আমাদের সময় প্রথম পর্ব || @shy-fox 10% beneficiary
এই মুহূর্তগুলো এবারের ঈদের মধ্যেকার । তবে এত্তগুলো মুহূর্ত আমার কাছে জমে আছে যে সেগুলো একবারে শেয়ার করা কোনভাবেই সম্ভব না । তাই আমি চেষ্টা করছি একটু ধীরে ধীরে সেগুলো সময় নিয়ে শেয়ার করার জন্য । সবথেকে বড় মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেই সময় গুলো আমাদের কাছে বেশ ভালোই ছিল । তাই চেষ্টা করছি, আজকে সেই মুহূর্তের প্রথম পর্বের লিখিত পর্বটি শেয়ার করার জন্য । চেষ্টা করবো এই মুহূর্তের ভিডিও পর্বটি , দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করার জন্য । তাই সবাইকে অগ্রিম দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
সুপ্ত আমার মা । ও আসলে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে । আমি এই কথা বিগত কনটেন্টে একবার বলেছিলাম । যাইহোক ও এবার এসে আমাদের বাসায় বেশ কয়েকদিন ছিল । আমিও আসলে চেষ্টা করছিলাম ওকে নিয়ে একটু বাহিরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য । তবে আসলে সবকিছুই ঠিক ছিল কিন্তু সময়টাই যেন হয়ে উঠছিল না । যেহেতু এবার ঈদে মোটামুটি বেশ ভালই কয়েকদিন ছুটি কাটিয়েছি । তাই সেই ফাঁকেই একদিন গিয়েছিলাম মূলত ওদেরকে নিয়ে এখানকার এক স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য ।
রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে আগামী ভিডিও পর্বে আমি কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সেখানকার সম্পর্কে কিছু ধারণা দেব । তবে এই পর্বে আমি তেমন রেস্টুরেন্ট সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে কথা বলবো না । আমি শুধুমাত্র আমাদের কাটানো মুহূর্তের ব্যাখ্যাগুলো দেওয়ার চেষ্টা করব । আশাকরি যারা পরবর্তী ভিডিও পর্ব দেখবে, তারা রেস্টুরেন্ট সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো খুবই ভালোভাবে জেনে যাবেন ।
অতঃপর সম্ভবত ঈদের পরের দিনের বিকেলে পুরো পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম । আমি আসলে আমাদের ছোট্ট এই শহরের মধ্যে রিক্সা নিয়ে ঘুরতেই বেশ ভালো স্বাচ্ছন্দবোধ করি । কারণ রিক্সায় চড়ে ঘুরলে, তখন প্রকৃতির বাতাসটা সরাসরি গায়ে লাগে আর তাছাড়া রিক্সায় ঘোরার ভিতরে আলাদা একটা মজা আছে । আশাকরি যারা রিক্সায় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে , তারা এই ব্যাপারটা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে । তবে আমি এখন ব্যাটারি চালিত রিক্সায় চড়তেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি । কারণ যারা পা দিয়ে রিক্সা চালায় , সেই রিক্সা গুলোতে উঠতে আমার একটু বিবেকে বাঁধে ।
অতঃপর আমি, হীরা , শায়ান ও সুপ্ত সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম ব্যাটারি চালিত রিক্সায় উঠে । আগে আমি ড্রাইভার ভাইকে বললাম যে, আমরা ঘন্টাখানেক নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরবো । তারপরে কোন এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে, রাতের খাবার খেয়ে পুনরায় বাসায় ফেরত চলে আসবো । যেহেতু এই রেস্টুরেন্টটি সম্প্রতি নতুন হয়েছে , তাই এটার ব্যাপারে জানার খুব আগ্রহ ছিল । তবে আমি যেভাবে চিন্তা করেছিলাম , তারথেকেও এটা মূলত অনেকটাই সুন্দর ও সাজানো-গোছানো । আসলে এরকম মফস্বল শহরে , এমন স্বল্প দামে খুব সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশে রেস্টুরেন্টটির খাবার পরিবেশন থেকে অন্যান্য সার্ভিস বেশ ভালই ছিল ।
শায়ান বাবুর একটা স্বভাব আমাকে প্রতিনিয়ত বেশ ভালই মুগ্ধ করে । ও বাহিরে বের হলে, আমার কোল থেকে কোনভাবেই ওর আম্মুর কোলে যাবে না এবং আমার কাছেই প্রতিনিয়ত থাকার চেষ্টা করবে । যদি আমি ওকে একবার কোল থেকে নামিয়ে দেই, তাহলেই একদম মহাবিপদ । কারণ তখনই চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয় । আর সেদিন সুপ্ত ছিল বিধায় ওরা দুজনেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে এবং খুবই খুশি হয়েছে আমাদের সঙ্গে বাহিরে বেড়াতে এসে । আমিও চাচ্ছিলাম সবাইকে নিয়ে এইরকম একটু সময় কাটানোর জন্য।
সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তে আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে গেলাম এবং ঢুকেই মোটামুটি বেশ ভালই অনুভব করলাম। কারণ বাহিরে বেশ গরম ছিল । তবে ভিতরে একদম বেশ ভালো শীতল পরিবেশ এবং তাদের ডেকোরেশন দেখে মোটামুটি আমরা কিছুটা অবাক হয়েছি । কারণ অনেক বড় একটা রেস্টুরেন্ট , তবে ডেকোরেশনটা বেশ আধুনিক করেছে । অবশেষে তাদের মেনু কার্ড দেখে , আমি কিছু সেট মেনু খাবার অর্ডার করলাম । তবে আমার মূলত টার্গেট ছিল যেহেতু আমার মাথাব্যাথা করছিল সেহেতু চেষ্টা করছিলাম কফি খাওয়ার জন্য । কারণ ওখানকার স্পেশাল কফিটা অনেক ভালই ছিল ।
আমি তো মোটামুটি বেশ ভালই সময় কাটাচ্ছিলাম । কারণ আমি মূলত যেখানেই যাই , বিশেষ করে যদি কখনো বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে যাই, তাহলে সেখানে গিয়ে মোটামুটি কিছুটা আনন্দ উল্লাস করার চেষ্টা করি । আমি চেষ্টা করছিলাম ওদের সেলফি বুথ গুলোতে গিয়ে, ছবি তোলার জন্য । কারণ সেখানকার ডেকোরেশনটা ভালো ছিল আর ছবিগুলোও বেশ ভালোই উঠছিল।
অতঃপর মিনিট ত্রিশেক পরে খাবার চলে আসলো এবং হীরা অর্ডার করেছিল ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই এবং সফট ড্রিংক আর আমি কফি ও নরমাল স্নাক্স । বিশেষ করে সুপ্তর খাওয়া দেখে আমার খুব ভাল লাগছিল । কারণ ও মনের আনন্দে খাচ্ছে আর সঙ্গে মাঝেমাঝে শায়ানকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিল । শায়ানও খাবার মুখে নিচ্ছিল আর চেষ্টা করছিল আগ্রহ নিয়ে খাওয়ার জন্য আর আমি তো কফিতে চুমুক দিয়ে কিছুটা হালকা হওয়ার চেষ্টা করছিলাম ।
সর্বোপরি আমাদের কাটানো সময়টা বেশ ভালোই ছিল । যাইহোক আগামী পর্বে ভিডিও আসবে । সবাইকে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । সেই পর্বে চেষ্টা করব রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা দেওয়ার জন্য আর যেহেতু সঙ্গে ভিডিও থাকবে , তাই বুঝতে আপনাদের সুবিধা হবে ।
আজকের মত এখানেই ইতি টানছি,
দেখা হবে পরবর্তী পর্বে ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাই শুরুতেই আপনাকে ধন্যবাদ জানায় আপনার দৈনন্দিন জীবনের ছোট খাটো মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্যে। তবে আপনার ভাইয়ের মেয়ে কিন্তু অনেক কিউট আপনাদর মতোই , আর রেস্টুরেন্ট টি সত্যি সুন্দর , কিছুদিন পর পর এভাবে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। ভিডিও ওর অপেক্ষায় রইলাম।
সম্প্রদায়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল মানুষের সাধারণ জীবন। বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ এখানে অংশগ্রহণ করে এবং প্রত্যেকের নিজস্ব জীবন আছে। কিছু একই, কিছু ভিন্ন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ কীভাবে বাস করে তা দেখতে আকর্ষণীয়। তারা কী খায়, কীভাবে পোশাক পরে, জীবন নিজেই নিজের এবং অন্যদের জন্য আকর্ষণীয়।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভিডিওগ্রাফির পর্বটি দেখার জন্য আগ্রহ পোষণ করছি। ভাইয়া আপনি আপনার পরিবার নিয়ে বেশ আনন্দে সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতেই পারছি। আর সাথে যেহেতু সুপ্ত অর্থাৎ আপনার মা আপনাদের সাথে ছিল তাহলে মজার পরিমাণ আরও বেশি হয়েছে। পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। সর্বশেষ একটি কথাই বলতে চাই সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে খুব দ্রুত সুস্থতা দান করেন। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️
বাইরে গেলে ভাবির চেয়ে আপনি বেশি ঘোরাঘুরি করবেন। সে জন্যই শায়ান আপনার কোলে থাকে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রথমেই প্রার্থনা করি আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর পরিবারের সাথে নিয়ে আপনি খুবই মজাদার সময় পার করেছিলেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি এবং মুহূর্তগুলো ছিল অসাধারণ। ভিডিওগ্রাফির দেখার অপেক্ষায় রইলাম। পরবর্তী পর্বে ইনশাল্লাহ আমরা ভিডিওটি দেখতে পাবো।
শায়ান বাবু অনেকটা বাবা ভক্ত হয়েছে। সে তার বাবাকে খুবই পছন্দ করে। তাই বাবার কাছে থাকতে অনেক পছন্দ করে। ভাইয়া আপনি অসুস্থ এই কথাটি জানার পর থেকেই মন খারাপ হয়ে গেছে। দোয়া করি আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। আপনি এই অসুস্থতার মাঝেও অনেক সুন্দর ভাবে আপনার এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি পরবর্তী পর্বে ভিডিওগ্রাফি দেখতে পাবো।
ঈদের পরদিন আপনার মা(ভাইয়ের মেয়ে সুপ্ত), শায়ান, ভাবীকে নিয়ে নতুন রেস্টুরেন্টে নিরিবিলি পরিবেশে ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে হোটেলের ডেকোরেশন মোটামুটি ভালো করেছে। বিস্তারিত জানার জন্য ভিডিও পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। সুপ্ত, শায়ান, আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি যখন শায়ানকে নিয়ে পোষ্ট করেন আমি সব থেকে বেশি শায়ানকেই দেখি। কত মায়াবী একটি মুখ। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ফেমিলি নিয়ে। সুপ্তর লাষ্ট ফটোগ্রাফিটা ধারুন ছিল।
বাড়ি ফিরা অবধি ব্যাটারি চালিত রিক্সাটির ভাড়া কত নিয়েছিল....জানতে চাই আমার অবুঝ মন।
দাওয়াত গ্রহন করলাম।পরবর্তী ভিডিও টি দেখার জন্য।যাই হোক ভাইঝি কে নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। বেশ কিউট আপনার মা টা।যাই হোক খাবারগুলো বেশ লোভনীয়।তবে শায়ান বাবুর এক্সপ্রেশন গুলো সুন্দর ছিলো ছবিতে।ধন্যবাদ
হ্যাঁ ভাই এর লেখা একদিন পড়েছিলাম দাঁত দেখানো নিয়ে। ঈদের পরদিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুব চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন। ভালো খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ভাই ভিডিও গ্রাফ পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। দোয়া করি আপনার জন্য দ্রুত শায়ানসহ সুস্থ হয়ে উঠুন।