ফুল
ফুল পছন্দ করে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া হয়তো খুব মুশকিল । আমরা যে রকমেরই মানুষ হই না কেন তবে দিনশেষে যে কোন কিছুর অতিরিক্ত সৌন্দর্য্য আমাদেরকে একটু বেশি টানে, এটাই হয়তো সত্য কথা ।
যাইহোক এই ফুল গুলোর ছবি তোলা হয়েছিল কল্লোলের বাড়িতে গিয়ে । ব্যাপারটা হচ্ছে যে বাড়িতে বিশেষ করে মেয়ে মানুষ থাকে, যদি সে স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হয় তাহলে দেখবেন সেই বাড়িতে কমবেশি ফুলের বাগান থেকেই যায়। আসলে তারা এটা অনেকটা শখের বসেই করে ।
যদিও ফুলের বাগান তৈরি করা মোটেও সহজ কাজ না। কারণ এই কাজে অনেকটাই মানসিক স্থিরতার পরিচয় দিতে হয়। তবে সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন গাছে ফুল ফোটে তখন সেই সৌন্দর্য্যে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায় আর ভুলে যায় পিছনের পরিচর্যার কথা।
ওদের বাড়িতে ঢুকেই প্রথম যে বিষয়টা আমার বেশি নজরে এসেছিল সেটা হচ্ছে এই গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য্য। বাহারি রকমের গোলাপ ফুল যা দেখে আসলে কোনভাবেই নিজেকে সামলাতে পারি নি। তাই মুঠোফোনটা বের করে ঝটপট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম ।
আমি যেটা সন্দেহ করেছিলাম, পরে গিয়ে দেখি ঠিক সেটাই হয়ে গিয়েছে। আসলে এ ফুল গাছগুলো রোপণ থেকে শুরু করে পরিচর্যা সবকিছুই করে থাকে কল্লোলের বোন তুবা । ঐ যে বললাম, বাড়িতে যদি মেয়ে মানুষ থাকে তাহলে আসলে বাড়ির এই বাহ্যিক সৌন্দর্যগুলো এমনিতেই চলে আসে ।
যাইহোক সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, যারা এই রকম কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবেই পছন্দ করি। এজন্য শুরুতেই ধন্যবাদ দিয়ে দিয়েছি কল্লোলের ছোট বোনকে। যদিও আমার সহধর্মিনী তার কাছে আবদার করেছিল যাওয়ার সময় যেন, এই ফুল গাছের একটু কাটিং ডাল দেয়। অবশেষে পরবর্তীতে আসার সময় আমরা কয়েকটা গোলাপ গাছের ডাল পেয়েছি তার কাছ থেকে। যেগুলো এখন আমার বেলকুনিতে রোপণ করা হয়েছে ।
আচ্ছা এখন একটু কাজের কথায় আসি। আমার এলোমেলো চিন্তাধারা থেকে মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ফুল হয়ে জন্মাতে পারতাম, তাহলে হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য হলেও মানুষের মনে কিছুটা আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে থাকতে পারতাম। সবাই আমাকে কাছে টানতো এবং আমাকে দিয়েই অনেকেই ভালবাসার নিবেদন জানাতো তাদের প্রিয় মানুষকে। ভালোবাসা নিবেদনের তালিকায় গোলাপের জুড়ি বরাবরই ঊর্ধ্বে।
গোলাপ ফুল নিয়ে আমি তেমন কোন ব্যাখ্যা দিতে চাই না । কারণ তার আদ্যপ্রান্ত সবকিছুই আপনাদের কমবেশি জানা। তবে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো একটু আলাদা। আমি সেদিন যখন ফুলের ছবিগুলো তুলেছিলাম এবং সেই সৌন্দর্য্য যখন খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম, তখন মুহূর্তেই নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেছিলাম সেই ফুলের জায়গায়। আমি একজন আগন্তুক মানুষ,এসেই আমার দৃষ্টি চলে গিয়েছিল, সেই তরতাজা ফুলগুলোর উপর ।
মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে খুব যে বেশি ভালো কাজ করতে পেরেছি, তা আমি বলতে পারবো না। তবে বেশি মানুষের মনে যে জায়গা করতে পারি নি, এটা আমি মাঝে মাঝেই অনুধাবন করতে পারি। এই ক্ষেত্রে ফুল গুলো দেখে বড্ড হিংসে হচ্ছে, যদি ফুল হয়ে জন্মাতে পারতাম। হয়তো আমার স্থায়িত্বকাল খুব একটা বেশিদিন থাকত না, তবে যতদিন আমার সৌন্দর্য্য থাকতো ঠিক ততদিন সবাই আমাকে আগলে রাখত এবং মুগ্ধ হয়ে আমার উষ্ণ সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দিতো সর্বত্র ।
মানুষের ভিতরে যে বৈশিষ্ট্য গুলো নাই তার থেকেও বেশি সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা মনে হয় এই নিষ্পাপ ফুল গুলোর মাঝে আছে। এদের শুধু একটাই কাজ, সৌন্দর্য্য বিলিয়ে দেওয়া এবং সৌন্দর্য্য বিলিয়ে দিয়েই এরা এক সময় শেষ হয়ে যায়।
মানুষ হিসেবে যেহেতু আমি বা আপনারা জন্মগ্রহণ করেছি। আমাদের কাছে কিন্তু অনেক সুযোগ আছে, এই ফুল গুলো কে দেখেও কিন্তু অনেকটা শিক্ষা নিতে পারি। যদিও তাদের থেকে আমাদের স্থায়িত্বের ব্যাপারটা অনেকটাই বেশি। তবে এই দীর্ঘ সময়ে যদি আমরা ফুলের মত সৌন্দর্য্য, পবিত্রতা, মনুষত্ব ও মানবিক দিকগুলো প্রতিনিয়ত ফুটিয়ে তুলতে পারি তাহলে ফুলের মতোই পবিত্র ও সুন্দর হয়ে উঠবে এই ধরণী।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
ঠিক বলছেন ভাইয়া যে ঘরে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা আছে এবং মেয়েরা আছে তারা ফুল বাগান করতে খুবই ভালোবাসে।ফুল বাগান করা আমার মতে সৌন্দর্য যেমন বিরাজ করে তেমনি শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এরকম বাড়ির আঙিনায় ফুল বাগান করতে গিয়ে কিছু পরিশ্রম হয় যা শরীরের জন্য অনেক ভালো।ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার কবিতার মতই সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফ গুলো।আর তার সাথে যেভাবে পুরো বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন তার প্রশংসা যতই করা হোক,ততই কম।ঠিকই বলেছেন আমরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে ফুলের মত ফুটে উঠতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া দৃষ্টিনন্দন ফটোগ্রাফ ও সুন্দর কথাগুলো শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া মাঝে মাঝে ফুলের সেই পবিত্রতা এবং মুগ্ধতার মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে মনে হয় ইস আমি যদি সেই ফুল হতাম তাহলে বোধহয় ভালো হতো। আমাদের জীবনের জটিলতা গুলো হয়তো জীবনটাকে আরো বিষিয়ে তোলে। কিন্তু ফুল কতই না নিষ্পাপ। কোন জটিলতা নেই তার জীবনে। শুধুই গন্ধ বিলিয়ে যায়। আর শুধু উজার করে সৌন্দর্য বিলিয়ে যায়। কল্লোল ভাইয়ার বাড়িতে গিয়ে এই সুন্দর ফুল গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। উনার বোন একজন সৌখিন মানুষ বুঝতেই পারছি। যেহেতু আপনারা সেখান থেকে গোলাপ গাছের কলম সংগ্রহ করেছেন আশা করছি আপনার বারান্দার শখের বাগান ফুলে ফুলে ভরে উঠবে।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া ফুল হয়ে জন্মনিলে হয়তো মানুষ,তার সৌন্দর্য আর ঘ্রাণ এ তাকে কাছে টেনে নিত। যদিও সেটা বেশি সময়ের জন্য স্হায়ী নয়।আসলে আমাদের ফুল থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়া উচিত। সত্যিই তো যে বাড়িতে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে থাকে, সে বাড়িতে ফুলের সৌন্দর্যটা বেশি থাকে।তবে এটা সত্যি ফুলের বাগান কিন্তু তত সহজ নয়, তবে ফুলের সৌন্দর্য্যে যখন সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়, তখন ভুলে যায় পিছনের পরিচর্যার কথা।ধন্যবাদ ভাইয়া ফুল নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
ফুল এবং শিশু পছন্দ করে না এমন মানুষ সত্যি বিরল। ভালই হলো বৌদি ফুলের ডাল কেটে নিয়ে এসেছেন। তার মানে আর কিছুদিন পরে আপনার বাড়ি থেকে ও এরকমই সুন্দর ফুলের ছবি আমরা দেখতে পারবো আশা রাখছি। এটা ঠিকই দাদা ফুল এতটাই আকর্ষণীয় যে মাঝে মাঝে সত্যিই হিংসে হয় যে যদি ফুল হতে পারতাম অন্তত কিছু সময়ের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারতাম। তবে মানবজীবনেও আমরা ভালো কাজের মাধ্যমে ফুল হয়ে উঠতে পারি। আপনি আমাদের কমিউনিটিকে যেভাবে ধরে রেখেছেন, সবাইকে বলতে পারা যায় এক সূত্রে গেঁথে রেখেছেন,এটাও বা কোন অংশে কম কি?
ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ নাই বললেই চলে।আসলের মেয়েরাই বেশি গাছের যত্ন নেয়। অনেক কালারের ফুল।আপু ডালা নিয়ে এসেছে,আসলে বারান্দায় রোদ পরলে অনেক গাছ লাগানো যায়।আসলে কষ্ট করে বাগান করলেও যদি ফুল ফুটে তাহলে কষ্ট গুলো আর কষ্ট লাগে না।আসলে ফুল হয়ে জন্ম নিতে পারলে মনে হয় ভালো হয়,হয়ত সৌন্দর্য টা খুব অল্প সময়ের তবে যতটুকু সময় থাকতো ঠিক ততটুকুই সৌন্দর্য নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ