কিছুটা সময় মুক্ত পরিবেশে || @shy-fox 10% beneficiary
গরমকাল যে পড়েছে এটা নিয়ে আর নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত গরম হলে সেটা একটু অনেকটাই ভাবনা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । যেমনটি আজকে আমাদের হয়েছিল ।
এমনিতেই শহর অঞ্চলের বাড়ী-ঘর গুলো অনেকটাই চাপা মানে একটার সঙ্গে একটা লাগানো এবং আলো বাতাসের ব্যবস্থা খুব একটা উন্মুক্ত নয় বললেই চলে । যাইহোক তার মধ্যে যে পরিমাণ সূর্যের তাপ ও মাত্রাতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম, তাতে মনে হচ্ছিল যে পুরো বাড়িটা আজ অনেকটাই দোজখ খানাতে পরিণত হয়েছিল।
খুব শখ করে টপ ফ্লোরের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলাম । উপর থেকে আশেপাশের সৌন্দর্য্য দেখবো বলে । তবে যে গরম পড়েছে তাতে টপ ফ্লোরে থাকার শখ মিটে গিয়েছে । দুপুরের পর থেকে তো মনে হচ্ছিল যেন আমি সিদ্ধ হতে চলেছি । অনেকটাই নাজেহাল অবস্থা আমার । ঐ বৈদ্যুতিক পাখা গুলোর দিকে যখন দেখছিলাম , মনে হচ্ছিল যেন আগুনের ফুলকি গুলো ঝরে পড়ছে ।
এভাবে তো টিকে থাকা খুব মুশকিল । যাইহোক অতঃপর আমি, বাবু আর বাবুর মা মিলে কোনরকম বেলকুনিতে বসে পুরোটা দুপুর কাটিয়ে দিয়েছিলাম । যদিও বিকালের পর থেকে ঘরের ভিতরে তেমন ঢোকা যাচ্ছিল না । তবে ছাদে কিছুটা ঠান্ডা বাতাস ছিল । যাইহোক অতঃপর চিন্তা করলাম যেহেতু আজকে ছুটির দিন, তাই একটু বাহিরে থেকে ঘুরে আসি । তবে আজকের ঘুরে বেড়ানোর ব্যাপারটা, অনেকটাই ব্যতিক্রম ছিল এবং সেই ঘটনায় চেষ্টা করবো আপনাদের শেয়ার করার জন্য ।
সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তেই হীরাকে বললাম , চলো রেডি হয়ে নাও । এবার বাহিরে ঘুরতে যাব । অবশেষে বাবুকে নিয়ে যখন বাড়ির বাহিরে বের হলাম , তখন আবহাওয়া অনেকটাই শীতল হয়েছে এবং বড় রাস্তার কাছাকাছি যেতেই একটা অটোরিক্সা ড্রাইভারকে ডেকে বললাম , ভাই আমরা এক ঘন্টা রিক্সায় চড়ে ঘুরে বেড়াবো, শহরের বাহিরে নিরিবিলি পরিবেশে । আপনি এতে কত পয়সা নিবেন ।
ভাইজান একদম খোলামেলা উত্তর দিল, দেড়শো টাকা হলে সে আমাদেরকে নিয়ে ঘুরতে রাজি আছে । অবশেষে আমরা আর কথা না বাড়িয়ে রিক্সায় উঠে পড়লাম এবং বললাম, আপনার যেদিকে খুশি মন চায় আমাদের সে দিকে নিয়ে যান । তবে নিরিবিলি ও ঝামেলাহীন পরিবেশ হলে খুব ভালো হয় । কারণ এই বন্দি জীবনে থাকতে থাকতে অনেকটা হাঁপিয়ে উঠেছি ।
রিক্সাওয়ালা ভাই আমাদের মনের অবস্থাটা বুঝতে পেরেছেন । যাইহোক অবশেষে সে আমাদেরকে নিয়ে ছুটে চলল শহরের বাহিরে নিরিবিলি এলাকা গুলোতে । মৃদু ল্যাম্পপোস্টের আলোতে যখন রাস্তার উপর দিয়ে আমাদের রিক্সা ছুটে চলেছে এবং এই সন্ধ্যেবেলার হিমেল হাওয়া যখন শরীরে লাগছে , তখন যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। বাবু তো ঘুমিয়ে পড়েছে কারণ সে পছন্দ করেছে এই আবহাওয়াটা ।
অবশেষে আস্তে আস্তে শহরের কোলাহল যুক্ত পরিবেশ ছেড়ে আমাদের রিক্সা গ্রামীণ পরিবেশের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে এবং চারপাশের সন্ধ্যেবেলার প্রকৃতি বেশ ভালো লাগছিলো । ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক বেশ কয়েকবার শুনতে পেয়েছিলাম । ফুরফুরে বাতাসে অনেকটাই মনমুগ্ধকর অবস্থা ।
হুট করে যখন আকাশের দিকে তাকালাম, দেখলাম অনেক বড় করে চাঁদ উঠেছে এবং এই চাঁদনী রাতে বেশ ভালই লাগছিল প্রিয়তমাকে সঙ্গে করে নিয়ে রিক্সায় চড়ে ঘুরে বেড়াতে । ঐ চাঁদতো বারবার উঁকি দিচ্ছিলো । কারণ সে হয়তো লজ্জা পাচ্ছিল আমাদেরকে দেখে ।
যদিও অতিরিক্ত গরম পড়েছে এবং সারাটা দিন বেশ অস্থিরতায় কেটেছে । তবে সন্ধ্যেবেলার এই মনমুগ্ধকর সময়টা সারাদিনের ক্লান্তি যেন, নিমিষেই ভুলে দিয়েছে । যাইহোক অবশেষে সময়টা কিভাবে যেন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না । বাড়ি ফিরে চলে আসলাম এবং জমে রাখলাম কিছু স্মৃতি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
চাঁদনী রাতে দুই ভালোবাসার মানুষ একসাথে। আর তাদের সাথে তাদের প্রিয় ছোট সন্তানটি। সত্যি দারুণ একটা ব্যাপার ভাইয়া।
আসলেই সময় ও পরিবেশটা বেশ উপভোগ্য ছিল আপু । ভালোই লেগেছে ।
জি ভাইয়া চাঁদনী রাতে হবে প্রিয় একজন মানুষকে সাথে নিয়ে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে নিয়ে চাঁদনী রাতে রিক্সা করে ঘুরে বেড়িয়েছে তার সত্যিই অসাধারণ একটি মুহূর্ত ছিল। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনারা কাটিয়েছেন ভাইয়া। আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
হুম একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু , চাঁদনী রাতে বেশ ভালোই উপভোগ করেছি সময়টা ।
গতকালের গরমে প্রায় সবাই নাজেহাল হয়ে গেছিল। দুপুরের পর মনে হচ্ছিল ঘরের মধ্যে যেন কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। যদিও সন্ধ্যার পরে ক্রমেই পরিবেশটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। এইরকম গরমে রিক্সায় ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। হীরা আপু এবং শায়ান বাবুকে নিয়ে সন্ধ্যার পর দারুণ একটি সময় কাটিয়েছেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন, আসলেই গতকাল অনেক বেশি গরম ছিল। যা একদম সহ্যের বাহিরে । তাই একটু সন্ধেবেলা ঘুরতে বেড়িয়ে ছিলাম।
👌👌👌
ভাইয়া আপনি আপনার প্রিয়তমাকে সঙ্গে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আসলে বর্তমানে গরম খুবই বেশি পড়েছে। আর যদি টপ ফ্লোরে বাসা হয় তাহলে তো গরমে একেবারে অবস্থা খারাপ। শীতের দিনে টপ ফ্লোরে থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। তবে গরমের সময় একেবারে অবস্থা খারাপ। দুপুরের পর বিকেল পর্যন্ত রুমে আর থাকা যায় না। আপনি নিজেকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য অনেক সুন্দর ভাবে নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটিয়েছেন এবং রিক্সায় ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যেমন সময় তেমন অবস্থা । শীতে অনেক মজা ,তবে গরমে কষ্টকর অবস্থা । ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বোঝার জন্য ।
টপ ফ্লোর গরম অনেক লাগে,ভাই আমি জানি আমার বাসায় একই অবস্থা।কি যে গরম, সারাদিন রোদের গরম যখন শেষ রাতের দিকে একটু ঠান্ডা লাগে তবে আবার সকাল হলে আবার গরম হয়ে যায়।যাই হোক বাহিরে বের হয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু । আসলেই অবস্থা বেশ শোচনীয় ।
ভাই একটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টপ ফ্লোরে কখনোই থাকা উচিত নয়। এটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই। কারণ আমিও টপ ফ্লোরে থাকি। টপ ফ্লোরে যে সমস্যাটা হয় সেটা হচ্ছে ছাদ গরম হয়ে গেলে সহজে ঠান্ডা হয় না। যার ফলে বাইরে ঠান্ডা হলেও ঘরের ভেতরটা গরম থাকে। তবে আপনার সন্ধ্যার সময় রিকশায় করে বাইরের ঘোরাটা খুব উপভোগ করেছি। আমরাও দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্লান করছি। কিন্তু সেটা বিভিন্ন ব্যস্ততায় বাস্তবায়ন করা হয়ে উঠছে না। আর আমাদের এখানে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের শহরটা খুবই ছোট। অল্প সময়ের ভিতর শহরের ভেতর ঘোরা শেষ হয়ে যায়। আবার গ্রামের দিকে যেতে গেলে নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে যেতে ভয় করে। আপনি সময়টা বেশ ভালোই উপভোগ করেছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই রে ভাই, কিছু আনন্দ যে এইভাবে কষ্ট দেবে তো আগে জানতাম না। তবে আগে জানলে জীবনেও টপ ফ্লোরে থাকতাম নাহ । অবস্থা বেশ শোচনীয় ।
আপনার কথা শুনে আমি পুরোপুরি একমত ভাইয়া। গত কয়েকদিন যাবত প্রচুর পরিমাণ গরম পড়ছে এই গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তবে আপনার এই পোস্টটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে কিছুটা মুহূর্ত নিরিবিলি থাকার জন্য একটা নিরিবিলি জায়গা বেছে নিয়েছেন। সত্যি বলতে মাঝে মাঝে এরকম প্রিয় মানুষকে নিয়ে রিক্সায় ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা। যদিও আমি কখনও ঘোরাঘুরি করিনি তবে অনেকের কাছেই শুনেছি খুবই ভালো লাগে নাকি। হাহাহা।
যাইহোক ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝে মতামত প্রকাশ করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
এই গরমে রিকশায় ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। বোঝাই যাচ্ছে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। নিরিবিলি পরিবেশ ও মুক্ত হওয়া সবকিছু মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💓💓
গতকাল ইচ্ছা করেই বাহিরে গিয়েছিলাম কারণ ভিতরে ভীষণ গরম লাগছিল । তাছাড়া প্রকৃতির হাওয়া খাওয়ার জন্যই বাহিরে গিয়েছিলাম ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই যে গরম পড়েছে তাতে ঘরে টিকা সত্যিই অনেক মুশকিল এর ব্যাপার। আর এই গরমে সবার অবস্থা প্রায় নাজেহাল এমনিতেই রমজান মাস তার মধ্যে আবার এতটা গরম। তবে মজার ব্যাপার হলো বাইরে বের হলে অনেক সুন্দর আবহাওয়া পাওয়া যায়। প্রকৃতির ঠান্ডা বাতাস যখন লাগে তখন যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এই আবহাওয়াটা আমি অনেক উপভোগ করি। আপনিও বাসার বাইরে বের হয়ে অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন। অন্তত এই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেয়েছেন। তারপর সব মিলিয়ে রিক্সায় ঘোরাঘুরি থেকে গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশ এবং বাবুকে নিয়ে অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সবসময় ভালোবাসা নেবেন ভাই ভালোবাসা অবিরাম।
আসলেই গতকাল সময়টা গরমের কারণে বেশ কঠিন ছিল, তাই একটু পরিবার নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলাম।
সত্যি বলেছেন ভাই। গরমের তীব্রতা প্রচন্ড পরিমাণ বেড়েছে। তবে আপনি চাইলে বাসাতে এসি লাগাতেই পারেন। যেহেতু আপনারা টপ ফ্লোরে থাকেন। তবে এই গরমের তীব্রতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আপনাদের সন্ধ্যার পরে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। শুধু যে গরমের তীব্রতা কাটিয়ে উঠতে এটা প্রয়োজন তা নয়, একজনের জীবন থেকে বেশি বেরিয়ে আসার জন্য মাঝে মাঝেই ঘুরাঘুরি করা উচিত বলে আমি মনে করি। আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এইটা সত্য চাইলেই অনেক কিছুই করা যায় ,আবার না চাইলে কিছুই করা লাগে না । পারলে বড় ভাইকে একটা এসি গিফট করেন । ধন্যবাদ।