মণিকা মোহন্ত || @shy-fox 10% beneficiary
কার গল্পের চরিত্রে কে প্রধান চরিত্র হয়ে থাকবে । এটা বলা খুব মুশকিল । তারপরেও মাঝে মাঝে কিছু কথা বলতেই হয় যেহেতু জীবন নিয়ে লিখতে ও শুনতে পছন্দ করি । হয়তো সেই পছন্দের জায়গা কে কেন্দ্র করেই আজকের চরিত্রটা আমি বেছে নিয়েছি ।
চেষ্টা করব যতটুকু শুনেছি বা বোঝার চেষ্টা করেছি ঠিক ততটুকুই নিজের মতো করে তুলে ধরার জন্য । আসলে আমার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবনগুলো নিয়ে ভাবতে ভালোই লাগে । আজকের গল্পে যে মানুষটা প্রধান চরিত্রে থাকবে , তার কাছে আমি অনেকটাই কৃতজ্ঞ । হয়তো বেশ সাহস করে ফেলেছি তাকে নিয়ে লিখতে , ভুল ত্রুটি মার্জনীয় । তবে এটার পেছনে বেশ লম্বা একটা অতীত আছে ।
মোহন্ত বাড়িতে আমার ঠিক সেভাবে কখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি । তবে শুনতাম ব্যবসায়িক বাবার তিন সন্তানের মাঝে একটা ঝলমলে মুক্তোর মত কন্যা সন্তান আছে । বেশ ঘটা করে বিয়ে দিয়েছিল বছর কুড়ি আগে । সেই সময় তো বেশ এলাহী কান্ড করেই বিয়ে হয়েছিল। যদিও এমন বিয়ে এ তল্লাটে খুব একটা হয় না । তবে সেই সময় বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে দিয়েছিল ব্যবসায়ী বাবা , বড় মেয়ে বলে কথা ।
মেয়ে মানুষের ঘর পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আজকে যেমন বাবার ঘরে তেমন হয়তো অন্যত্র পরের ঘরে ঠিকানা হয়ে যায় । অরূপ দাশের জীবনে হুট করেই নতুন অতিথির আগমন, মণিকা মোহন্ত । সেই যে ছুটে চলা শুরু দুজনার তা যেন ক্রমাগত ছুটছেই । অরূপের চাকরির সুবাদে আজ হয়তো এখানে তো কাল হয়তো ওখানে । তবে দুটো আত্মা যেন একত্রে পরিপূরক ভাবে মিশে গিয়েছে ।
জনি দিদির সঙ্গে পরিচয় আমার এখনো সেভাবে হয়নি। জানিনা আদৌ আমার পরিচয় হবে কিনা । তবে এমন মানুষগুলোর সঙ্গে যদি পরিচিত হওয়া যায় তাহলে নেহাত মন্দ হয় না । আজকাল তো আর সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কারো জন্য দুটো ভালো কথা নিঃস্বার্থভাবে লেখার আগেও বেশ জল্পনা-কল্পনা করে । হুট করে কখন কোন তিক্ত সমালোচনা তীরের মতো আঘাত হানবে তা বলা বড্ড মুশকিল । যেখানে তিক্ত সমালোচনার প্রতিনিয়ত দূষিত বাতাস বয় । সেখানে যখন হুট করে কোন মানুষ, মানুষের জন্য দুটো ভালো কথা নিঃস্বার্থভাবে লিখে দেয় । তখন সেই জীবনটা নিয়ে জানতে বেশ বড্ড ইচ্ছা করে ।
জনি দিদি, পুরো নাম মণিকা মোহন্ত । ভালো মানুষের তাকমা পাওয়া একটা ব্যক্তি । আর যাকে ভালো মানুষের তালিকায় তালিকা বদ্ধ করেছে আমার বৌদি । এই জন্যই আগ্রহটা আমার একটু বেশি । ঘুরেফিরে তার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলটা বার বার ঘাঁটাঘাঁটি করলাম । মনিকা মহন্তের খুব একটা তথ্য সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারিনি । যেখানে জানার কোন তথ্য নেই , সেখানে কোন ভিত্তিতে আমি তাকে ভালো মানুষ বলতে পারি । এই জন্যই হয়তো বৌদির কাছে অনেকটা দাবি জানালাম , আমি জানতে চাই মণিকা মোহন্তর ব্যাপারে ।
মণিকা মোহন্তর ব্যক্তিগত পরিচয় জেনে আমার কোন লাভ নেই । সে বেশ ভালো মনের মানুষ এবং বড্ড উদাসীন স্বভাবের , আমার কাছে এতোটুকুই জরুরী । একটা মানুষ যখন মানুষকে মানসিকভাবে বেশ সহযোগিতা করতে পারে , আমি মনেকরি এমন সহযোগিতা, অর্থনৈতিক পূর্ণ লেনদেনকেও হার মানায় । আমি বলছি সেই সময়কার কথাগুলো , যখন বৌদির বেশ কঠিন সময় চলছিল , তখন যেন দেবীর মতো হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, জনি দি ।
আজ যখন আতশী কাঁচ দিয়ে খুঁজে সেই মানুষটার সন্ধান আমি পেয়েছি , তাই তাকে আর এতো সহজে ছাড়তে চাচ্ছি না । মানবিক মানুষ গুলোর চরিত্র বেশ প্রাধান্য পায় আমার পছন্দের তালিকায় । খুব যত্ন করে সম্মান দিয়ে লিপিবদ্ধ করি ব্লগের পাতায় ।
যদিও মানুষটাকে আমি কখনোই দেখিনি । হয়তো তার সম্পর্কে দুটো কথা শুনেই এবং বৌদির সেই সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখা গুলো পড়েই হয়তো কিছুটা হলেও তাকে আন্দাজ করতে পেরেছি ।
তবে বাস্তবে সে কতটা আমার ভাবনার কথাগুলোর সঙ্গে মিলে যাবে, তা আপাতত আন্দাজ করতে পারছি না । তবে কিছু চরিত্র না হয় একটু অজানায় থেকে যাক, যতটুকু শুনেছি বা বুঝেছি সেই ভাবনা থেকে তার জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান জাগ্রত থাকুক প্রতিনিয়ত।
এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী , মণিকা মোহন্ত । তারপরেও সে একজন মা । হয়তো সংসার জীবনে বড্ড উদাসীন । হয়তো অনেকটাই হাসি লেগে থাকে তার মুখে । ক্রমাগত হালকা ঝড় ঝাপটা তো লেগেই আছে । তারপরেও কিন্তু বেশ সজাগ আছে নিজের সংসারে । আমি মনেকরি সেই সচেতনতা কে আরেকটু বাড়ানো দরকার তার নিজস্ব উদাসীনতাকে তাড়িয়ে দিয়ে ।
আমি জানিনা লেখাটা তার কাছে পৌঁছাবে কিনা । যদি পৌঁছায় সে যদি পড়ে দেখে , আমি মনে করব সে একটু হলেও আরেকটু সজাগ ও সচেতন হবে তার ব্যক্তিগত জীবনে । মানবিক হওয়া জরুরি এটা যেমন সত্য তবে জীবনে সিরিয়াস হওয়াও খুবই জরুরী এটাও কিন্তু কঠিন সত্য ।
দেরিতে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল তার জন্য । হয়তো কোন একদিন মোহন্ত বাড়িতে গিয়ে, চা খেতে খেতে গল্প হবে , এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঈশ্বর তাকে দীর্ঘজীবী করুন।
দাদা আপনার লেখা পোষ্ট টি পড়লাম অনেক ভালো লাগলো ৷আপনি মণিকা মহন্ত নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কথা লিখছেন ৷একটি মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার প্রোফাইলে দেখে ঘাঁটাঘাঁটি করে ৷অনেক কিছু বুঝেছেন৷যা আমি পড়ে বুঝলাম ৷
আর দাদা আপনার একটা কথা খুব ভালো লেগেছে ৷ সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ কারো জন্য দুটো ভালো কথা নিঃস্বার্থভাবে লেখার আগেও বেশ জল্পনা-কল্পনা করতে হয় ৷না জানি কখন বিপদের মধ্যে পরতে হয় ৷কারন চারদিক মানুষ গুলো শুধু সমলোচনায় লিপ্ত৷যাই হোক মণিকা মহন্ত কে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু লিখেছেন ৷আমিও প্রর্থান করি আপনার লেখা টি তার কাছে পৌছাক.৷
অতঃপর লেখাটি পৌঁছাইছে ভাই । বেশ ভালো সম্মান জানিয়েছে ।
সাদাকে সাদা বলা, কালোকে কালো বলা এবং মানবিক কাজে উৎসাহ দিয়ে লেখাই ব্লগার অথবা সাংবাদিকের কাজ। এতে কে কি বলল, কার কি আসে যায় সেদিকে না তাকানাই ভালো। আপনি সরিয়ে ছিটিয়ে পড়া মানুষগুলোকে নিয়ে লেখেন এটি একটি অত্যন্ত ভালো দিক। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পাঠকের আত্মতৃপ্তি লেখকের আনন্দের বৃহি:প্রকাশ । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
মণিকা মোহন্ত ইনার সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। হয়তো কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সম্পর্কে আমাদের খুব একটা জানা নেই। তবে অন্য কারো মুখে তাদের কথা শুনলে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যায় এবং তাদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতিগুলো তুলে ধরার জন্য।
সঠিক কথা বলেছেন আপু । জীবন গুলো যখন নেড়েচেড়ে দেখি বেশ ভালোই লাগে ।
মানুষের গুণাবলী এবং আচার ব্যবহার মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে চিরদিন। হয়তো তিনি অনেক গুণের অধিকারিনী। তাই সর্বত্র তার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে অন্যের ভালোবাসা পাওয়া। তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন এই কামনা করি।
এইটা যথার্থ বলেছেন ভাই । কে কিভাবে কার মনে জায়গা নেয় এইটা বলা ভীষণ মুশকিল ভাই ।
আপনার গল্পে আবার একজন নতুন চরিত্রের সম্পর্কে পড়ে ভালো লাগলো।আসলে নতুন নতুন চরিত্র পড়তে বেশ ভালো লাগে।জীবনে সিরিয়াস হওয়াটা খুবই জরুরি ঠিক বলেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষ নিয়ে কে জানতে ভালই লাগে , আর লিখতেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আপু ।
ভাইয়া খুব আগ্রহ করে পড়তে বসেছিলাম। কিন্তুু মণিকা মোহন্তের মেইন ঘটনাটা তো জানা হলো না। তার বাড়ি কোথায়, কি করে সে, তার কাহিনী কেন আপনি লিখতে যাবেন,সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারলে ভালো হতো।
মনিকা মহন্ত আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষ। যে মানুষটার সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই কিন্তু তারপরও ১৭ বছর ধরে আমাকে নিজের বোনের মতো করে আগলে রেখেছে। আমার নিজের কোন বোন নেই আমি একটা সময় খুবই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলা কোন একটা কারনে, তখন উনি আমাকে সর্বদিক থেকে সাপোর্ট দিয়েছিলের, আজও একই ভাবে আমাকে, আদর ভালোবাসা সাপোর্ট দিয়েই যাচ্ছেন। ওনাকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। ওনার জন্মদিনে ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়েছিলাম সেটা দেখে আর আমার মুখে সবসময় ওনার নাম শুনেই যে শুভ ভাইয়া আপনি ওনাকে নিয়ে এত সুন্দর ভাবে গল্প লিখেছেন তার জন্য আমি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। মনিকা দিদি খুবই খুশি হয়েছে তাকে নিয়ে গল্প লেখার জন্য। উনি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা জানিয়েছেন। ভাইয়া আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। 🙏🙏🙏🙏🙏
বাহ , বেঁচে থাকুক ভাল মানুষ গুলো পৃথিবীর বুকে যুগ থেকে যুগান্তর। শুভেচ্ছা রইল তার জন্য।
আমার মনেও প্রশ্ন জেগেছিল কে এই মনিকা মহন্ত। আপনার কমেন্ট থেকে শেষ পর্যন্ত জানতে পারলাম যে উনি আসলে কে আর শুভ ভাই কেনই বা উনাকে নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।