পুরনো ছবি
গত কয়দিন থেকে যে গরম পড়েছে তাতে একদম অবস্থা খুবই নাজেহাল। বলা যায় অনেকটা অভিশপ্ত সময় মনে হয় পার করছি। প্রতিনিয়ত ফ্যান ঘুরছে তবে বাতাসটা থেকেও যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। ঠিকঠাক মতো রাতেও ঘুমাইতে পারছি না। রাত-দিন সমান করে একই রকম গরম আর তার সঙ্গে তো লোডশেডিং আছেই।
বিদ্যুৎ মূলত এখন আর থাকে না, মাঝে মাঝে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য টুকটাক আসে কিছুক্ষণ থাকে আবার চলে যায়। পৃথিবীর প্রতিনিয়ত তাপমাত্রা বেড়েই যাচ্ছে, এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কিন্তু আমার আপনার সকলের জানা। তেমন কিছুই করতে হবে না। শুধু পৃথিবীটাকে আবারও সবুজ বানাতে হবে। তাই বৃক্ষরোপণ খুবই জরুরী ।
ফোন গ্যালারিতে জমে থাকা পুরনো কিছু ছবি নিয়ে, আজ নিজের ব্যক্তিগত মতামত আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরছি। প্রথম যে দুটো শোপিস দেখতে পাচ্ছেন একটা হচ্ছে বিমানের আর আরেকটা হচ্ছে লুডুর গুটির। মূলত এই ছবি দুটো তুলেছিলাম, যখন ভিসা করার জন্য প্রতিনিয়ত ভিসা সেন্টারগুলোতে যাতায়াত করছিলাম সেই সময়। যাইহোক একটা সময় তো ভিসার ফরম পূরণ করলাম ভিসাও পেয়ে গেলাম, তবে পরবর্তীতে যেখানে যাওয়ার জন্য ভিসা করেছিলাম, সেখানে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
কোন এক শীতের সকালে যখন দূর্বা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটছিলাম তখনই জমাট বাঁধা শিশির কণা দেখেছিলাম ঘাসের উপর। দেখতে ভালোই লাগছিল। সেসময় তুলে রেখেছিলাম ছবিটা।
এবার যখন গ্রামে গিয়েছিলাম তখন এই দুটো ছবি তুলেছিলাম। প্রথম ছবিটা সম্পর্কে আমার তেমন কিছু মনে নেই, তবে এতটুকু বলতে পারি ছোটবেলায় ঐ সাদা ছোট ছোট ফুলগুলো টেনে টেনে তুলে মুখে দিচ্ছিলাম, শুনতাম এখানে নাকি মধু থাকতো। দ্বিতীয় ছবিটা তো দেখতেই পাচ্ছেন তরতাজা কাঁচা আম গাছে ঝুলে আছে, এই আমটা কাঁচাতেই খেতে বেশ মজা। বিশেষ করে একটু লবণ ঝাল দিয়ে এই আম কেটে খেতে ভালই লাগে।
এই গরমে প্রতিনিয়ত পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, আমি আপাতত এই ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকটি পান করে থাকছি। দামটাও সাধ্যের নাগালে আর কার্যকারিতা এটার প্যাকেটের উপরেই লেখা আছে। আমার কাছে এই ড্রিংকটা খেতে বেশ ভালই লাগে এবং ক্লান্তিও দূর হয়ে যায়।
এইতো রমজান মাস কিছুদিন আগেই চলে গেল। পাশের ফ্ল্যাটে যে ভদ্রলোক থাকে, সে তো এক সন্ধ্যায় ইফতার পাঠিয়ে দিয়েছিল। যদিও তেমন আহামরি কিছু না, তবে আমি মনেকরি এই শহুরে জীবনে সৌজন্যতার খাতিরে অচেনা-অজানা এক মানুষকে আরেকজন মানুষ খেতে দিয়েছে, এটাই তো অনেক কিছু।
মাটির হারিকেনের শোপিসটাও আমার বেশ ভালো লেগেছিল। কিছুদিন আগে একটা রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যাবেলা খেতে গিয়ে ছিলাম, সেই সময় আলোকসজ্জার সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ মূলত এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল।
পুরনো ছবিগুলো আসলেই কিছু স্মৃতি বহন করে। যেমন আজ কতগুলো কথা বলে ফেললাম পুরনো ছবিগুলো নিয়ে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1664225743730278400?t=8NoHf216-rHMcM72scJgRQ&s=19
অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম এই গরম আর লোডশেডিং এর জ্বালায়। মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে কিন্তু মনে হচ্ছে আগুন ঝরছে। আর এই এত গরমের মধ্যে বেশ কিছু পুরানো ফটোগ্রাফি দেখে একটু মনটা নড়ে বসতে চাইলো। বিশেষ করে হারিকেন টার দিকে চোখে টা বার বার ফিরে যাচিছলো। অসাধারন হয়েছে ভাইয়া।
এটা সত্য হারিকেনের ফটোটা আসলেই বেশ ভালো ছিল, ফটোটা আমার নিজেরও অনেকটা বেশ পছন্দের।
বাহ আপনি তো দুর্দান্ত ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বিমানের শোপিস এবং লুডু খেলার শোপিস গুলো অসাধারণ ছিল। তবে শুনে অনেক খারাপ লাগলো আপনি ভিসা তৈরি করলেন ভিসা ও পেয়ে গেলেন কিন্তু যাওয়া হলো না। কারণটা জানি না কিন্তু আফসোস হচ্ছে কেন যাওয়া হলো না। আসলে জীবনের গতি নীতি কখন কি রকম হয় সেটা বলা খুব মুশকিল। গরমের তাপমাত্রা থেকে পরিত্রাণের খুব সুন্দর একটি উপায় দেখায় দিলেন আপনি ভালো লাগলো।
পৃথিবীটা এমনই আপু, কখন কার গন্তব্যের পরিবর্তন হয়ে যায় তা তো বলা যায় না। হয়তো আমার গন্তব্যটাও পরিবর্তন হয়েছিল, তাই যেখানে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে যাওয়া হয়নি । ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে, মন্তব্য করার জন্য।