দায়িত্ববোধ
গতকাল গিয়েছিলাম বড়দহ সেতুতে পুরো পরিবার নিয়ে বেড়াতে। যদিও সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্য একদিন লিখব। তবে গতকাল সেখানে যাওয়ার পথে একটা বিষয় জেনে আমার ব্যক্তিগত খুবই ভালো লেগেছে, সেই ব্যাপারটা নিয়ে কিছু কথা আজ লেখার চেষ্টা করছি।
বিশেষ করে গ্রামের মানুষ যখন শহরে গিয়ে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করে ফেলে তারপরে কিন্তু অনেকেই গ্রামের নিজের বাড়ির প্রতি সেভাবে আর খোঁজ খবর রাখে না। তবে কিছু মানুষ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে তারা যদি শহরে গিয়ে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করে ফেলে এবং সেখানে গিয়ে যদিও নিজের বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করে ফেলে তারপরেও কিন্তু তাদের মনটা গ্রামের প্রতি পড়ে থাকে এবং গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর জন্য কিছু করার চিন্তাভাবনায় সর্বদা ব্যস্ত থাকে ।
আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেই জায়গাটা শহর থেকে কমপক্ষে ২০ কিলোমিটার দূরে। আসলে এত দূর থেকে গ্রামের মানুষের যদি হঠাৎ অসুখ-বিসুখ হয়ে যায় তাহলে সদর হসপিটালে যেতে মোটামুটি বেশ ভালই সময় লেগে যায় আর যাতায়াতটাও বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই হাতের কাছে যদি প্রাথমিক চিকিৎসার হসপিটাল পাওয়া যায় তাহলে সেটা কিন্তু একদিক থেকে অবশ্যই ভালো গ্রামের মানুষের জন্য।
হয়তো এমনটা চিন্তাভাবনা থেকেই এখানকার এক স্থানীয় মানুষ যারা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানরত তারপরেও গ্রামের মানুষের এই দিকটা বিবেচনা করে এই প্রান্তিক অঞ্চলে হসপিটাল ও তার পাশে একটা মসজিদ গড়ে তুলেছে। এমন কাজকে অবশ্যই আমি সাধুবাদ জানাই। ঐ যে বললাম গ্রাম থেকে শহরে চলে যাওয়ার পরে অনেকেই গ্রামের প্রতি তেমন আর কোন দায়িত্ববোধ রাখে না। তবে কিছু মানুষ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।
প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা বলতে মোটামুটি সদর হসপিটালে যে সেবাগুলো চালু আছে ঠিক তেমন সেবাগুলোই এখানে পাওয়া যায়। তাই আর কষ্ট করে এখানকার মানুষকে সেই দূরের সদর হসপিটালে যেতে হচ্ছে না আর চিকিৎসা খরচ একদম হাতের নাগালে।
এমন উদার মন মানসিকতার মনুষ্যত্বকে অবশ্যই আমার শ্রদ্ধা জানাতে ইচ্ছা করছে। তারা আসলে সকলের চোখে আঙ্গুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যদিও গ্রাম থেকে তারা চলে গিয়েছে তারপরেও তাদের করণীয়টা তারা ঠিকই করে যাচ্ছে।
এখন রাত বিরাতে গ্রামের মানুষ অসুস্থতায় ভুগলে বা অ্যাম্বুলেন্সের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আর তাদের তেমন কোন চিন্তাভাবনা করতে হয় না, খুব সহজেই তারা নিশ্চিন্তে এই সেবাগুলো পেয়ে যাচ্ছে। তালুকদার বাড়ির এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।
যদিও ভিতরে গিয়ে সেভাবে ঘোরাফেরা করার সুযোগ হয়নি তবে আমরা যে রিক্সায় গিয়েছিলাম, সেই ভদ্রলোকের কাছ থেকে পুরো ব্যাপারটা শুনেছি। মানুষ হোক মানুষের জন্য, এ ব্যাপারগুলোর নজির যখন কিছুটা হলেও চোখের সামনে সাদৃশ্য হয়ে ওঠে, তখন হালকা প্রশান্তির ছোঁয়া যেন হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1680584475204546560?t=9aR9bgaHzI25bzYOPWDP9A&s=19