নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা পর্ব-১ || ১০% shy-fox🌼💗🦊🦊
বাংলা মাসের -11ই পৌষ | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | রবিবার |
হ্যালো আসসালাম আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় । আজকে আপনাদের মাঝে আমার বাড়ি ফেরার গল্প শেয়ার করবো আশা করি সবার ভালো লাগবে। চলুন শুরু করা যাক।
আমাদের এক্সাম শেষ হইছে ইউনিভার্সিটিতে, দীর্ঘ চার মাস আসছি বাসা থেকে আর যাওয়া হইনি, আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পালা।২৩ তারিখে ও একটা এক্সাম ছিলো সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত, বাসাই আম্মুকে বলে দিছি আম্মু আমি ওইদিন বাসায় আসবো, চার মাস মা বাবাকে দেখি না, আমি খুবই এক্সাইটেড।তারপর এক্সাম শেষ করে ডিরেক্ট ইউনিভার্সিটির হলে চলে আসলাম, আমি প্রথম থেকে ইউনিভার্সিটির হলে ছিলাম, আমার অনেক বন্ধুবান্ধব তারা বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকে।তারপর রুমে এসে গোসল করলাম, দুপুরের খাবার হল থেকে সেরে নিলাম।ও আরেকটা কথা বলে রাখি আমি একা যাচ্ছি না আমার সাথে একটা বন্ধুও যাচ্ছে তার নাম সানজিদ, তার বাসা ঢাকা, ও বলছিলো যে ও রাতে বরিশাল থেকে লঞ্চে যাবে,আমি বললাম রাতে গেলে তুই সকালে জেয়ে পৌছাবি, তার চেয়ে তুই আমার সাথে রওনা দে রাতের ভিতর ঢাকায় পৌছায় যাবি।আমি হলে থেকে খেয়ে বাসায় ফোন দিলাম আম্মুর কাছে আমি রওনা হচ্ছি, আম্মু বললো আল্লাহর নামে রওনা দিও আমি আল্লাহর নামে রওনা দিলাম। আপনাদের আরেকটা কথা বলি আমি কিন্তু বাইকে যাবো বাসায় আমার নিজস্ব বাইক আছে, বাইক আগের দিকে টুকটাক কাজ করিয়েছিলাম, কারণ প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিবো।
তারপর হলের সামনে এসে বাইকের সাথে কিছু ছবি তুলি, কারণ বাসায় গেলে আবার ইউনিভার্সিটির হলকে মিস করবো। আমার বন্ধু সানজিদ তুলে দিলো ছবি, তার সাথে ও একটা সেল্ফি নিলাম।আল্লাহর নামে রওনা হলাম, আমি মোটামুটি বাইক চালানোর সময় হেলমেট, সেফটি গার্ড পরে বাইক চালাই। কারণ একটি এক্সিডেন্টে সারাজীবনের কান্না।সবসময় আমি হেলমেট পরিধান করি।বাইক চালানো শুরু করলাম ইউনিভার্সিটির প্রথম গেট থেকে টাকা তুললাম বাইকে তেল ভরার জন্য, তারপর বাইক চালানো শুরু করলাম দুই বন্ধু গল্প করতে করতে আগাতে লাগলাম,বরিশালের কাছাকাছি এসে একটা তেল
পাম্প থেকে তেল নিলাম, ৫০০ টাকার, আগের দিন ভরা ছিলো ১০০ টাকার মোটামুটি এই দিয়ে বাসা পর্যন্ত যাওয়া যাবে।
আমি আমার বন্ধুকে আগেই বলে রাখছি সারারাস্তা কথা বলতে বলতে যাবি কারণ হাইওয়ে রাস্তা, খুব সাধারণের সাথে চালাতে হয়, আমিও মোটামুটি সাবধানতার সাথে বাইক চালাচ্ছি। বরিশাল আসলাম, সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন চা খেলাম কিছু গল্প করলাম, তারপর আবার বাইক চালানো শূরু করলাম।আমার বন্ধু সানজিদ সে মূলত যাবে ঢাকা, তাই আমি তাকে বরিশাল গৌরনদীতে নামিয়ে দিবো, আমি সেখান থেকে গোপালগঞ্জের রুট ধরে নড়াইল আসবো।বরিশাল শহরে অনেক কিছু আছে অনেক পুরাতন শহরতো,
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ,বরিশাল নদী বন্দর, বরিশাল ইউনিভার্সিটি আরো অনেক কিছু। আমরা সব কিছু উপভোগ করতে করতে যাচ্ছি।আমরা বরিশাল থেকে চা খেলাম,একটা দোকান থেলে সিংগাড়া খেলাম, এবং মিস্টি খেলাম। কারণ রাস্তায় যেনো ক্লান্তি না আসে সেজন্যই এই গুলা খাওয়া৷আমি আগেরবার ইউনিভার্সিটিতে আসার সময় অনেক ঘুরে আসছিলাম নড়াইল থেকে ফরিদপুর ভাংগা, তারপর বরিশাল, এবং পরে আমার গন্তব্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রজুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এবার যাওয়ার সময় একটি ভিন্ন পথ এ গেলাম কারণ বেসি ঘুরে তো লাভ নাই, এবার বরিশাল দিয়ে গোপালগঞ্জ গেলাম, আর গোপালগঞ্জ থেকে নড়াইল খুব কাছে। আমার প্রায় ৫০/৬ কিলোমিটার কম ঘুরা হবে। অবশেষে আমরা গৌরনদী এসে পৌছালাম, আমার বন্ধু সানজিদ নেমে গেলো বাইক থেকে তার সাথে হ্যান্ডশেক করলাম, কোলাকুলি করলাম আবার দেখা হবে তাকে আমি মাওয়া বাসে ঊঠাই দিলাম সে মাওয়া হয়ে ঢাকা যাবে। তাকে বিদায় জানালাম,
চলবে.............................................
আমার পরিচয়
ভাই আপনার ইউনিভার্সিটি থেকে বাড়ি ফিরে আসার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।আপনি আপনার বন্ধু সানজিদের সঙ্গে একত্রে হল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে হেলমেট পড়ে রওনা হয়েছেন।সাবধানতা অবলম্বন করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ নাহিদ ভাইয়া💗💗
ইনশাআল্লাহ কাল পরের পর্ব দিবো ইনশাআল্লাহ 💗