দীর্ঘদিন পরে মামার বাড়িতে
রাত তখন বারোটা অতিক্রম করেছে। তবে তখনো আমাদের ডিজে পার্টি বেশ ভালোভাবেই চলছিল । গতকাল এমনিতেই ঈদের দিন ছিল তারপরেও সবাই সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পরেও, রাত্রিবেলা কমিউনিটির স্পেশাল হ্যাংআউটে যুক্ত হয়েছিল। আসলে আমাদের কমিউনিটির সকলের মাঝে আন্তরিকতা এতটাই গভীর যে এই উৎসবের সময়ও সবাই একত্রিত হয়ে সুন্দর কিছু সময় গতকাল আমরা অতিবাহিত করেছিলাম।
যেহেতু এবার আমার গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া হয়নি, তাই এবার শহরেই ঈদের সময়টা নিজের মত করে কাটানো হয়েছে তবে তা অনেকটা গৃহবন্দীভাবে। কারণ বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে সারাদিন।
ঈদ পরবর্তী দিনে আজকে প্রথম গিয়েছিলাম মামার বাসায় পুরো পরিবার নিয়ে দাওয়াত খেতে । শুরুতেই স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম। যেহেতু রেস্টুরেন্ট গুলোতে এই সময় মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার ছাড়া আর অন্য কোন খাবার পাওয়া যায় না। কারণ ক্রেতারা মূলত বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার জন্যই এই সময় রেস্টুরেন্ট গুলোতে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার কেনার জন্য প্রচুর ভিড় করে। আজ ভিড়ের মধ্যে একপ্রকার যুদ্ধ করতে হয়েছে দই মিষ্টি কেনার জন্য।
মোটামুটি বাসা থেকে বের হওয়ার পরেই বৃষ্টির শিকার হয়েছিলাম। তাই আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। আসলে প্রতিবার ঈদ উৎসবের পরবর্তী সময়ে, মামা তার বাসায় আমাদের দাওয়াত দিয়ে থাকে। এটা আমি সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় আছে। মূলত দুপুরবেলায় দাওয়াত ছিল। তবে আমরা যখন পৌঁছেছি তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। হয়তো বৃষ্টি না হলে আরো আগেই পৌঁছে যেতাম।
দীর্ঘদিন পরে মামা-মামি আমাদেরকে পেয়ে বেশ ভালই খুশি হয়েছিল। তাছাড়া ইমুও বেশ খুশি হয়েছে ছোট বাবুকে পেয়ে। মোটামুটি বেশ ভালই মজা হয়েছে মামার বাড়িতে। বিশেষ করে দুপুরবেলা দীর্ঘদিন পরে সবাই একত্রে বসে খাওয়া দাওয়া করা হয়েছিল, মামি তো প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছিল আমার পছন্দের খাবার গুলো বারবার এগিয়ে দেওয়ার জন্য। যদিও আমি খুব একটা বেশি খেতে পারিনি।
মামা মামির বয়স হয়ে গিয়েছে, তবে তারপরেও তাদের আতিথিয়তায় কোন ত্রুটি ছিল না । সেই ছোটবেলাতেও যেরকমটা দেখেছি এখনো ঠিক একই রকমই আছে। খাওয়া দাওয়ার পরে অনেকটা সময় গল্পগুজব হল। মামার শরীরটাও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না, মামিরো কিছু শারীররিক জটিলতা দেখা দিয়েছে। ব্যাপারগুলো শুনে কিছুটা কষ্ট পেয়েছি, তবে তাদেরকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তবে বেশ ভালো ছিল আমাদের কাছে ঈদ পরবর্তী দাওয়াতের এই মুহূর্তটা।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1674746624013377537?t=kDvQiBDBNSrxiU3gooffuQ&s=19
কথায় আছে মামার বাড়ি রসের হাড়ি, তাহলে তোমার যত্নের ত্রুটি হবেই বা কেন শুভদা। তবে কালকে আসলেই সারাদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হয়েছিল। আমি নিজেও ভেবেছিলাম একটু বাইরে ঘুরতে যাব তবে সেই সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ভালো কাটুক তোমার ঈদের দিনগুলো শুভ দা।
ধন্যবাদ তোমাকে ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। তোমার জন্যও ঈদ উৎসবের শুভেচ্ছা রইল। তোমার আগামীর সময় গুলো ভালো কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা করি।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে ভাইয়া মামার বাড়ি তো মামার বাড়ি, সেখানে আপ্যায়নের সত্যি ত্রুটি থাকে না। যাইহোক ভাইয়া আপনার মতো আমরাও বৃষ্টির জন্য বেরাতে গিয়ে এভাবে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আর ঈদের পরের দিন একটু না ঘোরাঘুরি করলে ভালো লাগে না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন আপু, যেহেতু দীর্ঘদিন পরে এমন দাওয়াত পেয়েছি, তাই আসলে সুযোগটা হাতছাড়া করিনি।
বছরের অন্যান্য সময় আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে না গেলেও, ঈদের সময় ঠিকই যেতে হয়। কারণ একেবারে আসা যাওয়া না থাকলে সম্পর্ক ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। যাইহোক মামার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন সবসময়।
এটা সত্য মামার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কেটেছিল সেদিন আমাদের।