ফোনকল || @shy-fox 10% beneficiary
আপনার সঙ্গে আশেপাশের মানুষের আচরণ কেমন হবে বা আপনার বন্ধুদের মনোভাব আপনার উপর কেমন হবে, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার পিছন পকেটে থাকা মানি ব্যাগের উপর । আপনার মানিব্যাগ যত স্বাস্থ্যবান থাকবে, আপনার বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের কাছে আপনি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হবেন ।
আরে ভাই টাকাই সত্য, টাকাই শেষ কথা। এর বাইরে আর একটা কথাও নেই । কিছু কাগজের নোটের জন্যই আজ এত বিপত্তি, দিনশেষে সবার ক্ষুধা ঐ কাগজের নোটের প্রতিই । যদিও ব্যাপারগুলোকে আমি সব সময় স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করি । কারণ যেটা স্বাভাবিক, সেটা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে আমার খুব ভালোই লাগে । আমি আসলে ধাক্কা খেয়েছি, পড়ে গিয়েছি আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি । বলতে পারেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুই পিঠই দেখা , মানুষ আমি ।
এদের সঙ্গে সম্পর্ক আমার বহু আগে থেকেই এবং ক্রমেই থেমে যেত, ক্রমেই জাগ্রত হত, ক্রমেই আবার বহুদিন সবকিছু থেকে বিরত থাকত । কারণ যেদিন পয়সা থাকতো, সেদিন সবগুলোর হুলুস্থুল কাণ্ড হয়ে যেত আর যেদিন পয়সা নেই সেদিন সবাই হাওয়া । ঐ যে বললাম , এইসবে অভ্যস্ত আমি । তাই আর ব্যপারগুলোতে খুব একটা কিছু মনে করি না ।
এ শহর ছেড়ে যখন আমি চলে গিয়েছিলাম । মানে দীর্ঘ দেড় বছর আমি এই শহরের বাইরে ছিলাম। তখন ভুলেও কেউ আমার খোঁজ নেয়নি। আমার দিনকাল কেমন যাচ্ছে, আমি আদৌ বেঁচে আছি কিনা । আমার সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা বা আমি মানুষটা যে ওদের বন্ধুতালিকায় ছিলাম , এটা ওরা ভুলেই গিয়েছিল । কেউ ফোন দিয়েও জানারো চেষ্টা করেনি , আমার কি হয়েছিল । আমার ভিতরে কি চলছিল বা আমি কি পরিস্থিতির ভিতরে আছি । যাইহোক এগুলোতো অতীত কথা, অতীত ভেবে আর কি হবে । তবে আসুন বর্তমানের কিছু গল্প শুনাই ।
আজ ঠিক দেড় বছর পরে, যখন আমি এই শহরে নিজের মতো করে একটা থাকার জায়গা করে নিয়েছি । তখন আমি ইচ্ছা করেই সবাইকে বারবার ফোন দেই। ফোন দিয়ে দিয়ে অতিষ্ঠ করে ফেলি । ইচ্ছাকরেই দেখা করতে বলি ওদের । আয় দেখা করি, পয়সা লাগবে না । যা পয়সা খরচ হয় আমি করবো , তাও দেখা কর । কই তোরা, আমি উঠছি চেম্বার থেকে। তোরা ঐ পুকুরপাড়েই থাকিস , কথা হবে তোদের সাথে । যা কিছু মন চায় , খেয়ে নে ঐ দোকান গুলো থেকে । আমি এসে বিল দেবো ।
বড়লোক ও পয়সাওয়ালা ভাবছেন ,অহংকারী ভাবছেন । আপনার ভাবনাচিন্তা আপনার কাছে, আমার তাতে কোন কিছু যায় আসে না । আমি শুধু মনের খোরাক মিটাচ্ছি । কারণ আমি জানি, এদেরকে আমি আজও পাশে পাবো না, কালও পাশে পাবো না । তাই সস্তায় বিনোদন নিচ্ছি । জাস্ট আমি ওদেরকে না পাওয়ার ব্যাপারটা বুঝাতে চাই। বুঝাতে চাই, হুট করে একটা মানুষ উধাও হয়ে গেলে তার খোঁজখবর নিতে হয়। তাদের প্রতি একটু যত্নশীল হতে হয়। ঠিক এই ব্যাপারটাই ওদেরকে বুঝাইতে চাই ।
যে ক্যাফেটাতে ওরা বসেছিল, সেটার মালিককে আমি আগেই ফোন করে বলে দিছিলাম। ওরা যা খেতে চায়, তাই খেতে দিবেন । বিল চাবেন না , তবে আমি না আসা পর্যন্ত ওদেরকে যেতে দিবেন না । আমি আজকে ইচ্ছা করেই দেরিতে যাব ।আমি জানি, এই দুই ঘন্টায় ওরা ওখানে অনেক কিছুই খেয়ে ফেলবে । ওদের কারো কাছে খুব একটা বেশি পয়সা নেই বা এতো গুলো পয়সা দেওয়ার মানসিকতাও তৈরি হয় নি ।
ব্যাপারটা হচ্ছে এইরকম মনুষত্ব থেকে ওরা অনেকটাই দূরে আছে । আসলে মানুষের মাঝে মাঝে প্রয়োজন ছাড়াও খোঁজখবর নিতে হয় ।আমি আসলে ওদেরকে বুঝাতে চাচ্ছিলাম, আমি যখন বাড়ি ছাড়া হয়ে গিয়েছিলাম । তখন কাছে পয়সা ছিল না কিন্তু ঐ কঠিন সময় গুলোতে যদি আমি বন্ধুত্বের সাপোর্ট পেতাম । তাহলে হয়তো কঠিন সময় গুলো আরো সহজ হয়ে আসতো ।
যাইহোক ক্যাফের মালিককে বলে দিয়েছি, খাওয়া-দাওয়ার পরে ওদেরকে জাস্ট বলবেন , শুভ ভাই আগে আসুক বিল পরিশোধ করুক, তারপরে আপনারা ভাইয়ের সঙ্গে চলে যাইয়েন । পাক্কা দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছি , দুই ঘণ্টায় ওরা মোট বারোশো টাকার মতো খাবার খেয়েছে। যাইহোক বারোশো টাকা বিল দেওয়ার সামর্থ আপাতত ওদের কারো কাছেই নেই বা থাকলেও দিবে না । এটা আমি খুব ভাল মতোই জানি । তবে আমি ইচ্ছা করেই ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছি, আমি দেখতে চাচ্ছি যে ওরা আমার খোঁজ করে কিনা ।
ওদের খাওয়া-দাওয়া শেষ মোটামুটি ৪৫ মিনিটের ভিতরেই । তারপর মোটামুটি ওরা আমাকে ফোন দেয়, আমি দুবার মাঝে ওদের ফোন ধরেছি এবং বলেছি, আসছি । কিন্তু কতক্ষন পরে আসবো সেটা আর বলিনি , ২০ মিনিট যায় ৪০ মিনিট যায়, বারবার ফোন আসে । একটা সময় গিয়ে অনবরত ফোন আসতেই শুরু করে । আমি মোবাইলটা স্ক্রীনটা দেখি আর আকাশের দিকে চেয়ে থেকে হাসি ।
আজ ওরা ওদের নিজেদের প্রয়োজনে , আমাকে যতবার ফোন দিয়েছে। তার থেকেও যদি সিকি ভাগ ফোনকল, এখন থেকে বছর দেড়েক আগে আমাকে একটু দিত এবং আমাকে যদি একটু বলতো দোস্ত সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে , তুই টেনশন নিস না । আমরাও তোর পাশে আছি। মানে এরকম একটু মানসিক সান্তনা দেওয়া মূলক কথাগুলোও যদি সেই সময় ওদের থেকে আমার কানে আসতো । হয়তো আমি এমনটা আজ ওদের সঙ্গে করতাম না ।
বেচারাদের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি কারণ ওরা বারবার ফোনকল করে আমাকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে । যদিও আমি ইচ্ছা করেই ফোনকল ধরিনি । যাইহোক পাক্কা দু'ঘণ্টা পরে, আমি হুট করে রিক্সা থেকে নেমে ক্যাফের ভিতরে ঢুকে গেলাম এবং বললাম সরি রে, হুট করে একটা ইমারজেন্সি রোগী চেম্বারে চলে আসছিল আর অপারেশনে ঢুকে গিয়েছিলাম, যার কারণে ফোন রিসিভ করতে পারিনি । বলে ব্যাপারটাকে খুব শান্ত স্বাভাবিক করে ফেললাম এবং ক্যাফের ওয়েটারকে বললাম যে, আমাকেও একটা চটপটি দাও । আমি একটু চটপটি খেয়ে নিজেকে রিল্যাক্স করি ।
যাইহোক কি অবস্থা সকলের । কেমন আছিস তোরা, আমি একটু দুঃখিত । হয়তো তোরা আমার ব্যাপারটা বুঝতেই পেরেছিস, যে আমি এটা প্রফেশনাল কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। হয়তো সময়টা আরো দুই ঘন্টা আগেই দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু কিছু করার ছিল না। যাইহোক কিছু মনে করিস না , তোদের আর কিছু খাওয়ার লাগলে তোরা খেয়ে নে । তবে আমি আজ তোদেরকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারছিনা । আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। যদিও আমার কোন তাড়াহুড়ো ছিল না । তবে আমি ইচ্ছা করেই, তাদের সামনে ব্যস্ততার ভাব দেখিয়েছি ।
যদিও হয়তো ওরা শেষ পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারেনি বা ওদেরকে বুঝতে দেওয়ার কোন অপশন আমি রাখিনি । তবে প্রয়োজনের সময় প্রতিটা ফোনকল যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ , এটা ওরা আজকে একটু হলেও অনুধাবন করতে পেরেছে। যাইহোক ওদের থেকে আমার কোন কিছু প্রত্যাশা নেই বললেই চলে । তবে ওরা যদি ঠিক বছর দেড়েক আগে সামান্য পরিমাণ সময় আমাকে দিত, তাহলে হয়তো আজ ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারত । তারপরেও তো ওরা আমার বন্ধু মানুষ, সেই সময়ের আচরণ গুলোকে আমি যদিও ভুলতে পারিনি । তবে আজ আর যাই হই না কেন , বিবেকের দিক থেকে আমি এখনো সঠিক ও স্বচ্ছ থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি ।
বি:দ্র:
মানুষের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ , কখন কি হয়ে যাবে । এটা আসলে বলা খুব মুশকিল । তাই বন্ধুই হোক না কেন বা আশেপাশের যেকোন মানুষই হোক না কেন , কারোরই কখনো কোন খারাপ সময়ে তাচ্ছিল্য করতে নেই বা ভুলেও যেতে নেই । পারলে একটু সাপোর্টিভ মেন্টালিটিপূর্ণ আচরণ করতে হয় । কারণ একটু সাপোর্টিভ মেন্টালিটিপূর্ণ আচরণ অন্য একটা বিপদগ্রস্ত মানুষকে, অনেকটাই সহযোগিতা করতে পারে ।।
ধন্যবাদ সকলকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাই আপনার পোস্টটা পুরোটা পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম। আপনি চমৎকার ভাবে গল্পটি সাজিয়েছেন। আমার বন্ধুদের সাথে আপনার কাজটা করা আমি সমর্থন করি। এই গল্পের মাধ্যমে সুসময়ের বন্ধুগুলোকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
সার্থপর বন্ধু থাকার চেয়ে বন্ধু না থাকাই শ্রেয়। শুধু আপনার বন্ধুরা না আমাদের প্রত্যেকের এমন কিছু বন্ধু আছে, যাদের বিপদেত সময় খোঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু সুখের সময়ে তারাই তেল মারতে আসবে।
আসলে মানুষের জীবণ সব সময় এক রকম থাকে না। তাই আমি মনে করি কাউকে কখনো অবহেলা করা উচিত না। আজ এক জনের কাছেই কিছুই নেই তাই বলে সারা জীবন সে ঐ এভাবেই থাকবে এমন না। যাই হোক, আপনার পোস্টগুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে আপনার গল্পগুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুভ ভাই আমি কমিউনিটি তে জয়েন করার পর থেকে মোটামুটি নিয়মিতই আপনার পোস্টগুলো পড়ি। নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আপনি বেশ খোলামেলা। রাখঢাক রাখেননা মনের কথা বলতে। আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে মনে হল, যাদের কথা আপনি বলেছেন এরা কোন দিনই আপনার প্রকৃত বন্ধু ছিল না। নিজের প্রয়োজনে হয়তো আপনার সাথে সময় কাটিয়েছে কিন্তু আপনাকে দিয়ে যখন নিজের কোনো লাভ হবে না বুঝতে পেরেছে তখন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। আমাদের আশেপাশে এ ধরনের বন্ধু বেশি মানুষের সংখ্যাই বেশি। মানিব্যাগে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকলে দুধের মাছির মত এরা আসে আবার খালি হলেই খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যি কারের বন্ধু হলে সবসময় আপনার পাশে থাকতো। তবে এভাবে এদেরকে রিভিল করে দেয়া উচিত হয়নি বলে আমার মনে হয়। I think everybody deserve a second chance
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া, আপনি ঠিক বলেছেন।সবকিছুই এখন টাকারই খেলা।যার যত বেশি টাকা তার তত বেশি মূল্য দিতে চায় মানুষ।তার মধ্যে ও কিছু মনুষ্যত্ব এখনো বেঁচে আছে সেটি সকল মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না।সত্যিই টাকা দিয়ে সাহায্য করতে না পারলে ও বন্ধুদের দেওয়া মানসিক সাপোর্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দুঃসময়ে।ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার এই ব্লগের প্রতিটি লাইন আমি দুইবার করে পড়েছি।কেনো জানেন, কারন হচ্ছে এই যে সু-সময়ের বন্ধু গুলো আছে তাদের জন্য। স্বার্থের পৃথিবীতে আপন কেউ না শুধু নিজের আত্মা ছাড়া। শুভ কামনা এবং দোয়া রইল আপনার জন্য ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। আসলেই বিপদে-আপদে বন্ধুরা পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিপদের সময় আপনার বন্ধুদের পাশে পাননি এবং তাদের থেকে শান্তনামূলক দুটি কোথাও ফোনের মাধ্যমে সেটাও আপনি পাননি। আমার খুবই খারাপ লাগলো বন্ধুরা এতটা নিষ্ঠুর আচরণ করেছে আপনার সাথে। আজকে আপনি খুবই সুন্দর শান্তভাবে তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আসলে তারা হয়তো ব্যাপারটা বুঝতেই পারেননি।কিন্তু প্রয়োজনের সময় ফোন দিয়ে খোঁজ নেওয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আপনি ঠিকই তাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। আপনার বারোশো টাকা বিল তারা করেছে। সেটা দেওয়া তাদের মন মানসিকতা নেই। এটা আপনি খুবই ভালো হবে বুঝতে পেরেছিলেন। আসলে তারা শুধু অন্যেরটা খেয়ে যাবে কখনো নিজে থেকে কিছু করবে না। যাইহোক আপনি বারোশো টাকা বিলের মাধ্যমে তাদেরকে সুন্দরভাবে বিষয়টি উপলব্ধি করিয়ে দিয়েছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে আর এরকম বন্ধু আসলেই না হওয়াটাই ভালো। কারণ বিপদে যাদের পাশে পাওয়া যায় না, সুখের সময় তাদের দিয়ে কি হবে। যাই হোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আজকের পোষ্ট পড়ে আমার খুবই খারাপ লাগল ভাই এবং আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লাম আর আপনার কষ্ট গুলো অনুধাবন করলাম। আর আপনি ঠিক বলেছেন যে স্বার্থ ছাড়া কেউ কিছুই করে না। আর একটা কথা আপনি একদম ঠিক বলেছেন যে পকেটে যদি টাকা না থাকে তাহলে কেউ কেয়ার করে না। এটা আসলে আমি অনেকবারই খেয়াল করে দেখেছি আমার জীবনে এমন কিছু সময় এসেছিল যে সময় গুলো আপনার ওই দেড় বছর আগের সময়ের মতোই ছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি পোস্টে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো হচ্ছে চরম বাস্তবতা। আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষই নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে তারা কখনও চিন্তা করেনা। তবে আমি এ ব্যাপারে অনেক সৌভাগ্যবান। কারন আমি এমন কিছু বন্ধু পেয়েছিলাম যারা আমার খারাপ সময়ে ও আমার পাশে ছিলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলে ভাইয়া কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা সত্যিই বাস্তবতার সাথে মেনে নিতে কষ্ট হয়। কারণ মানুষের জীবনের বাস্তবতা খুবই কঠিন, আর আজকে আপনি আমাদেরকে যে গল্প শোনালেন বন্ধুদের একটা সময়। আমি বুঝতে পারিনি আমার হাজার হাজার বন্ধু ছিল, আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে বলল বন্ধুদের জন্য তুই কিছুই করতে পারবিনা। এমন একটা সময় ছিল আমার শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার, দেখলাম আশেপাশে মরুভূমির মতো সবকিছু। একটা সেকেন্ডের জন্য কোন মানুষকে বন্ধু আত্মীয়স্বজনের ছায়া পর্যন্ত দেখিনি। আজ আমিও আপনার মত মোটামুটি, আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধু মানেই হচ্ছে মানিব্যাগের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে বন্ধু আছে, মানিব্যাগের স্বাস্থ্য খারাপ তো বন্ধু নেই। খুঁজে পাওয়া যেত না সময় নেই খুবই অবাক লাগে। আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো এদের আচার-আচরণ দেখে অনেক সময় অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয়। যখন প্রয়োজন হয় তখন একটা ফোন কেন হাজারটা ফোন আসে।তবে আপনি ওদেরকে দুই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে একটা ফোন কলের কতটা মূল্য। একটু সান্ত্বনা কতটা শান্তির হয়। যাই হোক শেষ পর্যন্ত দুই ঘন্টা পরে এসে ওদেরকে আপনার সার্জিক্যালে'র কথা বলে ম্যানেজ করেছেন এবং কি ওরা বুঝতে পারেনি। তবে এরকম মানুষগুলোকে এরকম কিছু শিক্ষা দেওয়া উচিত, যদিও আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। আমি আগে যেমন ছিলাম এখনো ওভাবেই দেখি, কে কি করল না করল সেটা আমি মাথায় রাখি না। যাইহোক ভাইয়া আপনার এখান থেকে অন্তত একটা জিনিস শিখতে পেরেছি যে কাকে কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়। আর আমাদের সাথে আপনার দুঃখে কষ্টে ভরা মনের ভাব টি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং গভীর ভালোবাসা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অনেক শিক্ষনীয় একটা বিষয় ভাইয়া আপনি তুলে ধরেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে টাকার পেছনে সবাই যার টাকা যত বেশি তার পিছনে ততো বেশি লোক। আপনার মত আমিও এক সময় বন্ধু-বান্ধবদের অনেক সাহায্য করেছে ওদের প্রয়োজনে সবকিছু করেছি কিন্তু এখন তারাই আমাকে চিনে না। তার বাস্তব প্রমান আমি কয়েকদিন আগেই পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটা বিষয় ভালো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।