নড়াইল টু বরিশাল ট্রিপ🚲🏍️🛵 বাইকে (২৫০ কিমি রাইড) ||১০% shy-fox
হেলো আসসালামআলাইকুম"" আমার বাংলা ব্লগ""☘️☘️🌾🌽🥬 কমিউনিটির বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে আমি ভিন্ন একটা আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছি, আজকে আমি আমার প্রিয় শহর নড়াইল থেকে বরিশালে যাবো, তাও আবার বাইকে করে। বেপারটা আসলে কেমন জানি, প্রথমে বাসা থেকে রাজি হচ্ছিলো না পরে অনেক করে বলার পরে রাজি হয়েছে আম্মু আব্বু। আমি আর আমার বন্ধু শাকিল যাবো বরিশালে, শাকিল এর ও বাইক আছে। তাইলে চলুন শুরু করা যাক আমাদের বরিশাল ট্রিপের কাহিনি।
তারিখ - ১/১০/২০২১
আমরা ১ তারিখে রওনা দিলাম, কারণ আমার ভার্সিটি খুলে দিছে, দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর এই প্রথম যাচ্ছি ইউনিভার্সিটিতে। অনেক খারাপ লাগছিলো কারণ আম্মু আব্বুকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে।
আমরা সকাল ১০ টাই নড়াইল থেকে রওনা হলাম, দুই বন্ধু বাইকে তেল ভরে আল্লাহর নামে রওনা হলাম, নড়াইল থেকে কালনা ঘাটে গেলাম ১০.৩০ বাজলো সেখানে থেকে আমরা চা খেলাম কারণ অনেক দুরের পথ ক্লান্তি আসতেই পারে। পরে কালনা ঘাট পার হয়ে গোপালগঞ্জে পৌছালাম।
নড়াইল থেকে রওনা দেয়ার সময়।
কালনা ফেরিঘাট, নড়াইল।
গোপালগঞ্জে ওই দিকে একটা আম গাছ আছে শতবর্ষী আম গাছ, ওরে বাবা কতো বড় আম গাছ আমরা সেখানে গেলাম ঘুরতে। আসলে আমার বন্ধু শাকিল ওর ইউটিউব চ্যানেল আছে সেই জন্য ওইখানে যেয়ে ভিডিও করলো। তারপর
গোপালগঞ্জ থেকে আমরা আবার রেস্ট নেই, তারপর ভাংগা ফরিদপুর যাই। সেখানে অনেক সুন্দর হাইওয়ে রাস্তা, ওরে বাবা কি জোরে জোরে বাস ট্রাক চালাচ্ছে। আমরা ফরিদপুর এ ২ টা বাজলে পৌছাই গেলাম, সেখানে আমরা নামাজ সেরে নিলাম, এবং দুপুরের খাওহা সেরে নিলাম। খাওয়া পরে আমরা বরিশালের উদ্দেশ্য রওনা হলাম। প্রায় ২/২.৩০ ঘন্টা বাইক চালানোর পরে আমরা বরিশাল পৌছায় গেলাম, আমরা বরিশাল ইউনিভার্সিটির সামমে থেকে চা খেলাম,সেল্ফি তুললাম ।
শতবর্ষ আমগাছ, গোপালগঞ্জ।
শতবর্ষী আমগাছ এর সাইনবোর্ড।
ভাংগা ফরিদপুর, এতো সুন্দর রাস্তা বাংলাদেশে আর কোথাও নাই।
শতবর্ষ আম গাছ
শতবর্ষ আম গাছ
শতবর্ষী আমগাছ এর সামনে সেল্ফি।
শতবর্ষী আমগাছ এর সামনে সেল্ফি।
ভাংগা ফরিদপুর এর রাস্তার ভিতর সেল্ফি নিচ্ছে আমার বন্ধু শাকিল।
ভাংগা ফরিদপুর এর রাস্তার ভিতর সেল্ফি নিচ্ছে আমার বন্ধু শাকিল।
আমাদের দুপুরের খাবার বিরিয়ানি 🍜🍜🍜
আমাদের দুপুরের খাবার বিরিয়ানি 🍜🍜🍜
বরিশাল ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে চা খাচ্ছিলাম।
বন্ধু গেটের সামনে থেকে সেল্ফি নিলো৷
বন্ধু গেটের সামনে থেকে সেল্ফি নিলো৷
বরিশাল ইউনিভার্সিটি গেটের সামনে আমদের বাইক।
এই ছিলো আমার বাসা থেকে বরিশালে বাইকে আসার ভ্রমণ, সবাইকে একটাই অনুরোধ যারা যারা বাইক রাইড করেন হেলমেট পরে বাইক রাইড করবেন, কারণ একটি এক্সিডেন্ট সারাজীবনের জন্য কান্না বয়ে আনে পুরা পরিবারকে। কেমন লাগছে বন্ধরা কমেন্ট, ভোট দিয়ে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ইনশাআল্লাহ সামনে "আমার বাংলা ব্লগ "কমিউনিটি আরো ভালো কিছু নিয়ে আসবো, আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম শফিকুল ইসলাম শুভ। আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি৷ আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষ পড়াশুনা করি। আমার বাসা নড়াইল জেলায়।ইনশা আল্লাহ''আমার বাংলা ব্লগ ""এ আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো ,ভিন্ন কিছু করার প্রচেষ্টায় আছি, ইউনিক কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবো "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে | আপনাদের সাপোর্ট পেলে,বহুদূর যেতে পারবো। আমার জন্য দুয়া করবেন।
আপনি যদি আমাদের কমিউনিটি থেকে সাপোর্ট পেতে চান ,তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডিসকর্ডে সাপোর্ট টিকেট কেটে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে । ধন্যবাদ।
আচ্ছা ভাইয়া আজকেই টিকিট কেটে কথা বলবো ইনশাআল্লাহ 😍😍😍
নড়াইল থেকে বরিশাল এতোটা রাস্তা বাইকে যাওয়া অনেক বড় একটা ব্যাপার। এবং শতবর্ষী আমগাছ এর আগে শুনি নাই দেখিও নাই। আজ দেখলাম। আপনার পোস্টের অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল। খুব ভালো লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ইমন ভাই😍😍😍
আপনার রাইডিং দেখে আমার নিজের ইচ্ছা হচ্ছে কোথাও যায়।রাইডিং করতে খুবি ভালো বাসি।বাইক নিয়ে ঘোরার মতো মজা আর অন্য কোনো যানবাহনে নেই।অনেক ধন্যবাদ সুন্দর সময়টা শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ ভাই। আমিও একজন বাইকার। বাইক জার্নি করার মজাই আলাদা। এটা বলে বুঝাতে পারবো না। ভালোবাসা অবিরাম ভাই শুভ কামনা রইলো
হুম,ভাই মোটরসাইকেলের উপর টুর করে মজা নাই কোথাও, ধন্যবাদ মন্তব্য জানানোর জন্য 😍😍
যদিও মোটরসাইকেলে হাইওয়েতে চলাফেরা করা খুবই রিস্কি ব্যাপার। তারপরও আপনার একটা জিনিস ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার করছেন। বাইক চালানোর সময় সব সময় অবশ্যই হেলমেট পরে থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাইয়া আমি সবসময়ই বাইক চালানোর সময় সেফটি ইউজ করি।
ধন্যবাদ রূপক ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো 😍😍😍
😍
আপনি আপনার যাত্রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রায়হান ভাইয়া।
আপনার ট্রাভেল করার মুহূর্তটির লেখা ভালো ছিল।আপনি দারুণ সময় উপভোগ করেছেন আশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ গ্রিন আপু ।💓💓💓
বাইক টুর আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহুর্ত কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে মাঝে মাঝে এ রকম ঘুরতে যাওয়া উচিত মন ভালো থাকে একাকিত্ব দূর হয়। শুভ আপনার টুর। ভালো ভাবে ফিরে আসেন দোয়া করি
দোয়া করবেন জীবন ভাই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য 💓💓💓
খুব সুন্দর ঘুরে ফিরে আনন্দ করেছেন ভাই। হ্যা,ফরিদপুরের ভাংগার এক্সপ্রেস ওয়ে টি আসলেই বাংলাদেশের সেরা রাস্তা বলা চলে। খুবই চমৎকার জায়গা টি। আপনার জাত্রায় বিভিন্ন জায়গার ছবিগুলো খুব ভাল লেগেছে আমার কাছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া💓💓💓