় , তাহলে কিছুটা হলেও সেই নেশাকে দমিয়ে রাখা যায় ।
বলতে গেলে বিষে বিষ ক্ষয় , ব্যাপারটা এমনটাই । ওকে শুধু আমি একটা কথাই বললাম, তোর সঙ্গে আমার শেষবার যখন রাজশাহীতে দেখা হয়েছিল তখনকার মুহূর্তগুলোর কথা ভাবার চেষ্টা কর আর সেই সময়কার তোর চেহারার কথা ভাব এবং যেহেতু তুই নিজেকে জানার চেষ্টা করছিস, তাহলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা কর এবং বোঝার চেষ্টা কর, তুই কি চাস । পারলে নিজেকে নিজের মতো সময় দে ।
পরিবারের মানুষ থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন সকলের সঙ্গে আবারো ভালোভাবে মেশার চেষ্টা কর, বিভিন্ন কর্মের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা কর, আসলে তুই স্বেচ্ছায় এই পথে ডুবে গিয়েছিস তারপরও সঙ্গের কিছুটা ব্যাপার থাকে, সেটা পরিবর্তন করাও খুবই জরুরী । মানুষ বুঝে মেশার চেষ্টা কর । দিনশেষ আমি মনেকরি তোর জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পারলে ভালো মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।
এক নিমিষেই কতগুলো ভারি ভারি উপদেশ দিয়ে দিলাম । ওপাশ থেকে শুধুই বলল , ঠিক আছে । অতঃপর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ার মতো শব্দ। হয়তো কথা গুলো হজম করতে ওর কষ্ট হয়েছে । আমি বুঝতে পারলাম কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকলাম । আমি চাই কিছুটা ও পরিবর্তন হোক । ও পরামর্শ চেয়েছে , আমি পরামর্শ দিয়েছি । ব্যাপারটা এখানেই শেষ । আসলে পরিবর্তন যে হবে , সে নিজের থেকেই হবে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি মনে করি আপনার বন্ধুর উচিত হবে মাদক নিরাময় কেন্দে যোগাযোগ করা। নিজের ইচ্ছায় যদি সব কিছু ছাড়তে চায় এটাই বেস্ট হবে। কারণ আপনার কাছে যখন পরামর্শ চাইছে তখন তার মানুষিক অবস্থা ভালো ছিলো। কিন্তু যারা মাদক গ্রহণ করে তাদের মাদক গ্রহণের সময় হলে হিতাহিত জ্ঞান বুদ্ধি থাকে না। আমাদের এলাকায় এমন একজন ছিলো যে নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে নিজেকে সংশোধন করতে সক্ষম হয়েছে। আপনার বন্ধু ঐ সব থেকে বের হয়ে আসুন এই কামনা করি।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। ঐ যে বললাম মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার কথা ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া কখন কার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তা কেউ জানে না। তবে আমার মনে হয় যারা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাদের জীবন অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়। তারা সেই পথ থেকে চাইলেও ফিরে আসতে পারে না। তাই কাছের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনরা তাকে যদি সময় দেয় এবং সেই পথ থেকে ফিরে আসতে সহায়তা করে তবেই একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ সুস্থ জীবনে ফিরতে পারে। ভাইয়া আপনি আপনার বন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে অনেক সময় কিছু কিছু উপদেশ অনেকের কাছেই খারাপ লাগে কিন্তু সেই উপদেশগুলো যদি সে মানতো তাহলে আজ তার জীবনের এই পরিণতি হত না। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই কথাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️
আমিও চাই ও সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক। ওর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হোক এমনটাই প্রত্যাশা করছি ।
রাজশাহীর নামটা শুনে মনটা কেমন করে উঠলো। আমি বেশ কয়েক বছর ছিলাম রাজশাহীতে। আসলে নেশা জিনিসটি এমন যে করে তার আশেপাশের লোকজনকেও ঐদিকে টানতে থাকে। আপনার কপাল ভালো যে আপনার কাছে ভালো লাগে নি। তা না হলে হয়তো ওখানে আটকা পরে যেতে পারতেন। নেশার জগৎ থেকে ফিরে আসা খুব কষ্টকর। যেহেতু সে নিজে থেকে ফিরতে চাচ্ছে তাহলে চেষ্টা করলে হয়তো ফিরে আসতে পারবে।
একদম উচিত কথা বলেছেন আপু , ভাগ্যিস শুরুতেই বিষয়টা থেকে বের হতে পেরেছিলাম। নইলে তো ঝামেলায় পড়ে যেতাম।
লাস্ট লাইনটি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।যার ভালো আসলে দিনশেষে তাকেই বুঝতে হয়।
এটাই তো আমিও ভাবি , যে ভালো হবে সে এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে ।
সময় ও বয়সের দোষে মানুষ নিজেই যেমন খারাপ কাজে লিপ্ত হয় তেমনি খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনার উপদেশ গুলো একদম ঠিক ছিল ভাইয়া।
ধন্যবাদ ম্যাডাম ব্যাপারটি সহজেই বুঝে নেওয়ার জন্য।
নেশা একটি ফুলের মত জীবনকে একেবারে শেষ করে দেয়। যারা নেশাগ্রস্ত হয় তাদের আর ফেরানো সম্ভব হয় না। চোখের সামনে একটি মানুষ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়। তার জীবনের বাকিটা সময় অন্ধকারে হারিয়ে যায়। তবুও দোয়া করি আপনার বন্ধু যেন নিজেকে শুধরানোর সুযোগ পায়। যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। তবে কেউ যদি ইচ্ছা করে এবং নিজের বিশ্বাসটাকে কাজে লাগায় তাহলে হয়তো নিজেকে পরিবর্তন করা সম্ভব।
আমিও আপু এমনটাই ভাবছি , হয়তো ও পরিবর্তন হবে এবং সুস্থ জীবনে আসতে পারবে ।
ভাইয়া যে নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইনা তাকে কেউ বদল দিতে পারেনা। তবে আমার মনে হয় আপনার বন্ধু এবার কিছুটা বুঝতে পেরেছেন এবং হয়ত বা পরিবর্তনে আসতে পারে উনি যেহেতু নিজেই আপনার সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার বন্ধুর জন্য দোয়া রইলো আর আপনার জন্য শুভ কামনা আপনি যাতে আপনার বন্ধুকে আর ও ভাল পরামর্শ দিয়ে ভাল পথে আনতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার মঙ্গল করুক।
ধন্যবাদ আপু বিষয়টা বুঝে সাবলীল উত্তর দেওয়ার জন্য। আসলেই সবাই সুস্থ থাকুক এমনটাই কামনা করছি ।
আসলে মানুষ নিজ থেকে পরিবর্তনের চেষ্টা না করলে অন্য মানুষের পরামর্শের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় না। তবে সে ড্রাগ আসক্ত হয়েছে তার জন্য আমরাই দায়ী এই সমাজ ব্যবস্থা দায়ী। তবে সব বন্ধুরা সব সহপাঠিরা যদি চায় কাউকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে তাহলে সেটা সম্ভব কোন কোন ক্ষেত্রে পরামর্শ অনেক কাজ করে।
সমাজ তো পচে গিয়েছে অনেক আগেই ভাই । তবে তাও ব্যক্তি সচেতনতা খুবই জরুরী । তবে আপনার কথায় বেশ যুক্তি ছিল ভাই ।
ভাই আপনার ফিডব্যাকটি খুব ভালো লাগলো।
আসলে ভাই আমাদের সমাজে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নিজেদের কখনো পরিবর্তন করতে চায় না। তাদের বললে পরিবর্তন করা সম্ভব না। তার পরেও আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলো। আজকে আপনার বন্ধু যেহেতু আপনার কাছে তার কথা শেয়ার করেছে। আশা করছি সে পরিবর্তন হবে। আপনার মহত্ব এবং ভালো মন মানসিকতার কারণে সে হয়তো বা অনেকটাই বদলে যাবে।
মাদকাসক্ত খুবই ভয়াবহ একটি নেশা।আপনি হয়তো সময় থাকতে সেটার পথ থেকে নিজেকে সংযত করতে পেরেছিলেন।কিন্তু যখন এটি চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন এ থেকে চাইলে ও ফেরা যায় না আর ফিরলেও সুন্দর জীবনটা শেষ হয়ে যায়।আপনি ভালো পরামর্শ দিয়েছেন ,ধন্যবাদ আপনাকে।