|| বাবুই পাখির বাসা || ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাকঁ এর জন্য ||
আমার বাংলা ব্লগের সকল কে
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
আমরা সবাই একটি কবিতা জানি । বাবুই পাখি ও চড়াই এর মধ্যে কথোপকথন । আমি বাবুই পাখির বাসা টি হাতে নিয়ে কিছুক্ষন চিন্তা করলাম কিভাবে এত সুন্দর একটি বাসা তৈরী করতে পারে পাখিরা। তখন কবিতা টি মনে পড়ে গেল।
রজনীকান্ত সেন
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
"কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।"
বাবুই হাসিয়া কহে, "সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।"
বাকি প্রজাতি গুলো সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাস করে। আমাদের দেশে বাংলা ও দাগি বাবুই এর প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তবে দেশি বাবুই কিছু চোখে পড়ে গ্রামাঞ্চলে। ওরা নারিকেল , তাল, খেজুর গাছে বাসা বাঁধে। এরা পোকা , সস্য দানা, ফুলের মধু , বীজ, ধান, ভাত, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের রেণু খেয়ে জীবনধারন করে। আমি সেদিন অবাক হয়েছি এই বাসা টি দেখে। এত কাছ থেকে বাবুই পাখির বাসা কখনও দেখা হয়নি। দূর থেকে বোঝা কঠিন। বাসাটির বাহিরের আকৃতি এবং বুনোন এতটাই জটিল যে বোঝাই যায় না কিভাবে এটি তৈরী করলো।
আবার কিছু বাসা তৈরী করেছে উপরের দিকে মোটা নিচের দিকে সরু। অর্থাৎ কলস উল্টে দিলে যেমন হয় । এরা দলবদ্ধ ভাবে বাসা তৈরী করে । এবং কলোনীর মত করে থাকে। বিষয়টি কিন্তু খুবি দারুন যে ওরা সংঘবদ্ধ । সকলে মিলেমিশে থাকে। আর আমারা মানুষ আলাদা আলাদা বাড়ী করেও একে অপরের সাথে ঝগড়া বিবাদ করি। ওদের শিল্প জ্ঞান দেখে আমি আবাক হয়েছি।
বাসাটির ভিতরের দিকে এত সুন্দর বুনন যে দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে যে কেউ। এগুলো মূলত নাড়াকুটো দিয়ে তৈরী করেছে। তবে এই নাড়াকুটো আস্ত নয় এগুলো কে ছিড়ে পাতলা করে একটির সাথে আরেকটি কে ভাজে ফেলে তৈরী হয়েছে বাসাটি। একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে বাসাটির ছবি তুলেছি।
ওরা যে গাছে বাসা বেধেঁছে সেই গাছটি ছিল তাল গাছ। তাল গাছের নিচে খরের গাদা যেখান থেকে ওরা বাসার তৈরীর রসদ সংগ্রহ করেছে।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![4.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUgCp3pL4NabxjsU2VWUFyPukbXTETi2yAb3RJ6C3rWvn/4.png)
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক হলো বাবুই পাখির বাসা। যেটা এখন বিলুপ্তির পথে আগে তাল গাছের পাতায় এই ধরনের বাবুই পাখির বাসা দেখা যেতো এখন সেটা কম দেখা যায়।
মানুষের কারণেই প্রকৃতিক সৌন্দর্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আগে বেশিরভাগ তালগাছে দেখা যেত কিন্তু এখন অন্যান্য গাছে দেখা যায় কারণ তালগাছ দিন দিন কেটে ফেলা হচ্ছে।
এখন বুঝতে পারলাম, এই সেই আপনার বাবুই পাখির বাসা। যা শখ করে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারকে উপহার দিলেন ।আপনার আগ্রহ কে স্বাগত জানাই।
আমার কাছে ওদের কর্মকান্ড ভাল লেগেছে বলেই শেয়ার করেছি। ওরা যে অনেক পরিশ্রমী এবং আত্ম নির্ভরশীল ।
সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা হোক প্রগাঢ় এই কামনা করি।
কি দেখালেন ভাইয়া অনেক দিন পর বাবুই পাখির বাসা দেখতে পেলাম। অনেক দিন আগে আমাদের বাসায় সুপারির গাছে ঝুলন্ত বাবুই পাখির বাসা অনেক ছিল। তবে এখন আর নেই। ঝুলন্ত বাবুই পাখির বাসা গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর বাবুই পাখির বাসা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। হ্যা বাসা গুলো দেখতে খুবি ভাল লাগে।
বাবুই পাখির বাসা অনেকদিন হয়ে গেল দেখিনি। আগে আমাদের এখানে রাস্তার ধারে তালগাছ ছিল আর সেই তালগাছে বাবুই পাখির বাসা দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে তাল গাছ গুলো কেটে ফেলেছে আর তাই তালগাছও নেই বাবুই পাখির বাসা ও নেই। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বাবুই পাখির বাসা দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাবুই পাখির বাসাটি কে নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর বর্ণনা করে পোস্ট সাজিয়েছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি শুধুমাত্র কতটুকু পেরেছি জানি না তবে আপনার ভালো লেগেছে এজন্য আমি খুবই খুশি।
এই পাখিকে নিয়ে অনেক কবিতা রয়েছে, ছোটবেলায় গান ও শুনেছি,
এই পাখির বাসা বানানোর দক্ষতার সবাইকে মুগ্ধ করে, যদিও আমার কখনো কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়নি, তবে আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।
যাক আজকে দেখিয়ে দিলাম। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
কতদিন বাবুই পাখি দেখি না। শুধু বাসাই দেখালেন দাদা। পাখিও দেখতে চাই। যাইহোক অনেক দক্ষ এরা নিজের বাসা তৈরীর ক্ষেত্রে । কত নিপুন ভাবে বাসা তৈরী করে এরা। আপনি যে কবিতার লাইনগুলো প্রথমে লিখেছেন তা অনেক দিন পরে পড়লাম। ভাল লাগলো।
গুগোল এ সার্চ দিলে দেখতে পাবেন। হা হা। পাখির দেখা পায়নি কাছাকাছি তাই তুলতে পারিনি ছবি।
প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য বাবুই পাখির বাসা এবং এরা অনেক পরিশ্রমী ও শিল্পী ও বটে। কেননা খুব সুন্দর করে তার ক্ষুদ্র শিল্পের মাধ্যমে কি সুন্দর একটি বাসা বানিয়ে ফেলে। আপনাকে ধন্যবাদ বাবুই পাখির বাসার সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই ওরা অনেক পরিশ্রমী। মূলত প্রানী কুলের প্রায় সব প্রানীই পরিশ্রম করে থাক।
হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন সব প্রাণী পরিশ্রম করে থাকে। তবে বাবুই পাখি অনেক বেশি পরিশ্রম করে ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই।
বাবুই পাখি সত্যিই তাতি বা শিল্পী পাখি 🐦
কি চমৎকার বাসা তৈরি করে। অনেকগুলো পাখি একসাথে কি চমৎকারভাবে বসবাস করে ভাবা যায়। যাক সব উপর ওয়ালার সৃষ্টি।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য 🥀
হ্যাঁ সবকিছুই ঈশ্বরের দান। আমি আপনার সাথে একমত। ভালো থাকবেন।
আগে ঝড়ের সময় আমিও বাবুই পাখির বাসা কুড়াতাম আমাদের বাসার সামনে নারিকেল গাছে বাসা ছিলো। তবে নারিকেল গাছটি কেটে ফেলার পর আর বাবুই পাখির বাসা দেখি না।
ঝড়ে ওদের বাসা পড়ে যায় গাছ থেকে। ধন্যবাদ।
আমাদের বাড়ির সামনে একটি তাল গাছ ছিল আর সেই তালগাছে দেখতাম অনেক বাবুই পাখির বাসা। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন বড় হতে থাকলাম তখন এই তাল গাছ কেটে ফেলা ফেলা হয়েছে আরে বাবুই পাখি ও হারিয়ে গিয়েছে। আপনি আজকে বাবুই পাখির বাসা নিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি এবং কথা শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে আপনার পোস্টটি।
এভাবেই বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাবুই পাখি গুলো বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।