মাধ্যমিকে পদার্পণ
ঘটনাটি বসন্ত দিবসের দিনের সন্ধ্যায় ঘটেছিল, যাইহোক শেয়ার করতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল। তবে তার অবশ্য যথাযথ কিছু কারণ আছে। আসলে প্রতিদিন আমার কাছে এতো মুহূর্ত জমা হয়ে যায় যে, আসলে কোনটা রেখে কোনটা শেয়ার করব, সেটা ভাবতেই অনেকটা এদিক-সেদিক হয়ে যায় ।
বৌদির দুই মেয়ের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক বেশ ভাল। অনেকটা নিজের সন্তানের মতো তাদেরকে স্নেহ করি। এটা আমি বিগত সময়েও বলেছি। আমার সন্তানকে আমি যে চোখে দেখি ঠিক ওদেরকেও একই রকম ।
তাছাড়া ওরা ভালো কিছু করলে, ওদের জন্য নিজের ভিতরে আলাদা গর্ববোধ কাজ করে । বৌদির ছোট মেয়ে অর্থি কিছুদিন আগে প্রাইমারি শেষ করে মাধ্যমিকে উঠেছে। যেহেতু শিক্ষাজীবনের অন্য নতুন ধাপে সে পদার্পণ করেছে, তাই আমার পক্ষ থেকে তাকে কিছু গিফট দিতে চেয়েছিলাম ।
এই বাসায় যখন প্রথম এসেছিলাম, তখন ওকে আরো অনেকটাই ছোট দেখেছিলাম। দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, সবাই বড় হয়ে যাচ্ছে। হয়তো এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যাইহোক ও প্রাইমারির বার্ষিক পরীক্ষাতে বেশ ভালো রেজাল্ট করেছিল। অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল।
তারপরে মোটামুটি বেশ ভালোই একটা চাপ গিয়েছে ওর উপর দিয়ে। কারণ এখানকার সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য বিষয় তো ছিলই। অতঃপর এখানকার গার্লস স্কুলে সে মেধাতালিকায় আসতে পেরেছে এবং ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বলা যায়, ওর নতুন আরেকটা শিক্ষা জীবনের ধাপ শুরু হয়ে গিয়েছে ।
আমি জানি ওরা দুই বোনই চকলেট খেতে পছন্দ করে। তবে সময় সুযোগ হচ্ছিল না আর তাছাড়াও যেহেতু একটা গিফট আমার কাছ থেকে ওদের পাওনাই ছিল, তাই আমিও সময় সুযোগ খুঁজছিলাম। অতঃপর সেদিন বসন্ত উৎসবের দিনে যখন আমরা সকলে মিলে বাহিরে বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন ঘোরাঘুরি করে বাসায় ফেরার পথে ওদের জন্য চকলেট কিনে নিয়ে এসে ছিলাম।
তবে বেশ করে বলে দিয়েছি, তোরা যত ভালো রেজাল্ট করবি এবং যত ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবি, আমার কাছ থেকে তোরা সব রকম সাপোর্ট পাবি।
মেয়ে দুটোকে নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। কারণ তারা দুইজনেই বেশ লক্ষ্মী আর এই বাসার সকল পরিবারের কাছেও তারা বেশ প্রিয়। আমি যেমন তাদেরকে স্নেহ করি, এই বাসার অন্য সকল পরিবারের লোকজনও তাদেরকে বেশ ভালই পছন্দ করে। হয়তো এমনটা সম্ভব হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের আচার ব্যবহারের কারণে।
যাইহোক দিন যত গড়িয়ে যাবে, শিক্ষা জীবনের কার্যক্রম ততই এগিয়ে যাবে। হয়তো এখন মাধ্যমিকে উঠেছে, কয়েক বছর পরে মাধ্যমিকের ধাপটা শেষ হয়ে যাবে। তারপরে আবারও উচ্চ মাধ্যমিক এইভাবে একটা সময় গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। তবে ওরা যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, আমি মনেকরি ওদের ভিতরে যে মানবিক সত্তা আমি এখন থেকেই দেখছি, তা যদি ওরা ধরে রাখতে পারে, তাহলে জীবনে ওরা অনেক ভালো কিছু করতে পারবে ।
হ্যাঁ এটা সত্য, আমি ওদের কাকু হিসেবে কথাগুলো হয়তো কিছুটা বাড়িয়ে বলেছি। তবে দিনশেষে এটাও কিন্তু সত্য মেয়ে দুটো আসলেই বেশ লক্ষী ও মেধাবী।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
মাধ্যমিক এ পদার্পণ করেছে ভালো রেজাল্ট নিয়ে জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে বর্তমানে সরকারি গার্লস স্কুল এ চান্স পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার।সত্যি ভাইয়া আপনি ওদের কাকু হন সেটা বড় কথা নয়, ওরা অনেক ভালো তাই হয়তো আপনাদের মন জয় করে নিতে পেরেছে। ওদের জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল।