যাত্রা শুভ হোক || @shy-fox 10% beneficiary
ব্যাংক থেকে কোনরকম কাজ সেরে তাড়াতাড়ি বের হয়েই, গন্তব্য আমার চেম্বারের উদ্দেশ্যে । যেহেতু আজ শেষ কর্মদিবস , তাই অনেক কিছুই মেইনটেইন করতে হবে । যেমন দরজার সামনে একটা নোটিশ লাগিয়ে দিতে হবে, যে আগামী সাতদিন চেম্বার বন্ধ থাকবে । আর সিরিয়ালের যে রুগী গুলো আছে, তাদের সঙ্গে একটু কাউন্সেলিং করতে হবে । কারণ দীর্ঘ সাত দিন আমি চেম্বারে আসবো না । যাইহোক যখনই আমি চারমাথায় এসেছি, দেখছি এক রিপোর্টার চেষ্টা করছে ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার জন্য ।
এই শহরেই যেহেতু থাকি, কমবেশি সব পেশার লোকজনের সঙ্গেই হালকা আমার উঠাবসা আছে । অনেকেই তো আমার চেম্বারে আসা যাওয়া করে হয়তো এই জন্যই সবার সঙ্গে কমবেশি সম্পর্কটা একটু বন্ধুত্বপূর্ণ । এমনিতেই যে গরম তার ভিতরে এই চারমাথায় দাঁড়িয়ে থেকে পথযাত্রী ও রাস্তার যানবাহনের গতিবিধি সে ভিডিও করছে । অনেকটা বলতে পারেন জীবিকার জন্য । কারণ তাকে নিউজ দিতে হবে ঈদযাত্রা নিয়ে ।
আজ শেষ কর্মদিবস সবারই ছুটি । কয়েকটা দিন সবাই নাড়ির টানে বাড়ির পানে ফিরবে । যে যেভাবে পারছে , সে সেভাবেই নিজের গন্তব্যে চলে যাচ্ছে । সেই বাস-ট্রেনের ছাদ থেকে শুরু করে, লঞ্চের-ট্রাকের উপর সব জায়গায় দেখি শুধু গাদাগাদি মানুষ । লোকজন অনেকটা দিশেহারা হয়ে গিয়েছে । উৎসব আনন্দে বাড়ি ফিরতেই হবে, এটাই মুখ্য কথা ।
জানিনা সাংবাদিক ভাই কি ফুটেজ ধরছে । তার মাথায় কি চিন্তা খেলছে, তা আমার জানা নেই । হয়তো তার এই রিপোর্ট দেখে কিছু মানুষ হা হুতাশ করবে । হায় হায় করে কিছু মানুষ টিভির সামনে বসে রিমোট চেপে বলবে , এইভাবে এদের বাড়ি যাওয়া লাগবে কেন । মানুষগুলোর শিক্ষা দীক্ষা সব জলে ভেসে গিয়েছে ।
আপনি যতই সমালোচনা করুন না কেন । যতই মন্তব্য দিন না কেন, বাঙালি উৎসব প্রেমী জাতি । তাই তারা বাড়ি ফিরবে , এটাই হচ্ছে মুর্দা কথা । হয়তো উৎসবের আনন্দে তাদের এই তিক্ত যাত্রাপথের বিরম্বনার কথা ভুলে যাবে যখন তারা তাদের নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছে যাবে ঠিক সেই সময়ে।
উৎসবের আনন্দে ছুটে যাচ্ছে বাড়ির উদ্দেশ্যে এই প্রধান কথা , তাদের আপনার সমালোচনা শোনার সময় কই । উৎসবে এইভাবে ঝুঁকি নিয়ে যেতে অনেকের প্রাণহানিও হতে হয়ে যেতে পারে । হয়তো অনেকে দীর্ঘ যাত্রার পরে পৌঁছে যেতে পারে তাদের সঠিক গন্তব্যে । হয়তো কারো যাত্রাপথেই উৎসবের অর্ধেক আনন্দই শেষ হয়ে যাবে, কারণ ছুটি অল্পদিনের । তবুও মানুষগুলো ঘরে ফিরতে চায় । কারণ বহু চেনামুখ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।
আজ আমার হাতে সময় খুব কম । সাংবাদিক ভাইকে বলেই ফেললাম, কি খবর কি হচ্ছে । একগাল হেসে ভাই বলেই ফেলল, ছোটাছুটি দেখছি । যে যেদিকে পারছে যেভাবে পারছে সেভাবেই ছুটে চলেছে , গন্তব্য তাদের বাড়িতে । উৎসব তাদের করতেই হবে ।
তবে এতকিছুর পরেও মাঝে মাঝে আমার চিন্তা হয় । এই যে প্রতিবার উৎসবের সময় যাত্রা পথেই কত রকম ঝুট-ঝামেলার শিকার হতে হয় এই উৎসব প্রেমী মানুষদের । এসব থেকে কি তাদের পরিত্রাণের কোন উপায় নেই । যদি তাদের যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন হতো, সঠিকভাবে সঠিক সময়ে যদি তাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া যেত , তাহলে হয়তো ভালো হতো ।
উৎসবের সময় আসলেই রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে যায় । প্রচুর জ্যাম লেগে থাকে প্রতিনিয়ত । অনেকটা ঘন্টার পর ঘন্টা, অনেকটা বিরক্তিকর অবস্থা ,কেউ এটা সহ্য করতে পারে কেউবা এটা নিতে পারে না । তবে যত যাই বলুন না কেন, এই সমস্যার সমাধান কোথায় সেটাই আমি খুঁজে পাই না । কোথায় গেলে সমাধান খুঁজে পাব, সেটাও আপাতত জানিনা । তবে এই ঘরমুখো মানুষ গুলোর, ঈদযাত্রা শুভহোক এই কামনাই করি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
প্রথমেই ভাইয়া আপনাকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আশা করি সব কাজ এতোক্ষন এ শেষ করে বাসায় চলে গেছেন। তবে এ ঈদ যাত্রায় অনেকই নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরছে যানজট উপেক্ষা করে। ছুটি অল্পদিনের হলেও ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগ করে নেয়াই তাদের লক্ষ্য। আপনার মতো আমিও বলতে চাই তাদের ঈদ যাত্রা শোভ হোক।
ইদের শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
এই কাজটি যখন আমরা সঠিকভাবে করতে পারবে তখন আমরা উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখাব। উৎসব প্রিয় এই জাতি হাজারো বিরম্বনা সহ্য করে হলেও শেকড়ের সন্ধানে পরিবারের কাছে ফিরে যাবে এটাই স্বাভাবিক। শত কর্ম ব্যস্ততার ভিড়ে নিজের জন্য সাত দিনের ছুটি করে নিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ঈদ আনন্দময় হোক এই প্রত্যাশা রইল। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন
আমার কাছেও ঠিক এমনটাই মনেহয় ভাই । কবে যে সড়ক গুলো জ্যামমুক্ত হবে উৎসবের সময়, এমনটাই ভাবি মাঝে মাঝে ।
নোটিশ দেয়ার ফলে আপনার যেমন সময়
অপচয় হবে না তেমনি অন্যদের । মানুষও হয়রানি হবে না আপনিও থাকবেন ঝামেলা মুক্ত। নির্দিষ্ট সাতদিন পর রোগীরা তখন থেকেই কড়া নাড়বে, এতদিন থাকবে আপনার অপেক্ষায়। ঈদের সময় ঘোরাফেরা মানুষের কথা সাংবাদিকরা প্রচার করতে চায়, কিন্তু মানুষের মাথায় তখন বাড়ি ফেরার তুমুল চিন্তা। তখন সাংবাদিকদের সাথে তাদের কথা বলার অবকাশ থাকে না এটাই স্বাভাবিক । ঘরে ফেরা মানুষগুলো আনন্দে কর্মস্থলে ফিরে আসুক এই শুভ কামনা করি।
মানুষ উৎসবে বাড়ি ফিরবে আবার কর্মস্থলে ফিরবে এমনটাই তো স্বাভাবিক। তবে যাত্রাপথের বিরম্বনা যেন না হয় তেমনটাই ভাবছিলাম।
ভাই ঘেমে দেখি একাকাকার অবস্থা আপনার😁।
আসলে বছরে দুইটা প্রধান উৎসব সেগুলোও যদি পরিবারের সাথে কাটানো না যায় তাহলে একটা কেমন হয়ে যায় না😁।সেদিন একটা রিপোর্ট এ দেখলাম এখন পর্যন্ত 73 লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে এবং শুধুমাত্র তাদের মোবাইল এর এক্টিভিটিস এর উপর ডিপেন্ড করে এই জরিপ করেছে।যাইহোক এত মানুষের ভিড়ে আপনার যাত্রাও শুভ হোক এই কামনা🖤🙏
ঐ রিপোর্টটা আমিও দেখেছি ভাই , কর্মের জন্য যেমন জনজীবন অস্থির তেমনটা ছুটিতে বাড়ি ফেরা নিয়েও কিন্তু অস্থিরতার শেষ নেই ।
কবে যে সড়ক গুলো নিরাপদ সড়কে পরিণত হবে ,তেমনটাই মাঝে মাঝেই ভাবি ।
ঠিকই বলেছেন ভাই।বাঙ্গালীরা উৎসব প্রিয় জাতী। কোন উৎসব আসলেই ঘরে ফিরবে এটাই স্বাভাবিক। যার ফলে তীব্র জ্যামের মধ্যেও লোকজন বাড়ি ফেরা থেকে পিছপা হচ্ছে না। আপনি এত সকালে চেম্বার বন্ধ করে দিলেন। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জাতির মানুষ বাড়ি ফিরবে এতে সমস্যা নেই ,তবে তাদের যাত্রাপথ যেন সমস্যা বিহীন হয় ,এইটা হলে মন্দ হতো না । ভাবছি চেম্বার করা পুরোপুরিই ছেড়ে দিব ।
এটা বেশ ভালো উদ্যোগ ছিল। আমি মনে করি সঠিক ডিসিশন নিয়েছেন নোটিশ দেওয়াটা।প্রতিটা মানুষের জীবন আলাদা। কোন কাজে লজ্জা নাই এভাবেই সে হয়ত তার জীবিকার জন্য লড়ে যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। আপনি ঠিকই বলেছেন। সমালোচনা করলেও বাড়ি ফিরবে। না করলেও বাড়িতে ফিরবে।আসলে বাড়ি ফেরার প্রতি ভালোবাসা তাদেরই আছে যারা পরিবার ছেড়ে শহর অঞ্চলে বসবাস করে।সাংবাদিকদের অনেক সময় জীবনের হুমকিও দেওয়া হয়। দেখি অনেক সাংবাদিক কে মেরে ফেলা হয়। আসলে তাদের জীবনটা অনেক কষ্টের মধ্যে যায়।আপনি তো দেখছি গরমে একদম শেষ। আসলে একটা জিনিস আমার মাথায় ঢোকে না শহর অঞ্চলে সবকিছু ভালো কিন্তু এই যে জ্যাম একদমই ভালো লাগেনা🥺🥀
লজ্জার কিছুই নেই ,শুধুমাত্র ভাবি সড়ক গুলো কবে যে উৎসবের সময় জ্যামমুক্ত হবে ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন যে যেভাবে পারছে নিজের গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আসলে ঈদের সময় ভিড় একটু বেশি লেগে থাকে। তাই সবাই যে যার মতো করে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আসলে প্রিয় মানুষ গুলো অপেক্ষায় থাকে তাদের জন্য। তাই প্রিয় মানুষদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিজের ঈদযাত্রা সম্পন্ন করে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাস্তব চিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। সেই সাথে আপনার জন্য অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা রইলো "ঈদ মোবারক" ভাইয়া। ❣️❣️
আগে জীবন, তারপরে নিরাপদে গন্তব্যে ফেরা নিশ্চিত হলেই মনেহয় ভালই হতো ।
রাস্তার জ্যামের কথা আর বলবেন না ভাইয়া। উত্তরবঙ্গের একটাই রুট হয়ে এই সমস্যায় খুব বেশি ভুগতে হয়। ঢাকা থেকে যাওয়া আসা করা খুবই কষ্টকর। তার মাঝে বাস ট্রেন এর টিকিট ব্লাক হওয়া তো আছেই। তবে চার লেনের রাস্তাটা সম্পূর্ণভাবে তৈরী হয়ে গেলে মনে হয় এইসকল উৎসবপ্রেমী মানুষদের একটু সুবিধা হবে। যানজট একটু হলেও কমবে। তাছাড়া রেল লাইন আরেকটা থাকলেও সুবিধা হতো।
আপনার কর্মব্যস্ত জীবন অনেক দ্রুত সমাধান হোক। ইদের অনাবিল আনন্দে ভরে যাক আপনার পরিবার। ইদ মুবারক ভাইয়া। ইদের শুভেচ্ছা নিবেন।
অনেক কিছুই থাকলে আসলেই অনেক সুবিধা হতো , তবে যা আছে তার ভিতর একটু সহজ করে যদি সড়ক গুলো জ্যামমুক্ত করা যেত তাহলে মনে হয় মন্দ হতো না ।
শুভ ভাই ঈদের শুভেচ্ছা জানাই প্রথমেই। আর আমরা বাঙালিরা সত্যিই উৎসব প্রিয় জাতি। নাড়ির টানে বাড়ি আসতেই হবে আমাদের। এই ব্যস্ততম সময়ে গাড়িঘোড়ার চাপ এত বেশি থাকে সবচে বেশি দুর্ঘটনা এই সময় গুলোতেই হয়ে থাকে। তাই নিরাপদে সবাই যেন তার প্রিয় মানুষ গুলোর কাছে ফিরতে পারে এই প্রার্থনা সবসময়ই থাকবে।
কবে যে সড়ক গুলো নিরাপদ সড়কে পরিণত হবে ,মাঝে মাঝেই তেমনটাই চিন্তা হয় ।