সবার গল্প এক না ||@shy-fox 10%beneficiary
অন্যান্য দিনের থেকে আজকে যখন এক ঘন্টা আগেই শহরের চেম্বার থেকে বের হয়েছি, তখন মনে হল জীবনের সব আনন্দ মনে হয় এখানেই । মনটা এমনিতেই প্রশান্তিতে ভরে গেল। কারন এই একটা ঘন্টা সময় আমার কাছে আসলেই অনেকটাই আনন্দের, কারণ এই একঘন্টা সময় আগে বাড়িতে যেতে পারব এবং বাবুর সঙ্গে সময় কাটাতে পারব এটাই বা কম কিসের ।
আমি বরাবরই সিএনজির কর্নারে বসার চেষ্টা করি। কারণ প্রচুর পরিমাণে বাতাস সেখানে লাগে, আর এটাই মূলত কর্নার সিটে বসার কারণ। যাইহোক সিএনজি চলছে তার গতিতে এবং মোটামুটি ভালোই বাতাস গায়ে এসে লাগছে ।যাইহোক কল্পনার ভিতরে আছি, কারন একটা ঘন্টা সময় তো আর কম না। আসলে সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পরে, হুট করে যখন বাড়ির পথে ফিরি, তখন আসলে নানান রকম চিন্তা ভাবনা মনের মধ্যে গেঁথে ওঠে আর এমনটা হওয়া ভীষণ স্বাভাবিক ।
এমনিতেই ক্লান্ত শরীর, তার ভিতরে একদম কর্নারে বসেছি। বাহিরের ঠান্ডা বাতাস হু হু করে শরীরে লাগছে, যাইহোক অনেকটা ঘুমঘুম ভাব চলে আসছে । মা, তুমি তোমার দাদীর কাছে থাকতে পারবে তো। এইরকম একটা যখন কথা হট করে কানে চলে এসেছে, তখন শরীরের মধ্যে যেন একটা ঝাঁকি দিয়ে উঠল । আগ্রহ আমার সেই কথার কেন্দ্রবিন্দুতে। বুঝলাম যে, বিষয়টা অন্যভাবে ঘুরছে । কারণ সেই ভদ্রলোক ঢাকা থেকে চলে এসেছে, তার ছোট মেয়েকে নিয়ে । কারণ তাদের কাজে অসুবিধা হয়,মূলত সেই ভদ্রলোক ও তার ওয়াইফ দুজনেই গার্মেন্টসে সল্প বেতনের চাকরি করে। কিন্তু তাদের একটাই বাচ্চা তাকে দেখার লোক নেই । এদিকে বাচ্চাকে দেখতে গেলে ,তাদের কাজ ঠিকমতো হয় না । মূলত কর্মস্থলের কড়াকড়ি নিয়মের কারণেই হয়তো এবং কাজের দায়িত্বের কারণেই বাধ্য হয়ে তার বাচ্চাকে সে গ্রামের বাড়িতে রাখতে এসেছে ।
সবার চিন্তাভাবনা, সবার কল্পনা ও সবার চেতনা যদি এক হতো, তাহলে পৃথিবীটা অনেক আগেই হয়তো পরিবর্তন হয়ে যেত। কারণ পৃথিবীটা একটা কঠিন বাস্তবিকতা জায়গা ,এখানে সবার জীবনের গল্প এক না এবং সবার জীবন-জীবিকা এক না, সবাই বেঁচে আছে তার আপন চিন্তায় এবং তার আপন ভাবনায়, দিন শেষে এটাই চিরন্তন সত্য।
মুহূর্তেই আমার মনের ভিতরে যে ,আনন্দের একটা আল্লাদ ছিল সেটা ঘটনাটা শোনার পরে অনেকটা ফিকে হয়ে গেল ।আমি এক ঘন্টা সময় হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছি আর সেই ভদ্রলোক তাদের কর্মব্যস্ততার জন্য তাদের আদরের টুকরো ছোট মেয়েটাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে যাচ্ছেন। জীবন আসলেই অদ্ভুত ,সেটা সময় ও জায়গা ভেদে ।
আসলে ভাইয়া অনেক ভালো কথা বলছেন আমরা যদি সবাই এক হতে পারতাম সকলের কল্পনা যদি এক হতো তাহলে কিন্তু পৃথিবীতে অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে যেত। সিএনজিতে চড়তে অনেক ভালো লাগে অনেক বাতাস আর আপনি সবসময় কর্নার এ বসেন সব বাতাস আপনার গায়ে লাগে অনেক ভাল লাগলো। হ্যাঁ কর্ম ব্যস্ততার কারণেই কত ছেলে বাবা বাবা মার আদর পায় না নিজে নিজে বড় হয় এটা খুবই মর্মান্তিক একটি মুহূর্ত
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মূলত কর্মস্থলের কড়াকড়ি নিয়মের কারণেই হয়তো এবং কাজের দায়িত্বের কারণেই বাধ্য হয়ে তার বাচ্চাকে সে গ্রামের বাড়িতে রাখতে এসেছে।
এই লাইনটি পড়ার জন্য একদম ই প্রস্তুত ছিলাম না।ব্যাপারটা চিন্তা করলেই কেমনে যেনো গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।অনেকক্ষণ বাচ্চাটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম,কেনো যেনো মনে হলো সে জানেই না একটু পর আসলে কি হতে চলেছে। এত্তো ছোট্ট একটা বাচ্চা,সে থাকবে মায়ের কোল ছাড়া। ভাবলেই মনটা কেমন যেনো খারাপ হয় যায়।
জীবন আসলে কত বিচিত্র!!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গল্প টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। তবে একটু মন খারাপ হলো ছোট্ট বাচ্চার জন্য । বাচ্চাটা মা বাবা কে ছাড়া কি ভাবে থাকবে এইটা ভাববার বিষয়।জীবনটা সত্যিই অদ্ভুত সেটা সময় ও জায়গা ভেদে। আসলে পেটের ক্ষুধা মিটানোর জন্য একেক জনের কাছে জীবন একেক রকম। জীবনের সাথে সব সময় সংগ্রাম করেই বেচে থাকতে হয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গল্পটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। তবে একটু মন খারাপ হলো ছোটো বাচ্চার জন্য ।যায় হোক জীবনে বেচে থকতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। বাচ্ছাটা হয়তো সংগ্রাম করেই চলবে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জীবনের ব্যাখ্যা এক জনের কাছে এক এক রকম। এখানে উক্ত ব্যাক্তিটির জীবনের চরম বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। সুন্দর হোক প্রতিটি শিশুর শৈশব।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার গল্প টা আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া। তবে একটু কষ্ট পেয়েছি। এতো টুকু বাচ্চা মা বাবা কে ছাড়া কি ভাব৷ থাকবে😭😭
শেষ কথা টা আমার খুবই ভালো লেগেছে। জীবন আসলেই অদ্ভুত। কারো কারো কাছে জীবন মানে বিলাসবহুল সর্গ,আবার কারো কারো কাছে জীবন মানে দু-মুঠো ভাতের জোগান।আর এই দু-মুঠো ভাতের জোগান দিতে গিয়েই এক এক জনের কাছে জীবন এক এক রকম
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, তুমি বাচ্চাটির জন্য খারাপ লাগছে কারণ কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের রেখে যাওয়াটা খুবি কষ্টের। বাচ্চারা মা বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হয় এটা সত্যিই বাচ্চাদের জন্য খুবই কষ্টের। জীবন মানের যুদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে টিকিয়ে চলা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আসলেই ভাইয়া আমাদের সবার জীবনের গল্প এক না। ব্যস্ততার কারনে অনেকে সন্তানকে নিয়ে আনন্দে থাকতে পারেনা আবার হাজার ফ্রি সময় থাকার পরেও অনেকে সন্তানের মুখ দেখেনা। তবে এতো অল্প বয়সের বাচ্চা বাবা মা ছেড়ে থাকা আসলে খুব বেদনাদায়ক। পড়ে খুব ভালো লাগল
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব ব্যস্ত একজন মানুষ, কারণ আপনি এদেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে এক ঘন্টা সময় নিজের বাবুর জন্য বের করা খুব সৌভাগ্যের একটি বিষয় আপনার কাছে। আসলে সবার উচিত নিজেদের সন্তানদের জন্য কিছুটা সময় রেখে দেয়া। সুন্দর ছিল আপনার আজকের লেখা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চা টা কি সুন্দর কিউট। বাবা মায়ের কষ্ট হবে এই বাচ্চাকে রেখে থাকতে কিন্তু সময় বড়ই অসহায়🥺🥺। এক সি এন জি তে ২ জন বাবা। একজন আনন্দ ফিল করছে যেয়ে বাচ্চাকে দেখবেন আরেকজন বাবা নিজের বাচ্চাকে দিয়ে আসতে যাচ্ছে। সত্যি বিষয় টা আমার খুব কষ্ট লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।