আলোকচিত্র ও আমার ভাবনা

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

20230621_132941-01.jpeg

20230621_132921-01.jpeg

কদিন আগেও এ শহরের মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত গরমে নাজেহাল হওয়ার মতো অবস্থা দেখেছি। সেটা যে খুব বেশি দিন আগের কথা তা কিন্তু না। তবে আজ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে, বলা যায় আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে। আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল আমার সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে।

ঘুম থেকে উঠেই যখন দরজাটা খুলেছি, তখন দেখছিলাম বাহিরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পরে নিজের ভিতরে আলাদা সজীবতা ভাব কাজ করছিল। এখন মানুষের মাঝে সেই গরমের নাজেহাল ক্লান্তি ভাবটা আর নেই। তবে তারপরেও অতি বর্ষণ যে খুব একটা ভালো লক্ষণ, সেটাও বলা যাবে না।

এমন ভারী বর্ষণ দেখে হয়তো অনেক কবি-সাহিত্যিক নিজের মত করে ভাবনায় অনেক কিছুই লিখে ফেলেছে হোক সেটা কবিতা-ছন্দ বা নিজেকে মিশিয়ে ফেলেছিল এই অপার্থিব সৌন্দর্যের মাঝে।

20230618_185301-01.jpeg

20230618_185308-01.jpeg

বৃষ্টি যখন কিছুটা কমে গিয়েছিল, তখন ব্যক্তিগত কিছু কাজে শহরের ভিতরে ঢুকে ছিলাম। তখনও পিচঢালা রাস্তার উপর কিছুটা বৃষ্টির পানি জমে ছিল। ঐ নীল আকাশে হালকা রক্তিম আভা দেখা যাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে একটু আগেও সবকিছু থেমে ছিল। যেই না ভারী বর্ষণ থেমেছে আবারও যেন সবার ব্যস্ততা বেড়ে গিয়েছে।

হয়তো এই মানুষদের কাছে বিলাসীভাবে আয়েশ করার মত সময় নেই। হয়তো এই ভারী বর্ষণের সময়ে আমি আপনি যখন ঘরের ভিতরে ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি খাওয়াতে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেছি, তখন কিছু মানুষ অবশ্য কর্মের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। জীবনগুলো সত্যি এমনই শুধু জায়গাভেদে রূপ বদলায়।

20230619_180113-01.jpeg

20230601_182921-01.jpeg

20230601_182902-01.jpeg

20230601_183940-01.jpeg

আজ অনেকটা দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী ছিলাম, বলা যায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে। তবে শেষ বিকেলের দিকে কিছুটা সময়ের জন্য বাহিরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেটা শুধুমাত্র চা খাওয়ার জন্য। কারণ প্রত্যেকদিন বিকেলবেলা করে চা খাওয়াটা আমার নেশাতে পরিণত হয়েছে, যেটা কমবেশি সকলেই জানেন। পড়ন্ত বেলায় পুরো আকাশের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, দেখে বোঝার উপায় নেই সারাটা দিন ভারী বর্ষণ হয়েছে। মাঝে যদিও একবার ঐ নীল আকাশে রংধনু উঠেছিল, তবে দুঃখের বিষয় সেটা আমি মুঠো ফোনে বন্দি করতে পারিনি।

ফিরোজ ভাই আমার পরিচিত। বড় রাস্তার কাছাকাছি আসতেই তার সঙ্গে দেখা। সে আমাকে দেখেই বুঝতে পেরেছে, আমি এদিক-সেদিক ঘোরা ফেরার জন্যই বের হয়েছি। শুরু ফিরোজ ভাই না, তার মতো আরও অনেক রিক্সাওয়ালা ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার এভাবেই রোজ ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে পরিচয় হয়ে গিয়েছে। বলা যায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আমার অনেকটাই আত্মিক।

শেষ বিকেলের দিকে এসে মোটামুটি ভালোই উপভোগ করলাম পড়ন্ত বেলার সময়টা। অতিরিক্ত গরমের নাজেহালপূর্ণ অবস্থা এখন আর জনজীবনে দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া-পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনজীবনে অনেকটাই এখন শীতলতা ভাব কাজ করছে। থাকুক এমনটা অবস্থা আর কিছুদিন। এমন পরিবেশ সত্যিই দরকার এই সময়ে।

Banner-15.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

বেশ কিছুদিন গরমে সবার অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর দেখা মিলেছে বৃষ্টির। সেই সাথে জনজীবন যেমন শান্তি ফিরে পেয়েছে তেমনি প্রকৃতি অনেকটা ঠান্ডা হয়েছে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।

 last year 

এটাই আমিও ভাবছি আপু, আসলেই প্রকৃতি অনেকটাই সজীব ও শীতল হয়ে গিয়েছে।

 last year 

ভাইয়া এমন মুষলধারে বৃষ্টি দেখলে কিন্তু আমার রবীন্দ্রনাথের সেই গানটি গাইতে মনে চায়, আজই ঝরঝর বাদল মুখর দিনে। সে যাই হোক বৃষ্টি হোক বাত তুফান হোক যারা কর্মব্যস্ত থাকে তারা কি আর তা মানে। বৃষ্টির মধ্যে সবাই যখন ঘরে বসে খিচুড়ি খায়, তখন আমাদের মত কর্মজীবী মানুষগুলো ব্যাক কাদের ছুটে চলে। তাদের থাকে না কোন খিচুড়ি খাওয়ার স্বাদ। আর থাকে না কোন গান বলারও সময়। রোমান্টিকতা যে কবে চলে গেছে। সে যাই হোক বৃষ্টির পরে পড়ন্ত বিকেলের যে আলোকচিত্র আপনি তুলে ধরেছেন তা দেখে তোর চোখগুলো শুধু ওই দিকে তাকিয়ে আছে। অসাধারণ ভাইয়া।

 last year 

জীবন যেখানে যেমন আপু। ধন্যবাদ আপনার মতামত দেওয়ার জন্য।

এখন তো তাও গরম একটু কমেছে কিছুদিন আগে তো মারাত্মক গরম ছিল, যেটা সহ্য করার মতো নয়। আমাদের এদিকেও আজকে সকালের দিকে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, তবে আপনাদের ওখানের মত এরকম মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি। তবে শুভদা দুধ চা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক আপনি চাইলে লিকার চা খেতে পারেন।

 last year 

বেশ ভালো একটা কথা বলেছো ভাই, দুধ চা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। লিকার চা বলতে সম্ভবত রং চা কে বোঝানো হয়েছে তাই না। যদি আমি ভুল না বলি?

হ্যাঁ রঙ চা🤭 আমি এমনিতেও চা খুব বেশি খাই না, তবে বাইরে গিয়ে দুধ চা খেলেই আমার গ্যাস হয়ে যায়।

 last year 

বুঝতে পারছি ভাই, ধন্যবাদ 🙏❤️

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56182.86
ETH 2369.32
USDT 1.00
SBD 2.30