বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে মাছের রেসিপি তৈরি করতে আমার বেশি ভালো লাগে। কারণ আমি মাছ খেতে অনেক পছন্দ করি। আর যদি হয় নিজের পুকুরের মাছ তাহলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আমি এই রেসিপি কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম। আমি যখন গ্রামের বাসায় গিয়েছিলাম তখন আমি আমার গ্রামের বাসার পুকুরের মাছ নিয়ে এসেছিলাম। নিজের পুকুরের মাছ খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি বাটা মাছের একটি মজার রেসিপি তৈরি করেছি। বাটা মাছের ঝাল রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। বাটা মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বাটা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় এই রেসিপি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আশা করছি আমার রেসিপি সকলের কাছে ভালো লাগবে।

বাটা মাছের ঝাল রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। বাটা মাছ ভাজা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বাটা মাছের ঝাল রেসিপি খেতেও অনেক ভালো লাগে। আমি আমার গ্রামের বাসা থেকে আনা এই বাটা মাছের খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছি। এই রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। বাটা মাছের ঝাল রেসিপি গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লেগেছিল। তাই আমি আমার তৈরি এই মজার রেসিপি সকলের মাঝে উপস্থাপন করলাম।

বাটা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে বাটা মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর সামান্য পরিমাণে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি। এবার ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি।

এবার বাটা মাছ ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার জন্য একটি মাছ ভাজার কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর যখন কড়াই গরম হয়েছে তখন সয়াবিন তেল দিয়েছি।

এবার তেল গরম হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি। যাতে করে মাছ ভাজা ভালোভাবে হয়। তেল যখন ভালোভাবে গরম হয়েছে তখন আমি গরম তেলের মধ্যে বাটা মাছ দিয়েছি ভাজার জন্য।

এভাবে কিছুক্ষণ ভাজার পর যখন বাটা মাছ খুব ভালোভাবে ভাজা হয়েছে তখন আমি একটি প্লেটের মধ্যে মাছ ভাজা গুলো তুলে নিয়েছি।

এবার বাটা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি করার জন্য একটি কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর কড়াই গরম হয়ে গেলে এরমধ্যে পেঁয়াজ দিয়েছি। পেঁয়াজ যখন ভাজা হয়েছে তখন এর মধ্যে রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, জিরা বাটা দিয়েছি। সবকিছুর পরিমাণ অনুযায়ী দিয়েছি।

এবার আমি চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করার মাধ্যমে সবগুলো উপকরণ একত্রে ভালোভাবে মিক্স করেছি। সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে তেলের সাথে মিক্স হওয়ার পর এবার পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি।

এবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। যাতে করে সবগুলো মসলার উপকরণ একত্রে ভালোভাবে ভুনা হয়। এভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর মসলা ভালোভাবে ভুনা হয়েছে।

এবার আমার তৈরি করা রেসিপি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু করার জন্য এবং বাটা মাছের ঝাল খেতে আরো বেশি সুস্বাদু করার জন্য পানি দিয়েছি। এবার আরও কিছুক্ষণ রান্না করার পর মসলা আরো ভালোভাবে ভুনা হয়েছে।

মসলা যখন ভালোভাবে ভুনা হয়েছে এবং সুন্দর কালার এসেছে তখন আমি ভুনা মসলার মধ্যে মাছ ভাজা গুলো দিয়েছি।

এবার মাছের পিসগুলো ভুনা মসলার সাথে আরো ভালোভাবে মিক্স করার জন্য এবং বাটা মাছের ঝাল খেতে সুস্বাদু করার জন্য সুন্দরভাবে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। যাতে করে মাছের পিস গুলো ভুনা মসলার সাথে ভালোভাবে মিক্স হয়।

এভাবে আরো কিছুক্ষন সময় রান্না করার পর যখন বাটা মাছের পিস গুলো ভালোভাবে মশলার সাথে মিক্স হয়েছে তখন আমি পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি। এবার আমি আমার তৈরি করা এই মজার রেসিপি খেতে সুস্বাদু করার জন্য ধনিয়াপাতা দিয়েছি। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।

এভাবে আরো কিছুক্ষন সময় রান্না করার পর বাটা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি হয়েছে। এই মজার রেসিপি আমি খুব সহজেই তৈরি করেছি। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।

বাটা মাছের ঝাল রেসিপি তৈরি হয়ে গেলে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দরভাবে একটি প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি। এবার আমি আমার তৈরি এই মজার রেসিপি সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ফটোগ্রাফি করেছি। বাটা মাছের ঝাল রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাই আমি আমার তৈরি করা এই মজার রেসিপি আপনাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছি।