বড়দহ সেতুতে কিছুসময়

in আমার বাংলা ব্লগlast year

20230715_184018-01.jpeg

এটা মূলত কয়েকদিন আগের মুহূর্ত । পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম বড়দহ সেতু এলাকাতে। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে, প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য। এমনিতেই জায়গাটা খুবই নিরিবিলি। একটিবার চিন্তা করে দেখুন দুপাশে গ্রামীণ জনপদ আর নবনির্মিত সেতুর রাস্তার দুপাশে সবুজ শস্য ক্ষেত আর তার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট নদী।

পিচ ঢালা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে, চড়ে জন্মানো সবুজ শস্য গুলোর মাঝ দিয়ে যখন ঐ দূর আকাশের রুপরেখার পরিবর্তন দেখছিলাম, তখন এমনিতেই অশান্ত মনটা শান্ত হয়ে গিয়েছিল। এখানে প্রকৃতি মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে বিকেল বেলার পর থেকে সন্ধ্যে হওয়ার আগ পর্যন্ত। নির্মল ঠান্ডা বাতাস আর এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যা এমনিতেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মন চাঙ্গা করার জন্য যথেষ্ট।

যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে এই সেতুটি নির্মিত হয়েছে, তাই এই রাস্তায় যানবাহনের ব্যস্ততা খুব একটা নেই বললেই চলে। সেতুটি বলা যায় বিকেলের পর থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের দখলেই থাকে। স্থানীয় লোকের সমাগম সেখানে খুবই কম। জায়গাটার পরিচিতিও পেয়েছে শুধুমাত্র দর্শনার্থীদের জন্য। হয়তো দূর থেকে এসে নিজের মতো করে সময় কাটিয়ে যায় সকলে।

20230715_183700.jpg

20230715_183426.jpg

20230715_183409.jpg

20230715_183352.jpg

20230715_183257.jpg

20230715_183206.jpg

20230715_182911.jpg

20230715_182848.jpg

20230715_182225-01.jpeg

20230715_182257-01.jpeg

20230715_182711-01.jpeg

20230715_183538-01.jpeg

সেদিন বিকেলের পরেই বাসা থেকে বেরিয়ে ছিলাম। যেহেতু শহর থেকে অনেকটা পথ যেতে হবে, তাই প্রস্তুতি ছিল মোটামুটি বেশ ভালোই। এমন উন্মুক্ত পরিবেশে খোলা রাস্তার উপর দিয়ে নিশ্চিন্তে চলে গিয়েছিলাম গন্তব্যে। আর যাওয়ার সময় উপভোগ করেছিলাম রাস্তার দুপাশের এমন সৌন্দর্য আর আকাশের আলোকসজ্জা। কখনো উড়ে যাওয়া সাদা মেঘের ভেলা আবার কখনো কালো মেঘের ঘনঘটা আবার কখনো মুহূর্তেই আবীর মাখানো আকাশের নিজস্বতা।

তবে ডুবন্ত সূর্যের যে সৌন্দর্য আমি স্বচক্ষে দেখেছিলাম তা অনেকটাই চোখে লাগার মত। সেতুর উপরে নিজের মতো করে ছোটাছুটি করেছি আর প্রাণভরে খোলা হাওয়া বুকের ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়েছি। সত্যিই বিশুদ্ধ অক্সিজেনে ফুসফুস আমার সতেজ হয়ে গিয়েছিল।

জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কি খুব বেশি কিছুর দরকার, আমার তো মনে হয় এমন সৌন্দর্যের মাঝে যদি ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর থাকতো, তাতেই জীবনের বাকিটা সময় অনায়াসেই কাটিয়ে দেওয়া যেত। এখানকার জীবন জীবিকা সবকিছুই কৃষি নির্ভর। সহজ-সরল মানুষ গুলোর আকাশচুম্বি চাহিদা নেই বললেই চলে। তাও হয়তো কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারণে।

আমাদের মত মানুষ হয়তো সেখানে গিয়ে নিজের মতো করে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসে, শুধুমাত্র মানসিক প্রফুল্লতার জন্য। কারণ ঐ ইট পাথরের শহরে আর যাইহোক এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বড্ড দুর্লভ।

Banner-23.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

ভাইয়া কোথাও কোন নতুন সেতু নির্মাণ করা হলে সেই সেতুর সৌন্দর্য দেখার জন্য অনেকেই এসে ভিড় করে। আপনারাও দেখছি পুরো পরিবার মিলে সেই সেতুর সৌন্দর্য এবং সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বেড়াতে গিয়েছেন। আর সেখানে বেড়াতে গিয়ে আপনারা খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন, তা আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। আর হ্যাঁ ভাইয়া, আপনাদের কাটানো সুন্দর সময় টুকুর মধ্যে আপনি আকাশ ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের যে ফটোগ্রাফি করেছেন তা দেখে রীতিমত চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, বড়দহ সেতু নিয়ে আপনার চমৎকার লেখনী ও সুন্দর অনুভূতি টুকু শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। আসলেই ভাই, আমাদের কাছে সেদিনের সময়টা বেশ ভাল ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56949.15
ETH 2401.26
USDT 1.00
SBD 2.33