একটা কিনলে একটা ফ্রি || @shy-fox 10% beneficiary
যদিও চিকেন হাটে আমরা বিগত সময়েও একবার গিয়েছিলাম । তবে এবারের যাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম ছিল । কারণ ওদের ওখানে একটি অফার চলছিল, মূলত একটা খাবার কিনলে আর একটা খাবার সম্পূর্ণ ফ্রি ।
সেদিন আসলে শুক্রবার ছিল আর যখন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের কাজগুলো সেরে , তাদের এরকম একটা নিউজ চোখে পড়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের রিজার্ভেশনে ফোন দিয়ে আমাদের বিষয়টা জানালাম এবং সেটা কনফার্ম করলাম যে , আমরা সন্ধ্যাবেলা সেখানে যাচ্ছি ।
অবশেষে সন্ধ্যার ঠিক একটু আগেই আমরা মূলত বেরিয়ে গিয়েছিলাম , যেহেতু সেদিন শুক্রবারের দিন ছিল আর শুক্রবারের দিনে এ ধরনের রেস্টুরেন্টগুলো তো একটু ভিড়ের পরিমাণ বেশি থাকে । কারণ সর্বস্তরের লোকজন চেষ্টা করে তাদের পরিবার নিয়ে এ ধরনের রেস্টুরেন্ট গুলোতে ভিড় করার জন্য । আর যেহেতু তাদের এখানে অফার চলছিল , তাই লোকজনের সমাগমটা একটু বেশি ।
তারপরেও আমরা যে সময় গিয়েছি খুব একটা বেশি ভিড় ছিল না । কারণ মূলত বিকেলের দিকে ভিড় ছিল আর আমরা গিয়েছি সন্ধ্যার দিকে ।
যাইহোক সন্ধ্যার দিকে গিয়ে, আমরা তাদের যারা সার্ভিস ম্যান ছিল তাদের সঙ্গে কথা বললাম এবং আমরা মূলত প্রথমত ইন্ডিয়ান মাটন জিরা পোলাও অর্ডার করেছিলাম । কারণ এটাই ছিল একটা কিনলে একটা ফ্রি ।
কিন্তু তারপরের তাদের খাবারের মেনু কার্ডে যে ব্যাপারটি লক্ষ্য করলাম সেখানে আরও অনেক গুলো ইন্ডিয়ান খাবারের ছিল, যেগুলো অনেকটাই লোভনীয় । তাই বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়ান মাটন খসবা বিরিয়ানিটা অর্ডার করলাম । কারণ সেটাও খেতে ইচ্ছা করলো ।
এই মফস্বল শহরে আজকাল নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে, সেগুলোতেও মূলত এখন ইন্ডিয়ান বাহারি খাবারের সমাহার আর তাছাড়া তারাও চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের কথা চিন্তা করেন নতুন নতুন খাবার তালিকা যুক্ত করার জন্য আর এই খাবারগুলো খেতেও বেশ মজা এবং যেহেতু খুব অল্প পয়সায় তারা বিক্রি করছে, এদিক থেকে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে ।
পুরো রাস্তা বাবু একদম শান্ত ছিল কিন্তু যেই রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকেছে তখন থেকেই বাবুর দুষ্টুমি একদম বেড়ে গিয়েছে। ক্রমাগত একদম সে পুরো অস্থির করে ফেলেছিল , যতক্ষণ না পর্যন্ত খাবার এসেছিল ঠিক সেই সময়টা পর্যন্ত । একটা পর্যায়ে পুরো এক গ্লাস পানি আমার মোবাইলের উপরে ঢেলে দিয়েছিল , যাইহোক যদিও অল্পের জেরে ভাগ্যক্রমে মোবাইলটার কিছু হয়নি । তবে দিন দিন ওর ভালোই দুষ্টামি বেড়ে যাচ্ছে, যেটা একদম চিন্তার বাইরে ।
যাইহোক অবশেষে আমাদের সেই কাঙ্খিত খাবার গুলো চলে এসেছিল এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে , আজকে রেস্টুরেন্টে এসে আমার বাল্যকালের দুটো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল । আসলে যেহেতু আমরা অনেকগুলো খাবার অর্ডার করেছিলাম, তাই সকলে মিলে খাবারগুলো খেয়েছিলাম ।
যেহেতু দীর্ঘদিন পরে ইন্ডিয়ান এই খাবারগুলো খাচ্ছি , এটা কতটুকু ইন্ডিয়ান স্টাইলে বানিয়েছে তা আমি জানিনা । তবে তাও এই মফস্বল শহরে ইন্ডিয়ান খাবার ভেবে খাবার গুলো খাচ্ছি ,এতেই যেন আলাদা একটা অনুভতি হচ্ছে । যাইহোক বিরিয়ানি গুলো ভালই ছিল এবং ভালো ছিল তাদের উপস্থাপনা এবং খাবারের যে ডেকোরেশন ছিল , সেটা সত্যিই অনেক সুন্দর আর খেতেও বেশ মজা ছিল ।
যেহেতু উইকেন্ডের দিনে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম , তাই আমাদের মোটামুটি সেদিনের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল এবং মিনিমাম আমরা দু থেকে তিন ঘণ্টার মতো সময় সেখানে ছিলাম সর্বোপরি সেই দুই তিন ঘন্টা সময় আমাদের ভালই কেটেছে ।
আর যেহেতু এখানে আরো অনেকগুলো ইন্ডিয়ান খাবার পাওয়া যাচ্ছে , তাই আমরা চেষ্টা করেছি প্রথম দিন দু রকমের খাবার খাওয়ার জন্য । পরবর্তীতে আসলে আরো কিছু খাবার টেস্ট করে দেখার ইচ্ছা আছে ।
যাইহোক বন্ধুরা এর পরবর্তী দিনে, আমি এই মুহূর্তের একটা ভিডিও শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে । সেখানে আমি খাবার গুলোর রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করবো । আশা করি সবাই , সেই ভিডিওটি দেখার অপেক্ষায় থাকুন । দেখা হবে পরবর্তী পর্বে, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
ধন্যবাদ
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া,প্রথমে আপনার আর শায়ান বাবুর ফটোগ্রাফি টা দেখে মন ভাল হয়ে গিয়েছে🥰 আপনার পুরোটা লেখা পড়েছি আসলে ভাইয়া, মফস্বলের শহরে ইন্ডিয়ান খাবার পাওয়াটা বিরল কারণ বিশেষ করে শহর এলাকাতে রেস্টুরেন্টে ইন্ডিয়ান খাবার পাওয়া যায়া। ভাইয়া, খাবারের কালার খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ভাইয়া, একটা খাবারের সাথে আরেকটা খাবার ফ্রী শুনে খুবই ভালো লাগলো। কাস্টমার কে আকৃষ্ট করার জন্য নতুন রেস্টুরেন্ট গুলো এই সুবিধা দিয়ে থাকে খুব ভালো লাগে এরকম রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে।
ভাইয়া, বাচ্চারা যত বড় হবে ততই দুষ্টুমি বেড়ে যাবে। আমার বাবুটা যে কি পরিমানে দুষ্টু হয়েছে যা কল্পনার বাইরে। কিন্তু শায়ান বাবুর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে একদম শান্ত, শিষ্ট খুবই একটা ভদ্র ছেলে লক্ষীসোনা🥰 ধন্যবাদ ভাইয়া,লেখাটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে।।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এখন মফস্বলের শহরগুলোতেও ইন্ডিয়ান খাবার বেশ ভালই পাওয়া যাচ্ছে। আপনাদের খাবার গুলো বেশ লোভনীয় ছিল । ছুটির দিনে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে । বাবু তো বাইরের খাবার খাওয়া শিখে গিয়েছে মনে হচ্ছে । তবে বাচ্চারা একটু দুষ্টুমি না করলেও আবার ভালো লাগেনা । তবে আপনার মোবাইলটার যে কোন সমস্যা হয়নি এটাই অনেক বড় কথা ।যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন আপনারা ।ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমি আসলে প্রথমে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম মোবাইলটা নিয়ে , ভাগ্যিস উপরে প্রটেকটর লাগানো ছিল বিধায় বেঁচে গেছি আপু ।
বাহ ভাইয়া এটা কিন্তু ভালো ছিল, আর আপনার এই ঘোরাঘুরি আমার কিন্তু যথেষ্ট ভালো লাগে বিশেষ করে রেস্টুরেন্টের খাওয়া-দাওয়া। আর সায়ান বাবুর কথা শুনে আমি হাসতে হাসতে শেষ 😅 দুষ্টামি তো মাত্র শুরু করলো আরো অনেক কিছু বাকি আছে।
তবে খাবার দেখে মনে হচ্ছে অনেকটাই ভালো হয়েছে। আর সাথে আরেকটা ফ্রী হলে তো কথায় নেই।
আমিও তাই ভাবছি আপু ও যে আরও বড় হলে কি করবে সেটা ভাবতেই আমি বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ছি ।
বাচ্চারা দুষ্টুমি করলেই দেখতে ভালো লাগে দাদা। মোবাইল টা কিছু হয়নি এটাই আপনার বাঁচোয়া। তবে কিছু বছর পর এইগুলোই ক্যামেরাবন্দী স্মৃতি হয়ে থাকবে।দেখবেন কতটা আবেগী হয়ে উঠবে মন এগুলো দেখলে।ভাববেন, "কত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেলো!"
মন্দ বলেন নি , এই জন্যই চেষ্টা করছি মুহূর্ত গুলোকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার জন্য।
আচ্ছা শুভ ভাই একটা কথা বলেন তো,, আপনি কি কোন কারণে খুব চিন্তিত? অথবা অসুস্থ? কেন যেন মনে হচ্ছে আপনি দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছেন। নিজের খেয়াল রাখবেন ভাই। আর আপনাদের শহরে এত এত রেস্তোরাঁ হয়ে যাচ্ছে এটা ভেবেই তো আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আগে কিছু হলেই সবাই বগুড়ার দিকে ছুটে আসতো, এখন তো আমূল পরিবর্তন। ভালো লাগলো রেস্তোরার পরিবেশটা আর খাবার দাবার গুলো। সত্যি বলতে ভীষণ লোভ হলো ভাই।
সত্যি বলতে কি ঠিকঠাক মতো ঘুম হয় না রে , তার উপর ক্রমাগত কাজের চাপ বেড়েই যাচ্ছে যার কারণে এই অবস্থা ।
বাচ্চাদের দুষ্টুমি গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন দুষ্টুমি করে ফেলে যেগুলো মেনে নিতেও কষ্ট হয়। যাই হোক শেষ পর্যন্ত মোবাইলটা রক্ষা পেয়েছে এটাই অনেক বড় কিছু। ইন্ডিয়ান খাবারগুলো কখনো খাওয়া হয়নি। তবে মনে হচ্ছে বেশ ভালই লাগবে খেতে। তারা তাদের রেস্টুরেন্টকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য এবং প্রচার করার জন্য হয়তো একটির সাথে একটি ফ্রি অফার দিয়েছে। আসলে যারা সেখানে একবার খাবে তারা বারবার খেতে যাবে। আইডিয়াটা বেশ ভাল ছিল। আশা করছি পরবর্তীতে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারবো এবং খাবারের মান সম্পর্কে জানতে পারবো। অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপু , তবে শায়ান যতো বড় হচ্ছে ওর দুষ্টামি দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।
ছুটির দিনে পরিবার সাথে নিয়ে সত্যিই অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে বিকেলবেলায় বেশি ভিড় ছিল যার কারণে আপনারা সন্ধ্যাবেলা গিয়েছেন এবং সন্ধ্যা বেলা খুবই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দুই তিন ঘন্টা সেখানে ছিলেন, খুবই আনন্দময় মুহূর্ত। খাবার গুলো বেশ মজার ছিল।
ভালোই তো একটার সঙ্গে একটা ফ্রি। এই অফার ছুটির দিনে কাস্টমার সংগ্রহ করার ভালো বুদ্ধি। যদিও শুক্রবার সব রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড় থাকে। হঠাৎ আপনার দুই বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে ভালোই হয়েছে। তা না হলে এত খাবার তো শেষ করতে পারতেন না। আর সায়ান বাবু তো মাত্র বড় হচ্ছে। দুষ্টামি কি বুঝতে শিখছে। সবে তো শুরু ভাইয়া। সামনে দেইখেন কি করে। আমার তো দুইটা। যাক অল্পের জন্য মোবাইল তা রক্ষা পেয়েছে। তা না হলে তো বিপদে পড়ে যেতেন।
বাই ওয়ান গেট ওয়ান এখানে হরহামেশাই চলে।তবে অফারের খাবার মজা কম হয়,আপনাদের গুলো দেখে তো বেশ ভালোই মনে হলো।
আহ! ভাই জীবনটাই পুরো ফ্রিময় হয়ে যাচ্ছে, কেন যে মানুষ খালি খাবারগুলোর মাঝে ফ্রি ফ্রি করে কিন্তু জিএফ কিংবা প্রেমিকার ক্ষেত্রে ফ্রি বলতে কিছু কেন যে পাওয়া যায় না সেটা বুঝি না, হা হা হা হা মজা করলাম একটু।
তবে হ্যা, রেষ্টুরেন্টগুলো প্রমোট কিংবা মার্কেটিং ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই ফ্রি দেয়ার কৌশলে। খাবারটা দেখে সত্যি লোভনীয় মনে হচ্ছে। বাচ্চারা কিন্তু এই রকমই যখন তখন দুষ্টুমি শুরু করে দেয়। ধন্যবাদ