ফিরে আসুক সময়গুলো || @shy-fox 10% beneficiary
সময় গুলো এত দ্রুত চলে গেল, তা বুঝতেই পারলাম না। এইতো কয়দিন আগেই, যখন টানা বৃষ্টি হচ্ছিল । তখন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে যেন থইথই করছিল চতুর্পাশে। এলাকায় পানি জমে থাকার মতো তেমন কোনো জায়গা নেই ।তবে এলাকার পাশ দিয়ে ,ছোট্ট একটা খাল চলে গিয়েছে ।আর সেখানেই মূলত পানিগুলো গিয়ে জমা হয়। আর সেখানে বৃষ্টির পানি জমা হওয়ার কারণে, একদম মোটামুটি কানায় কানায় সবকিছু ভরে যায়।
আসলে পানিগুলো সব জায়গায় জমে থাকে তেমনটা কিন্তু না। কারন সবার বাড়িঘর যেহেতু উচু, তাই পানি মূলত পতিত জমিতে গিয়ে পড়ে এবং সেখান দিয়েই খালে চলে যায় এবং যখন খাল ভরে যায়, তখন সেই পানিগুলো মূলত জমির ভিতরে চলে আসে।
এই গ্রামের মানুষের মূলত অলস সময় নেই বললেই চলে। কারন তারা মূলত কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং যার কারণে এই সময়টা তাদের কাছে মূলত আর একটা আনন্দঘন সময় হয়ে থাকে। কারণ এই সময় তাদের খুব বেশি কিছু করতে হয় না মাছ ধরার জন্য । মূলত জমিতেই খালের পানি চলে আসে আর সেখানেই তারা মোটামুটি ভালো মাছ ধরতে পায় ।
রহমত ভাইয়ের অর্থনৈতিক সমস্যা প্রতিনিয়ত লেগেই আছে। তার মধ্যে তার মেয়ের দাঁত ব্যথা করছে, কয়েকদিন থেকে। সে আমার চেম্বারে এসে ছিল গত কয়েকদিন আগে ।আমি চেষ্টা করেছিলাম তার মেয়েকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য কিন্তু বিনিময়ে আমি পয়সা নেইনি কিন্তু সে যখন আমার বাড়িতে গতকাল সকাল বেলা ছোট দেশীয় মাছ গুলো দিয়ে গিয়েছিল এবং বলল ভাই,মেয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছে । তখন সেটা আমার কাছে অনেকটা সার্থকতা মনে হচ্ছিল ।
যদিও আমি এমনটা আশা করিনি। তবে হুট করে যখন মানুষের কাছে এই রকম একটা ভালো লাগা মূলক মন্তব্য পাওয়া যায় এবং গিফট পাওয়া যায়, তখন ভালোই লাগে ।যাইহোক আমার কাছে ভালই লাগছিল মাছগুলো পেয়ে ।কারণে দেশীয় মাছ গুলো খেতে মোটামুটি ভালই লাগে এবং অনেক সুস্বাদু । আমি কৃতজ্ঞ রহমত ভাইয়ের প্রতি ।
সেদিন যখন গ্রামের রাস্তা দিয়ে আসছিলাম শহরের চেম্বারের দিকে । তখন দেখলাম রহমত ভাইয়ের জাল খানা জমির পাশে পড়ে আছে । আমি বুঝতে পারলাম যে , রহমত ভাই এই জায়গাতেই মাছ ধরে। ভালো থাকুক রহমত ভাই এবং এই সময়গুলো আবারো তাদের ফেরত আসুক, এই কামনা করি। কারণ এই সময় গুলো ফেরত আসলেই, আমি আবারও দেশি মাছ খেতে পারব।
ছবি গুলো দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি যে কতটা ভালো মনের একজন মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।নিজের শ্রম দিয়েও মানুষের কথা ভেবে পারিশ্রমিক নেননি তাতেই বোঝা যায় আপনি কত বড় মনের মানুষ। সত্যিই ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে।
আর মানুষটির উপহার ও খুব ভালো লেগেছে। আর আপনার ফটোগ্রাফী তো সবসময় সেরা ই।
কোন বিনিময় আশা না করে মানুষ কে সাহায্য করার মাঝে অন্যরকম একটা ভাললাগা কাজ করে। ছবিগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বরাবরের মতো এবারও আপনার উপস্থাপন এবং ফটোগ্রাফি দুটোই অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
ঠিক ই বলেছেন, ছোট ছোট গিফট পেতে খুবই ভালো লাগে, মন খুশি থাকে। শুভকামনা আপনার জন্য ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অসংখ্য নদী খাল বিল বাংলা প্রকৃতির অন্যতম আকর্ষণ। আপনার সেই আকর্ষণ প্রকৃতির ছবি গুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি শুনে এবং প্রকৃতির ছবিগুলি দেখে।বাবুসোনা কেমন আছে ভাইয়া?বাবুসোনার জন্য ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সবাই ভাল আছে ।
বিষ্টির পানিতে খাল ভরে যায় এটা সবাই জানি কিন্তু এত নিখুত ভাবে চিন্তা করি নি কিভাবে পানি খাল পযন্ত যায় ।অনেক সুন্দর লিখেন ভাইয়া ।আপনার বাবু টা কেমন আছেন এখন??
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। বাবু ভালো আছে ভাই ।
সাধুবাদ জানাই আপনার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে।আর চিকিৎসা সেবা একটি মহৎকর্ম। আপনার জন্য এবং রহমত ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মহান কাজের জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রহমত মিয়ার মতো লোক প্রায় প্রতিটা গ্রামেই আছে। উপকারের প্রতিদান দিতে এরা এইরকম কাজ করেই থাকে। তার টাকা পয়সা না থাকলেও হে অন্য কিছু দিয়ে আপনাকে খুশি করতে চেয়েছে। কারণ সে নিজে খুশি।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
বন্দুকের গুলি আর সময় একবার গেলেও আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।ইহাই চরম সত্য কথা।তারপরেও আমরা ভুলতে পারিনা সেইদিনগুলির কথা।সবমিলে পোস্টটি অনেক ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।