সচেতনতার মুখোশ ও আমার চিন্তা ভাবনা || @shy-fox 10%beneficiary
সচেতনতার মুখোশ ও আমার চিন্তা-ভাবনা কেন একটু ভিন্ন সেই বিষয়টা নিয়ে আমি একটু কথা বলতে চাচ্ছি। যদিও বিষয়টা অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে,তবে যেহেতু এটা মতামত শেয়ার করার জায়গা। আমি মনে করি যে, আমি আমার চিন্তা-ভাবনাকেই বেশি প্রাধান্য দেব এবং আমার চিন্তা ভাবনা ও আমার যৌক্তিক মনোভাব গুলোকেই আমি প্রাধান্য দিয়ে কথাগুলো বলার চেষ্টা করব।
যদি আমি একদম রুট লেভেলের প্রাইমারি স্কুল গুলোর কথা বলি, তাহলে সে গুলোর অবস্থা খুব একটা যে আহামরি ভালো তা আমি বলবো না । আর শহরের দিকে যে প্রাইমারি স্কুল গুলো আছে,সেগুলোতে তো ছাত্রছাত্রী নেই বললেই চলে। কারন শহরের বাচ্চাগুলো তো এখন কিন্ডারগার্ডেন বা অন্যান্য যে বেসরকারী স্কুল গুলো আছে, সেগুলো তে ভর্তি হতে ব্যস্ত।
এতকিছুর পরেও প্রতিনিয়ত রুট লেভেলের বাচ্চারা স্বপ্ন দেখে যে, তারা স্কুলে যাবে। কারণ তাদের চোখে কতটুকু শিক্ষা আছে, তা জানি না। কিন্তু তাদের চোখে যে ছল ছল করে ওই সরকারি বিস্কুটের নেশা , তা আমি ওদের চোখ দেখলেই বুঝতে পারি । কারণ ওই বিস্কুট খেতে পারলেই মনে হয় ওদের মনের শিক্ষা ও পেটের চাহিদা দুটোই ভরে যাবে। এটাই দিনশেষে প্রকৃত সত্য কথা।
এই মুখোশগুলো কতটুকু কাজ করে তা,আমার জানা নেই তবে এরা যেভাবে গাদাগাদি করে প্রতিনিয়ত স্কুলে যায় এবং ওখানে গিয়ে যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটুকুই বা ভাল থাকে, সেটা নিয়েই আমার মাঝে মাঝে চিন্তা হয়। কারণ ছোট বাচ্চাদেরকে কোনভাবেই মানানো যায় না। কারণ তারা নিজেরা যেটা বোঝে, সেটাই করে। এখানে কে শোনে কার কথা, সবাই অনেকটা এলোমেলো ওভাবেই থাকে স্কুল চলাকালীন সময়ে।
দীর্ঘ দুই বছর স্কুল গুলো বন্ধ ছিল এবং বাচ্চাগুলোর কোলাহলেতে ভরপুর ছিল না স্কুল ক্যাম্পাসগুলো। তবে আবার নতুন করে স্কুল ক্যাম্পাস গুলো খুলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মুখরিত হয়ে উঠছে স্কুলের ক্যাম্পাসগুলো এবং বাচ্চাদের চাহিদা আগের থেকেও বৃদ্ধি পেয়েছে স্কুল যাওয়া নিয়ে । কারণ তারা দীর্ঘ দুই বছর মোটামুটি পড়াশোনা থেকে বিরত ছিল ।
আজ যখন সকালবেলা আমি অফিসে আসতে ছিলাম । তখন দেখলাম একদল বাচ্চা আমার গাড়িতে উঠেছে এবং আমিও তাদের সঙ্গে অনেকটা পথ একত্রে আসলাম । তারা মোটামুটি নিজেদেরকে সচেতনতার মুখোশে ঢেকে ফেলছে এবং চেষ্টা করছে এই ভাবেই গল্পগুজব করে স্কুলে যাওয়ার জন্য। তাদের ভিতরে কতটুকু শিক্ষার চাহিদা আছে তা আমার জানা নেই, তবে তারা যে স্কুলের বিস্কুটের কথা বারবার গল্প করছে সেটা কিন্তু আমার ভালই কানে আসছে ।
যাইহোক তবুও দিন শেষে এই রুট লেভেলের বাচ্চাগুলোর শিক্ষাজীবন ভালোভাবে শেষ হোক এবং তাদের ভিতর আরো সচেতনতা বৃদ্ধি পাক এবং তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক এই কামনাই করি।
দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় বাচ্চাদের মনে বিস্কুট খাওয়ার চিন্তা আসাটা স্বাভাবিক বলে আমার মনে হয়।এছাড়া বাচ্চারা পূর্বে স্কুলে যেতে না চাইলে ও এখন যেতে বেশ আগ্রহী ।কেননা তারা ও আর ঘরবন্দি হয়ে থাকতে চায় না।কিন্তু অবশ্যই তাদের বাবা -মায়ের আরো বেশি সচেতন হওয়াটা জরুরি।ভালো ব্যাখ্যা করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি অনুযায়ী স্কুল-কলেজে বাচ্চাদের যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভালো উপস্থাপনা করেছেন ভাই। বিশেষ করে কথায় আছে শিক্ষায় হলো জাতির মেরুদন্ড। আর তাই শিক্ষার জন্য এক জন ছাএ বিদ্যালয়ে যাক বা বিস্কুটের আশায় যাক। বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া মানেই ভবিষ্যৎ আলোকিত।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শিক্ষার জন্য যাক বা বিস্কুটের আশায় যাক।ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া মানেই ভবিষ্যৎ আলোকিত।যদি বাচ্চারা বিস্কুটের আশায় স্কুলে যেয়েই থাকে তবুও আমি বলবো তারা স্কুলে যাক।হতে পারে বিস্কুটের আশায় স্কুলে যাওয়া এই বাচ্চা গুলোর মধ্যেই অনেক সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ লুকিয়ে রয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
প্রাইমারি স্কুল বিষয়ে আপনার কথাটা আমার খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।তবে সরকারি স্কুল গুলোতে ছাত্র-ছাত্রী না যাওয়ার পিছনে শুধু কিন্ডারগার্টেনই দায়ী নয় এর জন্য দায়ী উক্ত স্কুলগুলোর ম্যানেজমেন্ট ব্যাবস্থাও।
আর স্বাস্থ্য সচেতনতা আর কি বলবো গ্রামের বাসায় এই দেড় বছর নিরাপদ দূরত্বের ছিটেফোটাও দেখি নাই।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মুহূর্ত এবং চিন্তাভাবনা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার উপরের এই কথাগুলো একেবারেই সত্যি কথা বাচ্চারা কোনোভাবেই মানতে রাজি না তারা আর বাসায় থাকবে না, কারো কথা শুনতে চায় না, স্কুল খোলার সাথে সাথে তারা স্কুলে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে যেহেতু তারা অনেক দিন স্কুলে যায়নি। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেক বাবা-মায়ের এবং শিক্ষকদের দায়িত্ব তাদেরকে সচেতনতার মাধ্যমে আগলে রাখা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জানিনা বাচ্চাগুলো কী বিস্কুটের আশায় স্কুলে যাচ্ছে না সত্যি ওদের শিক্ষার প্রতি টান ভালোবাসা আছে। যেটাই হোক ওরা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছে এবং সবসময় একটা নিয়ম মেনে চলতে চেষ্টা করছে এটাই অনেক।। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে ভাইয়া সচেতনতা বলতে এখন তেমন কিছুই আমরা মানতে চাই না। সেটা ছোট মানুষ হোক বা বড় মানুষ। সব জায়গায়ই যেন সবাই ভুলেই গেছে আমরা একটা মহামারির মধ্য দিয়ে চলছি। যদিও এতো দিন পর স্কুল কলেজ খোলার কারণে সবাই একটু বেশি উৎসাহিত। যার কারণে বন্ধুদের সাথ আড্ডা আর গল্প বেশিই হয়। কিন্তু বড়রা একটু স্বাস্থ্য বিধি মানলেও, ছোটদের মানানোটা খুব কষ্টের। সেজন্য পিতা মাতাদের বেশি সতর্কতার সাথে স্কুলে পাঠাতে হবে।
আপে অনেক সুন্দর ভাবে বিষয়টাকে আপনার দিক থেকে বুঝিয়েছেন। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই খুব সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রুট লেভেলের ছেলেমেয়েদের চিন্তা করতে হবে সরকারের। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রুট লেভেল এর শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার যে চিন্তা ভাবনা যে মনোভাব নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
যাইহোক তবুও দিন শেষে এই রুট লেভেলের বাচ্চাগুলোর শিক্ষাজীবন ভালোভাবে শেষ হোক এবং তাদের ভিতর আরো সচেতনতা বৃদ্ধি পাক এবং তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক এই কামনাই করি।
আপনার উদারে মানবিকতা আপনার মনুষ্যত্ববোধকে আমি শ্রদ্ধা করি।ও সহমত পোষণ করি♥
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগলো অনেক সচেতনমূলক একটা পোস্ট করার জন্য। একদিকে বাচ্চাদের মাস্ক পড়ে স্কুলে যাওয়া আবার স্কুলের যাওয়ার আগ্রহ এমনকি সরকারি বিস্কুট খাওয়ার আকাঙ্খা সবকিছু তুলে ধরে আপনার কন্টেন্ট কে অনবদ্য করে তুলেছেন। অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।