খিচুড়ি পার্টি
ধরুন একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন, বাহিরে একদম প্রচুর কুয়াশা পড়েছে, কোন কিছুই তেমন ঠিকঠাক মতো দেখা যাচ্ছে না। হয়তো বেলা তখন দুপুর হয়ে গিয়েছে, তারপরেও আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে ভোরবেলার মতো।
এমন সময় যদি গরম গরম খিচুড়ি খাবার টেবিলে পাওয়া যায়, তাহলে কেমন হবে। আমি মনেকরি যারা ভোজন রসিক মানুষ আছে, তাদের কাছে এমন মুহূর্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে ।
এই ঘটনাটি কয়েকদিন আগের। এখনো যে ঠান্ডার পরিমাণ কমেছে, তা আমি বলবো না। তবে সেদিনের ঘটনাটা আজ একটু আলোকপাত করার চেষ্টা করছি ।
আমাদের দোতালায় যে বৌদি থাকে, ইতিমধ্যেই আপনারা তাকে চেনেন। তার ছোট মেয়ের সম্ভবত সেদিন বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছিল। আমার আসলে কখন সকাল হয় আর কখন রাত হয়, এটা নিয়ে বাসার তেমন কারো মাথাব্যথা নেই। আমি অনেকটাই আমার মত করে জীবন যাপন করি এবং আমার সহধর্মিনীকেও তার নিজের মতো করে থাকতে দিতে পছন্দ করি ।
আমি তখনো সম্ভবত ঘুম থেকে উঠিনি । সেদিন কি যেন কাজে আমার সহধর্মিনী দোতালায় গিয়েছিল আর তখনি বৌদির মেয়েদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তবে হীরা যখন শুনেছিল, বৌদির ছোট মেয়ে তখন কেবল বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে আসলো। তাই সেই সুবাদেই, মূলত হীরা তাদেরকে নিয়ে বাসায় খিচুড়ি পার্টির আয়োজন করেছিল ।
রিতু ভাবীর মেয়েটা খুবই চঞ্চল। ওকে আমার বেশ ভালই লাগে। যেহেতু বৌদি আর রিতু ভাবী একদম পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকে। তাই আসলে দুজনের বাচ্চাদেরকেই হীরা দাওয়াত দিয়েছিল বাসায়। ওরাও আসলে রান্নায় সহযোগিতা করেছিল হীরাকে ।
যদিও আমি এসবের কিছুই জানতাম না । কারণ আমি যখন ঘুম থেকে উঠেছি, তখন মোটামুটি দেখলাম সব কিছুই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে । আমি আসলে এই ক্ষেত্রে বড়ই সৌভাগ্যবান। ঘুম থেকে উঠেই মোটামুটি গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে মুরগির মাংসের ভাজা দেখে, নিজেকে কোন ভাবেই আর সামলে রাখতে পারলাম না ।
ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলাম দুপুর হয়ে গিয়েছে। তবে তা আবহাওয়া দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। মনে হচ্ছে কেবল ভোর হচ্ছে। যাইহোক ওদের সঙ্গে আমিও বসে গেলাম খাবার টেবিলে। গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি আর সঙ্গে মুরগির মাংস ভাজা একদম খেতে ভালই লাগছিল ।
অভুক্ত পেটটাকে মোটামুটি ভরিয়ে ফেললাম। বেশ ক্ষুধার্ত ছিলাম আর তারমধ্যে এমন সব খাবার চোখের সামনে দেখে, অনেকটাই অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে অবশ্য সমস্ত ধন্যবাদ পাওনার দাবিদার, আমার সহধর্মিনী ।
ও নিত্য নতুন প্রতিনিয়ত রান্না করে বিধায় সেই গুলো আমার খাওয়ার সৌভাগ্য হয়। তবে তারপরেও সেদিনের মুহূর্তটা ছিল অনেকটাই আলাদা। কারণ সেদিন যে আবহাওয়া ছিল, তার সঙ্গে এমন খাবার গুলো বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল ।
তারপরেও ছোট বাচ্চাদের আমার এমনিতেই বেশ ভালো লাগে। আর ওরাও আমার ভীষণ পরিচিত ও কাছের। তাই সবাই মিলে বেশ ভালোই একটা সময় কাটিয়ে দিয়েছিলাম সেদিন আর তাছাড়া আমার বাবুও বেশ ভালোই উপভোগ করেছিল মুহূর্তটা ।
সম্ভবত গতবছরের একদম শেষের দিনের ঘটনা ছিল এটি। আসলে অনেকগুলো মুহূর্ত জমে থাকার কারণে, এটা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেও খানিকটা দেরি হয়ে গেল । তারপরেও বলবো, এমন সময়গুলো মাঝে মাঝেই আসা দরকার । তাহলে সকলের সঙ্গেই আন্তরিকতা বেশ ভালই দৃঢ় হয় ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আমার তো রীতিমত মন খারাপ হয়ে গেল। কারন আমি কেন আপনাদের একতলায় বা চারতালায় থাকতে পারলাম না। এমন এমন মজা করেন সবাই। হীরা বৌদি, বৃষ্টি চাকী আর রিতু আমিন আপু সবাই মিলে কত মজা করেন। আর আপনার তো আর মজার শেষ নেই। ঘুম থেকে জেগে মজার মজার মুরগী ভাজা আর খিচুড়ি। শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখলাম। আপনারা খাইলেন আর আনন্দ করলেন।হা হা হা
বেশ হাসলাম আপু, আপনি চলে আসেন একদিন আমাদের বাসায়। দাওয়াত দিলাম আপনাকে।
আর আমি তো ভাইয়া কাঁদলাম। যাক খুশি হলাম কাউকে হাসাতে পেরে।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনার ভাগ্য খুবই ভালো ঘুম থেকে উঠেই এরকম গরম গরম খিচুড়ি তার সাথে মুরগির মাংস ভাজি সত্যিই অনেক সুস্বাদু খাবার। শীতের সময় যেকোনো ধরনের গরম খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। আজ যদি এরকম ভাগ্য থাকতো তাহলে আমিও খেতাম।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, শীতের সময় আসলেই গরম খাবারের গুরুত্ব আলাদা।
খিচুড়ি আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি। খিচুড়ি হলে পেট ভরে খেয়ে ফেলি। আপনি তো ভাগ্যবান ঘুম থেকে উঠেই গরম গরম খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস ভাজা পেয়েছেন। কজনের ভাগ্যে এমন খাবার আছে বলেন তো। এভাবে মাঝেমধ্যে খেলে আত্মীয়তা দৃঢ় হবে।
এই শীতের সময় গরম খিচুড়ি আর কি লাগে৷ আর এখন যে পরিমান শীত তাতে সারাদিন সকাল মনে হয় ৷ যা হোক আপনি ঘুম থেকে উঠেই খিচুড়ি আর দেশী মুরগীর ৷ তারপর দেখছি বৃষ্টি চাকি মেয়েরা এসেছে ৷ দেখে ভালোই লাগলো ৷ আর সবাই মিলে খেতে বসলে ভালোই লাগে ৷
ভাইয়া এমন সৌভাগ্য আপনাদের ছেলেদেরই হয় আমাদের মেয়েদেরকি আর সম্ভব। যাই হোক এই ঠান্ডা কুয়াশার মধ্যে এমনিতেই খিচুড়ি খেতে ভালো লাগে। তাছাড়া ঘুম থেকে উঠে যদি এরকম খিচুড়ি আর চিকেন ফ্রাই হয় তাহলে তো কথাই নেই যেভাবে চিকেন ফ্রাই এর ছবি দিয়ে রেখেছেন দেখেই তো মনে হচ্ছে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দেই। যাই হোক ঋতু আপুর মেয়ের বৃত্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বাসায় ভালোই পার্টির আয়োজন হলো। খুব মজা করেছেন সবাই মিলে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।