স্কুল || @shy-fox 10% beneficiary
আমাদের বেলায় না , কখনো ফাঁকা দেখিনি ক্যাম্পাসটা । সেই সকাল থেকে শুরু করে একদম সন্ধ্যা অব্দি , সারাক্ষণ কমবেশি হৈ-হুল্লোড় লেগেই ছিল । কতশত নবীন প্রাণের উচ্ছ্বাসে ক্যাম্পাসটা যেন মুখরিত হয়েই থাকতো সবসময় । এখানে আমার শৈশব কেটেছে । ঐ একদল নবীন প্রাণের মাঝে ছোটাছুটি করেই আমার স্কুল জীবন অতিবাহিত হয়েছে ।
ক্যাম্পাসে কত যে স্মৃতি রয়ে আছে, তা কি আর সহজে ভোলা যায় । সেই ক্রিকেট সেই ফুটবল, কতশত খেলা কতশত পরিচিত মুখ,চাইলেই তো আর ভোলা যায় না ।
ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে নিজের জীবন থেকে সময় গুলোকে আমি ভিন্নখাতে ব্যবহার করছি। মাঝে মাঝে তো ভুলেই যাই, যে আমার একটি শিকড় আছে । আজ যখন পথটা ধরে যাচ্ছিলাম, ইচ্ছা করেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েছি । মনে হলো কিছুটা সময়ের জন্য, একটু মিশিয়ে ফেলি অতীত স্মৃতির মাঝে নিজেকে ।
ভুতুড়ে একটা অবস্থা বিরাজ করছে। কোলাহল নেই , হৈ-হুল্লোড় নেই । একদম ফাঁকা, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না । এখানে তো সর্বদাই হৈ-হুল্লোড় লেগে থাকত, কোলাহলে মুখরিত থাকত কিন্তু আজ তবে কেন এরকম অবস্থা । সময়ের বিবর্তনে অনেক অবকাঠামো হয়েছে কিন্তু রংচঙে সেই অবকাঠামো গুলোতে প্রাণের সঞ্চার এখন নেই । সবকিছুই যেন শুধুমাত্র বোবা কংক্রিট ।
হঠাৎ করে যদি এভাবে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস নিষ্প্রাণ হয়ে যায় , তাহলে তো এই ক্যাম্পাস থাকা আর না থাকার কোনো মানে নেই । অদৃশ্য ছায়ায় যেন চতুর্দিকে অন্ধকার হয়ে গিয়েছে । কেউ জানে না কবে এই অদৃশ্য ছায়া মুছে যাবে, কবে আবার ক্যাম্পাস মুখরিত হবে । সময় ঘনিয়ে ঘনীভূত হয় কিন্তু ছুটি শুধু বেড়েই যায় আর বেড়েই যায়, ক্যাম্পাস আর খোলেনা ।
আজ যখন ক্যাম্পাসের ভিতরে হাঁটাহাঁটি করছি, তখন প্রাণ খোঁজার চেষ্টা করছি । তবে ধু ধু মরুভূমির মতো লাগছে, কোন দিকেই প্রাণের সন্ধান খুঁজে পেলাম না। তবে ইচ্ছা করেই যখন দেয়ালের কংক্রিট গুলোতে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলাম ,কানপেতে যখন শোনার চেষ্টা করছিলাম, মনেহচ্ছিল আমার অতীত স্মৃতিগুলো বারবার ডাকছে আমাকে । আজ আমার বন্ধুরা কে কোথায় আছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমার অতীতের সাক্ষী গুলো এখনো বহন করে চলছে এই ক্যাম্পাসের কংক্রিট ও এই বোবা গাছগুলো ।
আমি জানি না ,আমার মত আমার বন্ধুরাও আসে কিনা এই ক্যাম্পাসে । তাদেরও মনে পড়ে কিনা অতীতের কথা গুলো । আমার কিছুই জানা নেই, আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না । ক্যাম্পাসের এই নীরবতা আমাকে অনেকটাই বাকরুদ্ধ করে ফেলেছে ।
কে জানতো বিংশ শতাব্দীর পরে এসে , এমনটা চেহারা দেখতে হবে, আজ এই ক্যাম্পাসের । কে জানতো, যে সম্পর্ক গুলো একটা সময় জমাট বেঁধে ছিল । এখান সেই সম্পর্ক গুলো আজ অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা অবস্থানে বিরাজ করছে । এত কিছুর পরেও আমি শুধু ক্যাম্পাসটাতে প্রাণের সঞ্চারণ দেখতে চাই। আবারও পুনরায় আগের মতো করে ,যেখানে নবীন প্রাণগুলো হেসে খেলে বেড়ে উঠবে । শিক্ষা অর্জন করবে ও বড় হওয়ার পথ খুঁজবে ।
মিলন মেলা ঘটবে প্রতিনিয়ত। হয়তো আমার মত যারা প্রাক্তন আছে, তারাও আসবে। তারাও হয়তো সেই পুরনো মানুষগুলোর সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠবে । হয়তো সেটা কোন এক তিথি বা পার্বণে । নতুবা কোন এক উৎসবে, হয়তো ঘরোয়া করে এই স্কুল মাঠের ভিতরে বসে, তারা সকলেই আবারও আড্ডা দেবে এবং সেই ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি চারণ করবে নতুন করে ।
আজ হাঁটছি আর ভাবছি, এমন সময় আবার কবে আসবে । যখন কর্মব্যস্ত জীবন ছেড়ে, হয়তো মাঠের কোন এক কোনায় ঘাসের উপর বসে, নিজেকে হারিয়ে ফেলব এবং বলব এই কল্লোল এই আরিফ, আয় জীবনটাকে আর একবার নতুন করে দেখি, চল আর একবার স্কুলে ভর্তি হই ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আসলে স্কুল জীবনের স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। আমার ও মাঝে মাঝে মনে হয়, যদি আবার স্কুলে ভর্তি হতে পারতাম,সেই সকালে ওঠে স্কুল উদ্দেশে রওনা হওয়া, পিটি করা,আর টিফিন আওয়ারে খেলাধুলা করা।খুব মিশ করি স্কুল কে এবং স্কুলের বন্ধুদেরকে। ভাইয়া,আপনার পোস্টের মাধ্যে মনে পড়ে গেলো অনেক কিছু।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
স্কুলের ব্যাপারগুলো খুব মিস করি ভাইয়া।
অনেকদিন যাওয়া হয়না।
আপনার ছবিগুলো,লিখাগুলো পড়ে পুরনো স্মৃতি মনে পরে গেলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
স্কুল জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাইয়া। সেই ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা, ছুটোছুটি সবকিছুই যেন আজ অতীত হয়ে গেছে। সেই মাঠে দৌড়ে বেড়ানো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া সবকিছুই আজ অতীত। সবকিছু পাল্টে গেলেও ইট-পাথরের সেই দেয়াল ও চিরচেনা মাঠ আজ আগের মতই একই রয়েছে। শুধু সেখানে নেই কোলাহল, নেই কোন প্রাণের সঞ্চার। সবকিছুই আজ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। হয়তো এই নিস্তব্ধতার কারণ মহামারী করোনাভাইরাস। আমার কবে যে সেই পাথরের দেয়ালের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হবে তা আমরা কেউ জানিনা। সেই চিরচেনা স্কুল মাঠ যেন খুব তাড়াতাড়ি কোলাহলে পূর্ণ হয়ে ওঠে এবং প্রাণের সঞ্চার হয় এই দোয়া করি সব সময়। অনেক সুন্দর কিছু কথা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
স্কুল জীবন নাড়া দেয়।খুবই ইচ্ছে করে অতীতকে খুজতে।স্কুল জীবনে কাটানো মুহুর্তগুলোকে দারুনভাবে বর্ননা করেছেন।এটি পড়ে আমিও আবেগে চলে গেছি,গেছি কৈশোরের পদতলে।এমন চমতকার লেখায় মন ভরে যায়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
আপনি আপনার শিকড় স্কুল ক্যাম্পাসকে অনেক ভালোবাসেন।এখন করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।তবে আপনাদের সময়ে এই ক্যাম্পাসের এমন নীরবতা কখনো ছিল না।সব সময় হই হুল্লোড় আর কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছিল।সৃতিচারণ অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলেই স্কুল জীবনটা কখনোই ভোলার নয়। আমাদের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে স্কুল জীবনে। কোন টেনশন নাই ভবিষ্যৎ নিয়ে। কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না।আসলে সময়ের পরিবর্তনে মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়। সব কিছু মেনে নিতে হয় বাস্তবতার তাগিদে আর ছোটবেলায় যত ফিরতে চায় আর সম্ভব নয়।আসলে দিনশেষে কর্ম ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কখনো আর মানুষ মানুষের মাঝে যেতে পারে না কিন্তু মানুষের স্মৃতি রয়ে যায় অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এই সুযোগ যদি আবার পেতাম তাহলে জীবনে আর বড় হতাম না, বড় হলে কতো যে চিন্তা ভাবনা অটোমেটিক চলে আসে।আর তখনকার সময় কোন চিন্তা ছিল না ক্লাশ শেষ আড্ডা শুরু হয়ে যেত। আমার একটা সাইকেল ছিল গ্রামের যতো রাস্তা ছিল সব ঘুরতাম । ভাইয়া আপনার পোস্ট এর মধ্য দিয়ে অনেক বছর পিছনে চলে গেলাম। সব কিছুই ভালো ছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
মনে হচ্ছে কিছু সময়ের জন্য আপনি নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শৈশবের স্কুল জীবন আসলে সত্যিই অনেক মধুর। আপনার মত আমিও আশা করি কালোছায়া একদিন কেটে যাবে। আবারো মুখরিত হবে নতুন প্রাণের উচ্ছ্বাসে সব ক্যাম্পাস। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
লেখাটি হৃদয়ে গিয়ে লেগেছে কারণে এ কথায় অনুভূতি আছে। গল্প আপনার অনুভূতিগুলো সকল প্রাক্তনের।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, কারণ ক্যাম্পাসে সেই স্মৃতিগুলো আমার চোখের সামনে দিয়ে ভাসতে লাগলো।এই স্মৃতি গুলো কখনো ভোলা যায় না। আসলেই ক্যাম্পাসের আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আমরা যখন উপভোগ করেছি তখন, ভাবিনি এভাবে শেষ হয়ে যাবে। আজ ঠিক সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে এবং চোখের সামনে ভাসছে।কিন্তু সেই স্মৃতিতে আর ফিরে পাবো না। আসলেই ক্যাম্পাসের আনন্দময় মুহূর্ত গুলো কখনো ভোলা যায়না। সেই ঘাসের উপরে বসে থাকার স্মৃতিগুলো কত না মজা ছিল। বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো ফুটবল ক্রিকেট খেলাধুলা আনন্দ মুহূর্ত সত্যিই জীবন এক অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সেই দিনগুলো মনে পড়ছে খুব ইচ্ছা করে সেই দিন নিয়ে ফিরে যেতে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।