কৃতজ্ঞতা প্রকাশ || @shy-fox 10% beneficiary
আসেন একটা অতীত জানাই । এই অতীত জানতে হলে, এখন থেকে দুই বছরের কাছাকাছি সময়ের আগের দিকে যেতে হবে । আমার মোটামুটি সেই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে একটু ভিন্নভাবে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে । কারণ আমি মূলত চেষ্টা করি সহজ সরল সাবলীল ভাবে সব কথাগুলো তুলে ধরার জন্য । তবে এত কিছুর পরেও , কিছু কথা হয়তো লুকিয়ে থাকে বা বলাই হয় না । আজ হয়তো কিছুটা বলে হালকা হবো ।
বছর দুয়েক আগে যখন আমি বাড়ি থেকে হুট করেই বের হয়ে গিয়েছিলাম । তখন আমার এই শহরে থাকার জায়গা ছিল না । বেশ রাগের মাথাতেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম । বউ নিয়ে কত জায়গায় ঘুরেছি , শুধু একটা মাথা গোজানোর ঠাঁইয়ের জন্য । আমি মনেকরি, যদিও সেই সময়টা আমি রাগ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তবে আমি মনেকরি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আমার জন্য, খুবই জরুরী ছিল । হয়তো জীবনটাকে আজকে যেভাবে চিনতে পারছি হয়তো সেই দিন যদি রাগ করে এমন সিদ্ধান্ত না নিতাম,তাহলে আজ হয়তো জীবনটাকে এইভাবে নাও চিনতে পারতাম না ।
যেহেতু লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম । তাই চেষ্টা করছিলাম নিজের একটা পরিপক্ক অবস্থান তৈরি করার জন্য । যদিও একটা ছত্রসঙ্গে সেই সময়ে জড়িয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু হুট করে ঐ সঙ্গটা আমাকে তার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে, সে নিজেই একটা সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় । তারপরে আবারো বেশ কিছুটা দিন দুর্বিষহ সময় কাটালাম । তারপর থেকে আর থেমে থাকতে হয়নি । অনেকটা ম্যাজিকের মতো সবকিছু হয়ে গেল আর প্রতিনিয়ত হচ্ছেই ।
একটা অদৃশ্য ছায়া, একটা অদৃশ্য হাত, মাথার উপর এসে হাত নাড়াতে শুরু করলো আর বলল, শক্ত হয়ে দাঁড়াতে শেখো । তোমার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা থেকে তুমি শিক্ষা নাও এবং এখনই সময় নিজেকে পরিবর্তন করার । নিজের জায়গা থেকে, নিজেকে দাঁড়াতে হবে , নিজের মতো করে । ঐ যে খপ করে হাতটা ধরে ফেললাম আর ছেড়ে দেই নি । ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাও নেই । হাতটা মাথার উপর থাকুক ছায়া হয়ে । অনেকটা ছাদের মতো করে । সেই ছাদের নিচে আমি সীমান্তের অত্যন্ত প্রহরীর মত নিজেকে নিয়োজিত করেছি ।
আমি জানি আমার অতীতটা কেমন ছিল, সেটা নিয়ে আর বলতে চাই না । তবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কে আরও সুন্দর ও সুখকর করার জন্য, আজ আমি যা করছি সবকিছুর পিছনেই কিন্তু সেই অদৃশ্য হাতের পরশ ছিল । সেই পরশ আমি এখনো পাচ্ছি, আশা করি ভবিষ্যতেও সেই হাতকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চাই ।
এতগুলো কথা বলার পিছনে, অনেক বড় ব্যাখ্যা আছে । যা আসলে লিখে বা বলে কখনো শেষ করা যাবে না । এটা শুধু একান্তই আবেগপ্রবণ ব্যাপার । গত বছর এই সময়টাতে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী হসপিটালে ছিল । কি যে পরিমাণ মানসিক চিন্তার ভিতরে ছিলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না । সাত দিনে পঞ্চাশ হাজার টাকার মত খরচ হয়ে গিয়েছিল । যেহেতু প্রাইভেট হসপিটাল ছিল আর সবরকম বাড়তি সুযোগ সুবিধা আমি নিয়েছিলাম হসপিটালে , তাই কিছুটা খরচার পরিমাণ বেড়ে ছিল । কারণ আমি চাচ্ছিলাম সবকিছু স্বাভাবিকে হোক ও টাকা যতোই লাগুক না কেন, তবে যেন যত্নের কোন ত্রুটি না হয় ।
হুট করে কতগুলো টাকা যে হাতে চলে আসলো,তা বলে বোঝাতে পারবো না । টাকার ক্ষুধা আমার দিন দিন দূর হয়ে যেতে লাগলো । মুহূর্তেই আমার দুহাত ভর্তি টাকা চলে আসলো কিছু বুঝে উঠার আগেই । ঐ যে টাকা আসা শুরু করল তা চলমান আছে বা থাকবেই এমনটাই আশা করি ।
অপারেশন থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে ভীষণ মানসিক চিন্তার ভেতরে পড়ে গিয়েছিলাম । বারবার মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর মেসেজ গুলো দেখছিলাম । শুভাকাঙ্ক্ষীরা বারবার মেসেজ পাঠাচ্ছিল । বিশেষ করে সেই অদৃশ্য মানুষ বারবার বলছিল ধৈর্য্য ধরুণ, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে । নতুন একটা কান্নার আওয়াজ । বাবা হয়ে গেলাম আমি । ছেলে ও ছেলের মা দুজনেই ভালো ছিল । সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল । এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক আছে , কোন অসুবিধা হয়নি । আশাকরি বাকি সময়েও যেন আমাদের কোনো অসুবিধা না হয় , তেমনটাই আশীর্বাদ করবেন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ।
আজ সেই পুরনো কথাগুলো নতুন করে কেন লিখলাম জানেন । আমি বড় অধম , আমি চাই একটু হলেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার জন্য । যদিও এমন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার সুযোগ বারবার আসেনা । তারপরেও যদি এসেই যায় , তাহলে আমি হাতছাড়া করতে চাই না । নিজের মতো করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভালই লাগে ।
দেখতে দেখতে আমার ছেলের একটা বছর পূর্ণ হয়ে গেল । অদৃশ্য মানুষগুলো এখনো পাশেই আছে ছায়া হয়ে বরং আরো গভীরভাবে জড়িয়ে গিয়েছে জীবনের সঙ্গে । তাদেরকে ছাড়া তো আজকাল আমি আর চলতেই পারি না ।
আজ বাবুর এক বছর পূর্ণ হল । সময় কত দ্রুত চলে যায়, ভাবতেই অবাক লাগে । যাইহোক এই সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো আমি পরে শেয়ার করব । তবে আপাতত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেন ।
সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমার জীবনের সবকিছুর আমূল পরিবর্তনে, যে দুটো মানুষের প্রধান অবদান , তারা হচ্ছে সেই অদৃশ্য ছায়া মানে বড় দাদা ও ছোট দাদা । যাদের ঋণ আমি কোনভাবেই শোধ করতে পারবো না । আমি সত্যিই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ ।
সর্বোপরি কৃতজ্ঞ আমি , আমার বাংলা ব্লগের কাছে । আমি গর্বিত আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হয়ে এই ছায়াতলে আসতে পেরে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি বলতে কিছু মানুষকে নিয়ে যত বলবো তত কম হয়ে যাবে ভাই। ভগবান হয়তো ভিন্ন রূপ হয়ে আমাদের কাছে আসেন এভাবে। মাথার উপর এই আস্থার হাত টা যেন সারা জীবন থাকে। এটাই প্রার্থনা।
এমনটাই তো ভাবি আমি মাঝে মাঝে ভাই । এই ছায়া থাকুক সকলের উপর । যথার্থ বলেছেন ভাই ।
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে কখন যে দু চোখের কোণে পানি চলে এসেছে বুঝতেই পারিনি। আমাদের জীবনে ছোট দাদা এবং বড় দাদার মত মানুষ আছে বলেই আমরা ভালো আছি। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে হয়তো অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত করা। দেখতে দেখতে একটি বছর কেটে গেছে। দিনগুলো খুবই অল্প মনে হয়। কিন্তু কতটা ভালোবাসা এবং স্নেহ জড়িয়ে আছে এই দিনগুলোর মাঝে তা শুধু একজন বাবা হিসেবে আপনি কল্পনা করতে পারছেন। যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️
আসলেই আমি এই যাত্রায় ভীষণ সৌভাগ্যবান ভাই । আসলে দুই দাদার ভূমিকা অতুলনীয় ।
আপনার মত আমারও একটি দুর্বিষহ অতীত আছে ভাইয়া যা মনে করলে বুকের ভেতর দুমড়ে মুছরে ওঠে। এই অতীত কখনো ভোলার নয়। তবে কি ভাইয়া আপনার দুর্বিসহ অতীতে আপনার মাথায় যারা পরশের হাত রেখেছে তার জন্য আপনি সত্যিই ভাগ্যবান। যার জন্য হয়তো আজ আপনি এখানে এসে পৌঁছেছেন। আর আপনাদের সান্নিধ্য পেয়ে আজ আমরা সৌভাগ্যবান। ভাইয়া,অনেকে আছে ভালো করে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে জানে না কিন্তু আপনার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের ভাষা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যাইহোক ভাইয়া, শায়ান বাবুর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে যেন দীর্ঘজীবী করেন। ধন্যবাদ
জীবন থেমে থাকে না রে ভাই । জীবন বদলায় তবে জাস্ট একটু সময় লাগে । ভালোবাসা রইল ভাই ।
বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে পৃথিবীতে যতদিন রাখে সুন্দরভাবে জীবন যাপন এবং সব রকম ক্ষতিকার দিক থেকে সেভ রাখেন।
নতুন করে ছোট দাদা এবং বড় দাদার কথার কি বলবো সব সময়ই তারা দুজন আমাদের মাথার উপরে বটের ছায়ায় য়ার মত রয়েছে।
এদের অচিলায় কারো লেখাপড়ার খরচ চলছে কারোর বা দুবেলা খাবার চলছে। যেমন আমার কথাই বলি একসময় ভেবে নিয়েছিলাম লেখাপড়া করা মনে হয় আমার আর হবেই না। আমার বাংলা ব্লগের উসিলা করে লেখাপড়াটা এখন প্রায় শেষের দিকে। যা কিছু হয়েছে সবই দাদার জন্য আসলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করতে পারবো না। যাহোক আমার বাংলা ব্লকের শুরু থেকেই আছি আর আমার বাংলা ব্লগে যতদিন আছি পৃথিবীতে ততদিন কাজ করে যেতে চাই।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই , এমন বট বৃক্ষ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার ভাই ।
❤️❤️❤️
প্রথমেই শায়ান বাবুকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আশাকরি জীবনে অনেক বড় হবে বাবার যোগ্য সন্তান হবে। আপনি সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আপনার মধ্যে একটা জেদ ছিল যে আমাকে করে দেখাতে হবে। সেই অনুসারে এগিয়েছেন এবং দুই দাদা তো ছিলেন আছেন। সত্যি শুধু আপনার না উনারা অনেকেরই অবস্থার পরিবর্তনকারী।।
কোনো ঘটনা থেকেই প্রকৃত শিক্ষা নেওয়া যায় এবং সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়।আর জীবন সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় যেমনটি আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে।যাইহোক সেই দিনের অবসান ঘটেছে আশা করি, ধন্যবাদ আপনাকে। ভাইয়া।
ব্যাপারটি আসলেই বেশ ম্যাজিকের মতো ছিল আমার জীবনে । ধন্যবাদ আপু ।
পড়লাম ভাইয়া, ভাল লাগলো। আমি নিজেও আমার মনের মনোবল আরো কঠিনভাবে ফিরে পেলাম। আত্মবিশ্বাস আর এমন দাদাদের ছায়ায় থাকলে, ভাল কিছু না হওয়ার কোন উপায় নেই। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আর ছোট বাবুটাকে "শুভ জন্মদিন"। অনেক ভাল থাকুক, অনেক বড় একজন ভাল মানুষ হয়ে উঠুক এই কামনাই করি।
ভাইয়া আপনার বিপদে যারা আপনার পাশে দাঁড়িয়েছে তারাই প্রকৃত বন্ধু। ছোট দাদা এবং বড় দাদা আছে বলেই অনেকেই বিপদের হাত থেকে খুব সহজে রক্ষা পেয়েছে। তাদের মত করে নিঃস্বার্থভাবে হয়তো কেউ কাউকে এতটা উজাড় করে দেয় না। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জীবনে চলার পথ কখনোই সহজ হয় না। কখনো মসৃণ কখনো বা কাটাযুক্ত পথে হাঁটতে হয় আমাদের। তবে সকল প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে তারাই প্রকৃত যোদ্ধা। আপনার জীবনের গল্পটি পড়ে আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরও অনেক বেড়ে গেলো। ছোট দাদা আর বড় দাদার প্রতি আমরা সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ। তাদের মত ভাল মানুষ আছে বলেই পৃথিবীটা এখনো টিকে আছে।
শায়ান বাবুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সৃষ্টিকর্তা বাবুকে দীর্ঘ হায়াত দান করুন। বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। অনেক ভালোবাসা রইলো।
এমনটাই তো আমিও মনেকরি আপু । দিনশেষে ভালো মানুষের পাশে থাকতে পারাও অনেকটাই ভাগ্যের ব্যাপার।
ভাইয়া আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং আপনার লেখাগুলো পড়ে মনের অজান্তেই কখন যেন চোখ দিয়ে জল পড়ে গেল খেয়ালিই করতে পারিনি। ভাইয়া আপনার ফেয়ার ডেলিভারি গুলো সব সময় জেনুইন। তাই আপনাকে এত ভালবাসি। 💓💓💓