ডুবে যাচ্ছে

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আমি মূলত ছবিগুলো প্রতিকী হিসেবে ব্যবহার করেছি। তবে এটা সত্য কথা, এমনটাই হচ্ছে কিন্তু আজকাল প্রতিনিয়ত চারপাশে।

যাইহোক এখন থেকে কয়েক বছর আগেও যখন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে গল্প করতে যেতাম, তখন হয়তো এমন পরিবেশ সৃষ্টি হতো না। তখন হয়তো সবাই চেষ্টা করত, সকলেই একে অপরের সঙ্গে বেশ আন্তরিকভাবে কথা বলার জন্য কিন্তু দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, বাস্তবিক চিত্র ততই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ।

iphone-g1e78fb735_1280.jpg
source

প্রযুক্তির আসক্তিতে সবাই এমনভাবে ডুবে যাচ্ছে যে, সবাই সবার বাস্তব জীবনের অনেক কিছুই দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, এখন সব বন্ধুবান্ধব একত্রে থাকলেও, সবাই ব্যস্ত যেন ঐ মুঠোফোনের রঙিন স্ক্রিনের প্রতি ।

ভার্চুয়াল জগতের মানুষগুলো কে কি করছে, সেগুলো দেখা নিয়ে সকলেই ব্যস্ত এবং যে যার মত করে সময় অতিবাহিত করছে সেখানে। তবে পাশেই যে বাস্তবিক ভাবে বন্ধু-বান্ধব বসে আছে, সেগুলো নিয়ে খোঁজ খবর তাদের নেই বললেই চলে এবং তাদের কাছে এখন ঐ রঙিন স্কিনের প্রযুক্তির কারণে যে মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচয় হয়ে গিয়েছে, সেখানে সময় দিতে পারলেই যেন খানিকটা তারা প্রশান্তি পাচ্ছে ।

এটা আমার একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি দেখেছি আগে যেখানে ছেলে-মেয়েরা সময় পেলেই একসঙ্গে বসে গান গাইতো-আড্ডা দিতো বা গল্প করত। কিন্তু এখন একত্রিত হলেও তখন সেখানে আর আগের মতো কোনো আমেজ থাকে না। সেখানে সবাই মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত। কেউ হয়তো গেম খেলছে নতুবা নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছে ইন্টারনেটে অথচ সবাই একসঙ্গে বসে আছে কিন্তু কারো ভিতরে তেমন কোন কথা নেই ।

20230102_205902.jpg

এটা কেমন আড্ডা, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারি না। সবাই একত্রে বসে আছে কিন্তু কারো মুখে কোন কথা নেই। সবাই ব্যস্ত যার যার মুঠোফোনে ।

সত্যি বলতে গেলে কি, আমি এমন বোবা আড্ডা চাইনা। যে আড্ডায় কোন রস-কষ নেই, যেখানে সবাই ব্যস্ত নিজের মতো করে মুঠোফোন নিয়ে, এটাকে আমি কোন ভাবেই আড্ডা বলতে পারি না। আমি মনেকরি এখন চারিপাশে এমন বোবা আড্ডা গুলোই বেশি হচ্ছে।

তবে এই আড্ডা গুলো যেন আবারও পূর্বের মতো প্রাণবন্ত হয়, সেখানে যেন আবারও পূর্বের মতো গল্প-সল্প হয় এবং সবাই একত্রিত হয়ে যেন নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করতে পারে, এমনটাই আমি প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

এটা সত্য, তথ্য প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি এবং প্রতিনিয়ত আমাদের জীবন-জীবিকা, চাহিদা এবং জীবনযাত্রার মানে অনেকটাই উন্নয়ন হয়েছে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, অবশ্যই বাস্তব জীবনের যে বিষয় গুলো থাকা দরকার সেটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না এবং চেষ্টা করতে হবে সবকিছু সীমিত আকারে করার জন্য এবং গণ্ডির ভিতরে থাকার জন্য ।

20230102_205856.jpg

তবে এটা চিরন্তন সত্য কথা যে, প্রজন্ম এখন মুঠোফোনের আসক্তিতে ডুবে যাচ্ছে। বিশেষ করে এত এত অ্যাপস এত এত গেমস এত এত নিত্য নতুন সব প্রযুক্তির উদ্ভাবন, যা আসলে বাস্তব জীবন থেকে সবাইকে ভার্চুয়াল জীবনে বেশি টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাস্তব জীবনটা তারা ভার্চুয়াল জীবনের সঙ্গে অনেকটাই গুলিয়ে ফেলছে।

তারপরেও বলবো সবকিছুর সঙ্গে পরিচয় থাকা ভালো। তবে কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না এবং ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত সব জায়গাতেই। এটাই তো জীবনের ব্রত হওয়া উচিত এবং এভাবে এগিয়ে যাওয়াই তো শ্রেয়।

Banner-8.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

সবাই যদি মুঠো ফোনের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তাহলেই বুঝবে বাইরে সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক বেশিই ভালো লাগে। নিজের প্রিয় বন্ধু বান্ধব বা ভাই বোনের সাথে আড্ডাবাজিতেই অনেক বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। আর সত্যি বলতে, আগে এরকম আড্ডা গুলো অনেক দেয়া হতো। বর্তমানে সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে আর দেখাও হয় হয়না এবং আড্ডা দেয়াও হয় না। তবে লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।

 last year 

হুম ভাই একটি দারুন টপিক তুলে ধরেছেন ৷ যার প্রতিটি লাইন ছিল যথার্থ ৷ এখন আর আগের মতো গান ,আড্ডা কিংবা একে অপরের খোজ খবর সেগুলো অকেজো হয়ে গেছে ৷এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ৷ এখন প্রতিনিয়ত মানুষ প্রযুক্তি সাথে চলছে ৷ বর্তমান তো গেম. যেন বড় আসক্ত হয়েছে প্রতিটি বন্ধু বান্ধব ৷

সর্বোপরি একটা কথা ঠিক বলেছেন ৷ সবকিছু ভালো তবে অতিরিক্ত মাত্রায় নয় ৷ তাহলে ভালোর বিপরীত খারাপ টাই বেশি হতে পারে ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাই

 last year 

নিয়ন্ত্রিত সবকিছু , বেশ ভালো সব সময়।

 last year 

ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি বলেছেন ভাইয়া বর্তমান সবাই ডুবে যাচ্ছে ফোনের রঙিন স্ক্রিনে। আসলে বর্তমান কেউ আর আগের মতো আড্ডা দেই না।আর আড্ডা দিলেও বেশির ভাগ দেখা যায় বোবা আড্ডা। তবে এটা সত্যি প্রযুক্তির কারণে আমরা অনেকটাই এগিয়ে। যাইহোক ভাইয়া বাস্তব আর ভার্চুয়াল কে মিলিয়ে ফেলে দেখে মুশকিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।

 last year 

স্মার্টফোন যে আমাদের জীবনের অত্যাবশ্যক অংশ হয়ে উঠেছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।এর ভালো দিক গুলো যেমন আছে ঠিক তেমনি খারাপ দিকগুলোও অনেক এখন দিন দিন মানুষ সব সম্পর্ক গুলোর থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে এবং স্মার্ট ফোনের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক এবং ক্ষতিকর একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।যেসব মানুষের সত্যিকার অর্থেই আমাদের জীবনে ভূমিকা আছে, তাদের সাথে যুক্ত থাকার মাধ্যমে এসব উদ্বিগ্নতা কাটিয়ে উঠতে হবে।অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

কথাগুলো একদম বাস্তব কথা।আগে যেমন বন্ধু বান্ধবী এর সাথে দেখা হলে আড্ডায় মেতে উঠতাম এখন আর এমন হয় না।আগে যেমন গল্প ফুরাতো না,আর এখন গল্প করার সময় হয় না তথ্য প্রযুক্তি কারনে।একসাথে দেখা হলে এখন একই গল্প কে গেমসে এগিয়ে, কার কর ফলোয়ার ইত্যাদি।আসলেই অতিরিক্ত কিছুই ভালো না।প্রযুক্তি উন্নয়নে উপকারের পাশাপাশি ছোট ছোট মানুষের ক্ষতিই বেশি হয়েছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

দিন যতো এগিয়ে যাচ্ছে সবকিছু ততো যেন হারিয়ে যাচ্ছে আপু।

 last year 

এটা ঠিক বলেছেন ভাই সবাই এখন একসাথে বসেও সবাই সবার নিজেদের রঙিন স্কিনের মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত থাকে। কারণ বর্তমানে সকলেই নিজেদের অনুভূতিগুলো শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি শেয়ার করতে চায়। কিন্তু একসাথে বসে যে আড্ডা আর মজা হয় সেটা নিতে চায় না। যাই হোক ভাইয়া খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আর আমরা নিজেরা এই মুঠোফোনকে পাশে রেখে নিজেরা নিজেদেরকে সময় দেয়া উচিত,পুরনো সময়গুলো উপভোগ করলেই সম্প্রীতি বাড়বে।

 last year 

সম্প্রীতি বাড়ানো জন্য অবশ্যই বাস্তবিক ভাবে মুহূর্তগুলো উপভোগ করা জরুরি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দাদা অতি বাস্তব একটি টপিকস তুলে ধরেছ আজ। এটা আমাদের প্রত্যেকেরই বর্তমান সময়ের অভিজ্ঞতা। বন্ধুরা একসাথে সবাই আড্ডা দিতে বসলেও যে যার ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । বন্ধুরা একসাথে আড্ডা দেওয়ার যে আমেজ সেটা ফোনের কারণে অনেকটাই বিঘ্ন হয়। এক্ষেত্রে ফোনের দোষ দেবো না আমি, প্রযুক্তি ভালোর জন্যই সৃষ্টি কিন্তু আমাদের এই বদ অভ্যাস আমাদের এই আনন্দ কেড়ে নেয়ার অন্যতম কারণ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 62907.89
ETH 3379.73
USDT 1.00
SBD 2.50